এটা রাজনীতি। পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ক্যাচাল না। অথচ সেভাবে ভাবতে একটুও অভ্যস্ত নই আমরা। আমাদের সোজা কথা; কংগ্রেস আমার পরিবারের অমুককে মেরেছিলো, সুতরাং আমার ভোট সবসময় লালেই পড়বে। অথবা সিপিএম বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলো আমার তমুক আত্মীয়কে, অতএব তৃণমূল ছাড়া আমি আর কাউকে ভোট দেবো না। দরজায় আমেরিকা দাঁড়িয়ে থাকলেও এর অন্যথা হবে না। চাষির ছেলে চাষি হোক না হোক, সিপিএমের ছেলে তো সিপিএমই হবে। এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে গেলো কমরেড অনিল বিশ্বাস একখানি বই লিখেছিলেন; "সমাজতন্ত্রই ভবিষ্যৎ" --- বলাবাহুল্য, নামটি বেশ সুন্দর। কিন্তু তারপর পরলোকগমনের প্রাকমুহূর্তে ফোঁস শব্দে দীর্ঘশ্বাস ফেলে লেখক "সব পেলে নষ্ট জীবন" বলে মারা গিয়েছিলেন ... ...
Anamitra Roy আঁতেল হতে পারলেননা। তাঁর পড়ার উপযুক্ত বইঃকীকরে সিনেমায় চান্স পেতে হয় ... ...
সেই বাড়ির নেই ঠিকানা, অথবা মনে করো সাততলা বাড়িটার ঠিক সামনে থেকে একটা অজানা লাল সুড়কির পথ শূন্যের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছে। আর কিছু করে থাকি বা নাই থাকি, কিছু সংসার পাকিয়েছি বটে জীবনে। মাপতে গিয়ে দুটো ম্যাটাডোর আর ছ'টা ডিকি ভরে গেলো। বাক্সে বাক্সে বন্দী বাক্স, বাক্স-বোধন উৎসব চলছে এখন; কোনটা কোন বাক্সে রয়েছে বুঝতে না পারার ছোট ছোট বাক্স রহস্য। গোটা ব্যাপারটা মিটে যাওয়ার পর মনে হচ্ছে পিঠে ব্যাগ নিয়ে পরীক্ষা দিয়ে ফিরলাম; এখনও যথেষ্ট কোমরের জোর আছে নাকি বাড়ি বসে বসে বসে গেছি পুরাই! প্রথমবার বাড়ি বদলানোর সময় প্রতীক ছিল সাথে, দ্বিতীয়বার তুহিন আর গুড্ডু, এবার আমি ... ...
আমাদের জীবনের অনেককিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকেনা, এরকমটা আগে মনে হতো। এখন বুঝি যে আমাদের জীবনের কোনওকিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকেনা। মাঝে মাঝে এই সারসত্য ভুলে গেলে মহাজগৎ মনে করিয়ে দেয়। নিজেই সংকেত পাঠায় আবার যে, আসলে ঠিক এখানেই থাকার কথা ছিল এই মুহূর্তে। আগেরদিন একটা লেখায় ব্যান্ডেলের বাড়ি ছাড়ার সময়ের কথা লিখেছিলাম; কীভাবে পন্ডিচেরির অরোভিল নিকটবর্তী অঞ্চলে পৌঁছতে গিয়ে কলকাতার অরবিন্দ নগরে এসে আবিষ্কার করলাম পাড়ায় একটা অ্যাপার্টমেন্টের নাম অরোভিল। সেই বাড়ি ছেড়ে বেরোতে হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩১শে অক্টোবর। বেরোনোর কথা ছিল না, বেরোতে হয়েছিল। সেখান থেকে পাটুলি কিউ ব্লকের এই বাড়িতে এসে আবিষ্কার করলাম উল্টোদিকের জংলা জমিতে বেগুনি রঙের ফুল ... ...
শিরদাঁড়াটা উইপোকায় খেয়ে গেসলো। আধঘন্টা আগে পুরনো আলমারির পিছনে খুঁজে পেয়েছি ব্যাটাকে। অ্যাদ্দিন কাজুর ফুডস্ট্যান্ডের মাঝখানের রডটা দিয়ে কাজ চালাচ্ছিলাম। এখন জায়গার জিনিস জায়গায় সেট করে রডটা হাতে নিয়ে ভাবছিলাম উইপোকার বাসা ভাঙতে যাবো। তারপর ভাবলাম, ব্যাপারটা আগে ফেসবুকে লিখে ফেলি। কেননা, ফেসবুক করাটা খুবই জরুরি। একে তো গোটা পুজোতে আমার একটাও সেল্ফি নেই। এরকম চললে অচিরেই দেশবাসী আমারে ভুলে যাবে। তাতে অভাবনীয় ক্ষতি হয়ে যাবে এক্কেরে। না, আমার না; দেশবাসীর। তা, সেটা তো আর আমি হতে দিতে পারিনা। তাই কতটা ক্ষতি হবে না হবে অঙ্ক কষে বার করতে গেসলেম। এখন উত্তরটা দেখে নিজেই শিউরে শিউরে উঠছি। সেই উত্তরটা এখানে ... ...
ছোটবেলায় রেললাইনের ওপারের মাঠে একটা বন্ধ দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালে একটা ম্যাজিক হতো। ম্যাজিকটা কীরকম সেটা বলতে না যাওয়াই ভালো। কারণ ভাষায় প্রকাশ পেলে ম্যাজিকেরা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু ম্যাজিক যখন ঘটে, সেদিকে তাকিয়ে থাকা হাঁমুখ মানুষেরা মাথায় আর শরীরে বোঝে ম্যাজিকের ম্যাজিক। এসব মনে হয় গতজন্মের কথা হবে সবই। এখন ম্যাজিকটা হয় সত্যিই ম্যাজিক ছিল, নয়তো সেদিনের সেই বাচ্চা ছেলেটির বোধশক্তির সীমাবদ্ধতা। আজ বত্রিশ বছর বয়সে সেই দরজাটা খুঁজে বেড়াচ্ছি। দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেই জানা যাবে পৃথিবীতে ম্যাজিক বলে সত্যিই কিছু হয় কিনা! ... ...
আমি শুধু অভিনয়ই করছি না, আমি একজন অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করছি। মঞ্চের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ধরা যাক যদি বলি, "নমস্কার, আমি একজন অভিনেতা" তাহলে সেটাও তো অভিনয় করাই হলো। যদি আবারও বলি, "অভিনয় করছি না রে বাবা, সত্যি বলছি, আমি একজন অভিনেতাই;" সেটাও কি আমার অভিনয়ই নয়? অথবা হয়তো সত্যিই বলছি, কিন্তু পর্দা নামার পর এই সমস্তটাই আমার অভিনয় হিসেবেই জাজড হবে। কেউ বলবে, "আহা! কী সাবলীল," তো কেউ বলবে, "তেমন জমলো না।" অথচ আমি হয়তো শুধুমাত্র একটা সত্যি কথাই বলতে চেয়েছিলাম যে, আমি একজন অভিনেতা। আপনার চারিপাশে দেখবেন এমন কিছু হিপোক্রিট আছে যারা উঠতে বসতে সর্বক্ষণ নিজেরাই নিজেদেরকে হিপোক্রিট ব'লে যাচ্ছে। ... ...
এমনিতে আমার মেয়েটাকে দেখতে আবোলতাবোলের পাতা থেকে উঠে আসা একটা র্যান্ডাম চরিত্রের মতো। ওর মুখে যেন লেখাই আছে, "আমি একটা আবোলতাবোল!" তা, এর মাঝে শুনলেম মেয়ে একদিন তিন-তিনবার আমার হাতটাকে পাশবালিশের মতো জড়িয়ে ধরে শোওয়ার চেষ্টা করছিল। আমি তখন ঘুমোতেছিলেম, এবং তিনবারই নাকি আমি মেয়েকে মশা ভেবে হাত নাড়িয়ে অত্যন্ত বিচ্ছিরিভাবে তাড়িয়ে দিয়েছি। তাতে শেষবারের বার মেয়ে অত্যন্ত ক্ষেপে গিয়ে আমাকে "আই আই আই আই পপ" বলে উঠে বসেছে। আজকে আবার যেমন মেয়েটা অকারণ তুষার কাপুরের মতো "আ ই উ আ" বলে নাগাড়ে চেঁচিয়ে যাচ্ছিলো আর আমি পাত্তা না দিয়ে চা খাচ্ছিলেম। শেষটায় শ্রীপর্ণার আর সহ্য হলো না। সে "অ্যা-অ্যা-অ্যা-ই" ... ...
অপ্রাসঙ্গিক। লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে তাই লিখছি। ... ...
কিছুই না; মহাজগতের সুরে সুর মেলাইবার উদ্দেশ্যে নিজের মাথার তারগুলিরে টিউন করিতেছি। মহাজগত রক করিলে আমিই বা করিবো না কেন? ... ...