Angsuman Ghosh কে?
Angsuman Ghosh কী? আমি ঘরে থাকি। তাই ঘরটা আমার। আমার ঘরের পাশে একটা গাছ আছে। তাই গাছটা আমার। আমার বলেই গাছের ফুল, ফল, পাতা সব আমার। গাছের ডালে একটা মৌচাক হয়েছে। মৌচাকটাও আমার মৌচাকের মধুও আমার। মৌচাক থেকে মধু খেতে গিয়ে একটা মৌমাছি আমার দিকে তেড়ে এল। আমি গাছের একটা পাতা সুদ্ধ ডাল দিয়ে তাড়িয়ে দিতে গেলাম। মৌমাছিটা রেগে গিয়ে আমার হাতে হুল ফোটাল। রাগের জ্বালায় ... ...
(বিঃ দ্রঃ জনৈক অতিবাচালের অক্ষরবিন্যাশ। স্বভাব গম্ভীর পাঠক এই অপলিখনী পাঠে বিরত থাকবেন।) আই লাভ ফুলকপি পাড়ায় নতুন একটা মোমোর দোকান হয়েছে। শুনলাম সেখানে নাকি ফুলকপির মোমো পাওয়া যাচ্ছে। সকাল সকাল তারই খবর নিতে যাচ্ছিলাম, রাস্তায় ফুলকপির সঙ্গে দেখা। পাতাশুদ্ধ ডাঁটাগুলো দুলিয়ে দুলিয়ে যাচ্ছে। পকেট থেকে চিরুনী বার করে চুলটা ঠিক করে বললাম - কোথায় চললে?- বিউটি ... ...
বিমান উড়ে গেলেতার দুঃখী ছায়া পড়ে রানীকুঠিপুকুরেবিমান সূর্যের দিকে উড়ে যায় তৎসবিতুর্বরেণ্যম্দুঃখ পড়েন জলেদুঃখের রং কালোঅন্ধকার হয়ে আসে-রূপক চক্রবর্তী৪ঠা জানুয়ারী ২০২০, সন্ধ্যা আনুমানিক ছটা। রবীন্দ্রসদন-নন্দন চত্বরের জীবনানন্দ সভাঘরে আমার মত কয়েকজন সাধারণ মানুষের উপস্থিতি উপেক্ষা করলে পুরোটাই চাঁদের হাট। বাংলা সাহিত্যের অধিকাংশ তারকা ও কুশীলবরা উপস্থিত ছিলেন শূন্য দশকের লিটল ম্যাগাজিন "কাহ্ন" পত্রিকার সমগ্র সংকলন প্রকাশের উদ্বোধনে। প্রকাশ ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন পরম্পরা। আক্ষেপ হয়, দেরিতে চর্চা শুরু করার জন্য নব্বই দশকের কবিদের, যাঁরা আমারই প্রজন্মের, তাঁদের বেশিরভাগই আমার পরিচিত নন। সেদিন ঐ অনুষ্ঠানে কাহ্ন পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যে সব কবিরা, তাঁদের অনেকেই উপস্থিত থেকে কবিতা পাঠ করেছিলেন, তখনই ... ...
অনেকদিন পর দূর থেকে ভেসে আসা চেনা সুরে রহমতের গলার আওয়াজ পেয়েই বুঝলাম ও ঠিক আমার বাড়ি আসবে ৷ রহমত মানে কাবুলিওয়ালা নয়, সে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মগরাহাটের বাসিন্দা। তার পেশা পুরোনা বইখাতা, কাগজ, লোহালক্কড় বাড়ি বাড়ি থেকে কিনে মহাজনের কাছে বিক্রি করা। কোন বাড়ি থেকে বই বা পত্রিকা পেলেই ও আগে আমার কাছে নিয়ে আসে, আমিও বেছেবুছে কিনে নিই। সংগ্রহযোগ্য হলে রেখে দিই বা পড়া হয়ে গেলে পরের বার আবার ওকেই কম দামে বিক্রি করে দিই। ভাবতে ভাবতেই দরজার কাছে এসে ডাক দিল- দাদা কিছু বই পত্তর এনেছি গো। দরজা খুলে দেখি মাথার ঝাঁকাটা সামনে ... ...
Angsuman Ghosh আঁতেল হতে পারলেননা। তাঁর পড়ার উপযুক্ত বইঃ রণপাধারী দস্যু ... ...
সরলকান্তি বিশ্বাস একজন গোবেচারা মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবী মাঝবয়সী বাঙালি ভদ্রলোক। কয়েক দিনের জন্য অফিসের এ্যাসোসিয়েশনের সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতা থেকে মফস্বলে এসেছেন। জায়গাটা খুব জমজমাট। জ্যাম-জমাটও বটে। রিক্সা-সাইকেল ভ্যান, জলের বালতি-দুধের ক্যান, সবুজ সাথী-হলুদ স্কুটি, বোঝার ওপর শাকের আঁটি, নটেডাঁটা-বাঁধাকপি, তৃণমূল-বিজেপি, টাটা ম্যাজিক-ছোটহাতি, একেবারে যা তা। মফস্বলের রেলস্টেশন সংলগ্ন বাজার এলাকা যেরকম হয় আর কি। রাস্তার একধারে দাঁড়িয়ে ব্যাস্ত সকালের পরিবেশটা জরিপ করছিলেন। একটা উদ্দেশ্যও রয়েছে, ওষুধ কিনতে হবে। কিছুদিন আগে খুব পায়ের ব্যাথায় ভুগেছিলেন। কিছুতেই ব্যাথা না কমায় বাধ্য হয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলেন। রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ল ইউরিক এসিডের মাত্রা খুব বেশী। শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শে হোমিওপ্যাথিকে গেলেন, তাইতে নাকি রোগ নির্মূল হয়ে যাবে। হোমিওপ্যাথিক ওষুধে সরলবাবুর উপকার হচ্ছে বটে, কিন্তু ভুল করে ফেলেছেন ওষুধটা সঙ্গে ... ...
আয় করে ছাড় ?নাকি আয়করে ছাড়? ... ...
হেডস্যার কামড়ে দিলেন (২য় ও শেষ পর্ব ) আগের কথাঃ টেলিভিশন চ্যানেলে খবর প্রচারিত হয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেই স্কুলেরই এক ছাত্রকে কামড়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সাংবাদিকরা স্কুলে ও হাসপাতালে পৌঁছে সেখানকার খবর জানাতে থাকেন, পাশাপাশি চ্যানেলের স্টুডিওতে বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কামড়ানোর ওপর আলোচনা চলতে থাকে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে টেলিভিশন চ্যানেলে বক্তব্য ... ...
হেডস্যার কামড়ে দিলেন (১)এক বাচালের অলসমস্তিষ্ক প্রসূত অতিকষ্টকল্পিত গঞ্জিকাসেবী ঘরানার শব্দজঞ্জালবিধিসম্মত সতর্কিকরন:তিতকুটে চিড়বিড়ে ঝালগিললেই জ্বালা শুরুহজম নাহলে কালসকালেও জ্বলবে গুরুটিভি চ্যানেল: অনাবিল নিরানন্দ- আতঙ্কে থাকে আতঙ্কে রাখেনমস্কার আজকের বিশেষ বিশেষ খবর হল গরলপুরে পারিবারিক কলহের কারণে এক মহিলা আত্মহত্যা করার জন্য স্থানীয় দোকান থেকে বিষ কিনে খান। অনেকক্ষণ কেটে যাবার পরও তিনি জীবিত থাকেন ও কোনরকম শারীরিক অসুস্থতা না দেখা দেওয়ায়, ঐ বিষ প্রথমে বাড়ির বেড়াল, তারপরে তাঁর শাশুড়ি ও স্বামীকে খাওয়ান। কিন্তু তাঁরাও সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকায় বিষয়টি স্থানীয় ক্লাবে তাঁর পাড়াতুতো দুপুর ঠাকুরপোদের জানান। ক্লাবের সদস্যরা দোকানে চড়াও হয়ে নকল বিষ বিক্রির অপরাধে দোকানদারকে প্রথমে নিগ্রহ করেন ও ... ...
তখন কলেজ টলেজে পড়ি। সরস্বতী পুজোর দিন নিয়ম করে মেয়েদের স্কুলের সামনে ঘোরাঘুরি করছি, যেমন আগের কয়েক বছর ধরে করে আসছি। সঙ্গে এক বন্ধু আছে। সে অবশ্য এইসব "বিষয়ে" বেশ পারদর্শী। আমরা তার পরামর্শ নিই, এবং সেই পরামর্শ অনেকেরই কাজে এসেছে। সে আমাকে বলল - শোন সরস্বতী পুজোর দিন কোন অচেনা স্কুলের মেয়ের সঙ্গে ঘুরতে টুরতে যাবি না। জিজ্ঞেস করলাম কেন? সরস্বতী পুজোর দিনই তো ভালো, পবিত্র দিন, পড়াশোনার চাপ নেই, টিচাররা স্কুলের মধ্যেই ব্যাস্ত।বন্ধুটি বলল - তোর দ্বারা কিস্যু হবেনা ( ঠিকই বলেছিল, কিসুই হয়নি) বললাম অচেনা মেয়ের সঙ্গে।- আরে অচেনা তো চেনা হয়ে যাবে, আগে তো কেউ রাজি ... ...