এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ক্লান্ত লাগে

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৫৫১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • ক্লান্ত লাগে। ভিডিওটা খুলেছিলাম অনবধানে। আর পাঁচটা যেমন খুলি। খুলে দেখলাম পুলিশ কাদের যেন গুলি করতে করতে তেড়ে যাচ্ছে। একটা লোক হাত তুলে দৌড়ে এল। মারধোর করতে নয়, আত্মসমর্পণের ভঙ্গীতে। পুলিশ তার দিকেও তেড়ে গেল। পুলিশের যা স্বভাব। তারপর লাঠি দিয়ে ধড়াদ্ধম পিটুনি। সঙ্গে কয়েকটা গুলির শব্দ। গুলিটা কোথায় লাগল ঠিক বুঝতে পারিনি। পয়েন্ট ব্ল্যাংকে ওইভাবে কাউকে গুলি করে নাকি? লোকটা পড়ে আছে দেখা গেল। ভাবলাম, এমন করে মারল, যে অজ্ঞান হয়ে গেল? তারপর দেখলাম, ক্যামেরা হাতে একজন, পুলিশের ফটোগ্রাফারই হবে, দৌড়ে গেল পড়ে থাকা শরীরের দিকে। তারপর শরীরের উপরে উঠে জান্তব উল্লাসে নাচ। দেখে আঁতকে উঠে ভাবলাম, মরে যাবে তো। তখনও বুঝিনি, সত্যিই মরে গেছে। মৃতদেহের উপর পুলিশ পিশাচনৃত্য করছে। বোঝা গেল পুলিশ সরে আসার পর। সত্যিই পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জে গুলি করেছে পুলিশ।
     
    এনআরসি, আসাম নিয়ে প্রচুর লিখেছি। ডিটেনশন ক্যাম্পের ছবি দেখেছি, ভিডিও দেখেছি। বেনাগরিক হয়ে মরে যাওয়ার খবর পেয়েছি। স্রেফ বাংলাভাষী বলে। কিন্তু এ জিনিস দেখিনি। নেলি নিয়ে লিখেছিলাম, কবে? সার্চ করে দেখলাম, এপ্রিল মাসে। ৮৩ সালের সেই গণহত্যা, যেখানে কোণঠাসা করে প্রকাশ্য দিবালোকে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত চলেছিল তথাকথিত 'বাংলাদেশি' দের অবাধে হত্যালীলা। সরকারি মতে সে দিন খুন হয়েছিলেন হাজার দুই মানুষ। বেসরকারি মতে, সংখ্যাটি পাঁচ থেকে দশ হাজারও হতে পারে। পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল আস্ত ১৬টি গ্রাম। তারপর  এপ্রিল মাসে লিখেছিলাম, এইসব বিশদে। তার পাঁচ মাসের মধ্যেই নতুন নেলির ড্রেস রিহার্সাল শুরু হয়ে যাবে ভাবিনি।
     
    নেলির মতোই এবারও চলছে ব্যালেন্সের খেলা। সেবারও, গণহত্যা ধামাচাপা দিয়ে হয়েছিল আসাম চুক্তি। যার হাত ধরে এন-আর-সি আসে ক্রমশ। এবারও সব নিরাপদ প্রতিবাদের খেলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো বিবৃতি দেখিনি। সিপিএমএর বিবৃতি দেখলাম, এ হল সংখ্যালঘু মুসলমানের উপর আক্রমণ, ভারতের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের উপর চূড়ান্ত আঘাত। রাহুল গান্ধী একই লাইনে টুইট করেছেন, "ভারতের কোনো সন্তানের এই পরিণতি প্রাপ্য নয়।" এগুলোর মানে সেই ধামাচাপা। মূল বিষয়টাকেই এড়িয়ে যাওয়া। 'অবৈধ বাংলাদেশী' তাড়ানোর অ্যাজেন্ডা মানেই তো এ ব্যাটারা ভারতের নাগরিক নয়। সন্তানই নয়, নাগরিকই নয়, তার আবার অধিকার। বিজেপি এই লাইনটাকেই চ্যাম্পিয়ন করতে চায়। বাকিরা একটু নরম করে সেই কথাই বলছেন আর কি। 
     
    এই ধরণের হিসেব করা প্রতিবাদ, কিংবা নীরবতা দেখে ক্লান্ত লাগে। এই ধরণের বিবৃতির আরেকটা চমৎকার ধরণ আছে, পড়লেই বোঝা যায়, দিল্লি থেকে লেখা হয়েছে। সেটা হল বাঙালি শব্দটার চেষ্টাকৃত অনুল্লেখ। এর আগে, মনে আছে, এনআরসির প্রথম দফার সময় তিস্তা শীতলবাদ শেতলবাদের লেখা পড়েছিলাম। তাতে বলা হয়েছিল, এন-আর-সির কারণে ৫৮ জন শ্রমজীবি মানুষ মারা গেছেন আসামে। তার মধ্যে ২৮ জন হিন্দু, ২৭ জন মুসলমান, একজন বোড়ো, একজন গোর্খা, এবং একজন চা-উপজাতি। বাঙালি শব্দটাই নেই। এ হল সর্বভারতীয়ত্বের বীভৎস মজা। আপনার ভাষার কারণে আপনি সবসময়েই সম্ভাব্য বাংলাদেশী। সন্দেহের আওতায়। বিপদের খাঁড়া মাথায় নিয়ে ঘুরছেন। কিন্তু সেটা বলা যাবেনা। বললে জাত যাবে সম্ভবত।
     
    এঁরা খারাপ লোক মনে হয়না। আসলে সমস্যাটা হল, বাঙালির সমস্যাটা এঁরা বোঝেনই না। চেষ্টাও করেননা। এর আগে রবীশ কুমার, মনে আছে, কলকাতায় এসে, বিজেপি তাড়ানোর জন্য বাঙালির কী করা উচিত, সে নিয়ে বাণী দিয়ে গিয়েছিলেন। হাততালি পেয়েছিলেন প্রচুর। কিন্তু এই জ্ঞানদানের বিশ্বাসযোগ্যতা কতটা, উত্তর ভারতে এঁরা বিজেপিকে কীভাবে আটকেছিলেন, সে প্রশ্ন হাততালির মধ্যে উপস্থিত বুদ্ধিজীবীরা করতে ভুলে যান। মা শনি, পীরবাবাকে ধন্যবাদ, সেই লাইনে বাঙালি চলেনি। বিজেপি ঠেকাতে বাঙালিত্ব লাইনেই ভোট হয়েছে। বাঙালি নিজের মেয়েকে চেয়েছে। উত্তর ভারতের গোষ্ঠীকে না। নিজের মেয়ে অবশ্য ভোটের পর নিজেই সর্বভারতীয় হবার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কিন্তু সে অন্য কথা। 
     
    তো, রবীশ কুমারেরও লাইন ছিল একই। "কোনো ভারতীয়কে এন-আর-সি থেকে বাদ দেওয়া যাবেনা" -- এই জাতীয় কিছু। রবীশও কিছু খারাপ লোক না, কিন্তু সমস্যাটা তো এঁরা বোঝেনই না। একটা জাতি, একটা ভাষাগোষ্ঠীর মাঝামাঝি যেখানে খুশি একটা লাইন টেনে দিলে বিপর্যয় হয়। সেই বিপর্যয় বাঙালির হয়েছে। উত্তর ভারতের কারো হয়নি। এবং বিপর্যয়ের পরেও, ওই একটা লাইনকে ঈশ্বরজ্ঞানে লোকে মেনে চলবে, এ হওয়া সম্ভব নয়। হয়নি। চলাচল থেকেছে। দাঙ্গা হয়েছে। লোকে উদ্বাস্তু হয়েছে। যুদ্ধ হয়েছে। ৪৭, ৭১ কখনই এই চলাচল বন্ধ হয়নি। হবার কথাও নয়। কথা হল, একই ভাষার লোক এপারেও আছে, ওপারেও আছে, তারা ভয়ে হোক, ভালবাসায় হোক, ওই অদ্ভুতুড়ে কাঁটাতার টপকেছে। এর মধ্যে আপনি নাগরিক মাপবেন কীকরে? কী মাপকাঠি? এর একমাত্র সমাধান হল দেশভাগের পাপকে নতমস্তকে স্বীকার করে অন্তত এখন অবাধ চলাচলটাকে মেনে নেওয়া। কিছু ক্ষেত্রে দ্বৈত নাগরিকত্ব চালু করা।
     
    সর্বভারতীয় ওয়ালারা এসব বোঝেন না। বোঝার ইচ্ছেও নেই। খুব কঠিন কিছু না, কিন্তু এই সাধারণজ্ঞানটুকু ৪৭ থেকে ২১, এই কত যেন বছরে, সারা পৃথিবী বদলে গেল, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন হয়ে গেল, মধ্যপ্রাচ্য তছনছ হয়ে গেল, কিন্তু একটি সর্বভারতীয় শক্তিকেও বলে উঠতে দেখলাম না। ক্লান্ত লাগে, অন্য কোনো কারণে নয়। এই বোধহীন মুন্ডু-মাথা-হীন মুখস্থ বিদ্যের চর্চা দেখে ক্লান্ত লাগে। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:848e:dc1a:cff9:***:*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৪৮498668
  • সিপিএমএর বিবৃতি দেখলাম, এ হল সংখ্যালঘু মুসলমানের উপর আক্রমণ, ভারতের নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের উপর চূড়ান্ত আঘাত। রাহুল গান্ধী একই লাইনে টুইট করেছেন, "ভারতের কোনো সন্তানের এই পরিণতি প্রাপ্য নয়।"
    - কোন ধর্মের, ​​​​​​​কোন ​​​​​​​দেশের, ​​​​​​​কোন ভাষাভাষী ​​​​​​​মানুষের ​​​​​​​-ই এই পরিণতি প্রাপ্য নয়। 
    বস্তুতঃ কোন মানুষেরই এই পরিণতি প্রাপ্য নয়। ধর্মের ওপরে, দেশ বা ভাষার ওপরে  মানুষ । সামান্য কথা, স্বতঃসিদ্ধ হওয়া উচিত ছিল 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:848e:dc1a:cff9:***:*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৫১498669
  • বাঙালী-দের ইউনিক সমস্যা, দেশভাগ ইঃ নিয়ে সৈকত যা লিখেছে, একমত। দুই জার্মানী এক হয়েছে, দুই বাংলাও এক হতে পারলে, অন্ততঃ অবাধ চলাচল স্বীকৃত হলে ভাল হত। 
  • বিপ্লব রহমান | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:৪৩498674
  • শুধু বিবৃতি, আর টুইট? জোর প্রতিবাদ নাই? তবে যে সেদিন ভোটের বাজারে এতো সব গরম বক্তৃতা শুনলাম! :/ 
     
    ভাই অরণ্য, 
     
    "দুই বাংলাও এক হতে পারলে, অন্ততঃ অবাধ চলাচল স্বীকৃত হলে ভাল হত। " 
     
    ভেবে বলেছেন তো? মানে ভারতের বিভক্তি চাইছেন, না বাংলাদেশের ভারতে আত্মীকরণ?? 
     
    দুটোই অসম্ভব। শেষোক্তটি রোখায় আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য! 
     
     
  • b | 14.139.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১১:০৬498683
  • আসামের হিন্দু বাঙালী গোষ্ঠীর  ৯৯% সম্ভবতঃ এই ঘটনা নিয়ে অসম সরকারের অনুরূপ মত পোষণ করেন।
     
  • santosh banerjee | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:২৯498695
  • ৯৯% হিন্দু যদি একটা ভুল কে সমর্থন করে বুঝতে হবে চৈতন্যের উদয় হ য় নি । দেশভাগের দায় ছিল ঐ লোক গুলোর যারা ধর্মের নামে , নিজেদের খুদ্র স্বার্থে দেশের ভাগাভাগি চেয়েছিলেন, মানুষ কে ধর্মের নামে পৈচাশিক উল্লাস করার ইন্ধন জুগিয়েছে ঐ কতিপয় ব্যাভিচারী নেতা। আসামের boarder কে পাহারা দেয়। ? কেন বিদেশি প্রবেশ বন্ধ হয়নি বছরের পর বছর? কারা ১০০, ২০০,৫০০ টাকা ঘুষ ( হ্যা, ঋষবৎ) খেয়ে বাঙলা দেশের লোককে এদেশে ঢোকায়? BSF কার অধীনে? রাজ্য সরকার কেন এদের রেশন কার্ড থেকে সুরু করে যাবতীয় প্রমাণ পত্র যোগান দেয়? কে বা কারা নির্বাচন এলে এদের লুঙ্গি থেকে সুরু করে ঘর বানাবার টিন যোগান দিয়ে ভোট টা নিশ্চিত করে? জবাব নেই !!!!
  • Sushanta Kar | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৪৯498696
  • আই টি সেল, হিন্দুত্ববাদীরা, অসমিয়া অগ্রজাতীয়তবাদীরা বলছে বটে সামাজিক মাধ্যমে যে বাংলাদেশি মিঞাদের মেরে তাড়িয়ে দিতে হবে---কিন্তু এই ঘটনার বাস্তব কারণ এটা নয়। আসল কারণকে ধামাচাপা দিতে যেভাবে প্রচারে সুবিধে হয় তাই হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলছেন দুদিন ধরে--এরা বাংলাদেশি কে বলল? আমরা তো বলছি না। এরা অসমেরই অন্য জায়গা থেকে এসছেন। আমরা ভূমিহীনদের ৬ বিঘা করে মাটি দেব। এই সব অবশ্য চাপে বলছেন। কিন্তু আগেও বলেছেন, বা আলোচনাও চালাচ্ছিলেন। আইন রক্ষা করতে গেলে তাঁকে সেই সব করতে হবে। কিন্তু এর কিছু লোককে যদি পালাতে বাধ্য করা যায়---তাতে জমি দেবার চাপ কমে। তাই আলোচনার মাঝেই এই উচ্ছেদ। এবং সাম্প্রদায়িক প্রচার ইত্যাদি। আসল কারণ ভিন্ন। এরা গোটা অসমে জমি চিহ্নিত করছে কোথাও কৃষি প্রকল্প, কোথাও সৌরপ্রকল্পের নামে ভূমাফিয়াদের হাতে জমি তুলে দিতে। গোটা দেশেই শুরু হওয়া স্বামীত্ব প্রকল্পের কথাও এই প্রসঙ্গে মনে রাখা চাই। বাঙালি প্রসঙ্গের বাইরের বস্তু এই সব। গরিব শ্রমজীবীদের স্বরোজগার থেকে উচ্ছেদ করে সস্তা শ্রমের যোগান নিশ্চিত করা, আর বাকিদের নরকে বেকার করে রাখা। কিন্তু সেই শ্রমজীবীদের মধ্যেও বিভাজন আনতে হবে। তাই হিন্দু মুসলমান হচ্ছে যেমন বাংলাতে হয়। আর অসমে হিন্দু মুসলমান মানেই বাংলাদেশী বিরোধী জিগির। ধলপুরের কাছে নটা সড়ক হওয়াতে এর বাণিজ্যিক মূল্য বেড়ে গেছে। ফলে নজর পড়েছে রাজ্যের মন্ত্রী প্রাক্তন এজিপি, বর্তমান বিজেপি নেতা পদ্ম হাজরিকার। তাঁর নেতৃত্বে কৃষি প্রকল্প করার জন্যে এই সব ড্রামা হচ্ছে। সম্প্রতি অসমে ভাষা ধর্ম নির্বিশেষে ৫০০র বেশি জমির দালালকে হঠাৎ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বোঝা যায় জমির দালালির সরকারি করণ হচ্ছে, জমির বেসকরারি করণ হচ্ছে। ধলপুরে অতিসামান্য অসমিয়া লোককে প্রলোভন দেখিয়ে সেই কৃষি প্রকল্পের সঙ্গে রাখা হয়েছে। এদেরও কপাল পুড়বে। ভালো লক্ষণ এই যে ঘটনার সবচাইতে বেশি নিন্দে অসমিয়ারাই করছেন।
  • MR | 47.187.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২০:৪০498698
  • ক্লান্ত লাগে... দুই কিশোরীর বিদ্যুৎপৃষ্ট হয় মৃত্যূ 
    ক্লান্ত লাগে   ..এক পরিবারের তিনজনের বিদ্যুৎপৃষ্ঠতা 
    ক্লান্ত লাগে ।....দুই লক্ষ্ টাকা দিয়ে চোখের জল কেনার ছক 
    ক্লান্ত লাগে।... ভবানীপুরে সারা রাত ধরে জল সরানো যাতে যাতে বাংলার মেয়ে থুড়ি ভবানীপুরের মেয়ে জেতে 
     
    "বিজেমুল "কথাটি একশো শতাংশ ঠিক।.. আসলে মানুষ গুলোই দুই নম্বরী ...
    এই সাইটে তাদের "নমুনা "পাওয়া যায় !!
  • aranya | 2601:84:4600:5410:18ad:699:dc69:***:*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৯:৩৭498711
  • বিপ্লব,৪৭-এর দেশভাগ মেনে নিতে ইচ্ছা করে না, মনে হয় ৪৭ পূর্ববর্তী অখন্ড ভারতবর্ষ থাকলেই ভাল হত। তবে সেটা উইশফুল থিঙ্কিং, আর সম্ভব নয়। 
    আপনার পয়েন্ট - ও বুঝতে পারি, খামোকা আবার ভারতের অঙ্গ হতে চাইবেন ই বা কেন। 
    তবে দুই বাংলার মধ্যে অবাধ যাতায়াত, ফেয়ার ট্রেড, জলবন্টন এসব তো করা যায়, সদিচ্ছা থাকলে। পাকিস্তানের সাথে ভারতের কয়েকটা যুদ্ধ হয়েছে, শত্রুতা আছে, বাংলাদেশের সাথে তো ভাল সম্পর্ক। 
  • bodhisattvagc dasgupta | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২২:৫৩498723
  • সিপিএম এর  স্টেটমেন্ট
     
    Assam: Assam units of CPI (M), CPI, CPI (ML), Asom Gana Morcha and RJD in a joint press statement condemned eviction drive being carried out by state govt and yesterday's police brutality. Two peasants lost their live in police firing.
     
    *Five Parties Protest Eviction Drive and Killings at Dholpur in Assam*
     
    The Assam units of the CPI (M), CPI, CPI (ML), Asom Gana Morcha and RJD met today, 23 September, at the State Office of the CPI under the chairmanship of the CPI (M) State Secretary Deben Bhattacharyya. Comrade Munin Mahanta, State Secretary of the CPI explained objectives of the meeting. The Parties jointly issued the following statement to the press regarding the inhuman eviction drive being conducted by the State administration at Dholpur-Gorukhuti area under Sipajhar Revenue Circle of Darrang district in Assam :
     
    The five parties register their strong protest and condemn the police brutalities and firing in the name of evictions being conducted by the Darrang district administration yesterday, September 23. Two poor peasants, namely Saddam Hussain and Md. Sarif were killed and several others were grievously injured due to the unwarranted and cruelest acts of police savagery. The Parties demand a judicial inquiry into the incident of police firing and killing headed by a sitting judge of the  Gauhati High Court, immediate halt to the eviction drive and rehabilitation of all the evicted families. The five Parties also demand adequate compensations to the families of those killed and injured. The Parties demand that all evictions in the State without proper rehabilitation be stopped forthwith. The barbaric eviction drive at Dholpur-Gorukhuti area was started in the name of proposed  Gorukhuti Agricultural Project and freeing the government land from 'illegal encroachment'  being occupied by 'suspected illegal migrants' as stated by the government administration. As a matter of fact, the State administration branded those local Muslim people who have been residing in the area for several decades as 'suspected foreigners' and 'illegal encroachers of government land'. The administration has evicted Muslim families of the locality in most inhuman manner and the eviction drive is communally designed, illegal and unconstitutional. 
     
    The Parties also condemned the provocative and communally sensitive utterances of the Assam Chief Minister Himanta Biswa Sarma. He has recently and openly stated at Silchar that his administration would even take the help of the extra-constitutional bodies like the RSS to save Hindus from the Muslim aggression and to prevent Assam  from not becoming a 'Second Kashmir'. In fact, the Chief Minister has been leading the aggressive hate campaigns to create tensions and polarise the society in Assam on communal lines. The five parties, in their joint statement, appealed to all left democratic and secular parties and organisations, and all sections of the people in general, to defeat the RSS-BJP's gameplan patronised by the administration and to maintain peace, amity and communal harmony at any cost.
     
    The meeting was also attended by CPI(ML) leaders Pankaj Das and Naren Borah, RJD state president Sonarul Shah Mustafa, Rajya Sabha member and president of the Asom Gana Morcha and CPI(M) leader Isfaqur Rahman.
     
    **The image can be distressing**
     
  • bodhisattvagc dasgupta | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:২৩498724
  • বাঙালি হিন্দু চাকুরি জীবী এবং বাঙালি মুসলমান কৃষিজীবী দের উপরে দু ধরণের এবং  দুরকম সময়ের আক্রমণ হয়েছে আসামে ঐতিহাসিক ভাবে। এই বিষয়টা আমি সৈকতের বাঙালি ভাষা জাতীয়তাবাদী অবস্থান থেকে লেখা প্রবন্ধ গুলোয় পাইনি। 
    এবং সর্বভারতীয় দল হিসেবে সিপিএম কর্মীদের অন্যান্য বাম কর্মীদের গৌরবজনক ভূমিকার এমনকি একদা অহম জাতীয়তাবাদীর কলমে এই গুরু চন্ডালি তেই আসার পরেও সেটা ঘটেনি। 
     
    অহমিয়া শভিনিজম, বোডো জাতীয়তাবাদ এবং কংগ্রেস ও বিজেপির নানা ধরণের কো অপশন এই বিষয়গুলি র সুক্ষ্ম না খুবই স্থূল পার্থক্য এবং আলাদা আলাদা ঐতিহাসিক পিক মোমেন্ট আছে। বামপন্থীদের অবস্থান , আকাডেমিক দের অবস্থান ইত্যাদি সেই গুলি কে নানা ভাবে আড্রেস করার চেষ্টা করেছে।
    ক্লান্তির অবকাশ নেই। এগুলি নিয়ে একেবারে হালের কাজ পড়তে চাইলে সজল‌ নাগ দের কাজ দেখা যেতে পারে. অমলেন্দু গুহর ইপি ডাব্লিউ র প্রবন্ধ গুলি পড়ে নিতে হবে সলিড কনটেক্সট এবং এক ই সঙ্গে ন্যাশনাল হিস্ট্রি প্রোজেক্ট এর সীমাবদ্ধতা দেখার জন্য। 
     
    আমি চেষ্টা করব একটু ধরে সৈকতের পজিশনের সঙ্গে  বামপন্থী রাজনৈতিক অবস্থান য়টার পার্থক্য শুধু না , একেবারে হালের বিশ্লেষণাত্মক ইতিহাস চর্চার পজিশনটা কে নিয়েও আলোচনা করতে ততটুকু আমার বিদ্যেয় কুলোয়।
    একটা কথা বলা যেতে পারে ,আগেও হয়তো বলেছি এই প্রসঙ্গে, ১৯৪৯-১৯৬৫ ১৯৬৫-১৯৮২, ১৯৮২-২০০৪, ২০০৪ পরবর্তী আকাদেমিক কাজ যা ইপিডাব্লিঈ তে বেরিয়েছে সেটা এই চারভাগে পড়লে যে আর্গূমৈন্টের অসম্পূর্ণতা থেকে যাচ্ছে সেটা খানিকটা মিটতে পারে।
    এ প্রসঙ্গে আমার শুধু না  যেকোনও বাঙালি র সাধারণ অবস্থান ভাষা জাতীয়তাবাদী দের পক্ষে তবে যা হচ্ছে তাকে সর্বতোভাবে ঘৃণা করা আর কি কখন ও‌ কেন বোঝার চেষ্টা তো আলাদা জিনিস।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন