বিয়ে করা যায় না জেনো সহজে : জয়ন্তী অধিকারী
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : উৎসব ২০১৩ | ১৫ অক্টোবর ২০১৩ | ৫৭৭৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ৯৪
অতএব ভয়ংকর জরিটরি দেয়া বিকটদর্শন সব লাল বেনারসী ধুপধাপ পড়তে লাগল আর তালপাতার সেপাই সেলসম্যানটি নানা ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে সেগুলো গায়ে ফেলে দেখাতে লাগল।জেঠিমার সবগুলোই পছন্দ, কেবলীর কোনটাই না, বাকীদের মধ্যেও মতের মিল নেই। প্রায় হাতাহাতি হতে যাচ্ছে এমন অবস্থায় বুদ্ধিমতী পটলদি হাল ধরেন - "লাল নয়, কাছাকাছি কিছু দেখান"। তেমন-লাল-নয় অর্থাৎ ম্যাজেন্টা, মেরুন, গাঢ় গোলাপী ইত্যাদি বেনারসীর একটি পাহাড় জমা হল, এবার পটলদি নিজের গায়ে ফেলে ফেলে দেখাতে লাগলেন, সকলেরই মোটামুটি পছন্দ এমন কয়েকটি কেনাও হয়ে গেল, ফাঁকতালে পটলদিরও হয়ে গেল একটা।
একজন প্রবল ব্যতিক্রমী নারী - ডক্টর কাদম্বিনী গাঙ্গুলী : জয়ন্তী অধিকারী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৬ মার্চ ২০১৯ | ১৫৬৪২ বার পঠিত | মন্তব্য : ৫১
কাদম্বিনীকে কোন ছাঁচেই ঠিকঠাক ফেলা যায় না, তিনি স্নেহময়ী মাতৃমূর্তি নন, বিদ্রোহিনী নন, সন্ন্যাসিনীও নন - আবার এই সবই। তাঁর ছবিটা এই রকম - ফিটন চেপে এক মহিলা যাচ্ছেন শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে, রোগী দেখতে। হাতে কুরুশ-কাঠি, অপূর্ব সূক্ষ্ম কাজের লেস বুনছেন যাতায়াতের সময়টুকুতে, বিধবা বড় ননদের জন্য হিন্দু মতে রান্না করছেন, পূত্রবধূকে লিখছেন, ‘কাল বিকালেও রাঁধুনি আইসে নাই। আজও ক্যাঁও ক্যাঁও করিয়াছে শরীর ভাল না। কাল আসিবে কি না জানি না।’ আবার বিহার, ওড়িশায় খনিমজুর মেয়েরা কেমন আছেন, তা সরেজমিনে দেখে রিপোর্ট দিচ্ছেন সরকারকে।
একটি পাকা চাকুরির গল্প : জয়ন্তী অধিকারী
বুলবুলভাজা | বাকিসব : মোচ্ছব | ০১ জানুয়ারি ২০২০ | ৬৭৩৭ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩৯
রাস্তায় এক অদৃষ্টপুর্ব দৃশ্য দেখে সে বিস্ময়ে স্থাণু হয়ে গেল। “গ্রে এ এ এ ট পামেলা সারকাস,গ্রে এ এ এ ট পামেলা সারকাস-----” রিকশায় বসে মুখে মাইক ধরে খুব হাসি হাসি মুখে এইরকম বলতে বলতে সিড়িঙ্গে রোগা কিন্তু এই মোটা গোঁপওলা একটা কাকু যাচ্ছে। তার লাল নীল বেগুনী সবুজ হলুদ খয়েরী জামাটা দেখে কুমু মোহিত না হয়ে পারল না,হ্যাঁ ,জামা হবে এইরকম। তার বাবা কাকাদের সাদা নীল ছাই ইত্যাদি বিচ্ছিরি রঙের ওগুলো আবার জামা নাকি? কাকুর পাশে জায়গা থাকলেও দুটো প্যাংলা মত ছেলে রিকশার পেছনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চলেছে,কাকুর জামার ঘাড়ের কাছে একতাড়া পাতলা কাগজ গোঁজা,সেই কাগজ থেকে একটা দুটো টেনে টেনে নিচ্ছে আর রাস্তার লোকদের হাতে দিচ্ছে ।
চার ল্যাবারু খোঁজেন গোরু : জয়ন্তী অধিকারী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৩ এপ্রিল ২০১৭ | ৩৩১১ বার পঠিত | মন্তব্য : ৪১
নেহাতই চক্ষুলজ্জা বশে নেহাম্যাডাম একটি প্ল্যান বানিয়ে আনলেন, যার মাথামুন্ডু, এবিসিডি, শুরু বা শেষ কিসুই নাই, যেটি অনায়াসে যেকোন সুস্থবুদ্ধি লোকের সেরিব্রাল অ্যাটাক ঘটানোর উপযুক্ত। হাতে সময় একেবারেই নাই, চাগরির দায় বড় বিষম, হিড়িম্বা রাত জেগে এক্ষপির প্ল্যান বানালেন, প্রত্যেকের দায়িত্ব আলাদা শীটে লিখে দিলেন। অন সেকেন্ড থট, যত সলিউশন বানাতে হবে, প্রতিটি তৈরি করার মেথডও লিখে হাতে হাতে ধরিয়ে দিলেন। (আগে একবার নেহা স্ট্যান্ডার্ড অ্যাসিড সল্যুশন বানানোর জন্য “একটু হেল্প” চেয়েছিল।)
কালাজ্বর, একটি অন্ধকার ঘর ও এক অপরাজিত যোদ্ধা : জয়ন্তী অধিকারী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১০ আগস্ট ২০১৮ | ৩৩৯৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৯
অতুলনীয় মেধা,অতি উজ্জ্বল ছাত্রজীবন ও তীক্ষ্ণ ধীশক্তির অধিকারী হিসাবে সুপরিচিত অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর কালাজ্বরের প্রতিষেধক বিষয়ক গবেষণা আরম্ভ হয়। ক্যাম্পবেল কলেজে (বর্ত্তমানে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে) শুরু হয় ভীষণ মারণব্যধি কালাজ্বরের বিরুদ্ধে তাঁর ঐতিহাসিক সংগ্রাম। গবেষণার জন্য তিনি পেলেন ছোট একটি ঘর, যেখানে জলের কল, গ্যাস পয়েন্ট বা বিদ্যুত সংযোগ কিছুই নেই। কিন্তু এইসব অসুবিধা নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে একটি পুরনো কেরোসিন ল্যাম্প সম্বল করে প্রকৃত বিজ্ঞানতপস্বী উপেন্দ্রনাথ শুরু করেন তাঁর গবেষণা। ধাতুঘটিত যৌগকে রোগনিরাময়ের জন্য ব্যবহার করার পদ্ধতি তখন খুব বেশি প্রচলিত হয়নি। এই প্রসঙ্গে, মিশরের রাণীরা রূপটান হিসেবে ঘন নীল রঙের একধরণের অ্যান্টিমনি পেষ্ট ব্যবহার করতেন, অর্থাত অ্যান্টিমনির ভেষজ গুণের কথা তখনও জানা ছিল। বিংশ শতাব্দীর প্রথমে Paul Ehrlich ও তাঁর সহযোগীরা আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি ইত্যাদির যৌগকে সিফিলিস, আফ্রিকান স্লীপিং সিকনেস ইত্যাদি অসুখের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহার করা শুরু করেন।
নিজেরে করো জয় : জয়ন্তী অধিকারী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ২৫ মার্চ ২০১৮ | ১৫২৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ২১
ম্যাম, আই হ্যাভ ভেরি গুড নিউজ। - মাত্র কদিন হল কাজে লেগেছো মা, বলে বলে হয়রান হয়ে যাই, ঠিক করে লিটারেচার রিভিউ অব্দি শুরু করলে না, গুড নিউজ কিসের? অনুজা যা বলে তার মর্মার্থ এই রকম-তার স্বামী পুনে (বা বরোদা বা নাগপুরে) বিশাল চাকরি পেয়েছে, বিশাল বাংলো, বিশাল গাড়ি, আয়া, বাবুর্চি ইত্যাদি, ইত্যাদি। অনুজা কাল থেকে আসবে না। - তা কী করে হয়, নিয়মানুযায়ী নোটিস দিতে হবে।রুলস পড়ে দেখো। - ওসব নিয়মটিয়ম আপনি দেখুন ম্যাডাম। আমি আমার স্বামীর সঙ্গে যাব, এখানে আবার নিয়ম কিসের? আর, আমার তিন মাসের স্যালারিটা দিয়ে দিন। স্পর্ধা দেখে হিড়িম্বা অবাক হতে ভুলে যান। - যতটা লিটারেচার জোগাড় করেছো,গুছিয়ে লিখে দাও আগে, তারপর স্যালারির কথা ভাবা যাবে। - কী বলছেন? আমাকে এখন প্যাকিং শুরু করতে হবে, যাওয়ার আগে কত কাজ, এখন আমি লিখতে বসব? পিসিতে আছে, দেখে নেবেন। - কাজটার প্রতি কোন আগ্রহই নেই বোঝা যাচ্ছে,এসেছিলে কেন? - ওহ, এমএসসি করে কি ঘরে বসে থাকব? একটু টাইম পাস, হাতখরচ এসবও তো লাগে। টাকাটা কখন পাব? - এখনও তো ঘরে বসতেই যাচ্ছ। - নিজের সংসারে বসা আর বাপের বাড়িতে বসা এক হল?
এলারামের ঘড়ি, মই ও ছোটকুমার : জয়ন্তী অধিকারী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৭ অক্টোবর ২০১৮ | ২৩২৬ বার পঠিত | মন্তব্য : ২০
এলারামের ঘড়িকে রবীন্দ্রনাথ অমর করে রেখে গেছেন। ঘড়িটি না বাজা পর্যন্ত সুখশয্যা ত্যাগ করতে কর্তাবাবুর ঘোরতর আপত্তি ছিল, এমনকি ঘরে আগুন লাগলেও না!
কিন্তু আমাদের মহারানীমাতার আপাতত সমস্যা হল, ঘড়ি বেজে, বেজে, বেজে কেলান্ত হয়ে থেমে গেলেও গোবুরাজা, বড়কুমার বা ছোটকুমার কেউই নয়নপদ্ম উন্মীলন করার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করেন না, এমনকি গোবুরাজার নাক যেমন ইমন রাগ ও কাহারবা তালে খরবায়ু বয় বেগের সুরে ডাকছিল, তেমনই ডাকে, ডেকেই যায়, সেই অসাধারণ গীত যে সারাদিনে থামবে তার কোন লক্ষণ দেখা যায় না।
গোবুমহারাজ ও কেবলীরানীর সঙ্গে গুরুর অনেক পাঠিকা ও পাঠকরা পূর্ব পরিচিত। তাঁদের অবগতির জন্য বলি, এনারা আর সেই সংসার অনভিজ্ঞ যুবক যুবতী নেই। দিল্লিতে এঁরা মোটামুটি একটি সংসার পেতে বসেছেন। বন্ধুবান্ধবরা অবশ্য সর্বদাই এই সাধের ফেলাটটিকে রেলওয়ে প্লাটফর্মের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন, তাতে মহারাজ বা রানীমা কারো কিছুই এসে যায় না।চতুর্দিকে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত বই, বই এবং আরো বই, দুটি নয়নতারা, একটি কাঁঠালিচাঁপা ও সাতটি নাম না জানা গাছ, বড়কুমার ও ছোটকুমারের অজস্র ভাঙা খেলনা, একটি ছোট খাওয়ার টেবিল,বেতের সোফা ইত্যাদি নিয়ে তাঁরা দিব্যি আছেন।
নীল ওড়না,গান্ধারী ও শুক্লরাতের চাঁদ : জয়ন্তী অধিকারী
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ১৫ এপ্রিল ২০১৫ | ৪৪৩৮ বার পঠিত | মন্তব্য : ৩৮
বাইরে ডাক্তার ও সুঁইকুমারীর সমবেত গগনভেদী আর্ত্তনাদ, লোকজনের হৈচৈ,পাড়াতুতো কুকুরবাহিনীর উচ্চস্বরে প্রতিবাদ - এতসবের মধ্যেও চেম্বারে ঢুকে প্রথমেই নজরে পড়ল ডাক্তারবাবুর ফোনটি( ততক্ষণে আমরা নিজেদের মধ্যে ফিরে এসেচি, এ দরজা ভেঙে ঢোকার ক্ষমতা গরুর হবে না)। অকম্পিত হাতে ফোন তুলে দৃঢ়স্বরে বাড়ীতে বলে দিলাম বাচ্চাদের ক্যারাটে ক্লাশ থেকে নিয়ে আসতে। কর্ত্তা যথারীতি সামান্য প্রতিবাদ করছিলেন, তোমরা কোথায় আছ? আমি তো ঠিক চিনি না ক্যারাটে ম্যাডামের বাড়ী (পড়ুন - টিভিতে ম্যাচ চলছে) এইসব। তার উত্তরে আরও দৃঢ়স্বরে জানিয়ে দিলাম যে আমাদের গরু তাড়া করেছে, এ জীবনে বাড়ী ফেরা হবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই। ফিরতে না পারলে সবুজ ব্যাগে ব্যাংকের পাশবই ও টাকা রাখা আছে (সেই সেলফোন, এটিএম কার্ডবিহীন সময়ে ব্যাংকের বইয়ের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল)।
নাটকটাটক : জয়ন্তী অধিকারী
বুলবুলভাজা | গপ্পো | ২৭ জানুয়ারি ২০১৫ | ১০১৬ বার পঠিত
প্রায় দুই দশক আগেকার এক সোনারোদ পুজোআসছে শরতের সকাল। তখন আকাশের নীলিমা গভীরতর ছিল, শিউলি তাড়াতাড়ি ও বেশী ফুটত, আসন্ন পুজোর গন্ধে বড় আনন্দ ছিল, পুজোর ধুমধাম অনেক দীর্ঘস্থায়ী ছিল, দিল্লীর বাঙালী ক্লাবসমূহে প্রচুর মেম্বার ছিল, “নাটকটাটকে” আবালবৃদ্ধবনিতার প্রবল উৎসাহ ছিল, সর্বোপরি সকলের ওজন ও রক্তচিনি দুইই অনেক কম ছিল। যথারীতি প্রচুর গবেষণা, ঝগড়া, তিনটি রেজিগনেশন পেশকরণ ও সামান্য সাধাসাধির পর প্রত্যাহার নেওন ইত্যাদির পর "গান্ধারীর আবেদন" বিপুল ভোটে জয়ী হল। ধৃতরাষ্ট্র, দুর্যোধন ইত্যাদি কাষ্টিং হয়ে গেছে, ভানুমতীও রেডী, কেবল গান্ধারী তখনো ফাইনাল হয়নি।
একটি নীল মুক্তা, সিদ্ধান্ত শিরোমণি ও লীলাবতী : জয়ন্তী অধিকারী
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১৭ মার্চ ২০২০ | ৪৮৪৩ বার পঠিত | মন্তব্য : ১৭
লীলাবতী সম্বন্ধে যা তথ্য পাওয়া যায়,তার ওপর ভিত্তি করে এটি একটি কাল্পনিক কাহিনী, প্রামাণ্য প্রবন্ধ নয়। লীলাবতী সম্বন্ধে নানা মত আছে - কেউ বলেন বাল্যবিধবা কন্যাকে সান্ত্বনা দেবার জন্য ভাস্করাচার্য পাটীগণিত অধ্যায়ের নাম রাখেন ‘লীলাবতী’। অন্য আর-এক মতে মেয়েকে পাটীগণিত শেখানোর জন্যই নাকি ভাস্করাচার্য পাটীগণিত অধ্যায়টি রচনা করেছিলেন এবং মেয়ের নামে নাম রেখেছিলেন ‘লীলাবতী’। অনেকে বলেন ভাস্করাচার্যের স্ত্রীর নাম ছিল লীলাবতী, এঁদের কোনো সন্তান ছিল না। সেই শোক ভোলার জন্য এবং স্ত্রীর নাম চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য তিনি পাটীগণিত গ্রন্থের নাম রাখেন ‘লীলাবতী’।
একটি ত্রেতাযুগের ইশকুলের গল্প : জয়ন্তী অধিকারী
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : উৎসব | ১৯ অক্টোবর ২০২০ | ৫০৬০ বার পঠিত | মন্তব্য : ২৮
তা, চিত্রাদি তো দুই হাত নেড়ে “কাট কাট” বলতে বলতে হেলেদুলে এসে ধাঁই ধপ্পাস করে একটি চেয়ারে বসলেন, চেয়ারের অসহায় প্রতিবাদ ও মেয়েদের নীচু গলায় সম্মিলিত হতাশার শব্দ একসঙ্গে শোনা গেল। আর অন্যদিক থেকে ছাত্রীদের উপস্থিতি ভুলে গিয়ে ভীষণ গনগনে মুখে তেড়েমেড়ে উঠলেন পরিচালিকা অপর্ণাদি –
“আপনি কাট কাট বলে হঠাৎ এইরকম চ্যাঁচালেন কেন ? দিব্যি হচ্ছিল তো”
“দিব্যি হচ্ছিল? অই অর্জুন গানের সঙ্গে এত এক্সপ্রেশন দিচ্ছিল কেন? বেজায় ওভার অ্যাকটিং তো। রোজ বলি,আমি চাই সংযত,সুন্দর অভিনয় –”
“অর্জুন কোদ্দিয়ে এল? সে তো চিত্রাঙ্গদায় ছিল, গতবছর হয়ে গেছে। তাসের দেশে অর্জুন?”