এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ছোটো গল্প : সেকেন্ড বার্থ 

    Mousumi GhoshDas লেখকের গ্রাহক হোন
    ০১ মে ২০২২ | ১০৭৪ বার পঠিত
  • সেকেন্ড বার্থ
    মৌসুমী ঘোষ দাস 

     (ছোটো গল্প) 

    অন্ধকার ব্যালকনি থেকেই যূথিকা বুঝতে পারলেন অনির্বাণ আর রিয়া ফিরেছে অফিস থেকে। সারাদিনে এই সময়টাতেই যেন প্রাণ ফিরে আসে বাড়িটায়। যূথিকাও একটু শ্বাস নিয়ে বাঁচেন। তোড়া অবশ্য বিকেলেই ফেরে স্কুল থেকে। খুব শান্ত, কম কথা বলে। চেঞ্জ করে খাবার খেয়ে একটু ল্যাপটপ নাড়াচাড়া করেই স্টাডি রুমে ঢুকে যায়।   
    ধীর পায়ে ডাইনিংএ এলেন যূথিকা। রিয়া তখন বাথরুমে ফ্রেস হতে ঢুকেছে। অনির্বাণ তোড়ার স্টাডি রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে কি যেন কথা বলছে। যূথিকা ধীর পায়ে সোফায় এসে বসলেন। খানিকবাদে অনি এসে বসলো মায়ের পাশে। 
    - “বলো মা, সময় মতো খাওয়াদাওয়া করেছো তো? দুপুরে একটু ঘুমিয়েছিলে, যেমন বলেছিলাম? আর ইনসুলিনটা - ?”  
    - “ওরে হ্যাঁ হ্যাঁ, সব সময়মতো করেছি বাবা। তুই অত ব্যস্ত হোস না। এখানে আর তো কোনো কাজও নেই আমার। বসে বসে খাওয়া, ঘু্ম,‌ পায়চারি, গল্পের বই পড়া, টিভি দেখা - এই তো”।   
    - “মা কফি করছি, একটু খাও আমাদের সঙ্গে” বাথরুম থেকে বেরিয়ে কিচেনে ঢুকতে ঢুকতে বলল রিয়া।
    - “না রিয়া, তোরা খা। কফিটা নিয়ে কাছে এসে একটু বস দেখি মা, কথা আছে তোদের সঙ্গে”। যূথিকা বললেন।
    - “কথা? কি মা”? চিন্তিত অনি।  
    - “এবারে আমার দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দে বাবা। অনেকদিন তো হল”।  
    - “দেশে ফিরবে মানে? ওখানে গিয়ে একা কি করবে তুমি? বাবা আর নেই। সারাদিন ফ্ল্যাটে একা! বদ লোকেরা এসবের সু্যোগ খোঁজে তা জানো? কাগজে দেখো না একা ফ্ল্যাট-বাড়িতে বয়স্ক মানুষ খুন হয়ে যাচ্ছে একের পর এক! পুলিশও কিছু করতে পারছে না। আমি তোমাকে ওখানে একা থাকতে দেবো না কিছুতেই” অনি বলল।     
    - “এখানে কি কি অসুবিধে হচ্ছে তোমার বলো না? দেখি যদি ওভারকাম করতে পারি” কফি মগের ট্রেটা নামিয়ে রিয়াও বলে উঠলো।  
    - “অসুবিধের কথা হচ্ছে না রিয়া। তোরা আমার কোনো অযত্ন অবহেলা করিস না। এমন ছেলে-বৌমা পাওয়ার সৌভাগ্য কজনের হয় রে?” 
    - “তবে?” 
    - “জীবনের তিনকাল গিয়ে এককালে ঠেকেছে। সারাজীবন সংসারটা করেছি মন দিয়ে। বাকি জীবনটা আমি এবার নিজের মতো করে কাটাতে চাই। তোরা অমত করিস না!” বললেন যূথিকা। 
    - “সে কাটাও না নিজের মতো করে! কে বারণ করেছে? আমরা তো কেউ সারাদিন বাড়িতে থাকিই না। তুমি ওখানে থাকলে আমরা সারাক্ষণ তোমাকে নিয়ে টেনশন করবো। তাছাড়া তোমার বয়স হয়েছে। এই বয়সে শরীর খারাপ বলে কয়ে আসে না। তখন তোমাকে কে দেখবে বলো তো? আমাদের পক্ষেও এখুনি এখানকার পাট চুকিয়ে দেশে ফেরা সম্ভব নয়”। বলল অনি। 

    বিস্ময়ে হতবাক যূথিকা, - “ওমা! তোরা এখানকার পাট চুকিয়ে দেশে ফিরতে যাবি কেন? এইজন্যই কি তোরা কষ্ট করে এতো এতো হায়ার এডুকেশন নিয়েছিস? চাকরি, পদোন্নতি, সুযোগ সুবিধা ছেড়ে দেশে ফিরে যা- এ আমি কিছুতেই মেনে নেবো না, এই বলে রাখলাম। খুব কষ্ট পাবো তাহলে”।            
    - “তাহলে? আমরা কানাডায় থাকবো, আর তুমি কলকাতা ফিরে একা ওই ফ্ল্যাটে থাকবে? দিন দিন বয়স বাড়বে, নানারকম অসুখ বিসুখ- আমরা তো ঝট করে ছুটে যেতেও পারবো না- সেসব ভেবে বলছ তো মা”? অনি বলল।     
    ইতস্তত করে যুথিকা বললেন, - “আমি একটা ভালো বৃদ্ধাশ্রমের খোঁজ পেয়েছি কলকাতা থেকে পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার দূরে। চারপাশ খোলামেলা, আলো বাতাস প্রচুর। মাসে দুবার ডাক্তার দেখে যায়। মাস গেলে টাকাটা একটু বেশি লাগে, তবে নিজের মতো করে থাকা যায় সেখানে”। 
    ঘরের মধ্যে একটা বোমা পড়লো যেন। অনি আর রিয়া বিস্মিত হতবাক হয়ে মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো। অনেকক্ষণ থেমে অনি বলল - “এত কষ্ট করে আমাকে এ কেমন মানুষ করলে তুমি, যে শেষ বয়সে তোমাকে বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে কাটাতে হবে? আর লোকে শুনেই বা কি বলবে মা? না না ওসব হবে না। ও আমি পারবো না”।     
    দৃঢ় ভাবে যূথিকা বললেন -“লোকের কথা আমি আর পরোয়া করি না অনি। কেউ কিছু বলতে এলে আমি বলবো, ‘বৃদ্ধাশ্রমে স্বেচ্ছায় এসেছি’। লোকের কথায় গুরুত্ব দিতে গেলে বাকি জীবনটা বোবার মতো দমবন্ধ হয়ে বাঁচতে হবে। লোক তো বলেই খালাস। বিপদে আপদে সেই লোকেদেরই কাছে পাবো না। দেখ অনি, এতদিন সংসার সামলেছি, সন্তান মানুষ করেছি, লৌকিকতা, অতিথি আপ্যায়ন সবই সুষ্ঠুভাবে করেছি। নিজের জন্য ভাবিনি। এবার আমি এসব থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পেতে চাই। যে কটা দিন আছি, নিজের মতো করে, শুধু নিজের জন্য বাঁচতে চাই। তোরা আর আপত্তি করিস না বাবা।”  

    *******************

    দুই বছর পরের এক সকাল 

    মর্নিংওয়াক সেরে চা-বিস্কুট খেয়ে নিজের রুমে এসে ল্যাপটপ অন করলেন যূথিকা। খানিক বাদেই   স্ক্রিনের ওপাশে অনি, রিয়া আর তোড়া। ওখানে এখন রাত। রোজ এইসময়টিতেই অন হয় ওরা।  
    -“গুড মর্নি ঠামি!” 
    তোড়ার উচ্ছসিত কন্ঠ শুনে স্নেহমিশ্রিত হাসি ফুটে উঠল যূথিকার ঠোঁটে, -“গুড ইভিনিং এভরিওয়ান। এবারে শোন, কাল দারুণ একটা ব্যাপার হয়েছে। কাল দুপুরে একটা মস্ত গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে আমাদের আশ্রমের সামনে। তিনটে মেয়ে নেমে এসে সন্ধ্যামাসির খোঁজ করছে বুঝলি- ”।   
    -“সন্ধ্যামাসি মানে, যাঁকে তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে একমাত্র ছেলে আশ্রমে রেখে যাওয়ার পর অনেকদিন পর্যন্ত শুধু কান্নাকাটি করতেন?”   
    -“হ্যাঁ রে, সেইই। বলেছিলাম না, ভালো গান গায়। সারাদিন তো গুনগুন করতে থাকে। সেদিন আশ্রমের নজরুল জয়ন্তীতে ওকে জোর করে গান গাইয়েছি। কি দরদ গলায়! হেনা সেই গান ভিডিও করে ফেসবুকে দিয়ে দিয়েছে। সে গান প্রচুর শেয়ার হয়েছে! ভাবতে পারিস, যে মানুষ সারাজীবন কেবল সংসারের সবাইকে ভালো রাখতে গিয়ে নিজের গান ভুলেছিল, সে এখানে এসে গান গাইছে। সেই গান আবার ভাইরাল হয়েছে! সন্ধ্যার নাতনি ফেসবুকে ঠামির গান শুনে অবাক! ঠামি যে এত ভালো গায়, সে জানেই না! দুই বান্ধবীকে নিয়ে খুঁজে খুঁজে আশ্রমে হাজির! ঠামিকে জড়িয়ে ধরে সেকি আদর! সবার চোখে জল। কি তেজ মেয়ের! বলে গেল, চাকরি পেলেই ঠামিকে নিয়ে রাখবে ওর নিজের কাছে”।      
    -“তা ওর ঠামি কি বলল?”  
    -“অনেক আশীর্বাদ টাশীর্বাদ করলো, আদর করলো। তারপর বলল, ইচ্ছে হলে মাঝে মাঝে আসিস। দেখে যাস। কিন্তু আমি এই আশ্রম ছেড়ে আর কোথাও যাবো না। খুব ভালো আছি এখানে।”   
    -“সত্যি তোমরা প্রায়-সমবয়সীর দল ভালোই আছো। সেবার তো আমরা নিজে গিয়েই দেখে এলাম। এতো ভালো ব্যবস্থা, ভাবাই যায় না! বৃদ্ধাশ্রম সম্পর্কে কনসেপ্টটাই পালটে গেছে আমার।”- অনি বলল।   
    -“আরেকটা কথা তো বলাই হয় নি। নন্দীবাবু আর সুপর্না?- ওরা বিয়ে করছে। সে নিয়ে আশ্রমের আমরা এখন খুব ব্যস্ত বুঝলি”!  
    -“সুপর্ণা – মানে যিনি আনম্যারেড ছিলেন? জীবনের প্রান্তে এসে আত্মীয়স্বজনের মুখাপেক্ষী হয়ে জীবন না কাটিয়ে সোজা বৃদ্ধাশ্রমে চলে এসেছেন”? 
    -“হ্যাঁ রে”। 
    -“খুব ভালো সিদ্ধান্ত! যে কদিন বাঁচেন, থাক না দুজন একসঙ্গে”! রিয়া বলল।  
    -“এবার তোমার কথা বলো মা” অনি ব্যাকুল।  
    -“আমি বেশ আছি। সকালে হাঁটাহাঁটি। তারপর হইহই, আড্ডা। দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর ওদিকের ক্লাবে গিয়ে রেললাইনের পাশের বস্তির বাচ্চাগুলোকে একটু পড়াই, বিকেলে চা খেতে খেতে আবার আড্ডা, হাহাহিহি। ভাবনা-চিন্তাহীন, দায়দায়িত্বহীন মুক্ত জীবন! যেন দ্বিতীয় জন্ম যাপন করছি! হাঁটু ব্যাথা গায়েব। ডাক্তারের নির্দেশে এখন ইনসুলিনটাও বন্ধ। আমার জন্য একদম ভাবিস না। তোরা খুব ভালো থাকিস।”  
    -“হ্যাঁ মা, আমরা খুব ভালো আছি। আমাদের নিয়ে একদম ভেবো না। তোমার দ্বিতীয় জন্ম উপভোগ করো। বাইইই।” 
    যুথিকা হাসলেন, “বাই”।

    .........    
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ০১ মে ২০২২ ২১:১৮507080
  • বাহ
  • kk | 2601:448:c400:9fe0:f80c:6de9:6c35:***:*** | ০১ মে ২০২২ ২১:৪১507083
  •  ভালো লাগলো এই লেখা।
  • reeta bandyopadhyay | ০৩ মে ২০২২ ১২:০৬507152
  • সুন্দর ঝরঝরে লেখা ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন