এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • থ্রেট কালচার না দাদাগিরি 

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৪১২ বার পঠিত
  • আজকাল ট্যাগ লাইনের যুগ। আগে বলত দাদাগিরি। যার নানা অর্থের মধ্যে ভালো অর্থও ছিল। শব্দের সামাজিক যোগের কথা ধরলে এরকমটাই ভালো। কিছু খারাপ আর ভালো দু অর্থই থাকবে শব্দের। কিন্তু এই থ্রেট কালচারের মতো শব্দ হাই ক্যাপিটালিজমের প্রোডাক্ট তাতে ওসবের ফৌজৎ নেই। সে খারাপ তো খারাপই। তার ভালো অর্থ নৈব নৈব চ।

    তার মানে কি এমন যে হাসপাতাল হাসপাতালে যা চলে তা দাদাগিরির পর্যায় অতিক্রম করে, এমন এক ধরাছোঁয়ার বাইরের থ্রেট কালচারের চরম পর্যায়ে পৌঁছছে যে তাকে কুলোর বাতাস দিয়ে সরকারী সিল লাগিয়ে বিদেয় না করা পর্যন্ত স্বস্তি নেই? এখানে আমার একটু কিন্তু আছে। অধম তার কমরেড দের সঙ্গে, একসময় সিপিএমের আমলে, শূন্য থেকে শুরু করে একটা মোটামুটি রকমের প্রতিস্পর্ধী সংগঠন বানিয়েছিল মহাকরণে। কাজটা যে কঠিন ছিল না তা নয়। তৃণমূল যাদের বিদেয় করে এসেছে, সেই সিপিআইএম তারাও কম যেত কি ? দাদাগিরির চূড়ান্ত ঝাপটা আমাদের ওপর পড়েছিল আছড়ে। সেসময়, আশির শেষের দিকে এ নিয়ে বড় বড় খবর করেছে সংবাদপত্র। তারপর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যখন এলো তখন তো মহাকরণের আন্দোলন রীতিমত খবরে এসেছে প্রায়শই। কই তখন তো বাজারে এই থ্রেট কালচার কথাটা এতো চালু হয়নি। তবে এখন হচ্ছে কেন? এর একটা কারণ নিহিত আছে এই আমলে মেডিকেল পঠনপাঠনের ব্যবস্থাপনায় দাদাগিরির প্রাতিষ্ঠানিক স্থায়ীত্বে। যাবতীয় ম্যানিপুলেশনের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়ে দরাজ হস্ত ব্যবস্থাপনার নাম থ্রেট কালচার। এটাকে আটকাতে গেলে সেনসিটাইজেশনই একমাত্র প্রতিষেধক। কিছু ক্রিমিন্যাল বাদ দিলে এই কদর্য আধিপত্যে যুক্ত অধিকজনই কিন্তু চাপ খেয়ে মিই মিই করবে। আর করছেও তাই। কিন্তু তা বলে পুরো বাহিনীটাকেই ঢাকি ঢুলি শুদ্ধু বিসর্জন কি খুব কাজের কথা? জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন দেখে মনে হচ্ছে তাদের মধ্যে এরকম একটা একবগগা ভাব চেপে বসেছে। থ্রেট কালচারের শীর্ষবিন্দুকে পটকে দিয়ে, তারা অতি আত্মবিশ্বাসী এক চাপের রাজনীতির দিকে ক্রমশ ঢলে পড়ছেন। না হলে কর্মবিরতি তোলার জন্য একের পর মিটিং আর শর্তাবলী চাপানোর যুক্তি কী আছে ? তা ছাড়া একটা দূর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে ঘিরে ডাক্তারদের আন্দোলন যথার্থ ভাবে গণআন্দোলন হয়েছে কিন্তু কর্মবিরতি অন্তহীন চালিয়ে যাওয়ার অর্থ মেডিকেল ফ্রেটারনিটির আভ্যন্তরীণ সমস্যায় গরীব মানুষকে জড়িয়ে রেখে হায়রান করা। থ্রেট কালচার পরিবর্তিত হয়ে দাদাগিরির মতো নেগোশিয়েবল ব্যাপারে পরিবর্তিত হয়েছে কিনা সে দেখতে হবে তো। চাপ খেয়ে বাপ বলাটাও স্বাভাবিক। তাতে সরকার বা মুখ্যসচিবের কী করার আছে? সে তো ডাক্তারদের দৈনন্দিন সমস্যা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:২৯537814
  • একজন ডাক্তারি ছাত্রী খুন হয়েছে। যারা বিভিন্ন কলেজের সঙ্গে যুক্ত তারা জানে কে বা কারা করেছে কেন করেছে। তারা প্রমাণ নিয়ে সিবিআই এর কাছে যেতে পারবে না। তাই এই রকমের থ্রেট যাতে আর কেউ না পায় তার জন্য লড়াই করছে অন্য দাবির সঙ্গে। আমি ৭২-৭৭ এ কলেজে পড়তাম। টুকতে চাইলে টাকা পয়সা দিতে হত। না টুকতে চাইলে কিছু বলত না। তবে একজন পিছন থেকে বিরক্ত করছিল। তখন আমি পিছনে ঘুরে একটা কথা বলেছিলাম বিরক্ত করিস না। বিনা পয়সায় সৎ ভাবে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম তাই ঘাড় ঘোরাতেই আধ ঘন্টার জন্য খাতা কেড়ে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত যে বিরক্ত করছিল সে গিয়ে টাকা দিয়ে আমার খাতা মুক্ত করে ইউনিয়নের দাদার কাছ থেকে। মেডিকেলে তো শোনা যাচ্ছে পাস করতে হলে ১৫ লাখ লাগছে। তিলোত্তমা দিতে চায়নি -উলটে সব বলে দেবার হুমকি দিল তাই খুন হল। বলবেন প্রমাণ দিন। দিতে পারব না। যারা আন্দোলন করছে তাদের কাছে এটা ওপেন সিক্রেট threat কালচার। আমার যুগে মেডিকেলে ঠিক কি হত জানি না। ল পরীক্ষা দিতে প্রিয় সুব্রত হয়তো মমতা টুকেছে।ওপেন সিক্রেট। জেলের আসামি পার্থ আমার এক ক্লাস উঁচুতে পড়ত। সবাই জানত ওর উনিয়ন রুমে পরীক্ষা দেওয়া। কোন ভিডিও বা ছবি ছিল না। ওপেন সিক্রেট। সে যুগে এগুল ছিল দাদাগিরি। এখন এদের বংশধর চালাচ্ছে হুমকি বা থ্রেট।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:c34:87ba:ae48:***:*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:২৬537817
  • আমি নব্বুই সালে কলেজে পড়েছি। পরীক্ষা পাশ করার জন্য কাউকে টাকা দিতে হয়নি, সেরকম কোন সিস্টেমও ছিল না। টোকাটুকি করেছি, চোতা বানিয়েছি, বিশেষ করে ফার্স্ট আর সেকেন্ড ইয়ারে। পরের দিকে সেরকম টুকতে হয়নি। 
  • PRABIRJIT SARKAR | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০৫537830
  • সত্তর দশকের শুরুতে শিক্ষা জগতে নৈরাজ্য শুরু হয়। স্কুল শিক্ষক কলেজ শিক্ষক শিক্ষিকারা পরীক্ষা হলে কোয়েশ্চেন পেপার দিয়ে বেরিয়ে আসতেন।পাড়ার ছেলেরা গার্ড দিত। পয়সা তুলত। স্কুল ফাইনাল দিয়েছিলাম এই নৈরাজ্যের মধ্যে।তবে আমার স্কুলের শিক্ষক মহাশয়রা আমায় রক্ষা করেছেন যে স্কুলে সিট পড়েছিল সেখানকার টিচারদের সাহায্যে।
    ১৯৭১ এর শেষে ইন্দিরা হাওয়া আর কলেজে কলেজে ছাত্র পরিষদের জয় জয়কার। প্রথমে ভোটে জিতলেও পরে ভোট হত না। কাউকে নির্বাচনে দাঁড়াতে দিত না। সেই সময় এই ছাত্র ইউনিয়ন গণ টোকা টুকি কে মদত দিত। গর্ব ভরে বলত বাংলার ঘরে ঘরে গ্রাজুয়েট হবে। কিছুদিনের মধ্যে নানা গ্রূপে বিভক্ত হল। এক কলেজের পরীক্ষা অন্য কলেজে অন্য গোষ্ঠীর ইউনিয়নের হাতে পড়লে চাপ ছিল।
    ১৯৭৭ এর পর ইন্দিরা পতন আর সিপিএম এস এফ আই যের উত্থান হল। সেই সময় কিছু দিন সব ভাল চলল। তখন আমি কলেজে অধ্যাপনা করি। আমার কলেজে সিপি উনিয়ন ছিল। এস এফ আই লড়ত। দু পক্ষের বোমাবাজি চলত। শিয়াল দহ এলাকায় লোরেটর একজন ।মাথায় বোমার আঘাতে মারা গেল। অনেক কলেজে 'বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়' এস এফ আই জিতত। মমতার উত্থান হবার পর কলকাতা আর আসে পাশের শিল্পাঞ্চলে তিনুদের জয়জয়কার। ওদের ছাত্র ইউনিয়ন হতে লাগল। গ্রামের দিকে এস এফ আই ইউনিয়ন।১৯৭৭ থেকে লেফট ফ্রন্ট জমানায় আমার দেখা গন টোকা টুকি ফিরে আসেনি বলেই জানতাম। এখন ডাক্তারীতে টি এম সি পি র মদতে টাকা দিয়ে কোয়েশ্চেন কেনা পাস করা শুরু বলে জানছি। এমন কি নম্বর নেতারা নিজের ইচ্ছামত বসাচ্ছে। এই নিয়ে একটা ভিডিও পোস্ট করেছি।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:9030:3505:2f33:***:*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৪537832
  • 'দাদাগিরির চূড়ান্ত ঝাপটা আমাদের ওপর পড়েছিল আছড়ে'
    - সেই সময়, দাদাগিরিতে বোধহয় ক্ষমতা-র ব্যাপারটাই প্রধান ছিল, আর্থিক দুর্নীতি অতটা ছিল না। এখন যেমন ডাক্তারি পরীক্ষা পাশ বা ডিগ্রীর জন্য , ট্রান্সফারের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা দিতে হবে (মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ) , এই ব্যাপারটা - আর্থিক দুর্নীতি, শাসক দলের উচ্চতম স্তর অব্দি কাট মানি খাওয়া, এসব  তখন ছিল না, বা থাকলেও অনেক কম ছিল। ঠিক বলছি কি? 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:8167:2d85:fdb3:***:*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:২০537833
  • না, পরীক্ষায় পাশ করার জন্য এতো টাকা দিতে হয়, এরকম আমিও শুনিনি। তবে এটা কি শুধু ডাক্তারির জন্য নাকি সব পরীক্ষাতেই, আর সবাইকেই কম্পালসারি দিতে হয় কিনা, তা জানিনা। অনেকটা ব্যাপম কেলেংকারির মতো, তবে সেটার কোন ফয়সালা হয়নি কারন তদ্দিনে বিজেপি ক্ষমতায় এসে গেছিল, আর উইটনেসদের মেরে ফেলা হয়েছিল। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন