এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ঝরা শিউলির গন্ধ - ৫

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৩ অক্টোবর ২০২৩ | ৪৪৪ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)


  • আজ দুর্গা নবমী তিথি। বুকের ভেতর দুখ ভাবনার উতরোল হবার দিন। কেন এমন হয়? সে কি মৃন্ময়ী দেবীর কৈলাসে প্রত্যাবর্তনের সময়কাল সমাগত বলে? নাকি উৎসবের কাল পরিসমাপ্ত হতে চলেছে, আবার সেই গতানুগতিক যাপনে ফিরে যেতে হবে ভেবে অন্তর্দাহে জর্জরিত হয় আমাদের হৃদয়? হয়তো এই দুই কারণেই মনের ভেতর কিছু হারিয়ে ফেলার অস্থিরতা তৈরি হয়। এরপরও  কিন্তু আমাদের দীর্ঘ সময় উৎসবের আবহে অবগাহনের পর্ব চলবে। একে একে সেই তালিকা পেশ করি।

    সামনেই ধনদা কল্যাণী কমলার পুজো। প্রত্যেক গৃহস্থ পরিবারেই তাঁর অধিষ্ঠান। দেবী কমলা সাংসারিক সুখ শান্তি সম্পদ ও সমৃদ্ধি প্রদায়িনী। দেবী রমার আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যেই বিপুল তোরজোড় শুরু হয়েছে ঘরের কাছের খালনায়। হাওড়া জেলার আমতা অঞ্চলের বর্ধিষ্ণু জনপদ খালনা আজ মা লক্ষ্মীর কৃপায় বাংলার মাটিতে লক্ষ্মী গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। জেগে উঠছে খালনা।

    কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মী আরাধনার পর সারা রাজ্য মেতে উঠবে দীপাবলী উৎসব ও কালীপুজোয়। বাংলার ঐতিহ্যবাহী শাক্তপীঠগুলোর পাশাপাশি দেবী কালিকার আরাধনায় মেতে উঠবে সারা বাংলা এই উৎসব কালের জের টেনে।



    সেকালের ফরাসডাঙাই বা পিছিয়ে থাকবে কেন?

    সেই কৃষ্ণচন্দ্র রাজার আমল থেকে মাতঙ্গ বাহিনী দেবী জগদ্ধাত্রীর অধিষ্ঠান হুগলি জেলার এই সুপ্রাচীন জনপদে। দেবী এখানে পূজিতা হন পাঁচ দিন ধরে – ষষ্ঠীতে কল্পারম্ভ পর্ব থেকে একেবারে দশমী পর্যন্ত। উৎসবের আলোর রোশনাইয়ে ঝকমক করে উঠবে চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, মানকুণ্ড, রিষড়ার মতো জনপদগুলো। উৎসবের আলোয় উদ্ভাসিত সাবেকি ফরাসডাঙার ওপর সারা বাংলার নজর পড়বে আর কিছু দিন পরেই।



    এরপর কার পালা তা ভাবছেন তো? তাহলে চলুন শ্রী চৈতন্যের লীলাভূমি নদিয়া জেলায়। নবদ্বীপ ও শান্তিপুর লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকেই গা ঝাড়া দিয়ে উঠলো বলে ! কোলকাতা থেকে উৎসবের আমেজ তখন পৌঁছে যাবে এই জেলার ঐ দুই বিখ্যাত বৈষ্ণব তীর্থে। শান্তিপুরের বৈষ্ণব রাসের পাশাপাশি নবদ্বীপের শাক্ত রাসোৎসবের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। নবদ্বীপের শাক্ত রাসের মূর্তি বৈচিত্রের কথা বলতে গেলে এই নিবন্ধটি হয়তো শেষ হয়ে উঠবে না। তার থেকে অনেক সহজ হবে আগামী রাসের সময় নবদ্বীপ ঘুরে আসা। তবে আরঙ্ দেখে আসতে ভুলবেন না।

    এই শারদীয়া উৎসবের অন্তিম পর্বের আনন্দ নিতে হলে আবার ফিরে যেতে হবে হুগলি জেলার প্রাচীন ওলন্দাজ অধ্যুষিত এলাকা চুঁচুড়া শহরে।এই শহরেই দেবসেনাপতি কার্তিকেয়র অধিষ্ঠান। উৎসবের আমেজে নিজেকে বছরভর চাঙা রাখতে হলে রকমারি কার্তিকের সাক্ষাৎ অবশ্যই করতে হবে। আসলে উৎসব উদযাপন তো শেষ হবার নয়। বাইরের উৎসবের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটলেও অন্যান্য শহর প্রান্তিক অঞ্চলের আলোয় আলোকিত থাকবে আমাদের শারদীয়া উৎসবের আঙিনা।

    আজ আকাশ হঠাৎই মেঘাসুরের আগমনে তার চেনা মেজাজ হারিয়ে ফেলেছে। দক্ষিণ সাগরে ঘনীভূত হয়েছে নিম্নচাপ। তার প্রভাব এসে পড়বে দক্ষিণ বাংলার জেলাগুলোতে। উৎসবের আমেজ হয়তো খানিকটা মিইয়ে যাবে। যারা পথে বেরোবেন বলে পরিকল্পনা করেছেন তাঁদের কপালে ভাঁজ পড়বে অনিবার্যভাবে। আর যারা প্যান্ডেল হপিঙ্ এর কাজ আগেই সেরে ফেলেছেন তাঁরা আজ সন্ধ্যায় হাজির থাকতে পারেন পাড়ার পুজো মন্ডপে। সেখানে আজকের সন্ধ্যায় ধুনুচি নাচের আসর পাতা হয়েছে।

    বাংলার এই একান্ত নিজস্ব নৃত্যশৈলীটি সম্পূর্ণভাবেই শারদোৎসবের অঙ্গ। একালের থিমের পুজোর দৌলতে এই লোকায়ত নৃত্যের তাল লয় ছন্দের পতন ঘটেছে নিশ্চিত ভাবেই, তবে তা অবলুপ্ত হয়ে গেছে এমনটা নিশ্চয়ই নয়। 



    প্রশ্ন হলো দেবীর বিদায় লগ্নে কেন এমন উল্লাস আয়োজন? মজার ব্যাপার হলো এই যে, দেবী দনুজদলনী দুর্গাই নাকি এই নাচের স্রষ্টা। মহিষাসুরকে যুদ্ধে আহ্বান করেছেন দেবী নিজেই। রণাঙ্গনে উত্তরণের আগে এই নাচের মাধ্যমে নিজেকে উত্তেজিত করছেন দেবী। পরিভাষায় যাকে বলে গা ঘামিয়ে নিয়ে তেতে ওঠা, মেতে ওঠা। অবশ্য আর একটা ব্যাখ্যায় বলা হয়,যদিও তা একান্ত ভাবেই লোকায়তিক, দুর্গা তো শুধু দেবী নন, তিনি আমাদের একেবারে সাধারণ ঘরের মেয়ে। সেই মেয়ে নবমী নিশি পোহালেই ফিরে যাবে সেই সুদূর কৈলাসে। এই বিদায়বেলায় তিনিও দুঃখে কাতরা। চোখের জলে তার বিদায় লগ্নকে সিক্ত না করে তাঁর মনোরঞ্জনের জন্য‌ই নবমী রাতে নৃত্যগীতের আয়োজন। মা কে খুশিতে রাখলে তিনি প্রসন্না হয়ে সন্তানদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করবেন।

    আমার সাবেক পাড়ায় পুজোর সময় ধুনুচি নাচের আসর পাতা হতো। নবমীর সন্ধ্যায় ঢাকের তালে তালে কোমর দুলিয়ে চলতো নাচের প্রতিযোগিতা।

    সন্ধে হতেই শুরু হতো মাইকে প্রতিযোগীদের নাম ঘোষণার পর্ব। কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনে চলতে হতো প্রতিযোগীদের; যেমন ধুতি পরা আবশ্যিক ছিল। প্যান্ট পরে অংশগ্রহণ করা যেত না। একজন প্রতিযোগী নাচের সময় সর্বাধিক চারটি ধুনুচি নিয়ে নাচতে পারতেন। ধুনুচি থেকে আগুনের ফুলকি ঝরে পড়াটা বিধিসম্মত বলে  বিবেচিত হতো না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নাচ শেষ করতে হতো। অতিরিক্ত সময় নিলে প্রতিযোগীকে বাতিল বলে গণ্য করা হতো। বিচারকদের সিদ্ধান্ত ছিল চূড়ান্ত।

    দিনের আলো নিভতেই শুরু হতো প্রস্তুতির পর্ব। নারকেলের ছোবড়া ঠিকঠাক ঠেসে নিয়ে ধুনুচিগুলোকে তৈরি করা হতো প্রতিযোগিতার জন্য। কাজটা খুব সহজ মোটেই ছিল না। প্রথমে হালকা ফুলকা ছোবা ভেতরে দিয়ে তারপর ছোবড়ার শক্ত পিঠের দিক গুলোকে কিছুটা বাঁকিয়ে নিয়ে ওপরের দিকে ঠাসা হতো শক্ত করে। প্রতিবছর এই ধুনুচি সাজানোর কাজ করে করে একাজে সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছিলাম। পাশাপাশি ধুনো হামানদিস্তায় পেষাই করে নিতে হতো একদম পাউডার করে। সময়ে সময়ে ধুনুচির আগুন তেজালো করতে আর সুগন্ধ ছড়াতে ঐ ধুনো পাউডার ছিটিয়ে দেওয়া হতো। প্রতিযোগীদের ব্যবহারের জন্য ছাড়াও বেশ কয়েকটি বাড়তি ধুনুচি ধরিয়ে দেওয়া হতো যাতে গোটা মন্ডপ জুড়ে একটা ঐশী বাতাবরণ তৈরি করা যায়।
    এই আরতি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসতেন আশপাশের এলাকার মানুষেরা। এদের মধ্যে কয়েকজন প্রতিযোগীর কথা এখনও ভুলতে পারি নি। এঁরা হলেন মনতোষ চক্রবর্তী, শৈলেন দাস ও তপন কুণ্ডু। এই অবসরে এঁদের কথা একটু বলি।



    মনতোষদা নবমীর দিন গোটা দশেক মন্ডপে আরতি করতেন। সাইকেল নিয়ে ঘুরে ঘুরে হাজির হতেন বিভিন্ন মন্ডপে। সব প্রতিযোগিতাতেই প্রথম অথবা দ্বিতীয় পুরস্কার একেবারে বাঁধা ছিল তাঁর। অংশ গ্রহণকারী সমস্ত প্রতিযোগীই চাইতেন ঢাকি যাতে শুরুতে জরাপের অংশটিকে একটু দীর্ঘায়িত করেন যাতে নাচের প্রাথমিক করতব গুলোকে ঠিকঠাক দেখানো যায়। বিচারকরা এই বিষয়ে সতর্ক থাকতেন যাতে কোনো প্রতিযোগীই বাড়তি সুবিধা না পায়। তবে এতো করেও মনতোষ দাকে আটকানো যেত না। প্রথম পুরস্কার তাঁর একরকম কপালে লেখা ছিল। শৈলেনদাও খুব ভালো নাচিয়ে ছিলেন। পুজোর মরশুমে কেবল ধুনুচি নাচের আসর থেকেই প্রচুর পুরস্কার জিতে নিতেন। আর তপুদা বদনাম কুড়িয়ে ছিলেন ধুনুচি ভেঙে আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে। আসলে ওর বোধহয় একটা গোপন উষ্মা ছিল পুজো কমিটির ওপর। সেই রাগ প্রকাশ করতেন নাচের আসরে ধুনুচি ভেঙে। তবে তপুদাও বেশ ভালো নাচিয়ে ছিলেন। আমাদের পাড়াতেই তাঁর কপালে পুরস্কার জুটেছে বেশ কয়েকবার। এমন প্রতিযোগিতার আসরে ঢাক বাজাতে হয়েছে এই অধমকে। সেই স্মৃতি ভোলবার নয়।

    এবারের কিস্তির লেখা শেষ করবো একটা বিশেষ ঘটনার কথা দিয়ে। একবার ধুনুচি নাচের আসরে অনেক অনেক প্রতিযোগী নাম দিয়েছেন। সেই তালিকায় মনতোষদার নাম‌ও আছে দেখে আমরা তো বেজায় খুশ। এক এক করে নাচিয়ে নেচে যাচ্ছেন, আর আমরা অপেক্ষা করছি কখন মনতোষ দা আসবেন। এক সময় তাঁর নাম ঘোষণা করা হলো – এবারের প্রতিযোগী মনতোষ চক্রবর্তী। একবার, দুবার, বেশ কয়েকবার। অথচ তার দেখা নেই। এসব ক্ষেত্রে ঐ প্রতিযোগীকে পরে সুযোগ দেওয়া হতো। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি যদি তিনি হাজির হন। শেষমেষ তিনি এলেন বটে, তবে ততক্ষণে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। এখন তো আর তাঁকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া যায়না। তাহলে উপায়? অনেক অনুরোধ উপরোধেও যখন চিঁড়ে ভিজলো না, তখন মনতোষদাই প্রস্তাব দিলেন একটা প্রর্দশনী নাচের অনুমতি তাঁকে দেওয়া হোক। সবাই এই প্রস্তাবে সায় দিতেই মনতোষদা খুশি মনে নিজেই ধুনুচি সাজাতে শুরু করলেন। এক দুই তিন করে মোট সাতটি ধুনুচি তৈরি করা হলো। ঐ সাতটি ধুনুচি নাচের সময় রাখবেন কোথায়?? মুখ চাওয়াচাওয়ি করছি আমরা।
    শুরু হলো প্রদর্শনী ধুনুচি নাচ। মাটিতে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে যখন খাড়া হয়ে দাঁড়ালেন তখনই তাঁর সাত সাতটি ধুনুচি হাতে তুলে নেওয়া হয়েছে। মুখে একটা ধুনুচি ধরে নিয়ে বাকি ছটা ধুনুচি দুই হাতের মুঠিতে ধরা। হাতের ধুনুচি পালা করে কখনো মাথায়, কখনো কাঁধে নিয়ে আশ্চর্য নাচের অভিপ্রদর্শনী।
    আসলে ঐ নাচ তো নিছক নাচ ছিল না, তা ছিল নিজেকে দেবীর চরণে নিবেদিত করার এক অনবদ্য প্রয়াস।
    মনতোষদার নাচ যখন শেষ হলো তখন শুরু হলো বিমুগ্ধ দর্শকদের করতালির পালা।

    সেই সব দিন অনেক দিন আগেই পেরিয়ে এসেছি আমরা। আজ আক্ষেপ করে লাভ নেই। এখনও হয়তো কোথাও না কোথাও ধুনুচি নাচের এই অনবদ্য শৈলীটিকে আছে নিজেদের মতো করে। আগে আরতি নাচের আসরে মহিলারা অংশগ্রহণ করতেন না। এখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁরাও ধুনুচি নাচের আসর মাতাচ্ছেন। আগামী দিনে মহিলা ঢাকির দলের মতো যদি পেশাদার মহিলা ধুনুচি নাচের দল তৈরি করা হয় তাহলে বিন্দুমাত্র অবাক হবো না। কালের তালের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়, নাহলে যে পিছিয়ে পড়তে হবে। এই যুগে কে আর পিছিয়ে পড়তে  চায়?



     *** শারদোৎসব উপলক্ষে ঝরা শিউলির গন্ধ শীর্ষক নিবন্ধগুলো লেখা শুরু করেছিলাম। আজ তার পঞ্চম কিস্তি। আগামীকাল এই পর্যায়ের শেষ কিস্তি প্রকাশিত হবে। কেমন লাগলো লেখাগুলো তা মন খুলে জানান। পূর্ববর্তী নিবন্ধগুলো পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অঞ্জনা বন্দ্যোপাধ্যায় | 2405:201:8000:b1a1:edac:4e81:2be9:***:*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ২২:২৫525084
  • ক্লান্তিহীন ভাবে লেখক লিখে চলেছেন। পুজোর দিনগুলো ঘোরাঘুরি, প্রতিমা দর্শন ,যেমন মন চায় তেমন খাওয়া দাওয়া আর গুরুর পাতায় ঝরা শিউলির গন্ধ নেওয়াতেই কাটিয়ে দিচ্ছি। বেশ ভালো লাগছে। আজকের লেখা পড়তে পড়তে আমার দেশের বাড়ির কথা মনে পড়ে গেল। লেখক বলেছেন আগামীকাল এই পর্বের ইতি টানবেন। শুরু হবে নতুন প্রতীক্ষার প্রহর।
  • সপ্তর্ষি মিত্র | 2607:fea8:6c0:1e50:56a8:d1ff:1f65:***:*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৪৪525085
  • পাড়ার ধুনুচি নাচের বৃত্তান্ত শুনে কিছু পুরনো নিউরন ফায়ার হলো, ধন্যবাদ!
  • অহীন চক্রবর্তী | 2405:201:8000:b1a1:edac:4e81:2be9:***:*** | ২৩ অক্টোবর ২০২৩ ২২:৪৮525086
  • সাহিত্য সময় সুখস্মৃতি -- সব মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে এই লেখায়। প্রবাস থেকে দেশের বাড়িতে ফিরে "ঝরা শিউলির গন্ধ" পড়ে যে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলাম তার রেশ এখনো কাটে নি। ধন্যবাদ লেখককে।
  • H. Roy | 2405:201:8000:b1a1:edac:4e81:2be9:***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:৪৪525094
  • Dhunachi naach is an excellent way to pay homage to Maa Durga. I used to take part in dhunachi naach every year. Thanks to author for reminding me my younger age days.
  • শ্রী | 2409:4060:97:29ea:b5cb:5f21:70d1:***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১০:৪১525101
  • এই ধরনের লেখা দুই সময়ের মধ্যে একটা যোগসূত্র তৈরি করছে। এটা শেষ কিস্তি ? মন ভারি হয়ে গেল।
  • পৌলমী | 2409:4060:97:29ea:f6a1:6e04:c3e4:***:*** | ২৪ অক্টোবর ২০২৩ ১৩:৩১525108
  • সহজ সরল সাবলীল বক্তব্য। এমন বিষয় সবসময় সুখপাঠ্য। শুরুতে দুঃখ ভোলানোর জন্য অন্যান্য পুজোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এতে শূন্যতা পূরণ হবে? 
  • তপন কুমার | 2409:4060:8a:c86f:b51b:72ef:c818:***:*** | ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ২১:১০525201
  • ধুনুচি নাচের অপূর্ব পরম্পরা লেখকের বর্ণনায় যথার্থভাবে চিত্রিত।
  • কুমুদিনী সান্যাল | 2405:201:8000:b1a1:54d7:e4a7:1382:***:*** | ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৪৬525288
  • ঝরা শিউলির গন্ধ ধারাবাহিক নিবন্ধগুলো সদ্য সমাপ্ত শারদীয়া দুর্গোৎসব উপলক্ষে লেখা হলেও এর মধ্যে আবহমানকালের উপলব্ধি যেন নিহিত আছে। ছয় নম্বর লেখাটা কি প্রকাশ পেয়েছে? অপেক্ষা করে থাকব।
  • sarmistha lahiri | ০১ নভেম্বর ২০২৩ ১৭:৩১525410
  • শিউলি র দিন তো শেষ প্রায়।ঝরে পরা  শিউলি মুঠো ভরে কুড়িয়ে এনে মায়ের  অঞ্জলি সমাপন হলো। ঢাকি রাও আবার সব আপন গৃহমুখী।আবার নতুন রূপে মা আসবেন।নতুন করে উৎসবে মাতবো আমরা। লেখক আবার নতুন রঙে রূপে সাজা বেন তার উপস্থাপনা।সেই প্রত‍্যাশায় উদ
    গ্ৰীব হয়ে থাকবো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন