এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • খাওয়ার সঙ্গে পাওয়া

    Suvasri Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ২১ মার্চ ২০২৪ | ৬৬১ বার পঠিত
  • খাওয়াদাওয়া নিয়ে আরো কয়েকটা কথা বলব আজ। কিছু অন্যের মুখে শোনা, কিছু নিজের চোখে দেখা ও শোনা।

    খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে মানুষের আর্থিক সামর্থ্য জড়িয়ে থাকে। তার ওপর পরিবারের গিন্নি বাপের বাড়িতে যে ঘরানার রান্না শিখেছেন, তাঁর সংসারে সে ধরণের রান্নাই বেশি চলে। কে না জানে, বাঙাল ও ঘটি রান্নায় যথেষ্ট পার্থক্য তবে এটা খুবই হাল্কা করে বলা হল। তথাকথিত ঘটি রান্নারও বিভিন্ন ঘরানা আছে। তার ওপর দুই বঙ্গেরই একেক জেলার রান্না একেক রকম।

    অতিথি সৎকার নিয়েও অনেকের অনেক রকম অভ্যাস। কেউ বাইরে থেকে মিষ্টি বা রোল আনিয়ে খাওয়ান। কেউ বা নিজেই কিছু করে দেন। আমার অতি পরিচিত এক ভদ্রমহিলার এক অদ্ভুত অভ্যাস ছিল, কাউকে মিষ্টি খেতে দিয়ে প্রতিটি মিষ্টির দাম তিনি উল্লেখ করতেন। যে কোনো কথা শুরু করে, প্রসঙ্গ মিষ্টির দামের দিকে নিয়ে যেতেন। উদ্দেশ্য পরিষ্কার, মিষ্টিগুলো সস্তার নয় সেটা বুঝিয়ে দেওয়া। আমার তো খুবই বিরক্ত লাগত। অবশ্যই অতিথি আপ্যায়ন নিয়ে ওঁর কোনো কমপ্লেক্স ছিল।

    এক জনের মুখে একটা বিচিত্র ঘটনা শুনেছিলাম। অনেক দিন আগের কথা। তখন তাঁদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। দুটি পরীক্ষার মাঝে টিফিনের সময় তাঁদের এক বন্ধুর বাবা বাড়ির পরিচারক ও একটা স্টোভ নিয়ে সেন্টারে গিয়ে হাজির। পরিচারক গরম গরম লুচি ভেজে দিচ্ছে আর ছেলেটি খাচ্ছে। কিমাশ্চর্যম!

    খাওয়া ও খাওয়ানোর সঙ্গে সংস্কারও জড়িয়ে থাকে। একটি ঘটনা মনে পড়ছে। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ের ঘটনা। অামার চেনা একটি কিশোরীর বাবার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছিল। ভদ্রলোক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। তিন-চার দিন খোঁজাখুঁজি চলেছিল। শেষকালে গঙ্গায় ডুবুরি নামিয়ে দেহ উদ্ধার হয়। ভদ্রলোকের সাবেক বাড়ি বাগবাজারে।

    এবারে অদ্ভুত কথা। দেহ উদ্ধারের পর শ্রাদ্ধশান্তি হবে। মৃতের বাবা মা তখনো বেঁচে। মৃতের স্ত্রী ও কন্যা সন্ধ্যাবেলায় ঘরে বসে পরস্পরকে জড়িয়ে কাঁদছে। সেই সময় মৃতের বাবা ও মা হাত ধরাধরি করে এসে পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসা করলেন - "শ্রাদ্ধে লুচি হবে, না ডালপুরী হবে?" হ্যাঁ, ঠিক এই ভাষাই ব্যবহার করেছিলেন তাঁরা। স্তম্ভিত হয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার বটে! সংস্কার ও লৌকিকতা কী শোকের চেয়েও প্রবল হয়ে ওঠে কখনো কখনো?

    আমার মায়ের মামা বাসুদেব ভট্টাচার্যকে আমরা মামাদাদু বলতাম। দিদিমা পাঁচটি সন্তানকে নিয়ে বিধবা হওয়ার পর বহরমপুরের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁকে এক রকম তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাপের বাড়ি নবদ্বীপ থেকেও তিনি বিশেষ সাহায্য পাননি। সেই সময় দিদিমার এই ভাইটি তাঁদের হাত না ধরলে অসহায় পরিবারটি ভেসে যেত। দিদির সংসারের ভার নেওয়ার জন্য মামাদাদু বিয়েই করেননি। অনেক কষ্ট করে ভাগ্নে-ভাগ্নীদের মানুষ করেছেন।

    দাদুর মৃত্যুর সময় মায়ের বয়স ছিল আড়াই বছর, সবার ছোট সন্তান। অনেক ধাক্কা খেতে খেতে মা বড় হয়েছিল। অভাব অনটন ছিল নিত্য সঙ্গী।

    দিদিমার মতো মামাদাদুও মাছ মাংস খেতেন না। সে কথা শুনে ধারা নামে তাঁদের বাড়ির এক সহায়িকা মন্তব্য করেছিল, ওমা কী আশ্চয্যি, বাসুদেববাবু মাছমাংস খান না? মায়েরা অবশ্য ক্কচিৎ কদাচিৎ খেত। তো এক দিন বাড়িতে মাংস হয়েছে, ধারাকে এক টুকরো মাংস দেওয়া হয়েছে। দুপুরবেলা মাংসের টুকরোটা দিয়ে সে ভাত খেয়েছে, তারপর বাড়িটাড়ি গেছে, সন্ধ্যাবেলায় আবার কাজে এসেছে। তখন দেখা গেল, সে কী যেন চিবোচ্ছে! দিদিমা জিজ্ঞাসা করলেন, কী চিবচ্ছো, ধারা? সে বলল - সেই মাংসের হাড়টা গো মা। কত দিন পর মাংসের সোয়াদ পেলাম। হাড়টা শেষ না করে কি ফেলতে পারি?

    বাড়িতে গ্যাস আসার আগে আমার মা মহা উৎসাহে তোলা উনুনে কেক বানাতেন। তোলা উনুনে কোনো রকমে বানানো সেই কেক খেতে আমার কিন্তু বেশ লাগত।

    তখন আমরা এ কে মুখার্জি রোডের সরকারি আবাসনে থাকতাম। ছিয়াশি সালের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি আমাদের গ্যাস আসে। তার আগে অবধি তোলা উনুন আর কখনো কখনো স্টোভেই রান্নাবান্না হ'ত।

    খাওয়াদাওয়া নিয়ে এরকম অনেক গল্প আমাদের সবারই ঝুলিতে থাকে। আমি অাপনাদের সঙ্গে আবার সেরকম কিছু গল্প করেই ফেললাম।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Samik Sarkar, Garia | 2409:40e0:29:ca97:8000::***:*** | ২১ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩৩529649
  • এত প্রাঞ্জল ভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা ও সেটা সুখাদ্য থুড়ি সুখপাঠ্য হয়ে ওঠার জন্য লেখিকাকে অনেক অভিনন্দন। এ রকম আরও লেখার অপেক্ষায় রইলাম। 
  • Arindam Basu | ২২ মার্চ ২০২৪ ১২:০৬529673
  • "বাড়িতে গ্যাস আসার আগে আমার মা মহা উৎসাহে তোলা উনুনে কেক বানাতেন। তোলা উনুনে কোনো রকমে বানানো সেই কেক খেতে আমার কিন্তু বেশ লাগত।"
    তোলা উনুনে প্রকৃতপক্ষে অসাধারণ কেক হয়। শুধু কেক কেন, প্রায় সমস্ত রকমের বেক করা খাবার, পাঁউরুটি, পিজা, সমস্ত কিছু খুব ভালভাবে করা যায়, তবে ধৈর্য লাগে। 
  • Suvasri Roy | ৩০ মার্চ ২০২৪ ১০:২৮529970
  • Arindam Basu
  • অরিন | 119.224.***.*** | ৩০ মার্চ ২০২৪ ১২:১৭529972
  • @শুভশ্রী, 
    সমগ্র এশিয়ায় মাটির তৈরী উনুন আর তাতে বেক করে রুটি থেকে শুরু করে প্রায় যাবতীয় রান্না, এবং কেক বেক করার প্রথা বহুদিনের | সঙ্গের ছবিটি সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের লাউঞ্জে তোলা, সেখানে খাবার জায়গায় যত্ন করে সাজানো রয়েছে সিঙ্গাপুরে ব্যবহৃত মাটির তোলা উনুন আর তাতে রান্না করার মাটির বাসন। শুধু তাই নয়, মাটির পাত্রে ("সরায়") রান্নার প্রথা বহু প্রাচীন | আমরা এখানে (আওতেয়ারোয়া নিউজিল্যাণ্ডে প্রায় সময়ই মাটির পাত্রে খাবার ওভেনে রেখে রান্না করি, তাতে কিছুটা স্লো কুকারের কাজ হয়, কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, খাবার অসাধারণ খেতে হয়, একে তো খুব ধীরে রান্না হয়, খাবার পুড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে না, এবং মাটির পাত্রে রান্না করলে নুনের পরিমাণ খুব কম দিতে হয়, এবং পাত্রটির এক ধরণের "মেমরি" / "স্মৃতি" থাকে পুরনো খাবারের। 
     
    আপনার মা যে মাটির তোলা উনুনে বেকিং করতেন, জেনে ভারি ভাল লাগল, আপনি যদি পারেন, সেই পদ্ধতিতে বেক করার রেসিপি এখানে শেয়ার করতে পারেন? যেমন ধরুণ কেকের ব্যাটার কতক্ষণ রাখতে হয়, কত আঁচে? অবশ্যই খুব ঢিমে আঁচে রান্না/বেকিং/স্টিমিং একরকম, আঁচের তারতম্যে খাবারের স্বাদের পরিবর্তন হয় | 
     
  • Suvasri Roy | ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ১২:৪৩530928
  • @ অরিন, খুব ভালো ও বিস্তারিত মন্তব্য করেছেন।
    দুঃখের সঙ্গে বলি, তোলা উনুনে মা কিভাবে কেক করতেন, আমার মনে নেই।
    শুভেচ্ছা রইল।
  • অরিন | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৪৯530988
  • "দুঃখের সঙ্গে বলি, তোলা উনুনে মা কিভাবে কেক করতেন, আমার মনে নেই।"
     
    আপনার মনে থাকার কথা নয়, আর ও জিনিস মনে রাখার জিনিস নয়, হাতে করে খাওয়ার ব্যাপার।
    সে একটা আর্ট | 
    রান্নার আর্ট |
     
    পশ্চিম দুনিয়ার এক স্বনামধন্য ইহুদি শেফ ইয়োটাম অটোলেঙ্ঘি একদা শিখিয়েছিলেন ওনারা বিভিন্ন রকমের সবজি (বা মাছমাংস) তাতে আগে তেল মাখিয়ে তারপর মাটির (বা সিরামিকের "সরায়") রেখে দমে বসিয়ে রান্না করেন ( ওভেনে রান্না করেন, অন্যথা উনুনের ওপর সরাসরি রান্না করেন, তবে দমে বসানোর আগে তেল মশলা মাখিয়ে তারপর)। 
    শেখার পর, একদিন, কথায় কথায় একবার আমার মা'কে এইকথা বছর খানেক আগে বলেছিলাম, কারণ আমি কাউকে কস্মিন কালে কাউকে ভারতীয়/সাবেক বাঙালী খাবার ওভাবে রান্না করতে দেখিনি। শুনে আমার মা চমকে উঠে বলেছিলেন আমার দিদিমা অবিকল ঐভাবে রান্না করতেন আর সে রান্নার স্বাদ অপূর্ব হত। 
    দিদিমা গত হয়েছেন বহুকাল, মা বা তাঁর বোনেরা তাদের মায়ের কাছ থেকে রান্নার ঐ আর্ট শিখে রাখেন নি, ফলে রান্নার একটা ঘরানা হারিয়ে গেল। 
    অতএব।
    আপনার মা যদি থাকেন, তাঁর কাছ থেকে জেনে এখানে লিখতে পারবেন? 
    আরো ভাল হয় তিনি নিজে যদি লেখেন।
     
  • Suvasri Roy | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৩৬531011
  • @অরিন
    মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
    আমার মা বহু দিন গত হয়েছেন। পদ্ধতি জানার উপায় নেই।
  • অরিন | ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৪৮531012
  • ইস, শুভশ্রী, মন ভার হল, তবে কি আর করা যাবে |
    চরৈবেতি, ইহই জীবন!
     
  • চিত্তরঞ্জন হীরা। | 2409:4060:2eb5:ba12:3082:9c28:98ac:***:*** | ২৭ মে ২০২৪ ১৪:১১532383
  • খুব সুন্দর লেখা। ঘটনাগুলোর সঙ্গে যেভাবে জীবন জড়িয়ে রয়েছে, মাঝে মাঝে যেন নিজেকেও খুঁজে পাই। 
    খুব ভালো লাগছে লেখাগুলো পড়ে। একটানা পড়ে ফেলতে হয়। এমন টান।
  • Suvasri Roy | ২৭ মে ২০২৪ ১৪:৫৮532388
  • @চিত্তরঞ্জন হীরা
    মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি, পাঠপ্রতিক্রিয়া দেওয়া অব্যাহত রাখবেন।
  • যোষিতা | ২৭ মে ২০২৪ ১৬:২৭532389
  • আমি ঐ পদ্ধতি জানি। কাঠের আঁচে রাঁধতে হয়, দীর্ঘ সময় ধরে ঐ পদ্ধতিতে রাঁধলে রান্নার স্বাদ বেশি ভালো হয়। মশলা বেশি দিতে নেই, পরিমান মত দিতে হয়। 
  • Suvasri Roy | ২৭ মে ২০২৪ ১৬:৫২532390
  •    আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগল। শহরে তো আজকাল কাঠের আঁচে রান্না উঠেই গেছে। শুনেছি নির্দিষ্ট কিছু রান্নায় আসল স্বাদ আনার জন্য কোনো কোনো হোটেলে এসবের ব্যবহার হয়। 
      এ দিকে আমি এক সময় মুর্শিদাবাদের গ্রামে পাটকাঠি জ্বালিয়ে রান্নার ব্যাপক চল দেখেছি। এখনো গ্রামেগঞ্জে এটার চল আছে। মুর্শিদাবাদে বরাবর ব্যাপকহারে পাট চাষ হয়।
  • ভাস্বতী বন্দ্যোপাধ্যায় রায়চৌধুরী | 202.8.***.*** | ০৭ জুন ২০২৪ ২০:১১532854
  • স্মৃতির হাত ধরে একটা চমৎকার লেখা পড়লাম 
  • Suvasri Roy | ০৭ জুন ২০২৪ ২১:৪০532863
  • @ভাস্বতী বন্দ্যোপাধ্যায় রায়চৌধুরী
    মন্তব্য করেছেন বলে ভালো লাগছে। শুভেচ্ছা জানাই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন