এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শান্তনীড় রহস্য - ৫ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৪ এপ্রিল ২০২২ | ৮৪৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৫ (২ জন)
  • সুনন্দ মলের ভিতর ঘুরে বেড়াচ্ছিল একা। সে আগাগোড়াই একা। তার মতো লোকের কোন সঙ্গীসাথী থাকা মুশ্কিল । ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়েছিল। তারপরে আর টানতে পারেনি । মা এবং বাবা কেউই আর নেই। তারা অনেক চেষ্টা করেছিলেন ছেলেকে ঠিকমতো মানুষ করার । হল না । আত্মীয়স্বজন কে কোথায় আছে সুনন্দ জানে না । জানবার কোন আগ্রহও নেই । বত্রিশ বছর বয়স হয়ে গেল । একা একাই থাকে।  রোজগারের নানারকম অস্থায়ী ব্যবস্থা করে  নিতে অভ্যস্ত অনেক কম বয়স থেকেই। করতেই হত । নাহলে খাওয়াবে কে ? শরীরে শক্তি আর মনে সাহস দুটোই তার আছে প্রচুর । বর্তমানে তার পেশাটা কি ------ সেটা পরে , মানে ঠিক  সময়ে জানতে পারব ।
    মলে একটা ঘড়ির দোকানে ঢুকে ঘড়ি পছন্দ 
    করতে লাগল । প্রায় পঁচিশটা দামী ঘড়ি বার করালো এবং প্রত্যেকটার দাম জানতে লাগল । কিন্তু প্রায় চল্লিশ মিনিট ধরে ঘড়িগুলো নাড়াচাড়া করার পরেও একটাও তার পছন্দ হল না । পছন্দ হবার প্রশ্নই ওঠে না কারণ কোন দামী ঘড়ি কেনার টাকাই নেই তার পকেটে । আর, এই মুহুর্তে ঘড়ি কেনার কোন দরকারও
    নেই তার।  সে এবার বলল, ' ওই ওপরের দিকে কোণের ঘড়িটা একটু নামান তো ......  '
    দোকানকর্মী এবার মেজাজ হারাল । হারাবারই
    কথা । একটা মানুষ কতক্ষণ ধৈর্য ধরতে পারে ।
    সে গরম খেয়ে ঘড়িগুলো শোকেসে ঢোকাতে ঢোকাতে বলল , ' থাক থাক .... অনেক হয়েছে..... এবার ছাড়ুন তো .... যান ওদিকে যান ..... কাউন্টার খালি করুন ..... '
    ব্যস আর যায় কোথায় । সুনন্দ 'হাত থাকতে মুখে কেন ' নীতিতে বিশ্বাসী । সে কাউন্টারের ওপর আচমকা হুমড়ি খেয়ে পড়ে লোকটার কলার চেপে ধরল বজ্রমুষ্টিতে । সুনন্দ প্রচন্ড শক্তি ধরে দেহে । সে দুহাতে খামচে ধরে ওকে প্রায় তুলে নিয়ে আসছিল এদিকে। সে ভদ্রলোক আকস্মিক আক্রমণে হতচকিত হয়ে গেলেও খুব তাড়াতাড়ি সামলে নিল । সে হ্যাচকা মেরে পিছিয়ে গেল নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার জন্য । জামার একটা বোতাম ছিঁড়ে সুনন্দর হাতে থেকে গেল । এরপর দোকানের ভিতরের ও বাইরের অনেক লোক সুনন্দকে ঘিরে ধরল । হৈ হল্লা চিৎকার চেঁচামেচি চলতে লাগল । কেউ কেউ বলল সিকিউরিটিকে ডাক। কে একজন বলল পুলিশে হ্যান্ড ওভার করুন ।
    গুন্ডামি করার জায়গা পায়নি।  পাক্কা ক্রিমিনাল 
    সব ...... ' এইরকম নানারকম উত্তপ্ত
     সংলাপের ফুলকি ধাক্কধাক্কি খেতে লাগল ।  আক্রান্ত দোকানদার অপমানের জ্বালা ভুলতে পারছিল না। গলা ফাটিয়ে চেঁচাতে চেঁচাতে সুনন্দর দিকে তেড়েমেড়ে আসছিল থেকে থেকে। দোকানের দুজন লোক তাকে ধরে রাখতে হিমসিম খেতে লাগল । কিন্তু এত ঝামেলার মধ্যে, কি জানি কি ভেবে কেউই সুনন্দর গায়ে হাত দিতে সাহস করল না। তাকে ঘিরে এই  গন্ডগোলের মধ্যেও সুনন্দর নির্বিকার ভাবলেশহীন চোখ দেখে   
    কেমন গা সিরসির করে উঠল ওদের । থমকে গেল লোকজন । একজনকে বলতে শোনা গেল, ' মেন্টালি ডিসব্যালান্সড বোধহয় .... '
    সে যাই হোক, শেষ পর্যন্ত দোকানের মালিক এগিয়ে এল ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলতে । দোকানের মধ্যে এসব ঝঞ্ঝাটের কান্ড মোটেই ভাল লাগছিল না তার । একেই বিক্রিবাটা নেই তেমন, তার ওপর এসব উটকো হ্যাপা ......  
    ভিড় সরিয়ে ' দেখি ... দেখি একটু সরুন তো ...'  বলতে বলতে সুনন্দর সামনে এসে পড়লেন । 
    ' যান দাদা .... যান তো ..... এখানে ঝামেলা বাড়াবেন না ..... একটু ভদ্রতা মেনটেন করুন ।এগুলো যেখানে সেখানে করতে যাবেন না ..... বিপদে পড়ে যাবেন ..... যান .. যান .... ' বলে 
    তিনি আলতোভাবে সুনন্দর পিঠে হাত দিয়ে মৃদু ঠেলা দিলেন । সুনন্দ মাথা ঘুরিয়ে ঠান্ডা এবং মর্মভেদী  দৃষ্টিতে তাকাল দোকান মালিক সিদ্ধেশ্বরবাবুর  চোখের দিকে। ভদ্রলোকের শরীরের ভিতর একটা কাঁপন বয়ে গেল। তিনি পিঠ থেকে হাত নামিয়ে নিলেন।  
    সুনন্দ সম্পূর্ণ নির্বিকারভাবে দোকান থেকে বেরিয়ে, মল থেকে বেরিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে গেল। 
    একটা বাসে উঠে সেন্ট্রাল এভিনিউ বৌবাজারের মোড়ে এসে নামল । বোব্যারাক লাগোয়া একটা গলিতে ঢুকে বহু পুরনো একটা দোতলা বাড়ির সামনে এসে দাঁড়াল।  ডাক দিল 
    ----- ' বিকাশদা ..... বিকাশদা ...... '
    ভিতর থেকে আওয়াজ এল ---- ' দরজা খোলা আছে ..... ভিতরে চলে এস। '
    পুরনো আমলের সবুজ রঙের বিশাল কাঠের দরজা ঠেলে সুনন্দ ভিতরে ঢুকল । বিকাশ বক্সী একটা কাউচে হেলান দিয়ে বসে আছেন পায়ের ওপর পা তুলে । বেলা দুটো বাজে । একটু আগে তার দুপুরের খাওয়া সারা হয়েছে । রেডিওতে মহিলা কন্ঠে একটা রবীন্দ্রসঙ্গীত হচ্ছে। মন দিয়ে গানটা শুনছিলেন বিকাশবাবু । সুনন্দকে ঢুকতে দেখে রেডিওর আওয়াজ কমিয়ে দিলেন। 
    ------ ' হ্যা .... এই যে এস ..... তোমার কথাই ভাবছিলাম । '
    ------ ' কেন আমার কথা ভাবছিলেন কেন ? ' সুনন্দর প্রশ্ন যথারীতি চাঁচাছোলা গোত্রের । সে অনুমতির অপেক্ষা না করেই ধপ করে বসে পড়ল  একটা চেয়ারে ।
    ------ ' না ..... মানে .... তুমি কখন কি করে বস তার তো নিশ্চয়তা নেই । নিজেকে একটু কন্ট্রোলে রাখার চেষ্টা কর । চেষ্টায় কি না হয় । যাক সে কথা ..... ওখানে তোমার কাজটা ঠিকমতো চলছে তো ..... একটা বড় দায়িত্ব কিন্তু মনে রেখ ..... কিন্তু একটা কথা .... কাজের নামে কোন ছেলেমানুষী করতে যেও না। পাওয়ার মিসইউজ করো না কখনও । '
    ----- ' না স্যার ..... আপনি যেরকম শিখিয়ে দিয়েছেন তেমনি করছি ।'
    কথাটা ঠিক পরিষ্কার হল না বিকাশবাবুর কাছে।  তিনি ঠিক কি শিখিয়েছিলেন ওকে সেটাও ঠিক খেয়াল করতে পারলেন না । তিনি উঠে গিয়ে রেডিওটা বন্ধ করে দিলেন । তিনি জানেন তার পরিধি যতই বিস্তৃত হোক, তিনি এখন অবসরপ্রাপ্ত এবং তার সংগঠন পুরোপুরি বেসরকারি । তার শত্রু কিছু কম নেই। সৎকর্মের পথে অনেক কাঁটা বিছানো থাকে। 
    একটু আগে ঘড়ির দোকানের ঘটনাটা বেমালুম ভুলে গেছে সুনন্দ । মনে থাকলে সে যে আগাগোড়া ঘটনাটা বর্ণনা করত সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই ।  
    প্রাক্তন পুলিশকর্তা বিকাশ বক্সী কৌতূহলবশত জিজ্ঞাসা করলেন , ' আমি তোমাকে ঠিক কি শিখিয়েছিলাম বল তো .... '
    সুনন্দ সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিল , ' ওই যে 
     আপনি বলেছিলেন সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে ..... সবার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে .... সব লোকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ... আমি তাই করছি।  তাছাড়া আমি একটা বিজনেসেও যোগ দিয়েছি। 
    ------ ' বেশ বেশ ..... ভেরি গুড । ' বললেন বিকাশবাবু ।  তিনি সুনুর বিজনেস টিজনেসের ব্যাপারে কিছু জানার আগ্রহ প্রকাশ করলেন না। তিনি জানেন ওসব 'ফালতু' ব্যাপার ।

    বছর দুই আগে বিকাশবাবুর এক পুলিশ বন্ধু প্রভাসরঞ্জন রায় এই মানসিকভাবে  অসংগঠিত , প্রায় অনাথ এবং প্রবল বলশালী সুনন্দ বা সুনুকে তার কাছে নিয়ে এসেছিল ।একটা ছোটখাটো মারামারির কেসে ধরা পড়ার পর পুলিশ সুনুকে থানায় আনে। সেখানে তখন  প্রভাসরঞ্জনবাবু থানা ভিজিট করতে  এসেছিলেন । সুঠাম চেহারার সুনন্দকে দেখে এবং তার কথাবার্তা এবং অতি সরল , যাকে বলে ক্যানডিড , আচরণ দেখে তিনি সুনন্দকে ওই মামলা থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করেন। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে । প্রভাসরঞ্জন এখন আর বেঁচে নেই ।
    বিকাশবাবু বললেন, ' এখন কোথায় যাবে ? '
    সুধু অম্লানবদনে বলল , ' এই ... প্রিয়াঙ্কার ঘরে যাব একটু .... রাত্রে ফ্ল্যাটে ফিরব ।'
    বিকাশবাবু  কিছু না বলে চুপ করে রইলেন। একটু পরে বললেন, ' ওখানে যাওয়ার অভ্যেস এখনও ছাড়তে পারলে না । নিজেকে এবার একটু বদলাবার চেষ্টা কর ।'
    সুনু এবার বেশ বিজ্ঞের মতো গুছিয়ে বলল , ' কি করব বলুন ..... ও ছাড়া আমার আর কেই বা আছে , আর আমি ছাড়া ওরই বা কে আছে ? ' 
    বিকাশ বাবু চমকে উঠে সুনন্দর মুখের দিকে তাকালেন । এর কি উত্তর দেওয়া যায় ভেবে না পেয়ে চুপ করে রইলেন। বোধহয় একটা যুতসই উত্তর খুঁজতে লাগলেন ।  

       প্রায় আধঘন্টা বাদে প্রিয়াঙ্কার ঘরে গিয়ে এক গ্লাস জল খেয়ে তার খাটে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ল সুনন্দ । প্রিয়াঙ্কা খাটের একপাশে বসে একটা টেবল ক্লথে সেলাইয়ের নক্শা তুলতে লাগল একমনে । 
    দুপুর গড়িয়ে গিয়ে বিকেল হয়ে গেল । বিকেল ঢলে পড়ে সন্ধে নামল । সুনন্দর ঘুম এখনও ভাল করে ভাঙেনি। প্রিয়াঙ্কা অপেক্ষা করতে লাগল কখন সুনুর ঘুম ভাঙবে এবং সে চায়ের জল বসাবে ।  
    প্রিয়াঙ্কা সুনন্দর ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।  উঠে তার পাশে গিয়ে বসল। ঝুঁকে পড়ে একটা চুমু খেল সুনন্দর কপালে ।  
     (ক্রমশঃ ) 
    **************"***************************..................................................................

       

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ২৭ এপ্রিল ২০২২ ০৯:৪২506949
  • ভালই হয়েছে। কিন্তু মূল লেখার সাথে যোগসূত্র থাকলে ভালো হতো। 
     
    পড়ছি... 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন