আমাদের লেখাপড়াশোনা : পার্থ চক্রবর্তী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১১ এপ্রিল ২০১৩ | ১২১৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৭
কিন্তু বিজ্ঞান ব্যাপারটা কী? কাকে বলব বিজ্ঞান আর কেই বা না-বিজ্ঞানের দলে? কিভাবে ঠিক হবে তাদের সীমা, সীমানা? এই প্রশ্নটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ, বিজ্ঞান কি আর তার বৈশিষ্ট্যই বা কি, এটা না বুঝলে বিজ্ঞানের আধিপত্যের রাজনীতিটা বোঝা মুশকিল। এই প্রশ্নটা নতুন নয়, আদতে বেশ পুরোনো দার্শনিক প্রশ্ন। এখন একটু দেখে নেওয়া যাক বিজ্ঞানের বিশেষত্বকে প্রশান্ত/অতলান্তের অপর পাড়ের পন্ডিতেরা কিভাবে দেখেছেন, ভেবেছেন।
মানুষের বাঁদরামি : পার্থ চক্রবর্তী
বুলবুলভাজা | কূটকচালি | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ | ৯১৪ বার পঠিত
বাঁদরামির জ্ঞানের নির্মাণে আর একটি জায়গা ছিল মানুষের সত্তা বা এসেন্স বা লোগোসের খোঁজ। প্রশ্নটা পুরোনো - "মানুষ' বলতে আমরা কি বুঝি? মানুষের শাঁসটা কি আর খোসাটাই বা কি (এখানে অবশ্য ধরে নেওয়া হচ্ছে যে শাঁস আর খোসা আলাদা বিষয়)? এই প্রশ্নের জবাবে পশ্চিম একটা ভাবনার স্ট্রাকচার বানায় যার নাম ডুয়ালিজম বা দ্বিত্ত্ববাদ। অনেক ডুয়ালিস্ট মডেলের সাথে আমরা পরিচিত, যেমন পুরুষ/নারী, প্রকৃতি/সংস্কৃতি, পূর্ব/পশ্চিম, মন/শরীর, আমি/তুমি, সুস্থ/পাগল, শাঁস/খোসা ইত্যাদি। এবার "মানুষ' নামের তাত্ত্বিক সমস্যাতে ফেরা যাক। মানুষ একদিকে যেমন জৈবিক, প্রাকৃতিক আবার সে একইসাথে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিও বটে। এখন প্রশ্ন হল এই ডুয়ালিটিতে কোনটা শাঁস, কোনটা খোসা? পশ্চিম বাছাই করে আমাদের বলে দিয়েছে যে দুর্গামূর্তির খড়ের গোঁজের মত জৈবিক সত্তাটাই মানুষের এসেন্স আর মূর্তির ওপরের রংচং আসলে সংস্কৃতি। মানুষের প্রকৃতি আসলে জৈবিক, বায়লজিকাল। এই স্বত:সিদ্ধ থেকে তাই বলা যেতেই পারে যে যেহেতু বাঁদর মানুষের পূর্বপুরুষ, তার মধ্যেও সেই একই জৈবিক বৈশিষ্ট্য থাকবে। অর্থাৎ মানুষ আর বাঁদরের হার্ডওয়্যারটা একই, পার্থক্য শুধু সফটওয়্যারে। তাই বাঁদরামির গবেষণা পশ্চিমি সাহেব-মেমদের আত্মানুসন্ধানের চেষ্টা (গবেষণা করা ব্যাপারটা প্রাকৃতিক না সাংস্কৃতিক?)।
যৌনতার প্রকৃতি, প্রকৃতির যৌনতা : পার্থ চক্রবর্তী
বুলবুলভাজা | অন্য যৌনতা | ০৩ মে ২০১০ | ১০৭১ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩
এই লেখা মানবিক যৌনতাকে ঘিরে আজকাল যে যে বিতর্কগুলি গড়ে উঠেছে, গজিয়ে উঠেছে তার একটি বিশেষ পরিসরকে নিয়ে। মানুষের বিভিন্নরকম যৌন আচরণ কতটা প্রাকৃতিক (পড়ুন স্বাভাবিক) আর কতটা অ-প্রাকৃতিক, তা নিয়ে। এই লেখায় আমরা মানবিক যৌনতাকে বহুবচন হিসেবে ধরে নিয়েছি, মানুষের যৌন আচরণের বহুত্বকে (সমকামী, বিসমকামী, রূপান্তরকামী ইত্যাদি) সামাজিক বাস্তবতা হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছি।