Jaydip Jana আপনি দেশপ্রমী না রোদ্দুর রায়? ... ...
Jaydip Jana আঁতেল হতে পারলেননা। তাঁর পড়ার উপযুক্ত বইঃ কাকাতুয়ার কান্না ... ...
নিজের মনেই নিজের চারপাশে একটা শক্ত পাঁচিল তুলেছিল রূপ। সময়ের হিসাবে কতগুলো বছর। সাধারণ মেলামেশায় এইচ আইভি ছড়ায় না জানার পরেও প্রথম দিনই সামনের মানুষটার আইসক্রিমের বাটিতে চামচ ডুবিয়ে তাই থমকে গেছিল ও। সবকিছু জানলেও মনে মনে ভেবে ওঠা কথাটা মুখ দিয়ে বেড়িয়েই গেছিল "স্যালাইভাতে কত পারসেন্ট HIV থাকে!" মজা করে বিষয়টার নিষ্পত্তি হলেও সামনের মানুষটা বুঝে গেছিল ওর মনের ভেতরের শুম্ভ নিশুম্ভের লড়াইটা। ... ...
সৌরদীপ কাজের প্রয়োজনে যেহেতু অন্য শহরে থাকে তাই বিভিন্ন কাজকর্ম কিংবা ছবি তোলার জন্য সপ্তাহান্তে ওকে কোলকাতা আসতেই হয়। একটা সময় ছিল, কোলকাতা এলে ঋজুর বাসায় রাত্তিরটুকু থেকে নিজের কাজকর্ম , ছবি তোলার পাট চুকিয়ে আবার পরেরদিন নিজের কর্মস্থলে ফেরত যেত ও। ঋজুটা কোলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়ায় কোলকাতায় থাকার ঠেকটা নড়বড়ে হয়ে গেছে সৌরর। কখনও কোনও বন্ধুর মেস, নয়তো অন্য কারও বাড়ি। তাতে যদিও নিজের স্বাচ্ছন্দ্য নেই। ... ...
চিত্র ১ ধরে নেওয়া যাক ছেলেটির নাম শুভ। ১৪/১৫ বছরের( বয়স শুধু নম্বরমাত্র) ছেলেটি আর একটি ছেলের প্রেমে পড়ল, উথাল পাথাল প্রেম, বয়সে তুলনায় বড় তার সঙ্গীটি চাইলেন বিনা কন্ডোম এ সেকস করতে, সে রাজীও হল, কিছুদিন বাদে আর সম্পর্কটি দানা বাঁধলনা। কিছুদিন মন খারাপ, আবারও কেউ তাকে প্রেম নিবেদন করল, এবারে শুরুটা কনডম দিয়ে হলেও কিছুদিন বাদে সেটা বন্ধ হল, কেননা শুভ মনে করে নিজের লোকের সাথে কন্ডোম ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, তার ওপরে তার তো বাচ্চাকাচ্চা হবেনা সে কেন কন্ডোম ব্যবহার করবে? এভাবেই একটার পর একটা সম্পর্ক আসে, প্রেমজ ভাবনায় তাই কোথাও কখনও কন্ডোম আসে কখনও আসেনা... চিত্র২ রাজু মনে মনে মেয়েলি হলেও স্কুলে ... ...
আমার মা সাজতে ভালবাসত, বিয়ের পর তার শাশুড়িসম অল্পবয়সে বিধবা বড় ননদ ফতোয়া দিয়েছিলেন নখপালিশ পরা হাতে ভাশুর দেওরদের পাতে ভাত দেওয়া মানায় না। পারলারে গিয়ে আই ব্রো শেপ করা, ঠৌঁটে ডার্ক লিপস্টিক ওসব নাকি ভদ্রঘরের বৌএদের মানায় না। তার অবিবাহিত ননদরা শুনেছিলেন, ছাদে কাপড় মেলতে গিয়ে কোথাও কোনও বাড়ীর বউ অন্যকারও সাথে প্রেম করত, আর তাই ছাদে উঠে আকাশ দেখা তো অনেক দূর কাপড় মেলাও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল একসময় মানুষটার। দ্বিগুন বয়সী পতিদেবটিও দিদি দাদা বৌদিদের সাথে তালে তাল দিতে ভুলতেন না। গ্রাম থেকে শহরে বিয়ের পর কলেজপড়ুয়া মেয়েটিও মুখবুজে মেনে নিয়েছিল সবকিছু শান্তি বজায় রাখতে। ... ...
ভালবাসলে যত্ন করতে হয়... সানলাইটের বিজ্ঞাপনটা দেখতে দেখতে মনে হল যত্ন কারে কয়? রোজ সকালে গুডমর্নিং, রাতে গুড নাইট বলাটা কারো কাছে যত্ন, আবার কাউকে তার পছন্দের জামাকাপড় কিনে দেওয়াটা কারো কাছে যত্ন, নয়ত সঙ্গে করে নাটক- সিনেমা -বেড়াতে- বাইরে খেতে নিয়ে যাওয়াটা যত্ন, কিংবা সকালে চা বানিয়ে দেওয়া থেকে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত অন্যের স্বাবলম্বনে হস্তক্ষেপ করে চলাটা( উদাহরণ শেষ হবে না) যদি যত্ন হয়, তাহলে অপ্রকাশিত যত্নগুলো কি যত্ন নেওয়া নয়? কখনও কখনও মনে হয় আসলে এও একটা খোপে বসানোর রাজনীতি! এই নরম্যাটিভ ভাবনার ধ্যানধারণা, তথাকথিত আদিখ্যেতাগুলো ( মতান্তর থাকতেই পারে) চারপাশে এত বেশি প্রকট যে আমরাও তার ফাঁদে পড়ে ... ...
প্রেম তো ভাই সোনার পাথরবাটি। এ এক তীব্র অনুভব। যা কখনও উদ্দামতায় ভাসায় আবার কখনও বুকের মাঝে এক ফোঁটা আশ্রয়। নিন্দুকেরা বলে আজও তো আমি কল্পনায় বাঁচি, চিরকালই তাই চোখবুজে থাকি, সত্যিটা বোঝার বোধ আমার নেই, তাই সত্যি প্রেম ধরা দিল না আজও। ... ...
ভালবেসে ভালবাসার প্রতিদিনের রোজনামচায় থাকাটা সমাজের নির্মাণ। নাকি সেটা আসলে আত্মপ্রেম প্রতিদিনের আত্মপ্রত্যয়। নিজেকে খুঁজে পাওয়া.. প্রতিদিনের থোড় বড়ি খাড়া প্রেম কিংবা রাঁধার পর খাওয়া নয়তো খাওয়ার পর রাঁধা সম্পর্কের অভ্যাসটা আপাতদৃষ্টিতে সুখের সংজ্ঞা হলেও সে সুখ বোধ হয় কেউ কেউ চায়না তাই তো "সুখে থাকতে ভুতে কিলোয়"। এলোমেলো ভাবনার ভুত। স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় অনুভুতি গুলোর চাওয়া পাওয়ার সাথে সাথে আমার মধ্যেও অন্য একটা আমি আছে। ভালবাসাটাও নিজের কাছে নিজের অ্যাসাইনমেন্ট। "মধুর তোমার শেষ যে না পাই... " ... ...
নিজের কৈশোরকালে জানতাম ছেলে হয়েও আমার ছেলেদের ভাল লাগে। হোমো শব্দটা হোমোসেপিয়েন্সের বদলে কেন যে হোমোসেক্সুয়াল বোঝাতে ব্যবহৃত হতো সে হিসেব আজও মেলেনি। জানতামও না টপ বটম কাকে বলে, মুঠোফোনের জমানা তখনও শুরু হয়নি। ইনটারনেট কম্পিউটার স্কুল জীবনে তখনও অধরা। হিজড়া পেশার মানুষজনদের দেখলে তখনও অবশ্য ভয় পেতাম তাদের চলন বলনে। কতি পারিক ডুপ্লি শব্দ জানলাম এইচ আইভি ইন্টারভেনশনের হাতধরে। আর সেই সুত্রে হিজড়া পেশার সম্পর্কে সম্যক ধারণায় ভয় ভেঙে ভালবাসায় পরিণত হল নিজেরই অজান্তে। তার আগেও ভাবতাম ধরাধামে আমিই বোধ হয় এমন ছেলে হয়েও সিনেমা দেখতে গিয়ে বা উপন্যাস পড়তে গিয়ে নায়কের স্বপ্নে বুঁদ হয়ে যাই । অথচ নিজেকে ... ...