এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বাকিসব  নেট-ঠেক-কড়চা

  • মা বাবার ভালবাসা

    অনুসন্ধিৎসু
    বাকিসব | নেট-ঠেক-কড়চা | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮৭৪ বার পঠিত
  • গুরুতে অনেক সিনিয়র সদস্য আছেন, যাদের একাধিক সন্তান আছে, তাঁদের কাছে (বা অন্যদের কাছেও) একটা প্রশ্ন আছে। বাবা মা কি দুজন সন্তান থাকলেও দুজনকে ঠিক সমান সমান ভালবাসে, নাকি সচেতনভাবে বা অসচেতনভাবে কোন একজনকে বেশি ভালবেসে ফেলে? 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 192.139.***.*** | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:৩৩741568
  • আমরা দুই ভাই। অতি শৈশবে মরণাপন্ন হয়েছিলাম, তার ফলেই হয়তো পরবর্তী শৈশবে বেশি প্যাম্পার্ড। অগ্রজর রেগুলার ট্রিটমেন্ট।
    তারপর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা পড়াশুনোয় ভালো আর কনিষ্ঠটি বখে যাওয়ার উপক্রম, উঠতে বসতে তর্জন তিরস্কার, মনে হলো অভিভাবকেরা নিতান্ত বুর্জোয়া আর আমি নিপীড়িত। 
    তারপর আবার কর্মজীবনে আমি বেশি দূরে চলে গেলাম, দূরত্বের কারনে একটু বেশি ব্যকুলতা হলো হয়তো মা বাবার।
    যদ্দুর বোঝা গেল, সময়, পরিস্থিতি ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে টুকটাক পরিবর্তন হয়েছে মাঝে মধ্যে।

    তবে দুজন থাকলে অনেক সময়ই দেখেছি নানান অভিযোগ থাকে, কারো কারো বড় হয়েও সেসব অভিযোগ যায় না। পরিচিত দু'জন, একজন করিৎকর্মা চটপটে, অপরজন তুলনায় অন্তর্মুখী। বড় হওয়ার পর করিৎকর্মার অভিযোগ অন্তর্মুখীকে বেশি আদরে আগলে রাখা হয়েছে, অন্তর্মুখীর অভিযোগ করিৎকর্মার সাফল্যের প্রতি সব মনোযোগ খরচ করা হয়েছে।

    আবার একজন ছেলে একজন মেয়ে থাকলে তাদের ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা হয় প্রায়ই। আমাদেরই এক বন্ধু, পড়াশুনোয় তুখোড়, ভালো ভালো কলেজে সুযোগ পেয়েও পড়তে যেতে পারলো না, নাকি ছোট ভাইয়ের পড়াশুনোর জন্য টাকা পয়সা বাঁচিয়ে রাখতে হবে, ভাইটি এদিকে নেহাৎ ডডনং।

    সবাই তো মানুষ, মা বাবা হলে কিছু অতিমানব তো কেউ হয়ে যায় না। পক্ষপাত হতেই পারে। খুব চোখে পড়ার মত হলে সন্তানের জন্য সেটা যন্ত্রনাদায়ক ও দীর্ঘমেয়াদী মনোবেদনার কারন হয় নিশ্চয়ই।
  • অনুসন্ধিতসু | 115.187.***.*** | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:৫৩741569
  • @র২হ 
    আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। হ্যাঁ, একজন ছেলে একজন মেয়ে থাকলে ছেলে সন্তানের প্রতি একটা অন্যায় পক্ষপাতিত্ব থাকে। 
    আচ্ছা, এমন অভিজ্ঞতা কারও আছে, যেখানে বাবা মা নিজের মুখেই কোন এক সন্তানের প্রতি পক্ষপাতিত্ব বা বেশি ভালবাসার কথা স্বীকার করেছেন?
  • :|: | 174.25.***.*** | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:২৭741570
  • গোপাল আর রাখাল কি দুই ভাই ছিলো? তেমনটা হলে সুবোধ বালক গোপালের প্রতি তো ... 
    জোক না ​​​​​​​ছড়া ​​​​​​​আছে ​​​​​​​
    "পিতার ​​​​​​​জ্যেষ্ঠ ​​​​​​​
    মাতার ​​​​​​​কনিষ্ঠ ​​​​​​​
    বাকী ​​​​​​​সব ​​​​​​​হরেকেষ্ট"। 
    অর্থাৎ প্রথম সন্তান বাবার প্রিয় শেষটি মায়ের কোলের মাঝের গুলো, মানে ওই আরকি, কেষ্টর জীব। 
    তবে আমার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ দুই অভিজ্ঞতাতেই সব সন্তানকেই মাবাবা সমান ভালোবাসেন। এমননা এক সন্তান হলে সে 100% এবং তিনজন থাকলে 33.33% করে ভালোবাসা পাবে। প্রত্যেকের জন্য তার মতো করে 100% বাঁধা। তবে ছেলেপিলেদের পারস্পরিক ঈর্ষায় সংখ্যাটা গোলমেলে দেখাতে পারে বটে! 
  • Kishore Ghosal | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৩741573
  • বিবাহিত নারী-পুরুষের প্রথম সন্তান, তাঁদের প্রথম মাতৃত্ব ও পিতৃত্বের অনুভব এনে দেয় - অতএব শুধুমাত্র সেই কারণেই প্রথম সন্তানের প্রতি বাপ-মায়ের পক্ষপাত ঘটবেই। 
    তবে দুই বা ততোধিক সন্তান থাকলে, নানাবিধ কারণে সেই পক্ষপাতের তারতম্য ঘটে থাকে - এ কথাও সত্যি।
  • অনুসন্ধিতসু | 115.187.***.*** | ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৫২741577
  • মতামত শেয়ার করার জন্য কিশোরবাবু ও আর একজনকে ধন্যবাদ। আমার পরের প্রশ্ন, আপনাদের নিজেদের অভিজ্ঞতায় এমন কোন বাবা মা আছেন, যারা কোন একটি সন্তানের প্রতি বিশেষ পক্ষপাতিত্বের কথা নিজমুখেই স্বীকার করেন এবং তাতে বিশেষ অপরাধ দেখেন না?
  • :|: | 174.25.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:৫০741578
  • কেন বেশী ভালোবাসেন সেটাও নিশ্চয়ই বলছেন। সেই জন্যই গোপাল আর রাখালের কথা ভেবেছিলাম। কারনে ভালোবাসলে সেটা নিয়ে দুঃখ করে লাভ নাই।
  • r2h | 192.139.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:০২741579
  • আমাদের দেশে কেবল লিঙ্গ বিচার করে প্রচুর ভ্রূণহত্যা হয়, আইন করেও আটকানো দুষ্কর। অ্যাবর্শনের হাজার একটা কারন হতে পারে, কিন্তু তার কারন যখন জেন্ডার প্রেফারেন্স, তখন এটুকু ধরে নেওয়াই যায় যে জৈবিক জনক জননী হলেই মানুষ আশমানী ফেরেশ্তা হয়ে যায় না।

    সেসব থেকে ধরে নেওয়াই যায় যে পক্ষপাতমূলক আচরনের আরও এরকম কারন অনেক ক্ষেত্রেই থাকতে পারে যা হয়তো সন্তানের জন্য দুঃখজনক।
    সেসব অনেক ক্ষেত্রে নর্মালাইজ হয়ে যায়, অনেক সময় পরিপার্শ্বের চাপে মানুষ তেতো ওষুধ গেলার মত নর্মালাইজ করে। অনেক সময় ভাবতে বাধ্য হয় - হয়তো আমিই রাখাল।

    অনুসন্ধিৎসুর মনে হয় কিছু বলার আছে। বলতে পারেন, অনেকেই জাজমেন্টাল হবে না নিশ্চয়।

    আমি এমন প্রত্যক্ষ দেখিনি, তবে শুনেছি তো বটেই। কখনো মনে হয়েছে অভিযোগ অমূলক (করিৎকর্মা বনাম অন্তর্মুখী) কখনো মনে হয়েছে সত্যিই অন্যায় (তুখোড় বনাম ডডনং)।
  • লেনদেন | 103.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:০৩741580
  • আরে ভাই, বাপ-মা ভগোমান না, অবতারও না। যে ছেলেমেয়ে বেশি আয় করে, একটু প্রতিষ্ঠিত, মাল্লু আছে এবং মাল্লু ছাড়ে, সেদিকে টাল খায়, সব্বাই খায়, বাপ-মা ও খায়। আবার যে সন্তান বাপ-মা কে একটু বেশি তোল্লা মারে, দেখো আমি তোমাদের কত খেয়াল রাখি - তাদের দিকেও টাল্লি খায়। অ্যাডাল্টদের মধ্যে যেমন লেনদেনের সম্পর্ক থাকে, বাপ-মা ছেলেমেয়েদের মধ্যেও তেমনি। এসব নেকুমার্কা কোচ্চেন করেন ক্যানো।
  • r2h | 192.139.***.*** | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:২৮741581
  • উল্টোও দেখেছি কিন্তু!
    একজন হয়তো কম প্রতিষ্ঠিত, মা বাবা চিরকাল তাকে আগলে রাখলো, তাতে করে বেশি প্রতিষ্ঠিতজন অহর্নিশ গজগজ করে গেল!

    যদিও আমার কাছে এটা মেকস সেন্স, দুর্বলের প্রতি পক্ষপাত তো একমাত্র মানুষই করতে পারে।
  • | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৭741595
  • হ্যাঁ সবরকমই হয় তো। মানুষ যেহেতু কুমোরপাড়ায় অর্ডার দিয়ে তৈরী মূর্তি নয় ফলে সবাই একরকম হয় না।  বাবা মা বিভিন্ন, সন্তানকে বিভিন্ন রকম ভালবাসেন, নির্দ্বিধায় বলেন জাসটিফাই  করেন এ দেখেছি। কোরাতে একটি বাঙালি মেয়ের অ্যাকাউন্ট আছে যেখানে মেয়েটিকে তার নিজের দাদা নিয়মিত রেপ করত।  মা ভাবার সামনেই।  মা বরং দাদাকে সাহায্যই করত।  মেয়েটি যখন অনেক পরে বেরোতে পারে সবকিছু প্রকাশ্যে আনে তখনও মা নিজের আচরণকে জাস্টিফাই করেই যাচ্ছে। 
     
    আবার সন্তানরাও বাবা আর মাকে সমান ভালবাসেন না একজনকে একটু বেশী একজনকে কম এও আকছার দেখছি। বাবা এবং অন্য আত্মীয়দের দেখাদেখি মাকে খুবই তুচ্ছ পাপোষগোছের মনে করে এবং সেরকম ব্যবহার করে তা যেমন দেখেছি তেমনি আপাত অসফল ঘুষ নিতে অনিচ্ছুক অপারগ বাবাকে  মায়ের সাথে মিলে তাচ্ছিল্য অপমান করা সন্তানদেরও দেখেছি। 
     
    কিন্তু আপনার বক্তব্যটা কী অনুসব্ধিৎসু? নিজের কোন বক্তব্য না রেখে স্রেফ প্রশ্ন কিরে যাওয়াটা কেমন যেন। ঠিক ফেয়ার নয়। অনুসন্ধিৎসা তো নয়ই। নিজের বক্তব্যটা লিখে ফেলুন স্পষ্ট করে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন