এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শূন্যতার বন্দনা

    Eman Bhasha লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৫৬ বার পঠিত
  • বাংলা মাধ্যম না বাঁচলে তিন লাখ শিক্ষকের চাকরি থাকবে না। সবমিলিয়ে ৩৬ লাখ মানুষ কাজ হারাবেন। অঙ্গনওয়াড়ি থেকে এস এস কে, এম এস কে, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে ৩৬ লাখ।

    বাংলার বেশিরভাগ শিক্ষক এই বাস্তবতা বুঝতে চাইছেন না। 

    করোনার পর একটা বড় সমস্যা হচ্ছে, মোবাইল এবং মানসিকতার বদল। 

    সবাই প্রায় অস্থির। 

    ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে শুধু নয়, শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যেও বই পড়া কমেছে। 
    অভিভাবক অভিভাবিকাদের মধ্যেও। 

    ছাত্র ছাত্রীদের ফেল চালু করা দরকার? চালু করবেন!!! 
    ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষ থেকে নম্বর দিতে বলা হলে কতজন শিক্ষক শিক্ষিকা অধ্যাপক অধ্যাপিকা পাশ করবেন?

    নরওয়ের অভিজ্ঞতা সবজায়গায় দরকার। 

    ছেলে মেয়ে খারাপ ফল করলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কৈফিয়ত দাবি করে সরকার। 

    সেখানে অবশ্য কুড়িজন পিছু একজন শিক্ষক আছেন।

    ছাত্র ছাত্রীদের মার? 

    শিক্ষক শিক্ষিকারা দূরে থাক, বাবা মাও মারলে সরকার ব্যবস্থা নেয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Somnath mukhopadhyay | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২৭540261
  • সংক্ষিপ্ত কিন্তু অতি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ। গেল গেল করে হাহাকার করে আর খুব সুবিধা নেই। করোনা অতিমারী পরবর্তী সময়ে এমন এক অযাচিত শূন্যতা যে গ্রাস করতে পারে আমাদের মাতৃভাষা মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তার সতর্কবার্তা বহু আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। আমরা তাতে কান না দিয়ে দিব্যি ছিলাম। ব‌ই পড়ার অভ্যাস !! আমরা তো সবাই ই বুকে সড়গড়।
    অন্ধকার ঘন থেকে ঘনতর হচ্ছে। এদেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সবথেকে অবহেলিত ক্ষেত্র। এই নিয়েই আমাদের পথ চলা।
    নর‌ওয়ের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেবার কথা বললে হয়তো নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে হবে। তাই এড়িয়ে যাচ্ছি। পাশ ফেল ফিরিয়ে আনলেও সমস্যা দূর হবে না।
  • দীপ | 2402:3a80:198f:3aed:878:5634:1232:***:*** | ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৩১540262
  • হে হাড় হাভাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের পার্টির ধামাধরা শকুন শিক্ষাবিদগণ দয়া করে এবারে শিক্ষা নিয়ে নানান উদ্ভট পরিকল্পনা বন্ধ কর। শিক্ষা দেবার বদলে এখন আড়ম্বর বেশি, শিক্ষা কম। পাস ফেল প্রথা শুধু মাত্র পঞ্চম কিংবা অষ্টম শ্রেণীতে লাগু করে, ফেল করলে আবার দু মাস পরে পরীক্ষা দিয়ে পাস না করলে তবে সামগ্রিক ভাবে সেই ছাত্র যথার্থ ফেল ঘোষণার মধ্য বাহবা পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? স্কুলে স্কুলে তো শিক্ষক ই নেই। কে এত ঝামেলা কাঁধে নেবে? তার থেকে সবাই পাস দেখিয়ে দেওয়াই মঙ্গল। পরের ছেলে পরমানন্দ, যত ভোগে যায় ততো আনন্দ। শালা পড়াবার জন্য মাথায় ছাদ নেই, শৌচাগার নেই, খাবার জল নেই, চক , ডাস্টার কেনার পয়সা নেই, দুবার করে পরীক্ষা হবে? প্রশ্ন ছাপার পয়সা কার বাপ দেবে? কিছু পেছন পাকা শিক্ষাবিদ মাঝে মাঝেই প্রান্তিক,প্রান্তিক ছেলে মেয়ে, ড্রপ আউট বলে চেঁচায়। পাস ফেল রাখলে গরিবের শিক্ষা হবে না? আরে গরিবের শিক্ষা এমনিতেই হবে না। ভারতবর্ষে শিক্ষা এখন পণ্য। পয়সা না দিলে শিক্ষা মেলা মুশকিল। পাস করিয়ে দিলেই পাসের হার কিংবা শিক্ষার বিস্তার হয়েছে বলা হয়। বাস্তবে ক্লাশ এইটের ছেলে মেয়ে বানান করতে পারেনা, অঙ্ক তো পারেই না, ইংরেজির কথা না বলাই ভালো। কয় টাকা সরকার শিক্ষা খাতে খরচ করে? ফেল না করলেও ছেলে মেয়ে স্কুল ছেড়ে কাজে চলে যায়। পয়সা ফেলো ভাই আগে। লক্ষ্মীর 
    ভান্ডার না করে গরীব বাচ্চা ছেলে মেয়েদের স্কুলে ধরে রাখতে টাকা দাও। ওই ড্রেস, জুতো, বই দিলেই হবে না। এরা যে আর্থসামাজিক পিছিয়ে থাকা অবস্থায় আছে, টাকা বাড়িতে পড়াশুনার জন্য না দিলে, একদিন বিয়ে দিয়ে দেবে কিংবা পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে চলে যাবেই। এদের পেছনে শিশু শ্রেণী থেকে ক্লাশ এইট অব্দি যে টাকা খরচ সরকার করলো, সব জলে। শিক্ষা ওভাবে হয়না। পাস ফেল রাখতে গেলে একেবারে প্রথম শ্রেণী থেকেই রাখতে হয়। চাপ না দিলে কী গরীব কী বড়লোকের বাচ্চা, আর যাই করুক পড়াশুনা করে না। কারণ পড়াশুনায় কোন আনন্দ নেই। পড়াশুনা কে আনন্দ দায়ক করতে হলে যে খরচ হবে সেই টাকা দিতে সরকারের প্যান্ট খুলে যাবে। ছোটবেলায় বাচ্চাকে কিছুটা জোর করেই পড়াতে হয়। আর সেই পড়াশুনা সাথে পাস ফেল স্কুলেই রাখতে হবে। বাড়িতে পড়াশুনা দেখিয়ে দেবার ক্ষমতা অধিকাংশ গার্জেনের নেই। তারা সামর্থের বাইরে গিয়ে কারুর ওপর টিউশন ছেড়ে দেয় আর সামর্থ না থাকলে কাজে ঢুকিয়ে দেয়। সরকার এখন অব্দি একটা কিংবা দুটোর বেশি বাচ্চা না করতে বলতেই ভয় পায়। শিক্ষা কী সমাজ বিচ্ছিন্ন কোন প্রক্রিয়া নাকি? শালা বাচ্চাগুলোকে টিকটিকি সেদ্ধ খিচুড়ি খাওয়াবে মিড ডে মিলে। পয়সা দে আগে। মিড ডে মিল খাওয়া হলেই , ব্যস ক্লাশ শেষ। সকাল থেকে পড়াশুনার বদলে এখন মিড ডে মিল নিয়ে হৈ চৈ বেশি। পড়াশুনা গৌণ। বাচ্চাকে স্কুলে অতক্ষণ রাখলে অবশ্যই খাবার দিতে হবে, কিন্তু উনুন হাড়ি কড়াই নিয়ে যুদ্ধ না। তাকে দুটো ডিমসেদ্ধ, একটা বনরুটি, একটা মরশুমি ফল দে, পুষ্টি বেশি পাবে। পয়সা খরচ কর। দুপুরে ঠেসে ভাত খাওয়ালে তারপর ঝিমায় তারা। একটা পয়সা বেশি খরচ করবিনা শিক্ষাখাতে আর রকমারি দু দিন পর পর নিদান দিবি, এসব চলে না। সেই ঘুরে ফিরে পুরোনো নিয়মেই আসবি, কিন্তু দেরি করে। এখন আবার ছেলে মেয়ে পারবেনা, তাই ইংরেজিতে রচনা লেখা বন্ধ করে দিলি। তার বদলে অ্যাবস্ট্রাক্ট রাইটিং লিখবে তারা? শালা তোদের বুদ্ধি দেখে মাথা পাগল হবার অবস্থা আমার। ভালো চাস তো ট্রান্সলেশন শুরু কর একদম ছোট থেকে। গল্প কবিতার থেকে, রচনা, লেটার, এসব লেখা অভ্যাস করা। স্পোকেন ইংলিশ শেখা আস্তে আস্তে। সব পারবে বাচ্চারা। তোদের কোন ধারণাই নেই বাচ্চারা কত তাড়াতাড়ি সব কিছু এডপ্ট করে। গরীব বাচ্চারা পারেনা এসব, এগুলো বাজে কথা। এই সিস্টেমেও কোয়ালিটি এডুকেশন দেওয়া যায়। তোরা ল্যাজ নাড়ানো একটু কম করে এদিকে জোর দে, যদি সত্যিই গরিবের মঙ্গল চাস। আর সব যদি রাজনীতির ঘোলা জলে গামছা পরে উন্নতি করতে নামিস, দেখবি গামছা হাতে, তলার লণ্ড পুঁটি মাছ এসে ঠোক্কর দিচ্ছে!
    #ভেনোচরিতকতা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন