এখানে আকাশ নাম ধরে ডাকে।
মোবাইলের সঙ্গে ব্লুটুথ স্পিকারটায় আলতো করে গানটা যখন বাজছিল তখন পড়ন্ত বিকেল। এগারোতলা ফ্ল্যাটের বারান্দায় চোখবুজে বিদিশা যে গান শুনছে সেটা দেখে কেউ যদি ভাবে যে বিদিশা খুব সঙ্গীতের ভক্ত তাহলে ভুল হয়ে যাবে। এটা আসলে ওর চিকিৎসার অঙ্গ। ওর সাইকিয়াট্রিস্ট খুব জোর দিয়ে বলেছিলেন, এসব সাবকনশাস ভায়োলেন্সকে কন্ট্রোল করা কোনো ওষুধের কম্মো নয়। বরং মিউজিক থেরাপি টেরাপি ট্রাই করা যেতে পারে, সঙ্গে একটু মেডিটেশন। তারপর থেকেই বিদিশা খুব গান শোনে।
কিন্তু গানে ছেদ পড়ে কারণ মোবাইল বেজে ওঠে। বিদিশা জানে এভাবেই তার ভেতরে সঙ্গীত জন্ম নিতে নিতে বারবার ব্যর্থতার গ্লানি আসে। একটূ দূরে রাখা মোবাইলটার দিকে অসীম ক্লান্তির ভেতরে হেঁটে যেতে যেতে সে অভ্যাসবশত স্লিভলেস নাইটির ঝুলে পড়া স্ট্র্যাপটাকে কাঁধের ওপর তুলে নেয়।মোবাইলের স্ক্রিনে কেয়ারটেকারের নাম দেখে একটু অবাক হয় বিদিশা। কেয়ারটেকারের নাম তার মোবাইলে সেভ করা থাকলেও সে কোনোদিন বিদিশাকে ফোন করে না। অন্তত এই ফ্ল্যাটে আসার পর গত তিন বছরে করে নি।
ম্যাডাম, একটু নিচে আসবেন ? খুব জরুরী দরকার।
কেন, কী হয়েছে ?
আবদুলকে ওরা খুব মারছে। মেরেই ফেলবে বোধহয়।
কে আবদুল ? ফোনটা ছাড়ার মিনিটখানেকের মধ্যেও মনে পড়ে না বিদিশার। ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে বটে যে আবদুল ছিলো ওদের ড্রাইভার। কিন্তু সে তো তিনমাস আগের কথা। তারপর থেকে সে বেপাত্তা হবার পর বিদিশার অনুরোধে সিদ্ধার্থ একটু বয়স্ক ড্রাইভার রেখেছে এখন। আবদুল ড্রাইভার হিসেবে ভালো ছিল বটে কিন্তু ওকে চিরতরে মনে রেখে দেওয়ার মত কোনো কারণ ঘটে নি। আর ও তো চলে গিয়েছিল কাউকে কিছু না জানিয়ে। আর তখনই অভিযোগটা উঠেছিল। ওদের কমপ্লেক্সের পাঁচিলের বাইরে পেছন দিকে এখনও একটা বস্তি মতন আছে। শোনা গেছিল সেখানকার একটি নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে নাকি আবদুল ফুঁসলে নিয়ে পালিয়েছে।
নার্সিং হোম আর চেম্বার সেরে সিদ্ধার্থ যখন ঘটনাটা শুনল তখন বলেছিল, এটাকে কী বলে জানো তো ? লাভ জেহাদ। থাকতো ইউ পিতে, পেছন ফাটিয়ে দিত পাবলিকে।
এখানে দেবেনা বলে তোমার মনে হয় ?
এটা তো সিউডো সেকুলারদের রাজ্য। তোষণ চলে সবসময়।
এই আলোচনাটা চলাকালীন ওদের কাছে প্রায় আড়াই বছর কাজ করা আবদুলের মুখটা ওরা দুজনেই ভুলে যেতে শুরু করেছিল। সিদ্ধার্থ জানে, এটাকে বলে উইলফুল অ্যামনেসিয়া।
দুই
প্রথম প্রথম ব্যাপারটা খুব নিরামিষভাবেই শুরু হয়েছিল। মানে, এই ধরণের কল্পনা তো সবাই করে থাকে। যেমন পৃথিবীতে নিজের অনুপস্থিতি কল্পনা করে ইমাজিন করা পৃথিবীটা কীরকম চলছে, ওকে কীভাবে স্মরণে রাখছে আত্মীয় পরিজনরা বা আদৌ রাখছে কিনা ইত্যাদি। কিন্তু বিদিশা সিদ্ধার্থহীন পৃথিবীর কথাও কল্পনা করতে শুরু করল শুধু নয়, আশ্চর্য যে সেই কল্পনায় সে আরাম পাচ্ছিল। সিদ্ধার্থকে একসময় ভালোবেসে বিয়ে করেছিল, ওর জন্য প্রাইভেট স্কুলের মোটামুটি ভদ্রস্থ মাইনের চাকরিটা ছেড়ে দিতে হয়েছিল — এসবই এখন বিগত জন্মের স্মৃতি মনে হয় বিদিশার। এখনকার মানিমেকিং মেশিন ডাক্তার সিদ্ধার্থ গুপ্তকে, তার স্বামী হওয়া সত্ত্বেও সে যে প্রায় চেনে না, সেটাও তার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয় না। কিন্তু সিদ্ধার্থর এই পৃথিবীতে না থাকার কথা কল্পনা করে বিদিশা যে হর্ষ লাভ করে তার কারণ কি বিদিশা কোনো এক অধীনতা থেকে মুক্তি লাভ করতে চায় ? সে কি এমন কিছু কোথাও গচ্ছিত রেখেছে যা সে ফিরে পেতে চায় ? সিদ্ধার্থর সঙ্গে বাকি জীবনের অযৌন সম্পর্ককে চুকিয়ে ফেলার সংকল্পকে মাথায় নিয়েই বিদিশা একদিন মনোচিকিৎসকের চেম্বারে পৌঁছোয়। কারণ সে অনুভব করেছিল, সে তার পরিসরের মধ্যে সিদ্ধার্থকে আর সহ্য করতে পারছে না। গনগনে চুল্লীর লকলকে আগুনের শিখা সিদ্ধার্থর শরীরকে ছুঁচ্ছে — এরকমটা অনেকবার দেখেছে সে। দেখেছে জীবনের চেয়েও বড় সত্যের নিষ্ঠুরতাকে। আর তখনই সে, শেষ পর্যন্ত ভয় পেয়েছে।
তিন
বিদিশা আর সিদ্ধার্থকে কিছুটা পুলিসি জেরার মুখে পড়তে হল, বিশেষত বিদিশাকে। আসলে এই ঘটনাটা কিছুটা হলেও রাজ্যের আর প্রশাসনের মুখ পুড়িয়েছে। এতদিন সবাই জানতো যে তথাকথিত লাভ জেহাদ বিরোধী কর্মকাণ্ড গো-বলয়ের রাজনীতির অঙ্গ। কিন্তু তা যে সহসা পশ্চিমবঙ্গে মাথা চাড়া দেবে আর একজনের প্রাণের মূল্যে তার দাম চোকাতে হবে সেকথা আগে ভাবা যায় নি। আর যথারীতি মিডিয়া ব্যাপারটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যথোচিত গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিদিশার অবশ্য পুলিসের কাছে লুকোনোর মত কিছু নেই। হ্যাঁ, কেয়ারটেকার এবং একজন সিকিউরিটিকে নিয়ে সে কমপ্লেক্সের বাইরে বস্তিটার দিকে গিয়েছিল। কিন্তু সেটা নেহাতই কৌতূহলবশত। ওখানে ছোট্ট জটলাটার মাঝে হাতজোড় করে বসে থাকা আবদুলকে দেখে সে চিনতেও পেরেছিল। তবে আবদুল তাকে দেখতে পায় নি। জটলার মধ্যে যারা ছিল তাদের অনেকের হাতেই ছিলো লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি। ওরা আবদুলকে বাপ মা তুলে, ধর্ম তুলে অশ্রাব্য খিস্তি করছিল। আবদুল বিড়বিড় করে কিছু বলার চেষ্টা করতেই একজন ‘এই শালা...’ বলে লাফ দিয়ে আবদুলের দিকে তেড়ে গেল। তার হাতের রড আবদুলের মাথার ওপর নেমে আসার আগেই বিদিশা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তবে একটা ব্যাপার ওকে অবাক করেছিল। জটলার মধ্যে খিস্তি করতে করতে অনেকেই বলছিল যে হারামির বাচ্চাটা এরমধ্যেই চারটে বিয়ে করেছে। অথচ বিদিশা যতদূর জানে আবদুলের এখনও বিয়েই হয় নি। যে পুলিস অফিসার বিদিশাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন তাঁর কাছ থেকে বিদিশা তথ্যটা যাচাই করে নেয়। অথচ ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপে যাঁরা ঘটনাটা নিয়ে গলা ফাটাচ্ছিলেন তাঁরা অনেকেই এই মিথ্যাটা প্রচার করে যাচ্ছিলেন। এঁরা অনেকেই যে ঐ হত্যকাণ্ডের পরোক্ষ সমর্থক সেকথা তাঁদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পাচ্ছিল। বিদিশা বুঝতে পারছিল যে আবদুলকে ঘিরে থাকা হিংস্র ভিড়টা আরো বড় পরিসরের মধ্যে সেঁধিয়ে আছে।
চার
বোধিসত্ত্বের ডাকনাম তাতান। ক্লাস নাইনে উঠলেও এখন থেকে খবরের কাগজ বেশ খুঁটিয়ে পড়ে। সেদিন ইংরেজি কাগজটায় চোখ চোখ বোলাতে বোলাতে বিদিশাকে জিজ্ঞেস করেছিল, আচ্ছা মা, ডোনাল্ড ট্রাম্প কি ইসলামোফোব ?
বিদিশা আলগোছে কিন্তু সুনিশ্চিতভাবেই উত্তর দিয়েছিলো, সে তো বটেই।
তাহলে জিতেছিল কী করে ?
মেজরিটি চেয়েছিল তাই জিতেছিল। উত্তরটা দিয়ে বিদিশা নিজেই যেন সন্তুষ্ট হতে পারছিলো না। এত সহজ তো নয় উত্তরটা। মেজরিটি তাহলে নিজেই কি এক বা একাধিক ফোবিয়াকে লালন করে ?
রাত্রিবেলা সিদ্ধার্থকে যখন বিদিশা তাতানের প্রশ্নটা জানালো তখন সিদ্ধার্থ বলল যে এই ফোবিয়াটা খুবই ন্যাচারাল এবং সেটা যে ইসলামিস্টদের কাজকর্মের প্রতিক্রিয়া হিসেবে উঠে আসছে এসব এবার তাতানের জানা দরকার।
কী দরকার ওকে এসব জানানোর। বলা যায় না ওঁদের জেনারেশন হয়তো ধর্ম নিয়ে এত জটিলতার হাত থেকে মুক্তি পাবে।
তুমি থাকো তোমার ওই ইউটোপিয়া নিয়ে। আচ্ছা, তাতান কি ওই ড্রাইভারের লিঞ্চিংয়ের ব্যাপারটা জেনেছে ?
কাল রাত পর্যন্ত কিছু জানতো না। আজকে বোধহয় স্কুলে গিয়ে জেনেছে আর তারপর থেকে মন খারাপ করে বসে আছে।
হোয়াই ? হি মাস্ট আণ্ডারস্ট্যাণ্ড দ্যাট দ্য ড্রাইভার ডিজার্ভড ইট। আমি ওকে বোঝাবো।
সিদ্ধার্থ তাতানের ঘরের দিকে এগিয়ে যায়। সে জানে এমনকি গোলাপ গাছেরও বাড়তি ডালপালা কেটে দিতে হয় আর সেটার পক্ষে উপযুক্ত সময় ঠিক এখন।
পাঁচ
আজ সন্ধের পর থেকে ঝড়বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা অনেকটাই কমে গেছে। রাত্রিবেলা বিছানায় শুয়ে কেন কে জানে বারবার ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছিল বিদিশার। একবার টয়লেট থেকে ঘুরে এল। তারপর তাতানের ঘরে ঢুকে ওর গায়ে একটা পাতলা চাদর বিছিয়ে দিল। আজ ভোরের দিকে রীতিমতো ঠাণ্ডা লাগবে। চাদর গায়ে দেবার সময় বিদিশা অবাক হয়ে দেখল তাতান একটা ঘড়ি পরে শুয়েছে। ঘড়িটা বিদিশার চেনা, তাতানের জন্মদিনে আবদুল দিয়েছিল। প্রায় হাজার দেড়েক টাকা দাম ঘড়িটার, দিল কী করে কে জানে। কিন্তু ঘড়িটা তাতান পেল কী করে , ওটা তো আলমারির মধ্যে বহুদিন ধরে রাখা ছিলো। হঠাৎ একটা সম্ভাবনার চিন্তা বিদিশার রক্তে দোলা দিয়ে তাকে কাঁপিয়ে তুলল। এমনও তো হতে পারে যে আবদুল আদৌ মারা যায় নি, বহাল তবিয়তে বেঁচে আছে। ওর বদলে যে লিঞ্চড হয়েছে সে অন্য কোনো যুবক। গোটাটাই একটা আইডেনটিটি কনফিউশনের ফলশ্রুতি। পরমুহূর্তেই নিজের উদ্ভট কল্পনায় নিজেরই হাসি পেয়ে যায় বিদিশার। পুলিস তো স্পষ্ট ভাবেই সনাক্ত করেছে যে মৃত লোকটিই আবদুল, বিদিশাদের প্রাক্তন ড্রাইভার। কিন্তু এরপরও বিদিশার কেন মনে হচ্ছে আবদুল বেঁচে আছে। আবদুলই তো ওকে প্রশ্ন করছে, ম্যাডাম,আপনি কি ঐ মৃতপ্রায় লোকটিকে বাঁচাতে পারতেন না? আপনি অনুরোধ করলে ওই উন্মত্ত লোকগুলো কি একবারের জন্যও থমকে দাঁড়াতো না ?
আবদুলের প্রশ্নে বিদিশার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘরের মধ্যে ওর দম বন্ধ হয়ে আসে। আস্তে আস্তে সে ছাদের সিঁড়িটার দিকে পা বাড়ায়। ও তো নিশ্চিত ছিল যে আবদুল মরে গেছে। কিন্তু এখন কেন বেশি বেশি করে ওর মুখটা মনে পড়ছে। বছর চব্বিশ পঁচিশ বয়স হবে, সুগঠিত চেহারা। বিদিশার বয়স চল্লিশ ছাড়ালে হবে কি, শরীরে যৌবনের আবেদন পুরোপুরি অটুট। কিন্তু আবদুলের দৃষ্টিতে কখনো কামনার ছায়া দেখেনি বিদিশা যদিও সিদ্ধার্থ এটা নিয়েও মাঝে মাঝে সাম্প্রদায়িক ঈঙ্গিতমূলক মন্তব্য করতো। বিদিশাকে দেখে সিগারেট লুকোতো আবদুল আর মার্কেটিংয়ে গেলে সবসময় দৌড়ে এসে ব্যাগটা হাত থেকে নিয়ে নিত। বিদিশা নিজের থেকে কিছু জিজ্ঞেস করতো না তবু একদিন নিজের আম্মা আর তার অবিবাহিত মানসিক প্রতিবন্ধী আপুর কথা বলেছিলো। বিদিশার মনে হচ্ছে এই কথাগুলো যেন আবদুল নিজে ওর কানের কাছে বলছে এই খোলা ছাদে। বিদিশা এখন স্পষ্ট অনুভব করছে আবদুলের কন্ঠস্বর, ওর গায়ের ঘ্রাণ। তবে কি আবদুল প্রতিহিংসা মেটাতে চায় ? বিদিশাও কি সিদ্ধার্থর মত , আরো অনেকের মত চেয়েছিলো আবদুল মরে যাক ? বিদিশা দেখল ছাদের দরজা আটকে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। নাহ, নেই তো। এই তো স্পষ্ট দেখল এখনই। বিদিশা বুঝল সে এখন নেই বটে, কিন্তু আবার ফিরে আসবে। বারবার ফাঁকা ছাদে দরজা আটকে দাঁড়াবে। সারাজীবনের মত তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলবে।
বিদিশা বুঝতে পেরেছিল যে তারা একসঙ্গে দুজনে বেঁচে থাকতে পারবে না। কারণ সদ্য বৃষ্টিস্নাত আকাশের তলায় চাঁদের আলোয় ছাদের ওপর জমা জলে আত্মপ্রতিকৃতি দেখার বদলে বিদিশা অন্য কাউকে দেখেছিল।তাই অন্যের বেঁচে থাকার বিপ্রতীপে বিদিশাকে ছাদের রেলিংয়ের ওপর ঝুঁকে পড়তে হয়েছিল। তারপর রেলিংয়ের খাঁজে পা গুঁজে ফুট দুয়েক উঁচুতে উঠলেই অন্ধকার সমুদ্রের গর্জন।
পরদিন চ্যানেলে চ্যানেলে টক শোয়ের বিষয় ঠিক হয়ে গেল। একটি চ্যানেল হেডলাইন করল, অভিজাত আবাসনে মৃত্যুরহস্য। হনন না আত্মহনন? সিদ্ধার্থ গুপ্ত প্রোগ্রামটা এনজয় করেছিলো। তবে সামনে অনেক কাজ। তাতানকে একটা বোর্ডিং স্কুলে পাঠাতে হবে। বছর খানেকের মধ্যে একটা বিয়ে করতে হবে। মরিশাস যাওয়া হয়নি তার। হানিমুন ওঁহি মানায়েঙ্গে।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।