এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ভূত চতুর্দশী তিথি, চোদ্দ প্রদীপ এবং চোদ্দ শাক মাহাত্ম্য

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ অক্টোবর ২০২৪ | ৪৪৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • ভূত চতুর্দশী তিথি, চোদ্দ প্রদীপ এবং চোদ্দ শাক মাহাত্ম্য।

    ত্রয়োদশীর সন্ধ্যা উৎরে যেতেই সিরিয়াল দেখার পর্ব মিটিয়ে গিন্নি তাঁর মনি ব্যগখানি কাঁধে ঝুলিয়ে চললেন ধন তরাসের তেতে থাকা বাজারের ওম নিতে। কয়েক দিন ধরেই এই দোকান সেই দোকানের তরফে সুললিত কন্ঠে আমন্ত্রণ জানানোর পর্ব চলছে – “Good Morning Mam, আমি …. জুয়েলার্স থেকে বলছি। আগামী মঙ্গল আর বুধবার আমাদের শো রুমে স্পেশাল ডিসকাউন্ট অফার আছে। মজুরিতে বড় ছাড় পাবেন। এছাড়া….।” নাগাড়ে বলে চলা ঐ দিকের ভাষণে অতীষ্ট হয়ে একসময় গিন্নি ফোন কেটে দেন। মনে মনে হয়তো আমার ওপর একটু রাগ‌ও করেন। তবে এসব এখন দু পক্ষের কাছেই কেমন গা স‌ওয়া হয়ে গেছে। তাই ঢেউ উঠতে না উঠতেই আবার কেমন মিইয়ে যায়।

    খানিকক্ষণ রাস্তায় টহলদারির পর ঘর্মাক্ত শরীরে ফিরে এলেন তিনি। দরজা খুলতে গিয়ে আড়চোখে তাকিয়ে দেখি হাতে এক ঢাউস সাইজের ঝাঁটা, নারকেল শলার ! মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে আছে বুঝে দরজা ছেড়ে সরে দাঁড়াই। বুঝতে পারি কিছু বলার জন্য হয়তো তেনার মন উশখুশ করছে। সবে রেকর্ড ঘুরবে বলে তৈরি হয়েছে, এমন সময় বাইরে থেকে ভেসে আসে এক চিৎকৃত ডাকাডাকির শব্দ ……..
    “চোদ্দ শাক লাগবে, চোদ্দ শাক? চতুর্দশীর চোদ্দ শাক।”

    এই রাতেও চোদ্দ শাক নিয়ে বাড়ি বাড়ি ফিরি করতে বেড়িয়েছে অজয়, এ তল্লাটের পরিচিত সবজিওয়ালা। চোদ্দ শাক, কালীপুজোর আগে চতুর্দশী তিথিতে বঙ্গদেশে চোদ্দ রকম শাকের এক ককটেলের আস্বাদ গ্রহণের দিন। আসুন চতুর্দশীর চোদ্দ প্রদীপ, চোদ্দ শাক নিয়ে কিছু দরকারি কথা সেরে নিই। জেনে নেবার চেষ্টা করি এই সময়ে চোদ্দটি প্রদীপ জ্বালানোর এবং চোদ্দ রকমের শাক ভক্ষণের নিয়মের পেছনের কারণগুলো।

    পঞ্জিকার পাতায় কার্তিকী অমাবস্যার দিনটিকে চিহ্নিত করা হয় কালীপুজোর জন্য। ঠিক তার আগের দিনে তিথি নক্ষত্র মিলিয়ে চতুর্দশীর দিনটিকে পালন করা হয় ভূত চতুর্দশী বা নরক চতুর্দশী বা যম চতুর্দশী হিসেবে। এই দিনটি হলো আমাদের স্বদেশী হ্যালুয়িন ডে বা ভূত দিবস। এমন নামকরণ করা হয়েছে কেন? আসলে প্রচলিত লোকবিশ্বাস অনুসারে এই বিশেষ দিনটিতে আমাদের প্রয়াত চোদ্দ পুরুষেরা পঞ্চভূতের নিভৃত আস্তানা ছেড়ে নেমে আসেন মায়াভরা মর্ত্যলোকে যেখানে একদিন তাঁরা কাটিয়ে গেছেন হাজারো সুখ দুঃখের সঙ্গে একাত্ম হয়ে। এই কারণেই আমরা এই বিশেষ দিনটিতে চোদ্দ রকমের শাক খাই, ঘরে ঘরে জ্বালাই চোদ্দটি প্রদীপ। শাক ও প্রদীপের সংখ্যা ঠিক চোদ্দটি হবার পেছনে যে চতুর্দশী তিথির, চতুর্দশতম দিনের গুরুতর প্রভাব রয়েছে তা বোধহয় আলাদা করে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই।

    এর পাশাপাশি আরও একটি লোক শ্রুতি রয়েছে প্রদীপ জ্বালানোর অনুষ্ঠানকে ঘিরে। এই বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন স্বয়ং ভগবান রামচন্দ্র। আর্যাবর্তের মানুষের বিশ্বাস, দীপাবলীর দিনে শ্রী রামচন্দ্র চোদ্দ বছরের বনবাসী জীবন যাপনের পর দুরাত্মা রাবণকে পরাজিত করে বিজয়ীর বেশে ফিরে এসেছিলেন অযোধ্যায়। দীপাবলীর আলোর রোশনাই সেই আনন্দঘন মুহুর্তের‌ই বহিঃপ্রকাশ। উপলক্ষ্য যাইহোক আমাদের জীবন প্রবলভাবে ভরে উঠুক আলোক উৎসবে। ঘুচে যাক্ আমাদের মনের কোণের সব দীনতা আর মলিনতা।

    আলো এলেই তো অন্ধকার পালাবার পথ পায়না। আসলে অন্ধকার মানেই হলো অজ্ঞানতা, অশিক্ষা, অসততা, অসংযম, অপচেতনা। এসব‌ই হলো তামসিক প্রবৃত্তির লক্ষণ। এইসব প্রবৃত্তি আলোর পথে এগিয়ে চলা মানুষকে পেছনের দিকে টেনে রাখে। ভুবন ভরা আলোর প্লাবন এসে মুছে দিক সব গ্লানি, ঘুচে যাক আমাদের চেতনার গভীরে থাকা সব রকমের জড়ত্ব। আলোর উদ্ভাসে শুচি হোক ধরা। এ তো এক নিবিড় প্রার্থনা। আর তার সূচনা হোক প্রতিটি গৃহে প্রজ্বলিত চোদ্দ প্রদীপের আলোকাকীর্ণ পথ বেয়ে। এ ছাড়াও কিন্তু প্রদীপ জ্বালানোর এক ব্যবহারিক তাৎপর্য রয়েছে। এখন মাঠে মাঠে ভরা ফসলের আগমনী। এর টানেই ছুটে ছুটে আসে নানান অপকারী কীটপতঙ্গের দল। আলোর ফাঁদ তাদের অযাচিত উপদ্রব কমায়। তাই চতুর্দশীর চোদ্দ প্রদীপ এক‌ই সঙ্গে আবাহন আর বিসর্জনের আয়োজন করে। সু আর কু এর লড়াই যে চিরন্তন।

    এই চতুর্দশী তিথিতেই ভগবান মহাবীর লাভ করেছিলেন মহাজ্ঞান – মোক্ষ। মোক্ষ মানে মুক্তি, সমস্ত জাগতিক বন্ধন থেকে মুক্তি। এ মুক্তি চেতনার মুক্তি। এই বিশেষ দিনটিতে তাই জৈন ধর্মের অনুসারী মানুষজন পালন করেন আলোর উৎসব। পিছিয়ে থাকেনা পঞ্চনদের তীরে বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজনেরা। এই কার্তিকী চতুর্দশীর দিনেই মোঘল কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন শিখ সম্প্রদায়ের ষষ্ঠ গুরু হরগোবিন্দ জী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাহান্ন জন একান্ত অনুগামী। এও যে এক আলোয় ফেরার দিন। কারাগারের আঁধার থেকে মুক্তি পেয়ে প্রাত্যহিক জীবনের অমল আলোয় ফেরার দিন। জ্বালাও হৈমন্তীর আলো।

    কার্তিক মাসের এই কৃষ্ণা চতুর্দশীর দিনটিকে নিয়ে রয়েছে আরও অনেক অনেক গল্প। কথক ঠাকুরের মতো কথার সুতোয় সুতো বেঁধে বেঁধে গপ্পোকে টেনে নিয়ে গেলে পাঠকের পাছে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়ে তাই এখানেই আলোর গল্পের ইতি টানবো। এবার বরং শাকের কথায় ফিরি।

    শাক শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে। তারমানে শব্দটি তৎসম বর্গীয়। শাকের সঙ্গে অনিবার্যভাবে সঙ্গত করা সবজি শব্দটি অবশ্য এসেছে ফার্সী শব্দভাণ্ডার থেকে। দুইয়ে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায় আনাজের ঝুড়িতে। এই ফাঁকে চুপিচুপি আপনাদের জানিয়ে রাখি বর্তমানে বাংলা শব্দ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত আনাজ শব্দটি এসেছে প্রাকৃত ‘অন্নজ্জ’ ভায়া হিন্দি ‘অনাজ’ শব্দ থেকে। এখানেও কোনো বিরোধ নেই। সবাই মিলেমিশে বাঁধা পড়েছে এক ভাষা অবয়বের খোলশে।

    শাক হলো বনদেবীর পত্র সম্ভার। এজন্যই যে মা দুর্গার আরেক নাম শাকম্ভরী। বাঙালির বিশ্ব পরিচিতি ‘মাছে ভাতে বাঙালি’ না হয়ে যদি ‘শাকে ভাতে বাঙালি’ হতো তাহলেও জাতি হিসেবে আমাদের কৌলিন্য বা গরিমা বিন্দুমাত্র খাটো হতো বলে মনে হয়না। বাজারে গেলে দেখতে পাবেন প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চল থেকে আসা কিছু মহিলাকে, যাঁরা তাঁদের বসতি এলাকার বন বাদাড় খুঁজে তুলে আনেন রকমারি শাকের পশরা – ব্রাহ্মী, গিমা, পিড়িঙ্, হেলেঞ্চা, সুষণী, নটে, আমরুলি, কুলেখাড়া, পুনর্ভবা, কলম্বী, ঢেকি, গুলঞ্চ, বৈথা …… । হাঁপিয়ে গেছেন? তালিকাটিকে বাড়িয়ে নিয়ে যাবার দায়িত্ব আপনাদের ওপর সঁপে দিয়ে মূল কাহানিতে ফিরি। শাকের তালিকা শেষ করা এককথায় অসম্ভব। অবশ্য ঋতুভেদে তাদের জোগানে বৈচিত্র্য আসে। একালের ছেলেপিলেরা নাকি খাবার পাতে শাকপাতা দেখলে রীতিমতো তিরিক্ষি হয়ে ওঠে। আমরা তো সবাই মিলে শাকান্নতেই সন্তুষ্ট থাকতে শিখেছিলাম আমাদের পরিজনদের কাছে।

    এখন প্রশ্ন হলো প্রতিদিনের পাতে আমরা শাককে ঠাঁই দেবো কেন? মেনু কার্ডে এদের উপস্থিতি কতটা জরুরি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য? এর উত্তর অবশ্য দিয়েছেন স্বয়ং খাদ্য বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে –

    শাককে পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলেন leafy vitamin বা পত্রজ ভিটামিন। তাঁরা হিসেব কষে দেখেছেন, সব ধরনের শাক থেকেই মেলে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম এবং বিভিন্ন রকমের phyto chemical যেমন লুটেন‌ইন, বিটা ক্রিপটোজানথিন, জিয়া জানিনা এবং বিটা ক্যারোটিন এর মতো শরীরের পক্ষে প্রয়োজনীয় উদ্ভিজ্জ রাসায়নিক পদার্থ। তাই প্রতিদিনের পাতে কোনো না কোনো রকম শাক থাকলে তা আমাদের শরীরে নানা রকম পুষ্টির প্রয়োজন মিটিয়ে শরীরকে রীতিমতো সুস্থ সবল নীরোগ রাখতে সাহায্য করে।আর কে না জানে শরীর চুস্ত, তো মন চুস্ত তো জিন্দেগী চুস্ত।

    এসব কথা ভেবেই কি চতুর্দশীতে চোদ্দ শাক ভক্ষণের লোকাচার? হয়তো তাই। শাক নিয়ে আরো দুয়েক কথা বলার আগে চতুর্দশী তিথিতে চোদ্দ শাক খাওয়া নিয়ে একান্ত ব্যক্তিগত এক বিয়োগান্তক ঘটনা পরিবেশন করি। তখন আমি থ্রী বা ফোর কেলাসের ছাত্র। ঠাকুমার ফরমাইশ অনুযায়ী বাবা বাজার থেকে কিনে এনেছেন রেডিমেড চোদ্দ শাক। ঠাকুমা তাকে তরুজৎ করে রান্না করেছেন। ঠাকুমার হাতের রান্না! উনুন থেকে কড়াই নামাতে না নামাতেই হাত পেতে দাঁড়িয়েছি তার সামনে। ঠাকুমাও সদয় ছিলেন তাঁর ছেলের ঘরের বড়ো নাতির প্রতি। একটু ঠাণ্ডা হতেই একদলা শাক সবে মাত্র মুখে নিয়েছি, নিমেষেই গলা ফুলে ঢোল। শুরু হলো চিল চিৎকারে পাড়া মাত। ঠাকুমা পড়লেন মহা ফাঁপরে। বাবাকে বকাবকি শুরু করলেন – “দেইখা আনস্ নাই। শাকের ম‌ইধ্যে চোতরা পাতা মিশাইছে। না হ‌ইলে অমন গলা ধরে !” সেবার ঐ চোদ্দ শাক আর কেউ মুখে তোলার সাহস দেখাননি। চতুর্দশীতে চোদ্দ শাক পাতে তোলার আস্যের সেখানেই ইতি।

    বহুবছর পার করে আমাদের বাড়ির কাজের মেয়ে বিন্দু ও তার শাশুড়ি মায়ের সৌজন্যে চোদ্দ শাকের পরিমার্জিত সংস্করণ চালু হলো আমাদের বাড়িতে। রীতিমতো এ মাঠ, সে মাঠ ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করে আনা মহার্ঘ্য শাক সম্ভার। সেই ধারা একালের গিন্নি মার হাত ধরে এখনও চালু আছে অধমের বাড়িতে।

    এই চোদ্দ শাকের বিধিসম্মত প্যাকেজে কারা কারা ঠাঁই পাবেন তার উল্লেখ আছে এক প্রাচীন পুঁথিতে সংস্কৃত শ্লোকের আকারে। আসুন দেখে নিই –

    “ ওলং কেমুকবাস্তুকঙ্, সার্ষপঙ্, নিম্বঙ্ জয়াঙ্
    শালিঞ্চীঙ্, হিমলোমোচিকাঙ্চ পটুকঙ্, শেলুকঙ্ গুড়ূচীন্থতা।

    ভন্টাকীঙ্ সুনিষন্নকঙ্ শিব দিনে খাদন্তি যে মানবা :
    প্রেতত্বঙ্ না চ শান্তি কার্তিকদিনে কৃষ্ণের চ ভূতে তিথৌ।”

    এই ভাষ্য অনুযায়ী চোদ্দ শাকের মধ্যে থাকবে ওল, কেও, বেতো, কাল কাসুন্দি, নিম, সরষে, শালিঞ্চা, জয়ন্তী, গুলঞ্চ, ভাঁট পাতা, পলতা, ঘেঁটু, হিঞ্চে এবং শুষণী। যেসব বাড়িতে এখনও বৃদ্ধ প্রবীণ মানুষদের উপস্থিতি নজরে পড়ে সেইসব বাড়িতে শাকেরা এখনও জাঁক করেই টিকে আছে।

    এটাতো মানতেই হবে যে কোনো একটি অঞ্চলের খাদ্য সংস্কৃতি গড়ে ওঠে সেই বিশেষ অঞ্চলের ভৌগলিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট্যের ওপর ভর করে। আপ রুচি খানা – এই কারণেই বলা হয়। ঋতু বদলের সময় এমনিতেই আমাদের শরীরে নানান ধরনের শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়। এসবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য চাই উপযুক্ত শারীরিক ব্যবস্থা। মজার ব্যাপার হলো যে এইসব শাক পাতা থেকে আমরা সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারি। এখানেই নিহিত রয়েছে চোদ্দ শাক ভক্ষণের লোকাচার তথা মাহাত্ম্য।

    আমাদের বহমান সংস্কৃতির ধারায় এভাবেই জড়িয়ে আছে কত কত আখ্যান, কত কত স্রোত, উপস্রোত। এসব হারিয়ে যাচ্ছে বলে আক্ষেপ করে কষ্ট পেতে আজ আর মন চায় না। হয়তো এ কারণেই এই আখ্যানের অবতারণা।

    সকলে ভালো থাকবেন। শুভ দীপাবলির শুভকামনা রইলো গুরুভাই ও গুরুভগিনীদের জন্য।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ritabrata Gupta | 2401:4900:7079:2efe:db04:642b:754a:***:*** | ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২১:৪৫538992
  • দারুন  তথ্য !  এতো  কিছু  জানতাম  না .  অসাধারণ  লেখা !
  • পলি মুখার্জি | 49.37.***.*** | ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:০৯538993
  • এতোদিন নিছকই সংস্কারের বশবর্তী হয়ে যা করেছি, এবার তার সঠিক প্রেক্ষাপটটা জেনে পালন করবো। অন্যান্য অনেক বিষয়ের মতো এমন ঘরোয়া বিষয়েও লেখক আমাদের সচেতন করলেন। ধন্যবাদ।
  • #:+ | 49.37.***.*** | ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:২৪538995
  • খুব জটিল বিষয় নয়, জনপ্রিয় বিষয় এবং প্রাসঙ্গিক। ছড়িয়ে পড়ুক ভূতের মুখে মুখে।
  • sarmistha lahiri | ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:৩৮538997
  • চোদ্দ শাকের ইতিবৃত্ত তো জানা গেল। কিন্তু যে সকল শাকের সমাহারে এই চোদ্দশাক তৈরি হওয়ার কথা  নিঃসন্দেহে বলতে পারি কোনভাবেই এই সব শাক এখন পাওয়া যায়না। তাই কচু ঘেচু দিয়ে তৈরি চোদ্দ শাকে  লেখকের মতো আমাদের ও গলা ধরার সম্ভাবনা প্রবল।একটি মনোগ্রাহী রচনার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
  • সৌমেন রায় | 2409:40e1:8:a58:8000::***:*** | ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:০৩539000
  • আলো ও শাকের আখ্যান বেশ ভালো লেগেছে।সবচেয়ে ভালো লেগেছে উপলব্ধিটি: হারিয়ে যাচ্ছে ভেবে কষ্ট পেতে চাইনা
  • শাশ্বতী পাইক | 122.17.***.*** | ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:১৫539002
  • খুব সুন্দর উপস্থাপনা। তবে নারকেলের ঝাঁটার কি গতি হলো শেষ অবধি সেটা জানা হলো না।
  • সৌম্যদীপ সাহা রায় | 2405:201:8012:30e7:2975:f130:c509:***:*** | ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:২৮539003
  • সংস্কারের পেছনের গল্পটা বেশ লাগলো। দুর্দান্ত উপস্থাপনা। এরকম লেখা আরও চাইব। 
  • বহ্নি ভট্টাচার্য | 2401:4900:3a77:8997:92f0:1df3:a402:***:*** | ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৫৫539004
  • তথ্যপূর্ণ অসাধারণ লেখা!...খুব ভালো
  • সুমিত মুখার্জী | 110.225.***.*** | ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:০৭539008
  • বেশ বেশ, লেখনী চলন্ত থাকুক।
  • Palash Mukherjee | 2405:201:8022:e80a:a485:35c9:4d99:***:*** | ০১ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৪১539013
  • Very informative. 
  • বিপ্লব রহমান | ০১ নভেম্বর ২০২৪ ১১:২৪539025
  • মিথ ও তথ্যে ভরপুর দারুণ লেখা। শুভ blush
  • b | 14.139.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৪১539033
  • "এক প্রাচীন পুঁথিতে সংস্কৃত শ্লোকের আকারে"
    একটু রেফারেন্স পাওয়া যাবে এই পুঁথির ? 
  • Somnath mukhopadhyay | ০১ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৪৬539037
  • জনৈক/জনৈকা b চোদ্দ শাকের পরিচিতি সংক্রান্ত সংস্কৃত শ্লোকটি কোন্ প্রাচীন পুঁথিতে পাওয়া যাবে তার সম্ভাব্য সূত্র সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। প্রশ্নকারীর জ্ঞাতার্থে জানাই আলোচ্য শ্লোকটি নবদ্বীপের বিখ্যাত স্মার্ত শ্রী রঘুনন্দন ভট্টাচার্য প্রণীত স্মৃতি পুঁথিতে পাওয়া গেছে। আমি অবশ্য মূল পুঁথিটি দেখিনি। তবে একাধিক রচনায় এটির সশ্রদ্ধ উল্লেখ পেয়েছি।
  • b | 117.233.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৫৩539038
  • অনেক ধন্যবাদ। খুঁজে পেয়েছি। এখানে আছে ঃhttps://archive.org/details/dli.bengal.10689.23220/page/n519/mode/2up?view=theater
    ৫০৬  পাতার শেষের দিকে অথ ভূতচতুর্দশী এই প্যারাগ্রাফে আছে।
     
    তবে কয়েকটা  শাকের নাম দেখে মনে হচ্ছে দেশজ বাংলা থেকে ঘাড় ধরে সংস্কৃত করা হয়েছে। 
  • Somnath mukhopadhyay | ০২ নভেম্বর ২০২৪ ০০:০৪539039
  • b , আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই। বাংলা শব্দ ভান্ডারে অনেক তৎসম শব্দ রয়েছে। সেকারণেই হয়তো এমনটা মনে হচ্ছে। ধনতেরাসের ওপর লিখতে গিয়ে রঘুনন্দনের স্মরণাপন্ন হবার কথা ভেবেছিলাম। পরে অবশ্য গল্পের কাঠামোয় তাকে হাজির করা হয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন