এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হারিয়ে যাওয়া কোলকাতার জলছবি

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ | ৫১১ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • এই যে চারদিকে মিছিল হলেই স্লোগান শোনেন, 'চলছে-চলবে', কিংবা 'চলছেনা-চলবেনা' - এর উৎপত্তি কোথায় কখনও ভেবেছেন? 

    সেটা ১৯৬৫ সাল। উৎপল দত্ত মিনার্ভা থিয়েটারে নিয়ে এলেন তাঁর প্রবাদপ্রতিম নাটক, কল্লোল। নাটকটা তখনও প্রবাদ হয়নি, কিন্তু প্রথম দিন থেকেই বিতর্কিত। পটভূমিকায় ছিল ১৯৪৬ এর নৌবিদ্রোহ। ব্রিটিশ জমানার শেষ সময়ে নৌসেনাদের বিদ্রোহ, কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগের পিছনে ছুরি মারা। তারপর দেশভাগ ইত্যাদি। 

    তখন ব্রিটিশ বিদায়ের পর ১৮ বছর কেটেছে, পশ্চিমবঙ্গ আপাত শান্ত, কিন্তু  দেশভাগের ক্লিষ্টতায় দীর্ণ, খাদ্য সংকটে জীর্ণ, দগদগে ঘা সর্বাঙ্গে। ক্ষোভের কিছু কমতি নেই, নাটকটা তাই প্রথম দিন থেকেই হিট। দৃশ্যায়নও অসাধারণ ছিল। আস্ত একটা জাহাজ তৈরি করা হয় মঞ্চে। আলো করেছিলেন তাপস সেন। প্রথম দিন থেকেই দর্শকদের ভিড়ে ভেঙে পড়তে থাকে নাট্যালয়।

    কংগ্রেস সরকারের যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ ছিল এই নাটকে। নিষিদ্ধ করা হয়নি, কিন্তু প্রথম দিন থেকেই চলতে থাকে চোরাগোপ্তা আক্রমণ। কখনও দর্শকের লাইনে গুন্ডা হানা, কখনও বোমা ছোঁড়া। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে কমিউনিস্ট পার্টি পাঠিয়ে দেয় স্বেচ্ছাসেবকদের। কলেজের ছাত্র আর কারখানার শ্রমিকরা পালা করে পাহারা দিতে শুরু করে মিনার্ভা। 

    উৎপল দত্ত লিখেছেন,  সংগ্রেসের চাপে স্টেটসম্যান ছাড়া কোনো কাগজ বা পত্রিকা এই নাটকের খবর কিংবা রিভিউ ছাপতনা। এমনকি বিজ্ঞাপনও প্রকাশ করা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতেও জনপ্রিয় হবার পর আনন্দবাজারের এক সাংবাদিক টিকিট কেটে ঢুকে পড়েন নাটক দেখতে। আনন্দবাজারে রিভিউ বেরোয়, যার  একটাই বক্তব্য ছিল, এই নাটককে কেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছেনা। তাতেও দর্শকের সংখ্যা বাড়তেই থাকে। স্থৈর্য হারিয়ে আনন্দবাআর একটা সম্পাদকীয় বার করে। তাতে এই নাটকের কুশীলবদের সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয় ( এগুলো উৎপল দত্তের 'টুয়ার্ডস আ রেভলিউশনারি থিয়েটার' এ আছে। রিভিউ বা সম্পাদকীয় কোনোটাই আমি পড়িনি)। 

    এর উল্টোদিকে বামপন্থীরা যে যুদ্ধকৌশল নেন, সেটা ছিল অভাবনীয়। মিছিল ডেকে হই-হট্টগোল না। স্রেফ কল্লোল যে চলছে, এই খবরটা চারদিকে ছড়িয়ে দেবার দরকার ছিল। তাই দিগ্বিদিকে, স্রেফ হাতে লিখে শহরে, গ্রামে মফস্বলে, সেঁটে দেওয়া হতে থাকে ছোটো ছোটো কাগজের টুকরো। তাতে লেখা স্রেফ একটা লাইন। "কল্লোল চলছে চলবে"। 

    ইতিহাস সাক্ষী আছে, হাতে লেখা ওই একটা লাইনই দিগ্বিজয় করেছিল। কল্লোল ক্রমশ জনকল্লোলে পরিণত হয়। নাটক শুরু হবার ছয় মাসের মধ্যেই এক মধ্যরাতের হানায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে উৎপল দত্তকে। তিনি ছাড়া পান পরের বছর। ১৯৬৬ সালে। ততদিনে জনকল্লোল অন্য মাত্রা নিয়েছে। জেলায়-গ্রামে শুরু হয়ে গেছে উত্তাল খাদ্য আন্দোলন। নুরুল ইসলাম, আনন্দ হাইত শহীদ হয়েছেন। কমিউনিস্ট পার্টির ডাকা একদিনের হরতাল, জনতার উৎসাহে দুদিনের ধর্মঘটে পরিণত হবে এর পর। তারও পরের বছর হবে নকশালবাড়ি। সেসব অন্য গল্প, কিন্তু এখানে যা বলার, তা হল, কল্লোলের সঙ্গে 'চলছে-চলবে' স্লোগানটাও অজর-অমর-অক্ষয় হয়ে গেছে  ততদিনে। বন্দেমাতরম থেকে চুপচাপ-ফুলে-ছাপ সব ধরলেও, বাংলার ইতিহাসে চলছে-চলবেই বোধহয় জনপ্রিয়তম রাজনৈতিক স্লোগান।

    তা, এই ইতিহাস আমরা ভুলে গেছি। কল্লোল ভুলিনি, জনমুখী শিল্পকলার কথাই বেমালুম বিস্মৃত হয়েছি। না ভুললে ২০১৫তে চলছে-চলবের ৫০ বছর পালন করা হত অবশ্যই। বছর বছর সফদার হাসমি এবং হল্লাবোল নিয়ে এত উচ্ছ্বাস দেখি, যেন উনিই গণমুখী নাটকের জন্মদাতা। অথচ উৎপল দত্ত, দশকের পর দশক ধরে স্রেফ নাটক না, যাত্রার পক্ষে সওয়াল করে গেছেন, হ্যাঁ ভুল পড়ছেননা যাত্রা, সে নিয়ে কোনো নাড়াচাড়া চোখেই পড়েনা। এখানে যে বই থেকে টুকলাম, সেই  'টুয়ার্ডস আ রেভলিউশনারি থিয়েটার' আদৌ কেউ উল্টে দেখেন কিনা সন্দেহ। প্রসঙ্গত, বাংলার আরেকজন শিল্পী গণমুখী শিল্প তৈরি করতে চেয়েছিলেন, পারেননি, তাঁর নাম ঋত্বিক ঘটক। বাঙালী বুদ্ধিজীবীরা তাঁরও অভিমুখটা বাদ দিয়ে স্রেফ খোলাটুকু নিয়েই গদগদ। 

    এ অবশ্য আজকের গপ্পো না। এ নেহাৎই আপতিক ঘটনা না, যে, যে ছাত্রনেতা ১৯৬৫ সালে কল্লোল পাহার দেবার নেতৃত্বে ছিলেন, তাঁর নেতৃত্বেই শুরু হয় হোপ-৮৬। তাঁর নাম সুভাষ চক্রবর্তী। পপ-কালচার নামক এক অদ্ভুত বকচ্ছপ জিনিসের চর্চার তখনই শুরু। পপ-কালচারও তার পর থেকে আসতে শুরু করে দিল্লি থেকে, বিকল্পও তাই। সফদর হাসমি এক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব, স্মরণীয় শহীদও, কিন্তু হল্লাবোল না, বাংলার স্লোগান চলছে-চলবে, সফদার না, ভারতবর্ষে গণমুখী শিল্পের গুরু উৎপল ও ঋত্বিক, যদি না আরও পিছিয়ে বিজন ভট্টাচার্যে চলে যান।

    এই বিস্মৃতির পাপ আজও চলছে। জনমুখী শিল্পের চর্চা বলতে আর কিছু নেই। যাঁরা বানাতে যান, তাঁরা খোঁড়ান, কারণ ওটাও একটা চর্চার বিষয়। আমি হেবি জ্ঞানী, আর হেলাফেলা করে পাবলিককে কিছু গিলিয়ে দিলাম, এই প্রকরণে বিষয়টা চলেনা। কারণ ওটাও একটা কলা, যার প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হয়। একই জিনিস দেখি, যেকোনোরকম রাজনৈতিক প্রচারমূলক জিনিসে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায়ও।যাঁরা এই লেখা পড়ছেন, তাঁরা জানেন, এই অধমও, কিছু ছোটোখাটো রাজনৈতিক শিল্পবস্তু বানিয়েছে, যার কিছু-কিছু কিঞ্চিৎ জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। কেউ দুচ্ছাই কিছু করেননি, কিন্তু ভেবে দেখলেই দেখতে পাবেন, ওগুলোকে কখনও সাংস্কৃতিক কান্ড হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ওগুলো মজার, হেব্বি হয়েছে, কিন্তু সিরিয়াস জিনিস? সেগুলো আলাদা। সেগুলো বানানো হয় মহৎ ভাব দিয়ে। ক্ষোভের কথা না (কারণ, আমার অন্য গান-টানের ক্ষেত্রে মহৎ ভাব খুজে পাওয়া গেছে বই কি), কথাটা বাস্তবতার। বাস্তবতা এই, যে, উৎপল দত্ত যেভাবে 'প্রচার'কে একটা শিল্পকর্ম ভেবেছিলেন, ঋত্বিক কীভাবে মেলোড্রামা যোগ করে সিনেমা হিট করাবেন ভেবেছিলেন, গণমুখী শিল্প হিসেবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেই ভেবেছিলেন, সেই শ্রদ্ধাটাই হাওয়া হয়ে গেছে। চিন্তার ঘরাণাটাই উবে গেছে। কোনো সংগঠিত বা অসংগঠিত শক্তি এখন পাবেননা, যারা প্রচারকে শিল্পকলা ভাবে। ফলে ঘরনাটা উঠে গিয়ে স্রেফ টিভি-সিরিয়াল নয়তো দিল্লির আমদানি স্লোগানে পর্যবসিত হবে, এবং জনমানসে কোত্থাও দাগ ফেলবেনা, তাতে আর আশ্চর্য হবার কী আছে।

    ---------
    যা ভেবে লেখতে শুরু করেছিলাম, বেগ এসে যাওয়ায় তার থেকে অনেক দূরে চলে গেছি। লেখাটা শুরু করেছিলাম, একটা বইয়ের কথা বলব বলে। তার নাম 'হারিয়ে যাওয়া কোলকাতার জলছবি'। লিখেছেন রঞ্জন রায়। না, তাতে এই ঘটনাটা নেই, আমি অত কাঁচা লোক নই, যে, বইয়ের গপ্পো তুলে দেব। কিন্তু যা আছে, তা এইরকমই নানা টুকরো। শুধু রাজনৈতিক না, শুধু সামাজিকও না, জলছবি যেমন হয়, সব মিলিয়ে মিশিয়ে। যদিও এই লেখাটা আমার, বইয়ে নেই, তবুও জলছবিটা এরকম। এই লেখার শেষে আমার নিজের কিছুটা বক্তব্য ঢুকে গেছে, সেটাও অবশ্যই নেই। আসলে কী আছে, জানতে গেলে তো বইটাই পড়তে হবে। যা আসছে, এই বইমেলায়।
     
    পুঃ কেউ দত্তক নিতে ইচ্ছুক হলে জানাবেন। যেহেতু আংশিক দত্তক আসে, তাই একাধিক হলেও ক্ষতি নেই।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • upal mukhopadhyay | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:১৯527482
  • উৎপলবাবু মারা গেলেন সম্ভবত তিরানব্বই, আমি তখন রাইটার্স বিল্ডিংয়ের পাঁচ নব্বর ব্লকের পাঁচ তলায় পিডব্লিউডির সচিবালয়ে কনিষ্ঠ কেরানি। ওটা ছিল উপলক্ষ, চাকরিটা। আসলে চুটিয়ে ডিসিডেন্ট ইউনিয়ন গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন করি আর যেটুকু অবসর নিংড়ে পাই তাতে গ্রুপ থিয়েটার অফিস থিয়েটার ঢুকে বসে আছে। রাইটার্সে রাত দশটা অবধি উৎপলবাবু আর মনোজ মিত্রের কিংবা বিভাস চক্কোত্তির নাটক যাত্রাগুলো অভিনয় হয় বছর বছর। টিনের তলোয়ার রাইফেল সূর্যশিকার চাকভাঙা মধু তুরুপের তাস নরক গুলজার রাজদর্শন কিনু কাহারের থেটার - হয়েই চলে হয়েই চলে। পরিচালনা করেন পুরনো আইপিটিএ-র সন্দীপদা, উনি ছিলেন রিজার্ভ ব্যাংকের কর্মী। অফিস ক্লাবের নাটকের স্টেজ রিহার্সাল হয় রাইটার্স ক্যানটিন হলে শনি রবি সকাল থেকে। ওই স্টেজেই বাহাত্তরে মারীচ সংবাদের প্রথম শো করেছিলেন রাইটার্সের কর্মী অরুণ মুখার্জি। চেতনা টিমটাই সরকারি কর্মীদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল। প্রায়ই নাটক করেছেন রতন কুমার ঘোষ। পিএলটির বেশ কিছু অভিনেতা। সুপ্রীতিবাবু প্রমুখ আর পরে ওখান থেকে উঠে এসেছে পদ্মনাভ, রেডিওর সঞ্জয় বা সোনারপুর কৃষ্টি সংসদের প্রদীপ দত্ত গৌতম মুখার্জির ভাই মুরারি আরও কত কত অভিনেতা নাট্য সংগঠক - হ্যাঁ তখন সে বোলে একটা বস্তু ছিল। এমত নাট্য আর ট্রেড ইউনিয়নের ঘাঁটি রাইটার্সে খবর এল উৎপল বাবু নেই। আর পিডব্লিউডি রিক্রিয়েশন ক্লাব থেকে আমরা সিদ্ধান্ত করলাম একটা স্মরণ সভা করব টিফিন বেলায়। শুরু হয়ে গেল তোড়জোড় - কে বলবে? একজন তো রেডি আছেই যে সে বছরই সুভেনিরে টুওয়ার্ডস এ পুওর থিয়েটার থেকে খানিকটা অনুবাদ করে ছাপিয়েছে, যে ছুটির পর প্রত্যেকদিন ছোটে রিহার্সাল দিতে কোনদিন ফেরে কোনদিন ফিরে না। ছুটি ফৌত করে গ্ৰামে মফস্সলে নাটক করে ঘোরে সেই আমি। কিন্তু আমি যে পরিচিত নকশাল। উৎপলবাবুর স্মরণ সভায় কোন সিপিএম বলবে না! খোঁজ পড়ে গেল, কাউকে পাওয়া গেল। সে দিন আমি উৎপলবাবুকে, আমার শিক্ষককে স্মরণ করি তিনি যেভাবে কার্টুনিস্ট স্টাইলাইসেশন অফ ক্যারেক্টর করতেন তার ব্যাখ্যা করে যার ভিত্তি ছিল ডাইলেক্টিক্যাল এক্টিং।
    এটাই ছিল সে সময়ের প্রকৃত রাইটার্স মাহোল। মমতা এসেই ক্যান্টিন হলের সামনেটা ভেঙে চুরে একটা ক্যান্টিন বানাল তারপর হলটাই ভেঙে দিল। যেখানে আমরা নাটক করতাম সে জায়গাটাই আর নেই।
  • dc | 2401:4900:1f2b:f430:c444:cdc:10a6:***:*** | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৩৬527483
  • "চলছি না, চলবো না" আর "করছি না, করবো না" - এসব ছিলো আমাদের ছোটবেলার জনপ্রিয় স্লোগান। আর ছিল জঙ্গি ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন। সে কি আন্দোলন! আজকালে লেখা বেরিয়েছিল, কম্পিউটারকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেবো। প্রতি মাসে ধর্মঘট ডাকা হতো, যার আওতা থেকে ছাড় পেতো দুধ আর খবরের কাগজ। আর সবার ওপর সত্য ছিল সিআইয়ে। 
  • dc | 2401:4900:1f2b:f430:c444:cdc:10a6:***:*** | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:৪৬527484
  • ওহ, আর মাঝে মাঝে হতো ব্রিগেড চলো মিছিল, যেখানে স্লোগান দেওয়া হতো "লালে লাল লাল সেলাম" আর "মানছি না, মানবো না", আর সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকাকে খুব জোর ধমক দেওয়া হতো। আর আমেরিকা ভয়ে কেঁপে অস্থির হয়ে যেতো। 
  • upal mukhopadhyay | ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৩527487
  • রাইটার্সে দশটা অবধি রিহার্সাল হতো। নাটক হতো রবীন্দ্রসদন বা ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট ভাড়া করে।
  • π | ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:২১527656
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন