ঘোড়া ছিল মঙ্গোল বাহিনীর আরেকটি গোপন অস্ত্র। মঙ্গোল বাহিনীর প্রতিটি যুদ্ধে অপরিহার্য অংশ ছিলো তাদের ঘোড়াগুলো। অত্যন্ত দ্রুততার সাথে ছুটতে পারতো মঙ্গোল ঘোড়া। দিনে প্রায় ১০০ মাইল পথ পাড়ি দেয়া সম্ভব ছিলো তাদের দ্বারা। ফলে পদাতিক বিশাল বিশাল বাহিনী এদিকে পিছিয়ে পড়তো মঙ্গোলদের চেয়ে। এই ঘোড়াগুলো ছিলো তুলনামূলক ছোট আকারের। তবে তাদের শক্তি ছিলো চোখে পড়ার মতো। দীর্ঘ সময় ধরে একটানা দৌঁড়ে যেতে পারতো ঘোড়াগুলো। ফলে মঙ্গোল বাহিনীর ঝড়ের বেগে গিয়ে কোথাও আক্রমণ হানার পেছনে অন্যতম মূল চালিকাশক্তি হিসেবে যে দ্রুতগামী এ ঘোড়াগুলো কাজ করতো, তা বোধহয় না বললেও চলে। এছাড়া ঘোড়ার দুধ থেকে তৈরী করা হতো দই, পনির ও আইরাগ নামক একপ্রকার ... ...
ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের জটিল খেলায় সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭৯ সালে আফগানিস্তান দখল করে নেওয়ার অভিযানে নামে। আফগানিস্তান বিভিন্ন মুজাহিদিন গ্রুপ তৈরি করে পাল্টা লড়াই শুরু করে। চিরশত্রু সোভিয়েত ইউনিয়নকে কাবু করার সুযোগ দেখতে পেয়ে আমেরিকা মুজাহিদিন গ্রুপকে সাহায্য দেওয়া শুরু করে। এই যুদ্ধের খরচ টানতে গিয়ে অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়।এরপর নাইন ইলেভেনের অজুহাত তুলে আমেরিকা আফগানিস্তান দখল করে নেয়। এবার সোভিয়েত ইউনিয়নের উত্তরসূরী রাশিয়া এগিয়ে আসে আফগানিস্তানের সাহায্যে। ২০ বছর রক্তাক্ত লড়াইয়ের পর তারাও একদিন আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।এরপর দীর্ঘদিন আফগান সরকারের তেমন কোন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছিল না। ভূরাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের জটিল হিসাবের প্রয়োজনে ... ...
কাঠবিড়ালি! কাঠবিড়ালি! পেয়ারা তুমি খাও?গুড়-মুড়ি খাও? দুধ-ভাত খাও? বাতাবি-নেবু? লাউ? কাজী নজরুল ইসলামের শিশুতোষ এই ছড়াটি পাঠ করলেই লেজ উঁচিয়ে পুটুস পাটুস দৌড়ে বেড়ানো এক নিরীহ প্রাণীর কথা মনে পড়ে। প্রাণীটির নাম কাঠবিড়ালি। প্রকৃতির এক নিরীহ প্রাণী কাঠবিড়ালি, যাদের আমরা প্রায়শই দেখি গাছের ডালে লাফিয়ে বেড়াতে বা বাদাম খুঁজে বেড়াতে। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই ছোট্ট প্রাণীগুলো বন সৃষ্টির পেছনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে? প্রতিটি শীতের আগে কাঠবিড়ালিরা প্রচুর বাদাম সংগ্রহ করে এবং বিভিন্ন জায়গায় মাটির নিচে পুঁতে রাখে, যেন প্রয়োজনের সময় খুঁজে বের করে খেতে পারে। এটি তাদের টিকে থাকার একটি স্বাভাবিক পদ্ধতি। কিন্তু সমস্যাটা হয় তখনই, যখন তারা ভুলে যায় বাদামগুলো ... ...
১৯৬৭ সালের ৫ই জুন দখলদার হিজড়াইলী বিমানবাহিনী মিসরের উপর আক্রমণ করে। হিজড়াইলের এই অন্যায় আগ্রাসনের দ্বারা সূচনা হয় ৬ দিনের আরব হিজড়াইল যুদ্ধের। হিজড়াইলের লক্ষ্য ছিল মিসরের শক্তিশালী বিমানবাহিনীর দিকে। ধূর্ত হিজড়াইলী পাইলটেরা মিসরীয় রাডারকে ফাঁকি দিতে উত্তর দিকে ভূমধ্যসাগর ঘুরে ভিন্ন রাস্তা দিয়ে মিসরের দিকে উড়ে যায় এবং সফলভাবে মিসরীয়দের বোকা বানায়। মিসরীয়রা অবশ্য "বোকা" হবার জন্য যেন বসেই ছিল। ৩০০র বেশি বিমানকে তারা কোনো প্রকার বাঙ্কার বা সুরক্ষা ছাড়াই বিমানঘাঁটির মধ্যে ল্যান্ড করিয়ে রেখেছিল। আকাশ থেকে বিমানগুলো একেবারে সহজেই দেখা যাচ্ছিল। মিসরীয় সামরিক বিশ্লেষক হুসাম সোয়েইলাম ১৯৬৭র যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেনঃ "আমাদের (যুদ্ধ) বিমানগুলো এমনভাবে ল্যান্ড করে রাখা ছিল যেন ... ...
Former General of the US Army Wesley Clark on the military strategy after 9/11 attacks: "We are going to take out 7 countries in 5 years: Iraq, Syria, Lebanon, Libya, Somalia, Sudan and finishing it off with Iran" নাইন ইলেভেনের পর মার্কিন জেনারেল ও নাটোর সুপ্রিম কমান্ডার ওয়েলেসলি ক্লার্কের একটা গোপন মেমো উইকিলিক্স পরে ফাঁস করে দিয়েছিল। সেখানে পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ আছে যে আমেরিকার নেতৃত্বে ইসরাইল ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলি মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলিকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করবে। প্রথমে ইরাক ও সিরিয়াকে ধরা হবে। এরপর লেবানন লিবিয়া সোমালিয়া ও সুদানকে ধ্বংস করা হবে। সর্বশেষে ধরা হবে ইরানকে। সম্প্রতি ইসরাইল ইরানে হামলা শুরু করেছে। আমেরিকা ... ...
সম্প্রতি আফগান সরকার এক যুগন্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে- কোন সরকারী চাকুরিজীবি যদি আফগানিস্তানের বাইরে তার কোন সন্তানকে পড়াশোনা করতে পাঠায় তবে তাকে চাকুরি ছাড়তে হবে। এর কারণ হিসাবে আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি টোলো নিউজকে জানান যে বিগত ঘানি সরকারের আমলে, সরকারি আমলারা - প্রথমে তাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠাত উচ্চ শিক্ষার জন্য।এরপর তারা তাদের সম্পদ সেখানে পাঠাত।এরপর সেখানে বাড়ি, ঘর কিনত। সন্তানরা সেখানে নাগরিকত্ব নিত।এরপর সুবিধামত সময়ে তারা আফগানিস্তান ছেড়ে দুবাই, আমেরিকা, কানাডা, সুইডেনে পাড়ি জমাত। এভাবে দেশের সম্পদ পাচার হত। কিন্ত এখন থেকে কারোর যদি পরিবারের সদস্যদের বাইরে পাঠানোর ইচ্ছা থাকে তবে যেন সে আগে আফগান জনগণের চাকুরি ছেড়ে দেয়। এটা ইসলামিক আমিরাত, ... ...
তেঁতুল শব্দটি শোনামাত্র ভারতীয় নারীদের জিভে জল এসে যায় এটা অতি পুরনো কথা। তেঁতুলের আচার, চাটনি, শরবত ভারতীয় পুরুষদেরও সমান প্রিয়। তেঁতুলকে ইংরেজিতে বলা হয় ট্যামারিন্ড। এই শব্দটি এসেছে আরবী তামার ই হিন্দ থেকে। প্রাচীনকালে আরবে তেঁতুল পাওয়া যেত না। এশিয়া থেকে তেঁতুল পারস্য হয়ে স্থল বাণিজ্য রুট ধরে আরবে পৌঁছায়। আরবিতে খেজুরকে বলা হয় তামার আর ভারতকে তারা হিন্দ নামে চিনতো। নতুন জিনিসটার সাথে আরবীয় খেজুরের কিছুটা মিল দেখে তারা এর নাম দিয়ে ফেলে, তামার ই হিন্দ অর্থাৎ ভারতীয় খেজুর।এই তামার ই হিন্দ শব্দ থেকে পরবর্তীতে ইংরেজি ট্যামারিন্ড শব্দের উৎপত্তি হয়। ... ...
জর্জ অরওয়েলের 1984 উপন্যাসটা যারা পড়েছেন তাদের নিশ্চয়ই জানা আছে ওই উপন্যাসে এমানুয়েল গোল্ডস্টেইন নামে একটা রহস্যময় চরিত্র আছে। .ওই বইয়ের অরওয়েল দেখিয়েছেন কিভাবে একটা টোটালিটারিয়ান রাষ্ট্র টিকে থাকতে হলে একটা ছদ্ম শত্রুর ( Shadow Enemy ) উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরী। গোল্ডস্টেইন হচ্ছে অরওয়েলের সেই ছদ্ম শত্রু।.টোটালিটারিয়ান রাষ্ট্রের যাবতীয় ব্যর্থতার দায়ভার কৌশলে ঐ ছদ্ম শত্রুর উপর চাপানো হয়ে থাকে। যার ফলে রাষ্ট্রযন্ত্র নিরাপদ থাকে এবং জনগণের উপর আরো অধিক নিয়ন্ত্রণ লাভ করে।.জনগণের উপর যত বেশি নিয়ন্ত্রণ টোটালিটারিয়ান রাষ্ট্র তত নিরাপদ। উপন্যাসের একদম শেষে এসে নায়ক জানতে পারে ওই ছদ্ম শত্রু আর কিছুই না। বরং হেড অফ স্টেট সিকিউরিটির একটা ফেক আইডি মাত্র।.আজ ... ...
উত্তর ব্রাজিলে আমাজন নদী ও আটলান্টিক মহাসাগরের সংযোগস্থলে অবস্থিত মারাজো দ্বীপ। এই এলাকার পুলিশের টহলদারির চালানোর এক অনন্য উপায় গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছে। এখানে পুলিশ টহল দেয় এশিয়ান জল মহিষের পিঠে চড়ে। মারাজোর এই পুলিশ বাহিনীকে বলা হয়, ‘বাফেলো সোলজারস’। প্রায় তিন দশক আগে যখন মারাজোতে বন্যা হয়, সেইসময় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শনের জন্য এই প্রাণীদের ব্যবহার করা শুরু হয়। বর্ষাকালে এখানকার কর্দমাক্ত ম্যানগ্রোভ অঞ্চল ... ...
তেল আবিষ্কারের পূর্বে সৌদি আরবের বসতবাড়িগুলি ছিল পাথর ও কাদামাটি দ্বারা নির্মিত। দাম্মামে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে তেল উত্তোলনের পরপরই বদলে যেতে থাকে সৌদি আরবের শহরগুলি। দাম্মামে তেল পাওয়ার সম্ভাবনার ব্যাপারে প্রথম ধারণা দিয়েছিল এক সৌদি মরু গাইড। ১৯৩৩ সালে তেল অনুসন্ধানের কাজ শুরুর পর মার্কিন কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড অয়েল অব ক্যালিফোর্নিয়ার পক্ষ থেকে তৎকালীন সৌদির পূর্বাঞ্চলীয় আমির আবদুল্লাহ আল জালাবির কাছে একজন মরুবিশেষজ্ঞ গাইড চাওয়া হয়। তখন আমির খামিস বিন রিমছানকে তাদের সঙ্গে দেন। গাইডের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় ড্রিলিং করতেই বেরিয়ে আসে তেল। এরপরে পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই তেল পাওয়া শুরু হয়। পেট্রো ডলারের প্রভাবে হাজার বছরের মরু সভ্যতা বদলে যেতে শুরু করে। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের ... ...