"করোনা বেদম ভোগাবে, কিন্তু প্রাণে চট করে মারবে না । বয়েস ৫৫' র নিচে হলে মরার চান্স খুব ই কম।"
তাহলে ভয়টা কীসে পাচ্ছি আমরা? আমি সত্যিই বুঝছিনা। হাল্কা করে আইসোলেশন, বুড়োদের সাবধানে রাখা, আর মেডিকেয়ারে প্রচুর টাকা ঢাললেই তো হয়। যেন খুব দ্রুত না ছড়ায় আর হাসপাতালে চিকিৎসা হয়, এইই তো চাই।
সবাই বলছে এ ওকে টাকা দেবে, সরকারি সাহায্য চাই, ইত্যাদি প্রভৃতি। কিন্তু এ খুব বেসিক অর্থনীতি, যে টাকা হল বিনিময়ের মাধ্যম মাত্র। টাকাকে খাওয়াও যায়না, টাকা দিয়ে চুল আঁচড়ানোও যায়না। উৎপাদন ব্যবস্থাটাই চৌপাট হয়ে গেলে টাকা দিয়ে কী হবে? ইনফ্লেশন হবে আকাশ ছোঁওয়া।যেকটা জিনিস পাওয়া যাবে, তাই নিয়ে কামড়াকামড়ি হবে, এরই সুসভ্য নাম টাকার মূল্য কমে যাওয়া। এর পর রইল সরকারি সাহায্য। দেশে সরকার আলু দিয়ে শুনছি সাহায্য করছে। কিন্তু আলু চাষই না হলে সরকারই বা পাবে কোথা থেকে?
স্টক করে লোকে ভুল কিছু করছেনা তো। বেশিদিন এ জিনিস চললে খাদ্যাভাব দেখা দেবেই তো। আমিই ভাবছি ফ্রিজার কিনে কিছু জমিয়ে রাখব কিনা। চাকরি বাকরি কিছুদিন বাদে থাকা চাপ। অন্তত অনাহারে যাতে না মরি, সেটা একটু দেখা দরকার। ইন দি মিন টাইম করোনার কৃপা হলে চিরশান্তি।