এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • তাঁকে ছোঁয়া গেল কি?

    Pradhanna Mitra লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৪৩ বার পঠিত


  • এ যেন এক বালিকা ঘরের এক কোনে সূঁচ-সুতো নিয়ে বসেছে। খেলাচ্ছলে গৌরী বালিকা মালা তৈরী করছে শিব ঠাকুরের জন্য। পাশের ঝুড়িতে লাল-নীল-হলুদ হরেকরকমের ফুল। আপনমনে যে ফুল হাতের কাছে উঠছে তাই সূত্রাকারে গাঁথা হচ্ছে। তার কোন নির্দিষ্ট ছন্দ নেই, তাল নেই, লয় নেই। তবুও যে মালা গেঁথে সে শিব ঠাকুরের গলায় পরাল, তা অনিন্দ্যসুন্দর।

    তেমনই, কখনও সেকেন্ড পার্সন ন্যারেটিভে, কখনও ফার্স্ট পার্সন ন্যারেটিভে, কখনও থার্ড পার্সন ন্যারেটিভে; কখনও চলিত ভাষায়, কখনও বা সাধু গদ্যে; কখনও কাব্যের রূপমায়, তো কখনও গদ্যের আবেগে; কখনও বা কল্পিত সত্য, কখনও বা সত্যের কল্পনা অবলম্বন করে সিদ্ধার্থোপন্যাসের এক ভাঙাচোরা স্থাপত্য রচনা করেছেন সন্মাত্রানন্দ।

    “ইতিহাস ও ঐতিহ্যসম্মত তথ্যসমৃদ্ধ একটি বুদ্ধজীবনী নতুন করে লেখা আমার এ উপন্যাসের উদ্দেশ্য ছিল না। বুদ্ধচরিত্র অনুধ্যান করে নিজের মনকে শান্ত ও সুসমাহিত করার জন্যই আমি বইটি লিখেছি। অর্থাৎ এ উপন্যাস আমি লিখেছি প্রাথমিকভাবে আমার নিজের জন্যই নিতান্ত ব্যক্তিগত প্রয়োজনে।” লিখছেন লেখক সন্মাত্রানন্দ। এবং নিজের প্রয়োজনে বুদ্ধের ঠিক কোন অংশটিকে পছন্দ করলেন? তার ‘সিদ্ধার্থ’ থেকে ‘বুদ্ধ’ হয়ে ওঠার ঘটনাটিকে। সার্থক তার সাহস, সার্থক তার নির্মাণ প্রচেষ্টা। সিদ্ধার্থের বুদ্ধ হয়ে ওঠা নিয়ে কয়টা বাংলা সাহিত্য আছে এযাবৎ? কোনো মানুষ যখন নিজগুণে মহান হয়ে ওঠেন, সেই মহান হয়ে ওঠার পর্যালোচনায় এক সাহিত্য নির্মাণ সম্ভবপর করে উঠতে পারেন কতজন লেখক? কারণ, মানুষের সাধনপথের দ্বন্দ্বনির্মান, ভাষার আখরে, কঠিন। ফলে, এই উপন্যাসে, একে একে উঠে আসে অনেকগুলো চরিত্র – মার, পূরণ কশ্যপ, মক্‌খালি গোশাল, নিগন্থ নাথপুত্ত, সঞ্জয় বেলাঠিপুত্ত, নৈরঞ্জনা নদীতীরের পাঁচ বন্ধু ইত্যাদিরা। সিদ্ধার্থের বুদ্ধ হয়ে ওঠার দ্বান্দ্বিক পরিকাঠামো নির্মিত হয়। 

    কিন্তু গন্ডগোলটা বাঁধল পরের কথাকটায়। উনি বলছেন, “লিখবার পর মনে হল, এই পৃথিবীতে আমার মতন করে কেউ কেউ হয়তো চিন্তা করেন। তাঁরা আমার সমমনস্ক, সমভাবাপন্ন। তাঁদের সঙ্গে এই বইটির সূত্রে আমি যোগাযোগ করতে চাই। তাই, এই উপন্যাস প্রকাশ করা হয়েছে।” এইখানেই শুরু হল পাঠকদের কথা ভেবে লেখা। এখন কয়টা পাঠক মানবমনের চিরপরিচিত দ্বন্দ্বটাকে কাঁটাছেড়া করতে চায়? বিশেষত, যারা বেডরুমীয় ঐতিহাসিক কাহিনী পড়তে পড়তে ঢুলতে থাকেন, যাদের সংখ্যা স্বভাবতই বেশি, তাদের কথা ভাবতে গেলে একটু মিষ্টি-মধুর কিছু রাখা উচিৎ বৈ কি।

    ফলে প্রথম ছটি পর্বে যে টানটান আন্তঃ পর্যালোচনার মধ্যে দিয়ে কাহিনী এগোচ্ছিল, ‘একটি নামহীন অধ্যায়’ পর্বে এসে সুজাতা-সৌদাস প্রেমকাহিনী ঢুকিয়ে, সেই সাথে লেখক তার নিজস্ব চিরপরিচিত টাইম লাইন খেলা খেলতে গিয়ে প্রথমে সুবল-মল্লিকা এবং পরে ময়ুখ এবং জন্মান্তরবাদ নিয়ে এসে, হরিণী-প্রেমে গদোগদো করে শেষে কাল্পনিক বুদ্ধচরিত রচনা করতে গিয়ে যে ছ্যাড়াব্যাড়া করলেন, মন খারাপ হয়ে গেল। মনে হল, ন্যাঃ! বুদ্ধ অনুধ্যান করতে গিয়ে সুজাতা-মল্লিকা-হরিণী অনুধ্যান হয়ে ব্যাপারটা না তো সিরিয়াস থাকল, না একটা মিষ্টি মধুর কিছু হল। পায়েস দিয়ে সুক্তো খাওয়ার মতো মুখ করে বই শেষ করলাম। ‘জন্মান্তরবাদ’ বুদ্ধ প্রতিষ্ঠা করেছেন, সিদ্ধার্থ নন। ফলে বিষয়বস্তুটা কীরকম যেন একটা ‘সাহারায় সীতাহরণ’ টাইপ হয়ে গেল।

    পাঠিকা ঠিক বুঝতেই পারলেন না, যে, তিনি ঠিক কি পড়লেন? সিদ্ধার্থের অন্তর্দ্বন্দ্ব’র চরম সীমার ধাপের ধাপে ধাপে আরোহণ, না কি, হীনযানী মনোভাব থেকে সরে এসে মহাযানী মিষ্টি মধুরতা পাঠকদের পরিবেশন? ভাগ্যিস আপনি এর পাশাপাশি বজ্রযানী বুদ্ধকে স্মরণ করেন নি!

    অথচ, প্রথম ছয় এবং শেষ তিন (১৫, ১৬, ১৭ পর্ব) অধ্যায়ের গভীরে গিয়ে আপনি এমন একটা রচনা বানাতে পারতেন, যা, আপনার, হ্যাঁ হ্যাঁ, আপনার বুদ্ধ অনুধ্যানের অমৃত বারিধারা আমরা পেতে পারতাম। অধিকাংশ পাঠকের কাছে হয়তো এ বর্জিত হত, কিন্তু ভাবীকালের কাছে একটা সার্থক সিদ্ধার্থ চরিত নির্মাণ --- বাংলায় হতে থাকতে পারত। আমি যখন বুদ্ধ চরিত পড়ব, তখন বুদ্ধচরিতই পড়ব। সেই সিদ্ধার্থের কাছে বাকি সমস্ত চরিত্রই ম্লান হয়ে থাকবে। প্রসঙ্গত, আপনি এর বিরোধিতা করতেই পারেন, কিন্তু, মনে রাখবেন, ‘চুয়া চন্দন’ লেখার সময়ে মহাপ্রভুকেও রোমান্সের কারণে পার্শ্বচরিত্র হতে হয়েছিল, কারণ, সেটাই ছিল গল্পের দাবী। ‘মহাপ্রভু’ বেডরুম রোমান্স নন, ‘নিমাই’ এক রোমান্টিক হিরো। কিন্তু যখন ‘গোরা রায়’ লীলা করেন তখন রচিত হয় ‘অমিয় নিমাই চরিত’। আপনি দুই নৌকায় পা দিলেন। আপনার মনে আশা, “আমি বিশ্বাস করি, অনাগত কালে তথাগতকৃপায় আমার সমমনস্ক একজন পাঠক-পাঠিকা অন্তত কখনও কোথাও নিশ্চয়ই জন্মাবেন, যিনি আমার এই ব্যক্তিগত সিদ্ধার্থকে ভালোবাসবেন— তখন আমি হয়তো থাকব না, ভবিষ্য যুগের সেই অদেখা পাঠক-পাঠিকার জন্য আমি এই চিত্রধর্মী কথাকাব্যটি লিখে রেখে গেলাম।” কিন্তু আপনার এ লেখায় ব্যক্তিগত সিদ্ধার্থ কই? অর্ধেক অংশ জুড়ে যে সুজাতা-সৌগত প্রেমজর্জর আলেখ্য!

    সিদ্ধার্থের কর্মবাদ, অক্রিয়বাদ, অদৃষ্টবাদ, অজ্ঞেয়বাদ, জড়বাদ ইত্যাদি খন্ডন-কথোপকথন সেই গভীরতায় পৌছল না আপনার কলমে, যে গভীরতায় গেলে আমাদের ‘সিদ্ধার্থ অনুধ্যান’ আরও গভীর এবং আন্তরিক হতে পারত। সেই পর্যায় থেকে, আমার চোখে, আপনি, অনবদ্য নির্মাণ করেছেন ‘সিদ্ধার্থ-মার দ্বন্দ্ব’। মার – যা সিদ্ধার্থেরই অন্ধকার দশা, যার অনুক্ষণ উপস্থিতি এবং নিরন্তর বাক্‌-বিতন্ডা, যা সিদ্ধার্থ, সিদ্ধার্থ কেন, যে কোন মানুষমাত্রেই ব্যক্তিগতভাবে মুখোমুখি হয়, তার এক সার্থক রূপায়ন আপনার এই লেখায় পাই। এবং তা বেশ কয়েকটি পর্ব জুড়ে।

    সেইসাথে আপনার লেখনশৈলী। প্রথম উপন্যাসেই আপনি মাত করে দিয়েছিলেন। এই পর্যায়েও তা অনুপম সৌন্দর্য নিয়ে প্রতিভাত হয়েছে। আর তার সাথে বড়ো সুন্দর সুন্দর কিছু শব্দ, যার ব্যবহার ক্রমক্ষীয়মাণ, অন্তত, শরদিন্দু’র পরে আমি খুব কম কারো লেখায়, ইতস্তত, দেখতে পাই। 

    সব মিলিয়ে এই ছোট্ট উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে সিদ্ধার্থকে ভাবীকালের পাঠকেরাও কতটা ছুঁতে পারবেন, তা ভবিষ্যতের কাছেই রেখে দেওয়া ঠিক বোধ করি, সন্ধিগ্ধতার সঙ্গে।

    ======================

    তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নি
    সন্মাত্রানন্দ
    ধানসিঁড়ি পাবলিকেশান
    মুদ্রিত মুল্যঃ ২২৫ টাকা
    ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অমিত ভড়, সমর্পিতা 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ১১ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৫৮530465
  • "তেমনই, কখনও সেকেন্ড পার্সন ন্যারেটিভে, কখনও ফার্স্ট পার্সন ন্যারেটিভে, কখনও থার্ড পার্সন ন্যারেটিভে; কখনও চলিত ভাষায়, কখনও বা সাধু গদ্যে; কখনও কাব্যের রূপমায়, তো কখনও গদ্যের আবেগে; কখনও বা কল্পিত সত্য, কখনও বা সত্যের কল্পনা অবলম্বন করে সিদ্ধার্থোপন্যাসের এক ভাঙাচোরা স্থাপত্য রচনা করেছেন সন্মাত্রানন্দ।"
     
    সেকি! এ তো দারুণ ব্যাপার! বইটি আগ্রহ জাগাচ্ছে।  yes
  • kk | 172.56.***.*** | ১১ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১৩530476
  • রিভিউটা বেশ ভালো লাগলো আমার।
  • Pradhanna Mitra | ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ০৩:১৭530771
  • @বিপ্লবঃ পড়ে ফেলুন

    @kk:ধন্যবাদ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন