আমার ধারণা এইসব জাত, ধর্ম, কালচার, কাশ্মীর নিয়ে বিজেপির পক্ষে অস্বস্তিকর বক্তব্য রাখছে যেকটা সিনেমা (আজকাল একটু বেশিই হচ্ছে), সেগুলো বন্ধ করার চেস্টায় আছে। শুধুমাত্র অন্ধ দেশভক্তি আর মেরা ভারত মহান ছাড়া কোনও বক্তব্য থাকা চলবে না। এখন আর এমার্জেন্সির মতন জোড় করে সিনেমা-সিরিজ বন্ধ করা যায় না, ইন্টারব্যাশনাল কমিউনিটি দেখছে, টেকনিকালিও সম্ভব নয়। তাই অন্য উপায় নিয়েছে।
অনুরাগ কাশ্যপ তো কাল মিটু খেয়েছেন। আর অভিযোগ রীতিমত সাঙ্ঘাতিক।
এদের সিনেমায় গ্রামীণ বাংলা, দক্ষিণ, উত্তরপুব, এসবের রাজনীতি কখনো দেখেছি? হিন্দিবলয় থেকে তো বেরয়ইনি প্রায়। আর বেরলে সেই দঃপুব এশিয়া!
সিউডো সেকুলার বলে অন্য দলগুলোকে ডিসক্রেডিট করার মত বলিউডেও হবে যে এরা পুরোই বদের আড়ত।
কমারশিয়ালি যেগুলো পাবা রায় তাতে আমি তাতে আপিসের দিনে ডানকিন ডোনাটস আর ছুটি র বেলায় কাগচ পড়ার জন্য স্টারবাকসে আমেরিকানো অর্ডার দিয়ে খেতাম এবং সম্পূর্ন আলাদা খেতে মাইরি। শেষে যখন পানেরা তে ব্রেকফাস্ট খেতে যেতাম তখন বাংলা কফি নিতাম। ভাই রা ব্রাজিলের বিন মেশানোকিছু একটা খাওয়া তো। ওদের বাড়িতে আর আমার ছোটবেলার বন্ধুর বাড়িতে প্রচনড প্যামপারড হতাম বলে প্রায় ই খেতাম। দিনে একাধিক বার। লন্ডন শহরের উত্তর দিকে কেন্টিশ টাউন বলে একটা পাড়ায় লালি বেলা বলে একটা ইথিওপিয়ান রেস্তোরাঁ য় সেই ধোসার মত ইন্জিরা ব্রেড দেবার আগে ধুনোর মত করে কফির ধোঁয়া শুঁকিয়ে নিয়ে যেত, সেরকম গন্ধ আরবিকা কফি খাতির করে কেউ খাওয়ালে ও, আর পাইনি কখনও। বিক্রম পাকড়াশি দের কে ওখানে নিয়ে গেছি লাম ওদের ভালো লেগেছিল। কিন্তু এখন আমার কালচারাল একস্পরিয়েন্স এর ব্যাপারে বয়সের কারণে উৎসাহ কমে গেছে। বাড়ি থেকে বেরোতেই ইচ্ছে করেনা। কেউ ভালোবেসে কফি বা মদ খাওয়াবে বললে অবশ্য একটা হুহু অনুভব করি। :--))))
ভিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনায় নামকরা সিনেমা হলঃ মাকড়ি, মকবুল, ওমকারা, কমিনে, ৭ খুন মাফ, মাত্রু কি বিজলি কি মান্ডোলা, হায়্দার, রঙ্গুন, আর পটাকা। এর সঙ্গে ইশকিয়া আর দেড় ইশকিয়া যোগ করা যায়, প্রোডিউসার হিসাবে। এর মধ্যে সব তো মাফিয়া গল্পও নয়, হিন্টারল্যন্ডেও নয়। ইনফ্যাক্ট ভিশাল ইজ নোন ফর অ্যামেইজিং রিমেক অব শেক্সপিয়ার (মকবুল, ওমকারা, হায়দার)। অত ভালো লোকাল পলিটিক্স, ট্যারেন্টিনো মার্কা ব্লাড কমেডি, আর আনকনভেনশনাল রোম্যান্স মেশাতে খুব কম ডিরেক্টরই পারে। হ্যাঁ, সেই দিক থেকে অনুরাগ হয়ত একটু বেশিই ক্রাইম, মাফিয়া নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেছে। কিন্তু ঐ ব্যাপারটা হেব্বি দেখায়। মুশকিল হল একজন ভালো ডিরেক্টর মুম্বাই বা দিল্লি বা উত্তর ভারতের একটা ছোট শহর বা গ্রামের উপর সিনেমা করবে অথচ সেখানকার পলিটিক্স, পাওয়ার ডায়নামিক্স দেখাবে না, সেটাতো হয়্না। তার জন্য তো করণ জহরের সিনেমা তো আছেই।
এখন বক্তব্য যদি এই হয় যে হিন্টারল্যান্ড নিয়ে সিনেমা না বানালে বিজেপি হাইজ্যাক করত না, সেটার কোনই যুক্তি দেখিনা।
আহা আমার নাহয় মুখোমুখী ভালুক দেখার সৌভাগ্য হয় নি তাই বলে বোধি আবাজ দেবে গা? অবিশ্যি উত্তরকাশীতেও থাকিনি কখনো। অবসরের পরে ভেবেছি ব্ল্যাঙ্কির শ্বশুরবাড়িগুলোতে পালা করে পেয়িং গেস্ট থাকব।
হুমম , অনুরাগ কাশ্যপের ওপর সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের অভিযোগ এসেছে গতকাল , সাথে হালকা করে বচ্চন সাহেবের নামের ছোঁয়াও আছে।
প্রথম গানটা শুনুন। হেডফোনে না শুনে স্পিকারে চালিয়ে শুনতে পারলে আরো ভালোঃ
আহা আমার বন্ধু পাপ্পার দাদু দম দি কে চিনলে খুব খুশি হতেন। বেশ কয়েক বার পাপ্পার প্রাইভেট টিউটরদের পয়সা মেরে দেওয়ার পরে কেন জানি ওনাকে রণে বনে বাজারে মাঠে প্রায়ই ষাঁড়ে তাড়া করতে থাকে। ভয় পেয়ে অনেকদিন বাড়ি থেকে বেরোন নি।
হ্যাঁ, ঠিকই যে হিন্দি সিনেমার রিয়েলিটি বলতে এখন ইউপি বিহারের হিন্টারল্যান্ডের মাফিয়া পুলিশ আর রাজনীতির রিয়েলিটি এবং স্মল টাউন পরিবার পাড়া ইত্যাদি। তবুও মুল্ক বা আর্টিকল ফিফটিন অথবা শাবানা আজমীর ভাইয়ের রিসেন্ট সিনেমাটার মত কিছু বেরোয় , সেগুলোর গুণাগুণের মধ্যে যাচ্ছিনা কিন্তু এগুলোও লেপামোছা করে দিতে পারলে অ্যাজেন্ডা পুরোই সফল হয়।
(ফোনে লিখতে প্রচুর চাপ। )
তাই ভাবি সিকি ব্ল্যাঙ্ক ইত্যাদিরা কেন মাঝে মাঝেই লাদাখের দিকে চলে যেত। প্রোজেক্ট করতে যেত আসলে
হ্যাঁ, নেব। রিনা এখন সিডি বাজিয়ে মোবাইলে রেকর্ড করে আমায় পাঠিয়ে দেবে বলছে, কিন্তু তাতে তো কোয়ালিটি যাবে! সিডি থেকে সরাসরি ইউটিউবে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে।
টিমের ছেলে মেয়েদের বাস রাস্তা প্রায় ই আটকে রাখা বিশালাকার একটি ষন্ডকে দমু একবার এমাইক্রোসফট প্রোজেক্ট স হাতে তাড়া করেছিল, এসব ভারতীয় আইটি সেক্টরের র গোড়ার দিক কার লেজেন্ড। সেই তাড়া খেয়ে ষাঁড় টি লাদাখের দিকে চলে যায়। এবং এতদিন চীন যে এক পা এগোনোর সাহস দেখাতে পারে নি তার পেছোনে সেই ষাঁড় ও মাইক্রোসফট প্রোজেক্টস এবং দমু র বিভিন্ন ডেডলাইন। তারপর দমু ক্লাউড কোম্পানি র সি ই ও মত হয়ে গেল, আর চীন ও ঢুকে পড়ল। ষাঁড় দের আর দেশ বাঁচানোর তাগিদ নেই। পুরো বিট্রেয়াল:---))))
হাতে একটা বেসবল ব্যাট বা নানচাকু রাখবেন। কুকুর কিসু করবে না।
এবার কপিটা তোমার কাছে এনো পাই। তারপরের কথা বলাই বাহুল্য
পশ্চিমবঙ্গের সব মন্ত্রীই তো কাঁঠাল মন্ত্রী
dc, বোধিসত্ত্ব, মেশিনটা Delonghi নয়, স্থানীয়, তবে এদের মেশিনের পোরটা হেডটা ভাল বানিয়েছে। ফলে একটু খেটে কফি গুঁড়িয়ে নিতে পারলে এসপ্রেসো বেশ চমৎকার তৈরী হয়। কফির স্বাদ, বোধিসত্ত্ব, আপনি একেবারে ঠিক, অ্যাকোয়ার্ড।
অভ্যু, অমল ধবল নিয়ে উত্তর,
'Ha thik record korechilen Bake saheb.. je ta British library te ache.. Ora ekta copy pathiyeche seta ache amader kache'
তাহলে পশ্চিমবঙ্গে কাঁঠাল বিষয়ক মন্ত্রী হবে না কেন?
অ্যাই এইখানেই হচ্ছে কুকুরের সাথে গরুর তফাৎ। আমি সেই সাইকেলসুদ্ধু গরুর পালের মধ্যে ঢুকে পড়ায় এবং একটা গরু নর্দমায় পড়ে যাবার পর থেকে আমাদের পাড়ার গরুরা সাইকেল দেখলেই দিগ্বিদিকজ্ঞানশুন্য হয়ে দৌড় দিত। কাউক্কে তাড়া করত না। তবে হ্যাঁ ওদের দৌড়ের পথে কেউ সামনে এসে গেলে --- তা সে অমন একটু আধটু হয়েই থাকে।
তবে কোন কোন কুকুর খামোখাই লোককে তেড়ে কামড়াতে আসে। সম্ভবত অরণ্যদার মত কেউ সাইকেলে পালাতে গিয়ে লেজ মাড়িয়ে দিয়ে থাকবে, তাই সাইকেল দেখলেই খেপে যেত আমাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটা পাড়ার কুকুর। একবার সাইকেল নিয়ে খুব দ্রুত পালাতে গিয়ে আমি ঐ কুকুরের তাড়া খেয়ে কন্ট্রোল হারিয়ে একজন পথচারীকে ধাক্কা দিই। তারপর আমতা আমতা করে ইয়ে মানে ব্রেক ফেল করলো কাকু, কুকুর ছিলো কাকু এইসব বলে ম্যানেজ করার চেষ্টা করতে করতে দেখি ভদ্রলোক রোষকষায়িত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আমারই কথা রিপিট করে যাচ্ছেন সঙ্গে একটু জিজ্ঞাসু মত টোন । কি আপদ! এত রাগ কেন রে বাপু, একটা পরিবেশবান্ধব বাহনের আস্তে করে ধাক্কা, এতে এত ইসের কি আছে?
*আমি আদমি পার্টি র মত
এটা ঠিক কুকুরের গল্প নয়, তবে কুকুর আছে। সদ্য এদেশে এসেছি, এমন সময় একদিন একটি ছেলের সাথে আলাপ হলো, শুনলাম ওকে সবাই বলে ড্যাশ। পরে জানলাম উড়িষ্যার ছেলে। ভারি ভালো ছেলে, আর গানবাজনার খুব শখ। তো, হয়েছে কি, একটা লং উইকেন্ডে সবাই মিলে আড্ডা হচ্ছে, এমন সময় ড্যাশ এলো গীটার কাঁধে। একটু আশঙ্কিত হলেও সবাই ভাবলো নতুন গীটার কিনেছে, তাই দেখাতে নিয়ে এসেছে, কারণ ড্যাশ কস্মিনকালেও গীটার শেখেনি, এবং সামান্য বাথরুম গায়কী থেকে যদি আন্দাজ করতে হয়, তাকে খুব একটা সুরেলা বলা যাবেনা। কিন্তু সেদিন দেখা গেল ড্যাশ নতুন গীটার নিয়ে একেবারেই স্টেজে মেরে দিতে এসেছে, উভয় অর্থেই। তার বাড়িও কাছেই, হেঁটেই চলে এসেছে, ফোন করে আর রিস্ক নেয় নি, যদি লোকে কাটিয়ে দেয়। অতঃপর, বসে বসে গোটা ছয়েক বঙ্গসন্তান তার গীটারের বেসুরো টুংটাং শুনে যেতে লাগলো, সঙ্গে সেরকমই হৃদয়বিদারী গান, কথা ও সুর ড্যাশের নিজেরই। শেষে ঘন্টা দেড়েক এই ভয়ঙ্কর অত্যাচার সহ্য করার পর ড্যাশ একটা ব্রেক নেয়, এবং সবার কাছে ফীডব্যাক চায়। তাতে একজন একটু চুপ করে থেকে বলেছিলো, দেখ, তোমার কপাল খুব ভালো যে অ্যামেরিকায় রাস্তায় নেড়ি কুকুর ঘুরে বেড়ায় না। নইলে আজ তোমার বাড়ি ফেরা খুব কঠিন হত। বলা বাহুল্য ড্যাশ এই হনেস্ট ফিডব্যাক ভালোভাবে নেয় নি ।
অবশ্য ই নদীয়া কি পার গোছের আইডিলিক উত্তর ভারত এর থেকে অনুরাগীরা হিন্দি সিনেমাকে বের করেছে, কিন্তু যে বিজেপি দলিত পলিটিক্স কে গলাঃধকরণ করেছে, তারা এটায় হাত মারবেনা এই আশাটাই ভুল, সুতরাং এটাকে হিন্দি মাস কালচার ফ্যাকটরির দখলের লড়াই হিসেবে দেখাই শ্রেয়। মেটাতে দিল্লির ব্যান্ড বাজা বরাত এর মিডলক্লাস এক্সপেরিয়েন্স নেহাতই কম আদমি পার্টি র মত পার্শ্ব চরিত্র।
আজকাল মাছে মনোযোগ দিয়েছি। স্যামন নিয়ে দু চার কথা যা আমি জানি সেটা বললেই আবার একটা টই হয়ে যাবে। ইন্ডোর ওভেনে বেক আর গ্রিলের হদ্দমুদ্দ হচ্ছে। কিন্তু কেকে কিছু জানতে চায় নি বলে লিখি নি।
তাছাড়া বেবি বেলা অন্য মাশরুম মুখে রুচছে না আজকাল।
কিন্তু অনুরাগ-তিগমাংশু-পীযুষ-বিশাল-মনোজ-অনুভব দের সমস্যা টা হল, নিজেরা পাবলিক সেক্টর ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা র প্রোডাক্ট হ ওয়া সত্ত্বেও ভারতীয় সার অন্তর্বস্তুর খোঁজে ওরা সিনেমার লোকেল টাকে নতুন করে উত্তর ভারতীয় স্মল টাউন বা উত্তর ভারতীয় গ্রামে এনে ফেলেছে, বিহার বনাম বম্বে টা তার অবশ্যম্ভাবী ফল। মারাঠি বনাম বম্বে লড়াই এর আগে বহুদিন ধরে হয়েছে, পরেশ রাওয়াল নানা পাটেকার রা সেই ওয়েভ এর প্রোডাক্ট।
আমি এই জন্যই এই সো কলড নিউ ওয়েভ এ প্রথম থেকেই সন্দিহান এবং এটিকে আশির দশকে র প্যারালেলল সিনেমার অথেনটিসিটির প্রতিযোগী হিসেবে দেখা হলেও, অনেক বেশি ফান্ডামেন্টালি কম্প্রোমাইজড এবং সেল আউট।
পুরোনো ইম্পেরিয়াল ভারতের ভূগোল, উত্তর ভারত কে কালচারাল লোকেল, অথেনটিক ভারতীয় লোকেল হিসেবে বেচা হবে, আর একে বিজেপি দখল করতে চাইবে না, সেটা আহ্লাদী আবদার ছাড়া কিসু না:--)))))
সেতো প্রধান সেবক ঘুড়ি উড়িয়েছিল সলমন খানের সঙ্গে। এখন জানিনা কি ওড়াবে।