২০০২ এলাহাবাদ কোর্ট পুরাতত্ব বিভাগকে খননের নির্দেশ দিলবিগত ২৪ জুলাই ১৯৯৬ তারিখে ওই হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ শুনানি শুরু করে ২৩ অক্টোবর, ২০০২ সালে নির্দেশ জারি করল যে ওরা গ্রাউন্ড পেনিট্রেটিং টেকনলজি বা জিও-রেডিওলজি পদ্ধতিতে বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দিক।
মার্চ-অগাস্ট ২০০৩ঃ এ এস আই সার্ভে
মসজিদের ভগ্নাবশেষের নীচে এবং চারপাশে খোঁড়াখুড়ি করে ওরা দাবি করল যে মনে হচ্ছে দশম শতাব্দীর কোন মন্দিরের ভগ্নাবশেষ পাওয়া গেছে।
অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করলেন।*
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১০ঃ এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়
তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় ২ঃ১ ভিত্তিতে দিল। অর্থাৎ একজনের সম্মতি ছিল না। এই রায়ে তিন পার্টিকে বিবাদিত জমির সমান তিনভাগ করে ১/৩ মালিকানা দেওয়া হল।
তিন পার্টি হলেন-- ভগবান শ্রীরামললা বিরাজমান, সুন্নী ওয়াকফ বোর্ড এবং নির্মোহী আখড়া।
৯ মে, ২০১১ঃ সুপ্রীম কোর্টের স্থগিতাদেশ
সুপ্রীম কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ এলাহাবাদ বেঞ্চের ফয়সালায় স্থগিতাদেশ জারী করল। জাস্টিস লোধা বললেন--পার্টিশন ডিক্রি একটু অদ্ভুত, কারণ কোন পক্ষই পার্টিশন চায় নি।
২১ মার্চ, ২০১৭ঃ কোর্টের বাইরে মিটমাট?
সুপ্রীম কোর্টের তরফ থেকে আউট অফ কোর্ট সেটলমেন্টের পরামর্শ ( প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি যে এস কেহর) দেওয়া হল, কিন্তু চিঁড়ে ভিজল না। সবপক্ষই পুরো ফয়সালা চেয়ে সুপ্রীম কোর্টে আপিল করেছিল।
১১ অগাস্ট, ২০১৭ঃ তিন সদস্যের বেঞ্চ
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি অশোক ভান এবং বিচারপতি আব্দুল নজীর আপিলের শুনানি শুরু করলেন এবং ৫ ডিসেম্বর পাঁচজনের বেঞ্চ গঠনের পিটিশন খারিজ করলেন।
২৭ সেপ্টেম্বর এই বেঞ্চ ইসমাইল ফারুকীর ১৯৯৪ সালের রায় পুনর্বিবেচনা করার আবেদন খারিজ করল। এই রায়ে জাস্টিস নজীর অসহমত ছিলেন।
সেই রায়ে ফারুকী বলেছিলেন যে মসজিদগুলো ইসলাম ধর্মের এসেনশিয়াল ফীচার নয়। কাজেই এই মামলাকে তিন বিচারপতির বেঞ্চ কেবল জমির মালিকানার মামলা হিসেবেই বিচার করুক।
৮ জানুয়ারি ২০১৯ঃ পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠন
নতুন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠন করলেন।
৮ মার্চ, ২০১৯ তারিখে সুপ্রীম কোর্ট মধ্যস্থতা করার জন্য একটি তিন সদস্যীয় প্যানেল গঠন করে সমস্ত পক্ষকে তাদের কাছে যেতে বলল।
ওই প্যানেলে ছিলেন শ্রী শ্রী রবিশংকর, প্রাক্তন বিচারপতি কলিফুল্লা ও অ্যাডভোকেট শ্রীরাম পঞ্চু।
এই প্রয়াস ব্যর্থ হওয়ায় সুপ্রীম কোর্ট ৬ অগাস্ট ২০১৯ তারিখে নিয়মিত শুনানি শুরু করল।
৯ নভেম্বর ২০১৯ঃ সুপ্রীম কোর্টের রায়
এই রায় দেওয়ার সময় নির্মোহী আখড়াকে পক্ষ বলে স্বীকার করা হয় নি। পুরো বিবাদিত জমি দেওয়া হল বিগ্রহ শ্রীরাম বিরাজমানকে।
সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডকে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হল অযোধ্যায় কোন বিশিষ্ট স্থানে মসজিদ নির্মাণের জন্য ৫ একর জমি।
আর আলাদা করে বলা হল যে ওই রামললার ১৯৪৯ সালে বিগ্রহটি মসজিদে জোর করে ঢোকানো হয়েছিল। এবং মসজিদ ভাঙা একটি আইনি অপরাধ। সংশ্লিষ্ট লোকদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত।
পুনঃ
রায়ের ভিত্তি এবং পুরাতত্ত্বের খনন নিয়ে আপত্তি ইত্যাদি নিয়ে পরে লিখছি।