এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ভাষা ও ভাষাতত্ত্ব

    Samir Karmakar লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ আগস্ট ২০২৪ | ৩০৮ বার পঠিত
  • আধুনিক রাষ্ট্র ভাষাকে যতটা না যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে দেখে, তারও থেকে বেশি সে ভাষাকে দেখে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক বিরোধাভাষকে নিয়ন্ত্রনের একটি অপরিহার্য মাধ্যম হিসেবে। ১৯৫৬ সালের দপ্তরী ভাষার আয়োগ তাই ভাষার কথ্য ও লিখিত রূপকে চিহ্নিত করে “as an indispensable tool of social organization and human progress”। সাম্প্রতিককালের জাতীয় শিক্ষানীতির মাতৃভাষায় শিক্ষাদান বা সাম্প্রতিক অতীতের ভারত সরকারের ভারতবাণী প্রকল্প বা বিপন্ন ও স্বল্পপরিচিত ভাষাদের ব্যাকরণ ও অভিধান লিখে সরকারিভাবে সংরক্ষিত করার উদ্যোগগুলির মূলে আসলে ভাষাকে সামাজিক সংগঠন ও অগ্রগতির অপরিহার্য যন্ত্র হিসেবে দেখার বিষয়টিই প্রচ্ছন্ন রয়েছে। ভাষাকে এইভাবে দেখার ধরনটি একদিনে গড়ে ওঠা কোন বিষয় নয়। এর একটি সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। সেই ইতিহাসের অনুসন্ধানে বাংলা ব্যাকরণ চর্চার ইতিহাস ও গ্রিয়ার্সেনের Linguistic Survey of Indiaকে ফিরে দেখা একান্ত ভাবেই আবশ্যক হয়ে পড়ে।

    Linguistic Survey of Indiaর সূচনা লগ্নটি বুঝতে আরও কয়েকটি সার্ভের কথা আমাদের খেয়ালে রাখতে হবে। ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগের ওয়েবসাইটের নিচের বক্তব্যটি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ: "Forerunners of the army of the East India Company and Surveyors had an onerous task of exploring the unknown. Bit by bit the tapestry of Indian terrain was completed by the painstaking efforts of a distinguished line of Surveyors"। আসমুদ্র হিমাচল পর্যন্ত বিস্তৃত যে ভারত ভূখণ্ড তার একটা খতিয়ান তৈরির প্রয়োজনীয়তা ও উদ্যোগ যে কেবলমাত্র ভাষাতাত্ত্বিক সমীক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল তা নয়। বরং, ভাষাতাত্ত্বিক সমীক্ষার বেশ কিছুকাল আগেই ভারতীয় ভূবৈজ্ঞানিক সর্বেক্ষণের কাজ শুরু হয়েছিল ১৮৫১ সালে। প্রাণীবিদ্যা সম্বন্ধীয় সমীক্ষার আনুষ্ঠানিক সূচনা ১৯১৬ সালে - যার থেকেই পরবর্তীকালে ১৯৪৫ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করা হয় নৃতাত্ত্বিক সমীক্ষার কাজ। এরই মধ্যে ভাষাতাত্ত্বিক সমীক্ষার কাজ শুরু হয় ১৯০৩ সালে আর শেষ হয় ১৯২৮ সাল নাগাদ। ৮০০০ পৃষ্ঠা জুড়ে সর্ব প্রথম ১৭৯টি ভাষা ও ৫৪৪টি কথ্যরূপ তথা উপভাষার এক বিপুল সমীক্ষার মধ্যে দিয়ে ভারতীয় ভাষাঅঞ্চলের উপনিবেশিক বয়ানের খসড়াটি পেশ করা হয়। অন্যভাবে বললে, তৎকালীন গ্রামীন সমাজ সংগঠনের বিকেন্দ্রীভূত উৎপাদন ব্যবস্থার উপর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ কায়েমের ঔপনিবেশিক উদ্যোগটি সূচিত হয়।

    উপনিবেশের সুসংহতি আর সুসংস্থিতির লক্ষে ভাষা চর্চার কাজটি অবশ্য সমীক্ষা শুরু হওয়ার বেশ কিছু আগেই শুরু হয়েছিল। বাংলা ভাষায় শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের লক্ষে ব্যাকরণ লেখার কাজটি শুরুর দিকে সামলে ছিলেন বহিরাগত সাহেব সুবোরা। A grammar of Bengali Language-এর মুখবন্ধে হ্যালহেড স্পষ্ট করে বলছেন ব্যাকরণের বাস্তবিক প্রয়োজনীয়তার কথা: “...one of its most important desiderata is the cultivation of a right understanding and of a general medium of intercourse between the Government and its Subjects; between the Natives of Europe who are to rule, and the Inhabitants of India who are to obey” (১৭৭৮)। মোদ্দায় যেটা দাঁড়াচ্ছে, সেটা হলো, উপনিবেশের রক্ষনা বেক্ষনে ভাষার উপযোগিতার প্রসঙ্গটুকু। বাংলার উপর ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার লক্ষে বাংলা ভাষার সাহেবী চর্চা হ্যালহেডের বক্তব্যে সুস্পষ্ট: “they may explain the benevolent principles of that legislation whose decrees they inforce; that they may convenience while they command; and be at once the dispensers of Laws and of Science to an extensive nation.” ১৮২৬এ রাজা রামমোহন রায় Bengalee Grammar in English Language-এর ভূমিকায় যা লিখলেন তা এইরূপ: “It is almost impossible for individuals residing in this Metropolis to remain unheedful of the persevering exertions of many European philanthropists in the noble attempt to ameliorate the moral condition of its inhabitants. Some of these gentlemen, with a view to facilitate intercourse between themselves and the natives, have undergone much labour in acquiring a thorough knowledge of the vernacular language of the country; while others are diligently seeking access to it, without any expectation of deriving useful information or rational entertainment from any work in the language. This tract, being composed with a view to convey the principal rules applicable to that tongue and a brief outline of the general principles of Grammar, is intended as a humble present for those worthy persons”. ঔপনিবেশিক প্রভুদের ভাষাশিক্ষার সুবিধার্থে যে সকল ব্যাকরণ রচনার প্রয়াস সেদিন নেওয়া হয়েছিল তাদের প্রত্যেকের মধ্যেই সেদিন একধরনের প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সমন্বয় সাধনের এক ধরনের উদ্যোগ ছিলো। পাশ্চাত্যের আলোকে আলোকিত হওয়ার এক ধরনের বাসনা ছিল। পরবর্তীকালে শিক্ষার প্রসারকে গণমুখী করতে গিয়ে দেশীয় কথ্য রূপ গুলির গুরুত্ব আলাদা করে অনুভূত হতে লাগলো।

    ভাষাচর্চার নামে কথ্যরূপগুলির ব্যাকরণ ও অভিধান রচনার দিকে বিশেষ ভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের প্রয়াস দেখা যাবে Hints Relative to Native Schools, Together with the Outline of an Institution for Their Extension and Management শীর্ষক বইয়ে - যেখানে উইলিয়াম কেরী বলছেন: “Without books, without the vestige of a grammar in the common dialects, without the most limited vocabulary, what can they acquire even of their own language? They merely learn to trace the letters of the alphabet, to write a few names, and, as their highest accomplishment, to copy a meager and ill-written letter.” এক্ষেত্রে লক্ষনীয়, শীর্ষনামের “outline of an institution for their extension and management” শব্দবন্ধটি। বলার অপেক্ষা রাখে না, ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রনের বিস্তারে এই প্রতিষ্ঠানগুলির ভূমিকা অনেকখানি। শিক্ষা, ছাপাখানা, বই বাজারের মধ্যে দিয়ে ভাষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপটি ঔপনিবেশিক ভারতে ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করলো।

    শুরুর দিকে ভারতীয় ধ্রূপদী ভাষার প্রতি একটা ঝোঁক লক্ষ্য করা গেলেও উপনিবেশের বিস্তারে সমসাময়িক লোকায়ত সমাজের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। তাই ধ্রূপদী ভাষার থেকে ক্রমে ক্রমে লোক সমাজে ব্যবহৃত কথ্যরূপগুলির দিকে দৃষ্টি আকর্ষিত হতে থাকে। ১৮৩৫-এ খোদ ম্যাকলে দেশীয় ভাষায় শিক্ষা দানের গুরুত্বের কথা বলেন। রাজা রামমোহন রায়ের গৌড়ীয় ব্যাকরণ (১৮৪০) এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই প্রকাশিত হয় পরবর্তীকালে। বাংলা ভাষার গঠন সৌকর্যের ব্যাখ্যায় অপানিনীয় প্রকরণের সাথে সাথে পাশ্চাত্যে ব্যাকরণ লেখার পদ্ধতি যে গুরুত্ব পায় নি - সে কথা বলা যাবে না।

    উনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধের আরেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান। জৈবিক বিবর্তনবাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভাষার উৎপত্তি ও বিবর্তনের প্রসঙ্গে ভাষিক আত্মীয়তার এই চর্চা মূলত কালানুক্রমিক ভাষাতত্বের জন্ম দেয়। এরই বিপরীতে গ্রিয়ার্সনের ভারতীয় ভাষা সমূহের সমীক্ষা এককালিক ভাষাতত্ত্বের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ - যা সমসাময়িক ভারতের ভাষা মানচিত্রের নির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল।

    ভারতীয় ভাষা সমীক্ষার শুরুতে গ্রিয়ার্সনের বাইবেল থেকে উদ্ধৃতিটির ইংরেজি তর্জমাটি বেশ প্রাসঙ্গিক: "There are, it may be, so many kinds of languages in the world, and none of them is without significance. Therefore, if I do not know the meaning of the language I shall be a foreigner to him who speaks, and he who speaks will be a foreigner to me" (I Corinthians 14:10-11, Bible)।

    অন্যকে আত্তিকরনের মধ্যে দিয়ে নিজেকে বিকশিত করার এই বোধই সেই শাশ্বত বাণী যা উপনিবেশের বিস্তারে মূল ভূমিকা পালন করে। বাইবেলীয় এই উদ্ধৃতিকে বিচ্ছিন্ন ভাবে না বুঝে যদি একে আমরা বুঝি এর পূর্ব বা পরবর্তী লেখাগুলোর সাপেক্ষে তাহলে বোঝা সম্ভব ঠিক কিভাবে এক আগ্রাসী দীর্ঘমেয়াদী ঔপনিবেশিক মনোভাব এই সকল সমীক্ষার মর্মমূলে নিহিত রয়েছে। নিউ টেস্টামেন্টের ২২ নম্বর করিন্থীয় উচ্চারণটি এক্ষেত্রে লক্ষনীয়: “Tongues are a sign not for believers but for unbelievers”।

    ঔপনিবেশিক ভাবাদর্শে উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষা, জ্ঞান, এবং সর্বোপরি সমীক্ষা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা যে কেবল সেদিন পালন করেছিল তা নয় - আজও এরা এক অন্তসলিলা ফল্গুধারার মতো ঔপনিবেশিক পরম্পরার উত্তরাধিকার। language commission-এর ভাষা দর্শন বা জাতীয় শিক্ষা নীতির ভাষা দর্শনও সেই পরম্পরারই উত্তরসুরী।

    এহেন এক পরিস্থিতিতে ভাষার স্বরূপ বুঝতে যে বাছাই করে বহুবিধ বিষয় প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে এবং সরকারি ভাবে বাদ দেওয়া হয় সে নিয়ে সন্দেহের অবকাশ খুবই কম। ভাষাতাত্ত্বিক ক্ষেত্র সমীক্ষায় মূলত সেই সকল বিষয়গুলোই উত্থাপিত হয় যা উপনিবেশায়িত পৃথিবীর স্বাস্থ্য রক্ষায় সহযোগী। সেই সকল বিষয়ই মূলত এই সমীক্ষা গুলিতে ঠাঁই পায় যেগুলি চলতি ব্যবস্থার সাথে সাযুজ্যপূর্ণ। অভিধানের ক্ষেত্রে যেমন ঠাঁই পায় শরীর, দিক, স্থান, সংখ্যা, আত্মীয়তাবাচী শব্দাবলী, ঠিক তেমনি ব্যাকরণের ক্ষেত্রে বাক্যের গঠন, কারক, বিভক্তি ইত্যাদি। এই সকল তথ্য আহরণের মধ্যে দিয়ে এক অবিরাম চেষ্টা চলে তথ্য আহরণের, সম্পদ বা রিসোর্স চিহ্নিতকরণের। - যা আসলে নতুন নতুন উপনিবেশের দিগন্তকে উন্মোচিত করবে বিচ্ছিন্ন এবং খণ্ডিত সব অস্তিত্বের উদযাপনের মধ্যে দিয়ে।

    চর্চার এই ধরন মানুষের সম্পূর্ণতায় আস্থাশীল নয় - শরীরের খণ্ডতায় তার যাবতীয় আগ্রহ। সমাজের সামুহিকতায় সে আসক্ত নয় - আত্মীয়তাবাচি শব্দের খণ্ডিত এবং বিচ্ছিন্ন আলোচনায় সে মগ্ন। পরিবেশ বা প্রকৃতিকে সে বুঝতে চায় স্থান দিক কালের মাত্রাগত বিচ্ছিন্নতায়। গণনের ধারাবাহিকতায় আগ্রহ কেবল ডিসক্রিট ইনফিনিটি নিয়ে। বাক্য কেবলই কাঠামো আর গাণিতিক সম্পর্কের খতিয়ান।

    এই রকম ব্যবস্থার বিপরীতে, আমরা ভাবতে চাই ভাষা যাপনের কথা। ভাষিক তথ্যের নিষ্ক্রিয় আহরণ বা সংরক্ষণ নয় - ভাষাদের উদযাপন। কারণ ভাষার বেঁচে থাকা বা আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে ভাষায় বেঁচে থাকার বিষয়টি আদৌ বিদ্যায়তনিক পরিসর বা সরকারি মহাফেজখানা সাপেক্ষ বিষয় নয়। তা মান্যায়ন সাপেক্ষ বিষয়ও নয়। ঔপনিবেশিক ঠুলি এঁটে ভাষাকে দেখার যাবতীয় যাকিছু প্রয়াস তা আসলে ভাষাগত ভাবে আমাদের বিপন্নই করবে।

    বাঁচার বা বেঁচে থাকার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে, ভাষার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকে জীবন, জীবিকা, প্রকৃতি, পরিবেশ, উৎপাদনের মতো অসংখ্য বিষয়। হাত পা মুখের নাম নয়, সে ভাষা শরীরের অখণ্ডতায় ধরে রাখে মানুষ আর মনুষ্যত্বের ছবি। এই মানুষ বিশিষ্টতায় নয় সমাজ বাজার অতীত বর্তমান ভবিষ্যত নির্বিশেষে ব্যাপ্ত হয়ে থাকে। ভাষাতাত্ত্বিক সমীক্ষার শারীরিক উপাংশগুলির নিছক নামগুলিকে এই ব্যাপ্তিতে ধরা না গেলে তারা নেহাতই তথ্য - ইনফরমেশন। রং বেরঙের মৃত শব্দের স্তূপীকৃত সমাহার - যা দেখিয়ে আমাদের বারংবার বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের কথা শেখানো হবে। তাহলে কি করণীয়? - এই প্রশ্নের যে পুরো উত্তরটা আমাদের জানা, তেমনটা নয়। কিছু স্পষ্ট, কিছু অস্পষ্ট, আর বহুকিছু না-জানা নিয়ে একটা মোটা দাগের মতো বোঝাপড়া রয়েছে। বাকি অনেকের মতামত পেলে হয়তো প্রশ্নটার একধরনের একটা সম্পূর্ণ উত্তর পাওয়া যেতে পারে।

    সংক্ষেপে, যোগাযোগের ভাষা কোনো সমাজ সংগঠন বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। যোগাযোগের নিয়মগুলিও ঔপনিবেশিক মানসিকতার ছকবাজিকে অতিক্রম করতে অক্ষম। ভাষাঞ্চলগুলোর আপাত নিরপেক্ষ নিরামিষ চেহারার আড়ালে দাঁত নখ বাগিয়ে লড়াইয়ে মত্ত পরিচয় ও ক্ষমতার বিভিন্ন শিবির। অন্যভাবে বললে ঔপনিবেশিক সূত্রে পাওয়া ক্ষমতা ও দ্বন্দ্বের রাজনীতিকে আড়াল করে ভাষিক প্রজ্ঞার চর্চায় ব্যাকরণিক কাঠামোগুলোর আয়োজন ঠিক কতোটা মুক্তিকামী মানবিক প্রয়োজনের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ হয়ে উঠবে - সে নিয়ে সংশয় থাকলো।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন