এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • খালসা প্রথা প্রবর্তন ও গুরু গোবিন্দের মৃত্যু

    upal mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ৩০ আগস্ট ২০২৪ | ২৭১ বার পঠিত
  • গুরুর আসন -গুরুগাদ্দিতে বসে, গুরু গোবিন্দ দেখলেন অমৃতসর আর স্বর্ণ মন্দিরের পবিত্র স্থল বেদখল করে বসে আছে প্রতিদ্বন্দ্বী শিখ গোষ্ঠী। তারা তাঁকে মোটেই মানে না। গুরুর প্রতিনিধি মাসান্দরা, যারা ছিল গুরু আর অপামর শিখদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম, সব ক্ষমতা আর টাকা পয়সা কুক্ষিগত করে বসে আছে। তারা নিজেরাই মাসান্দ নিয়োগ করে গুরুকে পাত্তা না দিয়ে – একেবারে ছন্নছাড়া অবস্থা, তাই তিনি দুঃসাহসী পদক্ষেপ নিলেন। ঘোষণা করলেন যে তিনিই শেষ শিখ গুরু ফলে উত্তরাধিকারের লড়াইয়ের আর কোন মানে থাকে না। সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হচ্ছে তাঁর হাতে আর সেই ক্ষমতা তিনি প্রয়োগ করবেন এক স্বয়ংশাসিত সংস্থার মাধ্যমে যার নাম দেওয়া হচ্ছে খালসা। শব্দটা মোঘলদের ব্যবহৃত খালিসা নামের প্রশাসনিক পরিভাষা থেকে আসা, যার মানে হল জাগিরদার বা অন্য কারুর হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ বাদশাহের নিজস্ব অধিকারের ক্ষেত্র যার উৎস হচ্ছে আরবি খালিস। এই ভাবে এক ধাক্কায় সমস্ত শিখদের এক আচরণ বিধিতে বাঁধা এক স্পার্টান পরিবারের মধ্যে আনা হলো, যাদের খালসার সদস্য হবার জন্য শপথ নিতে হবে যে তারা দাড়ি-গোঁফ কমাবে না, আগেকার বর্ণ পরিচয় মনে রাখবে না, মাসান্দদের পাত্তা না দিয়ে টাকাপয়সা দেওয়া বন্ধ করবে, তামাক ছোঁবে না, সমস্ত দান সামগ্রী নিয়ে গুরুর কাছে দিতে আসবে সশস্ত্র অবস্থায়।

    গুরুর মতে খালসা হলো মাসান্দ বা অন্য শিখ গোষ্ঠীগুলোর খেলাপ এক বিশ্বাসে আবদ্ধ পরিবার। ভেতরের কারণ ছাড়াও গুরু গোবিন্দের খালসা প্রথা প্রবর্তনের পেছনে শিখদের এলাকায় মোঘল মদতপুষ্ট রাজপুতদের হস্তক্ষেপ আটকানোর তাগিদ কাজ করেছিল।গুরু শুরু করলেন এক ধর্ম যুদ্ধ। তবে খুশবন্ত সিংহ জানাচ্ছেন গুরু গোবিন্দ নিজেও সচেতন ছিলেন যেন তাঁর ধর্ম যুদ্ধ শিখ বনাম মুসলিমের বিষয় বলে পরিচিত না হয়।তাঁর নিজস্ব সেনা দলে ছিল পাঁচশো পাঠান। গুরু গোবিন্দকে প্রথম যুদ্ধ করতে হলো বিলাসপুরের পাহাড়ি রাজা ভীম চাঁদের বিরুদ্ধে। যিনি গুরুর প্রভাব বাড়ায় আর শিখ ধর্মের বর্ণবাদ বিরোধিতায় আতংকিত হয়ে প্রথমে গুরুর পাঠান ফৌজকে কিনে নিলেন। তবু ষোলোশো ছিয়াশিতে ভানগানির যুদ্ধে শিখ ফৌজ বিজয়ী হয়। এরপর আবার রাজা ভীম চাঁদ পাল্টি খাচ্ছেন। তিনি বোঝেন গুরুকে বাদ দিয়ে মোঘলদের ঠেকানো যাবে না। মোঘলরা চাপ দিচ্ছিল খাজনা আদায়ের জন্য। ভীম চাঁদ গুরুকে পাহাড়ের মানুষকে নিয়ে মোঘল ফৌজের মোকাবেলা করতে আহ্বান জানালেন। ষোলোশো সাতাশিতে নাদাউনের যুদ্ধে গুরু গোবিন্দ পাহাড়ের রাজ্যগুলোর জোটকে নেতৃত্ব দিয়ে জেতালেন। এই প্রক্রিয়ায় আঠেরোশো উননব্বইতে তিনি শিবালিকের পাদদেশে লুধিয়ানার সত্তর কিলোমিটার উত্তর -পূর্বে আনন্দপুরে ঘাঁটি গেড়েছিলেন। নাদাউনের যুদ্ধে হেরে যে খাজনা মকুবের শর্তে রাজি হতে হবে, তা মানা আলমগীরের ধাতে সইল না। তিনি শাহাজাদা মোয়াজ্জামকে সেপাইসালার মির্জা বেগের সঙ্গে বিশাল ফৌজ দিয়ে পাঠাচ্ছেন। ওই ফৌজের কুচকাওয়াজ দেখে পাহাড়ি রাজারা সুড় সুড় করে বশ মেনে যাচ্ছে আর দেখা গেল মোঘল ফৌজ গুরুকে কিছু করছে না।

    শিখ ধর্মগ্রন্থ গুর বিলাস শাহাজাদা মোয়াজ্জামের গুরুর সঙ্গে আঁতাতের কথা বলছে। তা উড়িয়ে দেওয়া যায় না কারণ সাতেরোশো সাতে উত্তরাধিকারের লড়াইয়ের সময় গুরু গোবিন্দ ওনার পক্ষে থাকছেন।এ যেন শাহাজাদা খুসরুর সঙ্গে গুরু অর্জুনের আঁতাতের কথা মনে পড়িয়ে দেয় তফাত যা হল তা ছিল বিয়োগান্তক আর শাহাজাদা মোয়াজ্জামের তখতে বসা, বাহাদুর শাহ এক উপাধি নেওয়ার কথা কে না জানে।

    বারো বছর এই রকমই চলেছিল,মোঘলরা শিখদের ঘাঁটায় না। এমনকি খালসা প্রথা প্রণয়নের পরেও কিছুদিন এমনটা চলে। নিরান্নব্বইতে যখন খালসা তৈরি হয় প্রচুর টাকা পয়সা,অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে দলে দলে কর সেবকরা গুরু গোবিন্দের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। এই দেখে পাঞ্জাবের সে সময়ের এক মোঘল আমলা মুহম্মদ কাশিম ইবরাত লাহোরি তাঁর ইবরাতনামা বইতে লিখলেন গুরু গোবিন্দের বৈভব আর ক্ষমতা এতো বেড়েছে যে তা পাঁচ হাজার জাটের কোন মনসবদার বা শাহাজাদার সমতূল্য। ঔরঙ্গজেবের কাছে খবর গেলে তিনি স্থানীয় ফৌজদারকে বললেন যে যতক্ষণ পর্যন্ত গুরু খুব বেশি বৈভবের পথে না গিয়ে, অন্য সাধকদের মতোই জীবন যাপন করছেন তাঁকে না ঘাঁটাতে। তবে গুরু যদি রাজার চালে চলেন, তাঁকে অন্য রাজাদের মতোই মোঘল দরবারে পেশকশ দিয়ে বশ্যতা জানাতে হবে। আসলে এই সময় গুরুর মূল প্রতিপক্ষ ছিল পাহাড়ি রাজপুত রাজারা, মোঘলরা নয়। এইসব দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপড়েনের তথ্য, কলোনির প্রবক্তা ওরিয়েন্টালিস্ট বা তাদের সমর্থক এন কে সিনহা, যদুনাথ সরকার আর ইন্দুভূষণ ব্যানার্জির মত, যে খালসা তৈরি হয়েছিল আলমগীরের সময়, তাঁর হিন্দু-শিখ বিদ্ধেষের  প্রতিক্রিয়ায়, তার বিরুদ্ধে যায়। গুরুর সঙ্গে মোঘলদের সম্পর্ক কোন কালেই একমুখী বৈরিতার সম্পর্ক ছিল না। খালসা তৈরির পর গুরুর দাপট দেখে পাহাড়ি রাজারা প্রমাদ গোনে, তারা গুরুর বিরুদ্ধে একজোট হতে থাকে তাদের অভিযোগ শিখ ধর্মের বর্ণ বিরোধী সমতার দর্শন তাদের দীর্ঘদিন লালিত ব্রাহ্মণ্যবাদী সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ করছে। এছাড়া আনন্দপুরে সমবেত বিপুল সংখ্যায় খালসারা আশপাশের সমৃদ্ধ গ্রামে রসদের জন্য কিছু লুটপাট করেছিল, খালসাদের সঙ্গে কিছু ছোটখাট লড়াইয়ে সুবিধে করতে না পেরে রাজারা আলমগীরের কাছে গুরু গোবিন্দের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য চাইল।

    বাদশাহ রাজি হলেন আর রাজাদের সম্মিলিত ফৌজের সঙ্গে সিরহিন্দ আর লাহোরের সুবেদাররা ফৌজ নিয়ে আনন্দপুর ঘেরাবন্দি করল সতেরোশো চার বা পাঁচে। গুরুকে শর্ত দেওয়া হয় তিনি আনন্দপুর ছাড়লে, তাঁকে সপরিবারে পালাতে দেওয়া হবে কিন্তু এই শর্ত ভঙ্গ করেছিল মোঘল সেপাইসালার ওয়াজির খান।পাহাড়ি রাজা আর মোঘলরা পাকড়াও করছে গুরুর ছোট খাট ফৌজকে। গুরুর ছেলেরা ও মাকে মেরে ফেলা হচ্ছে। গুরু কোনরকমে পালিয়েছিলেন। এর প্রতিবাদে গুরু গোবিন্দ এক কাব্য ধর্মী চিঠি লিখলেন ঔরঙ্গজেবকে। ফার্সিতে লেখা এই চিঠিতে, যা জাফরনামা বলে পরিচিত, শাহী ফৌজের আর তাদের সেপাইসালার সিরহিন্দের ওয়াজির খানের বেইমানির বিরুদ্ধে আলমগীরের কাছে সুবিচারের আবেদন জানানো হচ্ছে,চাওয়া হচ্ছে ব্যক্তিগত সাক্ষাতের অনুমতি। চিঠির উত্তরে ঔরঙ্গজেব আলমগীর গুরুর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, গুরুকে তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমোদন দেন। গুরু দাক্ষিণাত্যে রওনা দিলেন কিন্তু মাঝপথে, তিনি যখন রাজপুতানায়, খবর আসে সতেরোশো সাতের দোসরা মার্চে বাদশাহ মারা গেছেন আহমদনগরে। গুরু গোবিন্দ থামেননি, তিনি শাহাজাদা মোয়াজ্জামকে উত্তরাধিকারের লড়াইয়ে সাহায্য করেন। শাহাজাদা জিতে বাহাদুরশাহ জাফর এক, উপাধি গ্রহণ করলে গুরু তাঁর সঙ্গে দাক্ষিণাত্যে যাচ্ছেন। কিন্তু এই সখ্য দীর্ঘস্থায়ী হলো না, সেখানে খালসাদের অনাথ করে তিনি মারা গেলেন সতেরোশো আটে।

    গুরু গোবিন্দের মৃত্যু কী কারণে হয় সে ব্যাপারে দুটো সম্ভবনার কথা বলছেন ইতিহাসকার রিচার্ড ম্যাক্সওয়েল ইটন - পুরোনো চোট থেকে গুরু গোবিন্দের মৃত্যু হয় নয়ত শিখ ইতিহাসকার পূর্ণিমা ধবনের মত অনুযায়ী, গুরুর পাঞ্জাবের শত্রুদের নিযুক্ত এক আফগান ভাড়াটে খুনি তাঁকে মারে।

    সূত্র

    ১ ) India in the Persianate Age 1000-1765 by Richard Maxwell Eaton
    ২) Thinking Beyond Aurangzeb and the Mughal State in a late Eighteenth Century Punjabi Braj Source by Anne Murphy, Journal of Royal Asiatic Society
    ৩ ) History of Medieval India by Satish Chandra
    ৪ ) When Sparrows became Hawks, Making of the Sikh Warrior tradition, 1699 -1799 by Purnima Dhavan
    ৫) A HISTORY OF THE SIKHS Volume 1: SECOND EDITION by Khushwant Singh
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন