এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শান্তনীড় রহস্য - ৮

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৭ এপ্রিল ২০২২ | ৯৭৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • উমা আর নীলেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কলতানের মনে হল ওরা কোন কারণে খুব আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ওদের চোখমুখ দেখে তাই মনে হচ্ছে। সেটা অবশ্য খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। আবাসনের চৌহদ্দির মধ্যে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণতঃ এইসব প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে টানাহ্যাচড়া চলে। ফলে কোন কিছু ঘটলে ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে এরা। কলতানের মনে হল ওরা কমপ্লেক্সের মধ্যেই কোথাও থাকে। কোন নির্মিয়মান আবাসনে যা হয় আর কি। আবার কলতান এও ভাবল, ঠিকাদার মারা যাওয়ায় এদের কাজ পাওয়া এবং রুজি রোজগার একেবারে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। সে ব্যাপারেও এরা দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে পারে। হয়ত সে কারণেই .....

    কলতান ওই ডোবাটার দিকে, মানে যেখানে বডিটা রয়েছে সেদিকে তাকিয়ে রইল। পাশে একটা বটগাছ রয়েছে। ওখানে পুলিশের জটলা। ওরা ঠিক কি করছে ওখানে, এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে না। ওখানে সমীরণ ঘোষ আছে কিনা জানার খুব দরকার। ভাবল সমীরণবাবুকে একটা মিসকল দেয়। দুর্ভাগ্যের ব্যাপার ..... মোবাইল খুলে দেখল নম্বরটা নেই। কোনভাবে মুছে গেছে। কিংবা কলতানের আর একটা হ্যান্ডসেটে হয়ত আছে।

    কলতান ভাবল যতক্ষণ না থানার স্টাফরা ওখান থেকে সরে আসছে ততক্ষণ অ্যপার্টমেন্টের চারদিকটা একটু ঘুরে দেখা যাক। তারপর ভাবল, বডি হয়ত একটু পরেই পোস্ট মর্টেমে যাবে। বডিটা ওই অবস্থায় একবার দেখে নেওয়ার দরকার ছিল। নাহলে তদন্তের ভিতরে ঢোকা কঠিন হয়ে যাবে।

    সে যাই হোক, কলতান এদিক ওদিক দেখতে দেখতে বিল্ডিং -এর গেটের দিকে গেল। পাঁচিল বরাবর পুব দিকে হাঁটতে লাগল। পাঁচিল ঘেঁসে একটা অস্থায়ী অ্যসবেসটস ছাওয়া ইঁটের গাঁথুনির একটা খুপরি মতো রয়েছে। এত ছোট ঘর গুদাম হবার উপযুক্ত নয়। একটা পলকা দরজাও আছে। দরজাটা খানিকটা ফাঁক হয়ে রয়েছে। কলতান ভিতরে দৃষ্টি ফেলল না। মনে হল এই ঘরে হয়ত দু একজন থাকে। থাকতেই পারে। কিছু মিস্ত্রি মজুর এখনও বাস করছে আবাসনের মধ্যে। কলতানের চোখ আটকে গেল। দেখল ঘরটার বাইরে একপাশের দেয়াল ঘেঁষে দুটো চকচকে নতুন চার ইঞ্চি মাপের পেরেক পড়ে আছে। গোয়েন্দাসুলভ স্বাভাবিক ইন্দ্রিয়জ প্রতিবর্তী ক্রিয়াবশত: কলতান পেরেক দুটো কুড়িয়ে নিল রুমালে করে। পকেটে রাখল একটা কাগজে মুড়ে।

    হাঁটতে হাঁটতে আরও কিছুটা গেল কলতান। তেমন কিছু চোখে পড়ল না। ওদিকের বাউন্ডারি ওয়াল পর্যন্ত পৌঁছে বাঁদিকে ঘুরল। ঘুরে খানিকটা এগিয়ে বাড়ির পিছন দিকে গিয়ে পড়ল। দেখল অনেক গাছগাছালি দাঁড়িয়ে আছে জায়গাটায়। কেউ নেই এখানে। ওপর দিকে তাকিয়ে আন্দাজ করল ওই ছোট বারান্দাটা সোলাঙ্কিদের ফ্ল্যাটের পিছন দিকের অংশ।

    মিনিট বারো কাটল। কলতান আবার সামনের দিকে আসল। দেখল সেই জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলা এবং বাচ্চা ছেলেটা ওই পাঁচিল লাগোয়া খুপরি ঘরটার দিকে যাচ্ছে। ছেলেটা মাকে আঁকড়ে ধরেই আছে। সেলাই আলগা হয়ে গিয়ে ছেলেটার জামা থেকে একটা বোতাম ঝুলছে।

    ঠিক এই সময়ে কলতানের মনোবাঞ্ছা পুরণ হল। হঠাৎ সমীরণ ঘোষকে দেখা গেল। তিনি তার থানার এক সহকর্মীর সঙ্গে গম্ভীর মুখে কি সব আলোচনা করতে করতে এদিকেই আসছেন।
    কলতান ডাকল ----- ' মিস্টার ঘোষ ..... সমীরণ বাবু ...... '

    স্থানীয় থানার ওসি সমীরণ ঘোষ মাথা নীচু করে কিছু আলোচনা করতে করতে আসছিলেন। চমকে উঠে মুখ তুলে দেখলেন সামনে একটু দূরে কলতান দাঁড়িয়ে আছে। তিনি অবাক হয়ে খানিকক্ষণ তাকিয়ে রইলেন।

    তারপর প্রায় হারানিধি খুঁজে পাওয়ার ভঙ্গীতে উচ্ছ্বসিতভাবে প্রায় ছুটে এলেন কলতানের কাছে।

    ------ ' আরে কি সৌভাগ্য .... এ তো মেঘ না চাইতেই জল ...... বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা ...... আমি আপনাকেই স্মরণ করছিলাম ..... টেলিপ্যাথি বলতে পারেন...... হাঃ হাঃ হাঃ ..... '
    সমীরণ ঘোষের মতো সদাশয় পুলিশ অফিসার বিরলপ্রায় বলা যায়।
    ----- ' আমার পরম সৌভাগ্য বলতে হবে .... আপনারা আমায় স্মরণ করছেন ..... ' কলতান বিনীত স্বরে বলে।
    ----- ' হ্যা: হ্যা: হ্যা: হ্যা: ..... কি যে বলেন .... '
    বলে সঙ্গের লোকটিকে বললেন, ' নিরঞ্জন .... তুমি তা'লে ফোনে কন্ট্যাক্টগুলো করতে থাক .... আমি এখানে আছি .... '
    সে ভদ্রলোক সরে গেলেন অন্য দিকে মোবাইলে
    ডায়াল করতে করতে।
    সমীরণবাবু কলতানের দিকে ফিরলেন।
    ------ ' তা .... আপনি হঠাৎ এখানে .... কি ব্যাপার ? '
    ----- ' আমার একটা কেস আছে এখানে .... তাই .... '
    ----- ' তাই ? এখানে কেস .... এই কমপ্লেক্সে ? '
    ----- ' হ্যা .... খুব ট্রাইফল্ .….. পেটি কেস। সিক্রেসি মেনটেন করার অবলিগেশান আছে। ডিসক্লোজ করতে পারব না। '
    ------ ' ঠিক আছে .... ঠিক আছে .... নো প্রবলেম। ব্যাপার হচ্ছে, এখানে তো ...... '
    কলতান সমীরণের বাক্যপুরণ করে ----
    ----- ' হ্যা ..... শুনেছি। মার্ডার কেস। '
    ----- ' তা .... কি ভাবছেন ?'
    ----- ' আপনি তো ভালই জানেন ..... কিন্তু কোন
    অফিসিয়াল আসাইনমেন্ট ছাড়া ..... '
    ----- ' ও ব্যাপারে আপনি বদার করবেন না। আপনি আপনার মতো তদন্ত করবেন .... আমার ফুল সাপোর্ট থাকবে। কোন অসুবিধে হবে না। ডিপ্লয়মেন্ট প্রোটোকল....ওসব আমি সামলে নেব। গো অ্যহেড ....। '
    কলতান মনের খুশি চেপে রেখে বলল, ' বডিটা দেখতে হবে। '
    ----- ' হ্যা .... সে তো নিশ্চই .... চলুন।'

    ডোবাটা থেকে প্রায় কুড়ি ফুট দূরে, প্রায় বটগাছটার নীচে ঈশানলালের মৃতদেহ উপুড় হয়ে পড়ে আছে। পুলিশ এখনও বডিতে হাত দেয়নি। তার মানে, কাল রাত থেকে মৃতদেহ এই অবস্থাতেই আছে। মুখ এবং মাথা একপাশে কাত হয়ে আছে। দেহের উচ্চতা পাঁচ এগারোর মতো হবে। কলতান আন্দাজ করল শরীরের ওজন বাহাত্তর কেজির কম হবে না।

    ওপর থেকে খালি চোখে দেখে মাথায় ,গলায় বা ঘাড়ে কোন আঘাতের চিহ্ন লক্ষ করা যাচ্ছে না।

    জামা পরা রয়েছে বলে পিঠ দেখা যাচ্ছে না। পায়ে বেল্ট দেওয়া স্যান্ডাল এখনও পরা রয়েছে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত সারা শরীরে চোখ বোলাতে বোলাতে কলতানের দৃষ্টি এসে থামল পায়ের তলায়। উপুড় হয়ে পড়ে থাকায় দুটো জুতো পরা পায়ের তলাই চোখের সামনে।

    কলতানের চোখ আটকে গেল বাঁ পায়ের স্যান্ডালের তলায়। ওখানে একটা ছোট্ট ফুটো। সেই ফুটোর মুখে একটা কিছু যেন চকচক করছে। বডিতে হাত দেওয়া যাবে না এখন। পোস্ট মর্টেম হবে। জুতো খুলে দেখা যাবে না।

    সমীরণ ঘোষ ওখানেই ঘোরাঘুরি করছিলেন।

    তার সাগরেদ নিরঞ্জন হন্তদন্ত হয়ে এসে খবর দিল, ' ওরা এসে গেছে স্যার গাড়ি নিয়ে ..... '
    পোস্ট মর্টেমের জন্য ঈশানলালের বডি তুলে নিয়ে সরকারি লোকেরা চলে গেল।
    কলতান বলল, ' সমীরণবাবু .... পি এম রিপোর্ট আসতে অন্তত এক সপ্তাহ লাগবে। আমি ততদিনে সূত্র অনুসন্ধান করতে থাকি। প্রয়োজন হলে আপনার শরণাপন্ন হব .... হাঃ হাঃ হাঃ ..... '
    সমীরণবাবু কলতানকে আলিঙ্গন করে বললেন, ' ইটস মাই প্লেজার ব্রাদার .... '

    কলতান বিল্ডিং-এর দিকে পা বাড়াল। ডোবাটার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। ঘাসের ওপর পড়ে আছে একটা হলদে রঙের কাগজের টুকরো। কলতান সবার অলক্ষে কাগজটা তুলে নিল। একটা ক্যাশমেমো। দোকানের নাম পদার্পণ। বোধহয় জুতোর দোকানের বিল। টাকার অংক আটশো পঁচাত্তর টাকা। তারিখ ঠিক তিনদিন আগের ---- মানে তেইশ তারিখ।

    কলতানের মাথায় নানা চিন্তা ধীরে ধীরে কুন্ডলি পাকাচ্ছে। খুনটা যদি ওই স্পটেই হয়ে থাকে আলাদা ব্যাপার কিন্তু যদি অন্য জায়গায় খুন করে একটা বাহাত্তর কেজির বডি বয়ে এনে ডোবার ধারে ফেলে যাওয়া হয় তাহলে খুনি নিশ্চিতভাবে প্রচুর শক্তি ধরে। এখন আগে বার করার দরকার খুনের সঠিক স্পটটা কোথায় এবং খুনের মোডাস অপারেন্ডি মানে খুনটা করা হয়েছে কিভাবে। তারপর খুনি খুঁজে বার করার কাজ।

    সে যাই হোক, কলতান ভাবল সে আসলে যে কাজের জন্য এখানে এসেছে সেটায় মনোযোগী হওয়ার দরকার। কলতান সিঁড়ি বেয়ে উঠতে লাগল তিনতলার দিকে চন্দনগন্ধে ভরভূর ঘরটার দিকে যাবার জন্য।

    ( ক্রমশঃ )

    ************************************************************************************
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ৩০ এপ্রিল ২০২২ ০৪:০৬507016
  • হুম্ম...ঠিকাদার চরিত্রের প্রয়োজনীয়তা এইবার বোঝা গেল।  লাশ পড়ে গেছে... রহস্য ক্রমশঃ ঘনীভূত ... cool
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন