কর্পোরেট ও কয়েকটি মেয়ে : আর্য্য ভট্টাচার্য্য
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ১৬ মে ২০১০ | ৮৯০ বার পঠিত
পুরুষ কর্মীদের প্রাথমিক মাইনে তার মহিলা সহকর্মীর থেকে গড়ে ৪,৬০০ ডলার বেশি। প্রথমেই যে মহিলারা পিছিয়ে পরে মাইনে বা পদাধিকার কোনটাতেই তারা আর পুরুষ সহকর্মীর সাথে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারে না। ক্যাটালিস্টের গণনা অনুযায়ী ছেলেদের সিইও হবার সম্ভাবনা তার মহিলা সহকর্মীর প্রায় দ্বিগুন।
অনেকেই ভাবেন মহিলাদের কত কাজ, একদিকে বাড়ি, ছেলেমেয়ে সামলে অফিসের কাজ করতে হয়। কাজের দিকে মন দেবার সময় পায় না। মায়ের জাত বলে কথা। কিন্তু সার্ভের রেজাল্ট বলছে প্রথম চাকরি বদলানোর ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে উন্নতিই লক্ষ্য। ছেলেমেয়ে প্রতিপালনের জন্য ৩% মেয়ে ও ২% ছেলে চাকরি বদলায়। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কারণ হল ভালো চাকরি, ভালো মাইনে ইত্যাদি।
"ভাল যুদ্ধে'র ধাঁধা : আর্য্য ভট্টাচার্য্য
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ৮৩৬ বার পঠিত
৫ই নভেম্বর ২০০৮, আমেরিকার ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক পরেই, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কার্জাই বারাক ওবামাকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেই বার্তার সারমর্ম ছিল - সাধারণ মানুষ মারা বন্ধ হোক।
"This is my first demand of the new president of the United States - to put an end to civilian casualties"
। হামিদ কার্জাইয়ের সেই বার্তার কোন উত্তর দেওয়া হয় নি। কিন্তু বেড়ে গেছে মৃত্যু সংখ্যা। ইউনাইটেড নেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০০৯ সালের প্রথম ৬ মাসে মারা গেছে ১,০১৩ জন সাধারণ মানুষ, ২০০৮ সালের থেকে প্রায় ২৪ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে ন্যাটোর সৈন্য বাহিনীর প্রখর পাহারায় সদ্য শেষ হল আফগানিস্তানের দ্বিতীয় নির্বাচন।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে কিছু ত্যাগ তো স্বীকার করতেই হবে। এই যুদ্ধ কতটা প্রয়োজনীয়, কেন এই যুদ্ধ স্বেচ্ছায় নয় বরং বাধ্য হয়ে করতে হচ্ছে, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সেই দেশের ও মানব সভ্যতার জন্য কতটা খারাপ, যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে সে দেশের গণতন্ত্র, দেশ বিদেশের মিডিয়ায় চোখ রাখলেই বোঝা যায় সেসব কথা। হয় কনসেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং নয়ত নিরবচ্ছিন্ন নীরবতা। প্রচলিত এই দুই প্রান্তিক অক্ষের মাঝে দাঁড়িয়ে কিছু তথ্যে ও তত্ত্বে চোখ বুলিয়ে দেখাই যাক না মেলে কিনা এই ধাঁধা।
সাম্র্যাজ্যবাদের বেহালা : আর্য্য ভট্টাচার্য্য
বুলবুলভাজা | আলোচনা : বিবিধ | ৩১ মে ২০০৯ | ৯১৩ বার পঠিত
ওরা দশজনের পরিবার বেঁচে আছে শুধু রুটি আর জলের ওপর। রাস্তায় হাঁটতে গেলে ভয় পায় এই বুঝি বা ফাটল মাইন। এই পরিবারটি ভাগ্যবান, অথবা হতভাগ্য। ভাগ্যবান কারণ ঐ বাকী ১.৪৫ মিলিয়ন লোকের মতন ওদের এখনো বাড়ি, ঘরদোর, চাষবাস ছেড়ে অন্য জায়গায় যেতে হয় নি। হতভাগ্য কারণ খাবার নেই, জল নেই, বেঁচে থাকার নিশ্চয়তাও নেই। সতীশ সিং ১৩ বছরের কিশোর, কথা বলছে এক সাংবাদিকের সাথে। ""জানেন আমি ওদের দেখেছি, শালোয়ার আর কুর্তা পরেছিল। মুখটা কালো কাপড়ে ঢাকা, চোখ দুটো শুধু দেখা যাচ্ছে, হাতে ছিল বন্দুক। বাজারের কাছাকাছি একজনকে ওরা ধরল আর মাথাটা কেটে ফেলল""। সাংবাদিক জিগ্যেস করলেন ""কাউকে বলনি কেন""? চকিত উত্তর ""পাগল নাকি, বাবা আর ভীরজি বলে দিয়েছে তালিবান দের নিয়ে একটাও কথা না বলতে, বললেই ঘরে বন্দি করে দেবে অথবা ইন্ডিয়া পাঠিয়ে দেবে""।
বাহন = ধোবি কা কুত্তা : আর্য্য ভট্টাচার্য্য
বুলবুলভাজা | ইস্পেশাল : পুজো ২০১০ | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ৬৭৬ বার পঠিত
বলার আগে অনেকবার ভাবলাম এসব বলা পলিটিকালি কারেক্ট হবে কিনা? কিন্তু যা দেখলাম, বুঝলাম তার একটা খতিয়ান না দিলেই নয়, আর আজকের যুগে তথ্য সেন্সর করা যায় না, জানেনই তো নেটে সব মেলে। হয় আমি, নয়ত অন্য কেউ, তাহলে আমিই নয় কেন? বলেই দিই, সিংহি মশাইকে পাওয়া যাচ্ছে না। হ্যাঁ হ্যাঁ মা দূর্গার বাহন সিংহি মশাইয়ের কথাই বলছি। গত একদিন হল ওনাকে কেউ দেখে নি। পুজোর ঠিক আগে আগে এরকম একটা ঘটনায় তুমুল শোরগোল পরে গেছে। সবাই কানাঘুষো করছে, মা দূর্গার মুখটা আগুনের মতন টকটকে লাল।