এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • রাষ্ট্র এবার নিজের ম্যাও নিজে সামলাক

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ নভেম্বর ২০২৫ | ২৯৭ বার পঠিত
  • গোদি মিডিয়া আপনাকে যেটা কিছুতেই দেখাবেনা, সেটা হল মতুয়া এবং দলিতদের একাংশ নিঃশর্ত এবং দ্বৈত নাগরিকত্বের দাবী তুলেছেন এবং সেই দাবী ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। এই একই কথা আমি বহুবছর ধরে বলছি, কারণ, অনুপ্রবেশ নামক যে গল্পটা তৈরি করা হচ্ছে, সেটাই অলীক। বাংলা যখন ভাগ হয়, তখন অনুপ্রবেশ কথাটা কেউ শোনেনি, সীমান্তে চলাচলে কোনো বাধা ছিলনা। কারণ, স্বাধীনতা আর দেশভাগ ব্যাপারটাই ছিল উদ্বাস্তু তৈরির সযত্ননির্মিত কল। বাংলার বুকে একটা লাইন টেনেছিলেন একজন ইংরেজ, যিনি কী করছেন, সেটা নিয়ে তাঁর কোনো ধারণা ছিলনা। উঠোনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল লাইন, প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে হয়েছিল দাঙ্গা, স্থানচ্যুতি, মৃত্যু, হাহাকার। অনুপ্রবেশ কথাটাই হাস্যকর ছিল, কারণ, এই স্থানচ্যুতিটা পরিকল্পনামাফিক ঘটানোর জন্যই তো ওই লাইন টানা। এর কোনো দায়িত্ব ভারত সরকার নেয়নি। হিন্দুত্ববাদী শ্যামাপ্রসাদের কথা ছেড়েই দিন। ওদের একটাই কথা ছিল, নিজের ম্যাও নিজেরা বুঝে নাও। আমরা শুধু চুষে নেব। 

    সেটাই হয়েছে। বাঙালি উঠোন টপকে চলাচল করেছে। উদ্বাস্তু হয়েছে। নিজের ম্যাও নিজে সামলানোর চেষ্টা করেছে। বাঙালির শিল্প-কারখানা থেকে সংস্কৃতি-কারখানা সব একটু একটু করে গোল্লায় গেছে। উত্তরভারতের নেতারা আঙুল উঁচিয়ে বলেছেন, দেখো, এই ব্যাটারা পলিটিক্স করে সব গোল্লায় দিয়েছে। কথাটা সর্বৈব মিথ্যে। একটা এলাকার বাজার অর্ধেক হয়ে গেলে, সমস্ত ব্যাংক লালবাতি জ্বাললে, ঘাড়ের উপর মাশুল-সমীকরণ চাপলে কোন গুজরাতি কত উন্নতি করত দেখা যেত। কিন্তু বাঙালি এই দায় ঘাড় পেতে নিয়েছে। অন্যায্যভাবেই নিয়েছে। মর্ষকামী জাত। কিন্তু তার পরেও, অনুপ্রবেশ কথাটা তখন শোনা যায়নি, কারণ, স্মৃতি তখনও টাটকা ছিল, ওটাও ঘাড়ে চাপালে বাঙালি ক্যাঁক করে ধরত। তোমাদের জন্য উদ্বাস্তু হলাম, কোনো দায়িত্ব নাওনি, এখন বলছ অনুপ্রবেশ? 

    অনুপ্রবেশ কথাটা শোনা যায়নি একাত্তরেও। খানসেনাদের আক্রমণে তখন ওপারের বাঙালি জর্জরিত। মুক্তিযুদ্ধ চলছে। বহু মানুষ সীমানা টপকে এসেছেন। ইন্দিরা গান্ধি যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। জয় বাংলা স্লোগানের জন্ম হল। দুই বাংলা তখন ভাই-ভাই। কিন্তু এত লোককে জায়গা দেওয়া হবে কীকরে? তখনও অনুপ্রবেশ বলার প্রশ্নই নেই। তাহলে ভারত রাষ্ট্রের জয়গাথা ব্যাহত হবে। ফলে সাপও মরবে লাঠিও ভাঙবেনা, এইরকম একটা নীতি নেওয়া হল। আবারও, কেউ কোনো দায় নিলনা। কিন্তু দলে-দলে লোককে পাঠিয়ে দেওয়া হল আন্দামান, দণ্ডকারণ্যে। যুদ্ধ তারা বাধায়নি। ওই অনুর্বর জায়গায় তারা বাঁচবেই  বা কীকরে? কিন্তু আবার বলা হল, নিজের ম্যাও নিজেরা বুঝে নাও।  

    তো, সে ম্যাওও বাঙালি একররম করে বুঝেছে। মরিচঝাঁপি হয়েছে ৭৮ এ। কিন্তু তখনও অনুপ্রবেশ কথাটা শোনা যায়নি। বলার জমি তৈরি হয়েছে মাত্র। সেটা শোনা গেল ৮০ নাগাদ। আসাম থেকে। বহু মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে, ত্রিপুরায় এবং আসামে। সে যুদ্ধ তাঁরা বাধাননি। দুই দেশের সরকারও খুব পরিষ্কার ভাবেই ঠিক করেছিল, আমরা উদ্বাস্তুদের দায়িত্ব নেবনা, নিজের ম্যাও এরা নিজেরা বুঝুক। আশির দশকে হঠাৎই আসামের উগ্র জাতীয়তাবাদীরা জেগে উঠে বললেন, এত অনুপ্রবেশ কেন। আমাদের সব্বোনাশ হয়ে যাচ্ছে। শুরু করলেন আরেক দফা বঙ্গাল খেদা। কয়েকখানা বড়বড় গণহত্যা ঘটিয়ে ফেললেন। এইবার ভারত সরকারের টনক নড়ল। ঠিকই তো, এদের নিজেদের ম্যাও নিজেদের সামলাতে বলেছি বটে, তা বলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসবে? এত সাহস? এ কী কাণ্ড। ভাবখানা এমন, যেন জানতেনই না, এইসব হচ্ছে। তাঁরা উগ্র জাতীয়তাবাদীদের সঙ্গে চুক্তি করে ফেললেন। গণহত্যার পাপ মকুব হয়ে গেল। দোষ হল বাঙালিদের। তাদের এবার প্রমাণ করতে হবে, তাঁরা বাংলাদেশী নয়। এতদিন যে তাহলে বললেন, এসেছ বেশ করেছ, কিন্তু কোনো দায় নেবনা, নিজের ম্যাও নিজে সামলাও, তার কী হল? সরকার বাহাদুর, এবং সমস্ত দল হাত উল্টে বলল, তার আমরা কী জানি? এই ম্যাওটাও নিজেরাই সামলাও। 

    এটা আশির দশকের মাঝামাঝি। তারপর থেকেই শোনা গেল অনুপ্রবেশকারীতে ছেয়ে গেছে বাংলা এবং ভারত। এর হাত ধরেই ক্রমশ এনআরসি। ২০০৩ এর নাগরিকত্ব আইন। তখনও চক্ষুলজ্জা ছিল। একটু আড়াল রেখে রইয়ে সইয়ে করা হচ্ছিল সব। নতুন সরকার আসার পর, স্টিমরোলার চালানোয় আর কোনো বাধা নেই। বাঙালি ঠ্যাঙানো হচ্ছে গোটা দেশ জুড়ে। চালু হচ্ছে এসআইআর। সব বাঙালিকে প্রমাণ করতে হবে তারা ভারতীয়, নইলে ডান্ডা অপেক্ষা করছে। কীকরে প্রমাণ করবেন? সরকার বাহাদুর হাত উল্টে বলছেন, তার আমরা কী জানি, নিজের ম্যাও নিজে সামলাও। 

    তো, এইবার বাঙালির বলার সময় এসেছে, যে, সব ম্যাওই বাঙালির নয়। কেন্দ্রীয় সরকার দায়িত্ব নিক। আমরা উঠোনের মধ্যে লাইন টানিনি। আমরা উদ্বাস্তু তৈরির কল তৈরি করিনি। আমরা ৭১ সালে যুদ্ধ করে তার গৌরবের দাবী নিইনি, বরং দণ্ডকারণ্যে গেছি, আন্দামানে গেছি। যারা এগুলো করেছে, তারা দায় নিক। যারা উঠোনের মধ্যে লাইন টেনেছে, যারা নিজের ম্যাও নিজে সামলাতে বলেছে, যারা আসতে বলেছে, তারা নিঃশর্ত এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব দিক। সোজা কথা। তার জন্য যা আইন-টাইন সংশোধন করার, করুক। লাইন টানার সময়, যুদ্ধ করার সময়, উদ্বাস্তু তৈরির সময়  তো পরামর্শ নেয়নি, এবার নিজেদের ম্যাও নিজেরা সামলাক। এবং এর সঙ্গে আসল দাবীটা শুধু এইটুকুই না। সেটা হওয়া  উচিত, যে, বাঙালির এই আটদশকব্যাপী বিপুল ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিক। কীকরে দেবে, সেটা দুই দেশের সরকার বুঝে নিক। নিজেদের ম্যাও নিজেরা সামলাক।

    পুঃ এই দাবীটা কিন্তু মাটির দাবী। কিন্তু কোনো দল সাহস করে তুলতে পারবেনা, কারণ, গোদি-মিডিয়া এমন একটা আবহাওয়া তৈরি করে রেখেছে, যেন জনমত উল্টোদিকে। ওসব গুল্পকথায় কান দেবার কোনো মানে নেই। সেই জন্যই গোদি মিডিয়াকে আগে পেড়ে ফেলা দরকার।  
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:c94f:ba2d:d073:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০২:৫০735986
  • 'মতুয়া এবং দলিতদের একাংশ নিঃশর্ত এবং দ্বৈত নাগরিকত্বের দাবী তুলেছেন'
    - ন্যায্য দাবী
  • অরিন | 119.224.***.*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:০৯735988
  • নিজভূমে প্রবাসী হয়ে মানুষ উদ্বাস্তু হচ্ছে, এ এক অবর্ণনীয় কষ্ট। যারা পলিসি তৈরী করেছে, তাদের সে সময়, এ সময়, কখনোই সমমর্মিতার নজরে কখনো ভেবে দেখেনি যে এই কাঁটাতার দিয়ে, এই দেশভাগ করে মানুষকে ঘরছাড়া করা কতটা অন‍্যায়। মানুষগুলোর হয়ে কেউ কথা বলার ছিল না, আজও নেই, শুধু রাজনীতির আবর্তে পাশার দান হয়ে মরছে। 
    এবার ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। বাংলাদেশ থেকে মানুষ যদি জীবিকার সন্ধানে আসে, তাদের অন্তত একটা মানবিক সুস্থভাবে বেঁচে থাকার ব‍্যবস্থা করার দায় ভারতের সমাজের। বাঙালী হিসেবে "অনুপ্রবেশ" কথাটার বিরুদ্ধে একটা আন্দোলন গড়ে তোলার অবকাশ যারা সুস্থমতিতে মানবিক প্রেক্ষিতে সমমর্মিতার ভিত্তিতে চিন্তাভাবনা করেন তাঁদের এগিয়ে আসা উচিত। বাঙালী মানুষ বাংলার একপ্রান্ত থেকে অন‍্য প্রান্তে এসেছে, কাজের সন্ধানে, পেটের দায়ে। দেশ দেশ খেলায় তাদের দায় ছিল না। 
    লেখাটা পড়তে গিয়ে ১৯৮৯ এর আগস্টে ইউরোপে সংগঠিত হাঙ্গেরী আর অস্ট্রিয়ার সীমানায়, যাকে বলা হত iron curtain, সেখানে সংগঠিত একটি পিকনিকের কথা মনে পড়ে গেল। সীমান্তের এপারে ওপারে কাঁটাতারের বেড়া তাচ্ছিল্য করে দুপাশের মানুষ মিশেছিলেন। আর তার অল্পদিন পরেই বার্লিন দেওয়াল ভেঙে দেয় মানুষ। 
    ওরা তো পারে, আমরা কেন পারি না? 
    আবার নিয়তির কি নিষ্ঠুর পরিহাস দেখুন, সেদিনের সেই হাজার হাজার মানুষের কাঁটাতার ভাঙার অন‍্যতম নেতাদের একজন আজকের হাঙ্গেরির dictator Orban । 
    সে যাই হোক, সাধারণ মানুষের রুখে ওঠা জরুরী। মিডিয়া যা খুশী দেখাতে পারে, তলায় তলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের এক হওয়ার মিলনের বানে তাদের মিথ‍্যৈ প্রচার শেষ  একদিন হবেই। 
    সুতরাং ভাঙুক অচলায়তন। 
  • :|: | 2607:fb90:bd8a:849:39ff:3ca0:e3b5:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:১৪735989
  • "বাংলাদেশ থেকে মানুষ যদি জীবিকার সন্ধানে আসে, তাদের অন্তত একটা মানবিক সুস্থভাবে বেঁচে থাকার ব‍্যবস্থা করার দায় ভারতের সমাজের।" 
    কেন? 
  • অরিন | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:৩২735990
  • "কেন?"
    কারণ তারা মানুষ। 
    কেউ যদি কাউকে কাজ দেয় কোন সমাজ যদি মানুষকে কাজের সুবিধা দেয় সেই সব মানুষ যারা কাজ কর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করছে তাদের দেখার দায় সেই সমাজ বা সমাজের মানুষের যারা এই মানুষদের শ্রমের ফললাভ করছে। 
  • হুম্ম | 2409:40e2:102b:5495:18a8:bdff:fec3:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:২০735991
  • চতুর্মুখের চাড্ডিচর্চিত চতুষ্পদীয় চরিত্র ক্রমশ: প্রকাশিত! 
     
    কী কী যেন টু ডিফিকাল্ট টু হাইড! 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:7daa:4aa:8b17:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:২০735992
  • অরিনবাবুর কথাটাই আমিও লিখতে যাচ্ছিলাম। শুধু বাংলাদেশ না, পৃথিবীর যেকোন দেশ থেকেই অন্য দেশে যারা যায় জীবিকার সন্ধানে বা অন্য কোন কারনে, তখন রেসিপিয়েন্ট দেশের বা সমাজের নৈতিক দায় ইমিগ্র‌্যান্টদের স্বাগত জানানো, তাদের নানাভাবে সাহায্য করা, যতোদিন সেই ইমিগ্র‌্যান্টরা স্বনির্ভর হয়ে উঠছে। কারন ইমিগ্রেশনের ফলে দুদলই লাভবান হয়। যতো বেশী ফ্রি মুভমেন্ট অফ লেবার, ফ্রি মুভমেন্ট অফ ক্যাপিটাল হয় ততো সবার লাভ হয়।  
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:7daa:4aa:8b17:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:২৬735994
  • ক্ষইপূরণের দাবীও ​​​​​​​সমর্থন ​​​​​​​করলাম। ​​​​​​​সব ​​​​​​​বাঙালির অ্যাকাউন্টে ​​​​​​​অন্তত পনেরো ​​​​​​​লাখ ​​​​​​​ডিপোজিট ​​​​​​​চাই।
  • r2h | 134.238.***.*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৩735995
  • আপনারা তো শারুক্খানকে দেখতে পারেননা। কিন্তু শারুক্খানের ডাংকি সিনেমায় এইটা খুব ভালো ধরেছিল। এই যে এত তারকাঁটা সীমান গোলাগুলি বন্দুক - সবই তুশ্চু যদি পকেটে পহা থাকে। গরীব মানুষের জন্য দেশ বিদেশ সব দরজাই বন্ধ।
    একটা লোক খেতে পায় না বলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্য দেশে গেল, তাতে তার সমপ্রজাতির জীব দূর দূর ছেই ছেই করে তাড়িয়ে দিল -তাতে কেউ কোন সমস্যা দেখতে পেল না - এর থেকে বড় পরিতাপ আর কী হতে পারে।

    আমার খালি সীমান্তে তারকাঁটায় ঝুলে থাকা ফেলানির লাশ মনে পড়ে।

    আর মনে হয় এই সবই বৃথা, সভ্যতা, কগ্নিটিভ বিপ্লব যৌনকেশ অন্ডকোষ।
    এর থেকে শিম্পাঞ্জী হয়ে থাক্লে এমন কিছু ক্ষতি হত না।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:7daa:4aa:8b17:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৩৯735997
  • শিম্পান্জি হয়ে থাকতে পারলে অবশ্য ভালোই হতো, গাছে গাছে দোল খেয়ে আর রাত্রিবেলা তারাভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে ভালোই দিন কেটে যেতো :-)
  • aranya | 2601:84:4600:5410:11e6:cc0f:2e1:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:২১735998
  • সৈকত যেটা লেখেনি, বিজেপি, আরএসএস - এর অনুপ্রবেশ বিরোধী প্রচারে ধর্মের একটা ভূমিকা আছে। এটা শুধু বাঙালী জাতি-বিরোধী উদ্যোগ নয়। বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা জীবিকার সন্ধানে এলে সমস্যা তেমন নেই, মুসলিম রা এলে সমস্যা আছে, দুটো কারণে 
    ১। এই অনুপ্রবেশের জন্য , পঃ বঙ্গে কোথাও যদি মুসলিম দের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়, তারা শরিয়া আইন চাইতে পারে , লোকাল হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করতে পারে -মারধর, সম্পত্তি লুঠ ইঃ ।  ইউরোপের কিছু দেশে, মুসলিম মেজরিটি অঞ্চলে , ধর্মীয় মৌলবাদ বাড়ছে। বাংলাদেশে গত এক বছরে, তরুণ প্রজন্মের ভিতরেও ধর্মান্ধতা, ধর্মীয় মৌলবাদ বাড়ছে। 
    ২। এই অনুপ্রবেশকারীদের ভিতর কিছু সন্ত্রাসবাদী থাকতে পারে 
     
    আমি সর্বান্তকরণে চাই, ভারত সরকার যেন দ্বৈত নাগরিকতা মেনে নেয় , ভারত - বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার না থাকে, অবাধ চলাচল শুরু হয়। 
     
    ওপরের দুটো পয়েন্ট, যা মুসলিম ইকনমিক মাইগ্রেন্ট দের বিরুদ্ধে যায়, কতটা জরুরী বিষয়, আমি জানি না। কিন্তু, আলোচনা হওয়া উচিত। 
    @অরিন, @ডিসি, @হুতো, কি মনে হয় এ ব্যাপারে? 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:65c6:e576:755f:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৩735999
  • 'আমার খালি সীমান্তে তারকাঁটায় ঝুলে থাকা ফেলানির লাশ মনে পড়ে' - হ্যাঁ, সেই দৃশ্য এখনও হন্টিং। মানুষের তৈরী এই সব দেশ, সীমান্ত, কাঁটাতার- এ সবের বিষময় ফল যদি একটা ছবিতে ধরা থাকে, তা ফেলানির ঝুলন্ত মৃতদেহ 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:fcdd:a245:9fea:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৭736000
  • অরণ্যদা, পব আর ইন্ডিয়াতে যদ্দুর জানি অনেক দশক ধরে মুসলিম পপুলেশানের প্রোপোর্শান স্টেবল আছে, খুব একটা বাড়েওনি আর কমেওনি। কাজেই অনুপ্রবেশের ফলে কোন এক জায়গায় মুসলিম পপুলেশান বেড়ে যাবে আর তারা শরিয়া আইন চাইবে, এরকম তো মনে হয় না। 
     
    আর "অমুক জায়গায় মুসমিল পপুলেশান বাড়ছে, তাই সেখানে ইসলামিক ধর্মান্ধতা বাড়ছে", এটা মিডিয়ার একটা পরিচিত ট্রোপ। সত্যি এরকম কি হয়? ডেটা অ্যানালিসিস করে দেখা যেতে পারে, তবে আমার মনে হয় এরকম বেশীর ভাগ জায়গাতেই হয় না। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:fcdd:a245:9fea:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৮736001
  • এরকম আরেকজন আয়লান কুর্দি। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:65c6:e576:755f:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৩৯736002
  • লেনন 'ইমাজিন' লিখলেন, গাইলেন - কত বছর কেটে গেল তার পর। কিছুই তেমন বদলায় না। দুই জার্মানী এক হয়েছে, কিন্তু সেখানে ধর্মের সমস্যাটা ছিল না। 
    এই ধর্ম ,একটা পুরো কাল্পনিক  কনস্ট্রাক্ট, কি ভয়াবহ বিভেদ সৃষ্টিকারী, ক্ষতিকর একটা ব্যাপার - জাস্ট ভাবা যায় না  
  • aranya | 2601:84:4600:5410:544d:d40:5e7c:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৪০736003
  • হ্যাঁ, আয়লান -এর ছবিটাও চোখে ভাসে 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:a4cc:75ac:5bfc:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৪৭736004
  • "অমুক জায়গায় মুসমিল পপুলেশান বাড়ছে, তাই সেখানে ইসলামিক ধর্মান্ধতা বাড়ছে", এটা মিডিয়ার একটা পরিচিত ট্রোপ। সত্যি এরকম কি হয়? '
     
    - জানি না। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কিছু খবর মিডিয়ায় আসে। মূর্শিদাবাদে একটা দাঙ্গা হয়েছে কিছুদিন আগে। দাঙ্গা বলা উচিত নয়, একতরফা আক্রমণ। এসবের পিছনে অনুপ্রবেশের কতটা ভূমিকা, তা জানতে হলে , তুমি যেমন বললে, ডেটা অ্যানালিসিস দরকার, নিরপেক্ষ তদন্ত, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা দরকার, সেসব তো হয় না। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:fcdd:a245:9fea:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১০:০৪736007
  • নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা আর নিরপেক্ষ তদন্ত একদম যে হয়না তা নয়। সবসময়ে না হলেও অনেক সময়ে অ্যানালিটিকাল রিপোর্ট বেরোয় - একটা উদাহরন হলো, "ইমিগ্রেশানের ফলে ক্রাইম বাড়ে, লোকাল লোকেদের কাজ পেতে সমস্যা হয়" এটা রাইট উইং এর পুরনো প্রোপাগান্ডা, কিন্তু বেশ কিছু অ্যানালিসিস আছে যেখানে দেখা গেছে ইমিগ্র‌্যান্টদের মধ্যে ক্রাইম অনেক কম আর ইমিগ্রেশানের ফলে জব গ্রোথ হয়, ইকোনমি আরও ভালো হয়। একইরকম অ্যানালিসিস ইসলামিক ধর্মান্ধতা নিয়ে হয়েছে কিনা জানিনা। তবে আমার মতে, এগুলো প্রোপাগান্ডা হওয়ার চান্স বেশী, কাজেই নিরপেক্ষ অ্যানালিটিকাল রিপোর্ট হাতে না পাওয়া অবধি এসবে বিশ্বাস না করাই ভালো :-) 
  • r2h | 134.238.***.*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১০:০৯736009
    • aranya 
      @অরিন, @ডিসি, @হুতো, কি মনে হয় এ ব্যাপারে? 
     
    একদা অরণ্যদার উপস্থিতিতে আমি ড্রাভাইরাস লাইসেসের রাইটিঅং টেস্টে মোটের ওপর ডিইউআই খেয়েছ্হিলাম। দশকাধিক কেটে গেছে কিন্তু আমার উন্মার্গগামিতা কমেনি।
    সুতরাং পরে ভেহে চিন্তে উত্তর দেবোঃ)

    ধর্ম টর্ম ঢপ মানুষ সেসব শিগ্গিরি বুঝবে, এমন আশাঃ) কাল্পনিক পুরুষের প্রতি পিতা ফেটিশ থেকে মুক্ত হয়ে লোকজন বাস্তব নারীদের প্রতি অনুরক্ত হোক, এই কামনা করিঃ)
     
    (মার্জনা মার্জনা মার্জনা )
  • aranya | 2601:84:4600:5410:a4cc:75ac:5bfc:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১০:১০736010
  • 'লোকজন বাস্তব নারীদের প্রতি অনুরক্ত হোক' - অতি উত্তম প্রস্তাব :-)
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:fcdd:a245:9fea:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১০:১১736011
  • ঠিক ঠিক laugh
  • aranya | 2601:84:4600:5410:a4cc:75ac:5bfc:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১০:১৮736012
  • ইসলামিক ধর্মান্ধতা নিয়ে অ্যানালিটিকাল রিপোর্ট প্রসঙ্গে -  বাংলাদেশে আওয়ামী লিগ সরকার ওল্টানোর পর ধর্মীয় মৌলবাদ যে বাড়ছে , সংখ্যালঘু দের ওপর অত্যাচার বাড়ছে, তা বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশনের রিপোর্টে রয়েছে। 
    বাংলাদেশী কাগজ, যেমন প্রথম আলো ইঃ তেও অনেক ঘটনা রিপোর্টেড হয়েছে 
    কয়েক বছর আগে বাংলাদেশে পর পর ব্লগার খুনের ঘটনা আমরা জানি - ধর্মীয় মৌলবাদ সন্ত্রাসবাদ ডেকে আনে। 
    তো এসব আছে, উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে পঃ বঙ্গে অনুপ্রবেশ কতটা হয়, তাতে  ইসলামিক মৌলবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ বাড়ার রিস্ক কতটা , এ সব নিয়ে কোন অ্যানালিসিস হয়েছে বলে মনে হয় না 
    @ডিসি 
  • r2h | 134.238.***.*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৩২736013
  • কপালে দুঃখ আছে জানি, তাও যাবার বেলা আমার একটি প্রিয় কবিতার ক'টা লাইন বলে যাই--

    "আকাশে মেঘ দীঘিতে কেন হাঁস
    সুলতা জানে, সুলতা জানে ভালো
    কবিরা কেন নারীর ক্রীতদাস
    সুলতা জানে, সুলতা জানে ভালো"
  • dc | 2401:4900:2344:a2d3:d97d:9abd:8616:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১১:০৩736014
  • অরণ্যদা, আচ্ছা। বাংলাদেশে কি হচ্ছে অতোটা জানিনা, গুরুতে দুয়েকসময়ে দুয়েকটা খবর পড়ি, তার বাইরে পড়িনা। তবে ব্লগার হত্যার ঘটনাগুলো পড়েছি। অন্যান্য জায়গার খবর সেভাবে চোখে পড়েনি। 
  • :|: | 2607:fb90:bd8a:849:39ff:3ca0:e3b5:***:*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১২:৩৭736017
  • সাতটা কুড়ি -- আরে রাম রাম! আপ্নেরা দিদির "রক্তের রক্তকরবীর রক্তিমা" পড়ে শেষে একটা চলচপলার চকিত চমকে জাতীয় লাইনটি ধরে রাখতে পারলেননা? 
    দেখুন তো এইটি কেমন --
    "চতুর্মুখের চাড্ডিচর্চিত চতুষ্পদীয় চরিত্র চকমকাচ্ছে।"
     
    যাই হোক। ছটা বত্তিরিশ -- কেন অন্য দেশে যেতে হবে? তাদের দেশেই থেকেই কি সেই উচ্চতায় পৌঁছাতে শিখিয়ে দেওয়া যায়না? যতদিন সেটা না হচ্ছে তদ্দিন নয় সাপোর্ট দেওয়া হলো। কিন্তু কয়েকটা মাত্র লোকের চলে আসার চেয়ে, নিজের দেশে থেকে সবার উন্নতি কি বেশী কাম্য নয়? 
  • অরিন | 119.224.***.*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:১৬736019
  • চতুষ্কোণ, হয়ত একদিন তাও হবে। কিন্তু মানুষ জীবিকার সন্ধানে অন‍্যত্র গেলে সে যে সবার ওপরে মানুষ, মানবিক ব‍্যবহার তার প্রাপ‍্য। হতে পারে সে হয়ত মরিয়া হয়ে আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে কাঁটাতার পেরিয়ে পেটের দায়ে দেশান্তরী হয়েছে, নতুন দেশে কাজ পেয়ে সে যদি স্থিতু হয়, মানুষটা যদি বেঁচে যায়, যাক তবে তাই হোক। 
    এক্ষেত্রে বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশে তারসদীর্ঘ জটিল ইতিহাস বিবেচিত হোক । 
  • অরিন | 119.224.***.*** | ২২ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:২৮736021
  • @অরণ‍্য, হিন্দু মুসলমানের প্রশ্ন ভয়ানক জটিল, বিশেষ করে এক্ষেত্রে। 
    তবুও যে দুটি প্রশ্ন আপনি রেখেছেন, তার মধ‍্যে দ্বিতীয়টি কি হয়েছে, বিশেষত গরীব মানুষ কোনমতে বাঁচার আশায় দেশান্তরী হচ্ছে, এই প্রোফাইলের লোক সন্ত্রাসবাদী হয়ে ঢুকছে, এখনো অবধি ভারত বাংলাদেশ বর্ডার হয়েছে বলে আমরা জানি না। ফলে এটা একটা হাইপোখিটিকাল সম্ভাবনা বলেই ধরতে হবে না কি? 
     
    আর প্রথম প্রশ্নের  সম্ভাবনা  সত্যি হতে গেল যে ধরণের demographic শিফট  ইত‍্যাদি হতে হবে সে ঐ secured defended সীমান্ত পেরিয়ে হওয়াটা কতদূর বাস্তব সম্মত আমার জানা নেই । রীতিমত মডেলিং এর বিষয় 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন