এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • রাষ্ট্র এবং কয়েকজন

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৭ জুন ২০২৩ | ১১৮০ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে, মহারাষ্ট্রের  ভীমা-কোরেগাঁও নামক একটা ছোট্টো জায়গায় কিছু দলিত সংগঠন বনাম হিন্দুত্ববাদীদের একটা গোলমাল হয়। অভিযোগ, দলিতদের মিছিলে হিন্দুত্ববাদীরা আক্রমণ করেছিল। প্রতিবাদ ছড়ায় রাজ্য জুড়ে। হিন্দুত্ববাদী একজন নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপর ধাপে-ধাপে আসরে নামে বিশেষ-তদন্তকারী-দল এবং এনআইএ, যে কেন্দ্রীয় সংস্থা ভারতবর্ষের নিরাপত্তারক্ষার মহান দায়িত্বে। না, হিন্দুত্ববাদীদের আর কিছু হয়নি। এক এক করে গ্রেপ্তার করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচক ১৬ জন কর্মী, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকারের পক্ষের মানুষকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন, ভারভারা রাও, স্ট্যান স্বামী, রোনা উইলসন, গৌতম নওলাখা, সোমা সেন, সুধা ভরদ্বাজ। এই ষোল জনের বেশিরভাগই ঘটনার সময় এলাকা থেকে বহু বহু দূরে ছিলেন, কিন্তু চক্রান্ত তো দূরে বসেও করা যায়। এনআইএ এই ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের তদন্ত করতে থাকে। নানারকম 'প্রমাণ' পাওয়া যায়। যেমন রোনা উইলসনের কম্পিউটারে পাওয়া যায় 'সন্ত্রাসবাদী'দের সঙ্গে যোগাযোগের অব্যর্থ প্রমাণ, যা বিদেশী একটি ফরেনসিক সংস্থা স্ক্যান করে দেখে, যে, স্পাইওয়্যার দিয়ে কম্পিউটারে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অসুস্থ স্ট্যান স্বামী ছিলেন আরেকজন ভয়ানক চক্রান্তকারী। গ্লাস থেকে জল খেতে পারতেননা বলে একটা স্ট্র চেয়েছিলেন। দেওয়া হয়নি, খুব সম্ভবত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে যেতে পারে বলে। স্ট্যান স্বামী বন্দী থাকা অবস্থায়ই মারা যান, স্ট্র আর দরকার পড়বেনা তাঁর। 

    বাকি পনেরোজন ঠিক কী চক্রান্ত করেছেন? কেন তাঁরা বন্দী? বলা খুবই কঠিন। কারণ পূর্ণাঙ্গ চার্জ এখনও ফ্রেম করা হয়নি। ফলে অপরাধের বিচারও শুরু হয়নি। অদূর ভবিষ্যতে হবার কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছেনা। অভিযোগই নেই আপাতত, থাকলেও, সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে প্রমাণ হওয়া কঠিন, এনআইএর সেরকমই ট্র‌্যাক রেকর্ড। তবুও তাঁরা বন্দী আছেন, এবং আজীবনও থাকতে পারেন, কারণ এনআইএ বা বকলমে কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে এঁদের কার্যত বিনাবিচারেই বন্দী করে রাখা দরকার। এবং ভারতবর্ষে একটি আইন আছে, যার নাম ইউএপিএ, তা এইভাবে আটকে রাখতে দেয়। সেই আইনে জামিনের নিয়ম আলাদা। এবং কোনো অভিযোগ না করেও হয়তো অনন্তকালও আটকে রাখা যেতে পারে। অন্তত বছর পাঁচেক আটকে রাখা যায়, তো দেখাই যাচ্ছে, কারণ, ভীমা-কোরেগাঁও এর প্রথম গ্রেপ্তারের পর পাঁচ বছর কাটল কাল। বলাবাহুল্য, এই নিয়ে মিডিয়ায় কোনো আলোড়ন নেই।

    ---
    আজ থেকে বছর চারেক আগে, আসামের গোয়ালপাড়া ডিটেনশন ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় ৭০ বছরের ফালু দাসকে। এন-আর-সির শেষ তালিকায় তিনি 'বিদেশী' হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিলেন। তাঁর ছেলের নাম দুর্যোধন দাস, বাবা 'বিদেশী' হলেও, তিনি অবশ্য 'বিদেশী' না।  ফালু একা না, এন-আর-সির তালিকায় মোটামুটি ১৯ লাখ লোকের নাম ছিলনা। শোনা যায়, তাঁদের সিংহভাগই বাঙালি এবং হিন্দু বাঙালি। এঁদের জন্য আসামে তৈরি হয় বিপুলাকার সব ডিটেনশন ক্যাম্প। এবং ওই সময় থেকেই ধাপে-ধাপে লোকজনকে সেখানে চালান করা শুরু হয়। হাজার-হাজার লোকে নিজভূমে পরবাসী হয়ে যায়। তাদের স্থায়ী ঠিকানা হয় কেয়ার-অফ-ডিটেনশন ক্যাম্প। সত্তর বছরের ফালু ব্যতিক্রম একটি কারণেই, যে, তিনি বেশিদিন ডিটেনশন ক্যাম্পে বসবাস করেননি। বছর খানেকের মধ্যেই মারা যান। তাঁর ছেলেকে ডেকে মৃতদেহ নিয়ে যেতে বললে, পরিবার দেহ নিতে অস্বীকার করে। দেহ বাংলাদেশেই পাঠিয়ে দেওয়া হোক, এই ছিল তাঁদের প্রতিবাদের ভাষা।

    এই ক বছরে শুধু ফালু নন, আরও কিছু মানুষও মারা গেছেন ক্যাম্পে। যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরাও বেঁচে কখনও বেরোবেন বলে মনে হয়না। কারণ, ফরেনার্স ট্রাইবুনালকে বিদেশী চিহ্নিত করার পুরো ক্ষমতা দেওয়া আছে। আসাম চুক্তি এবং নতুন আইনের বলে তাদেরকে নিয়ে যা খুশি করাও জায়েজ। কেউ দেখতেও আসবেনা। বলতেও আসবেনা। বাঁচাতে তো নয়ই। বছর দেড়েক এই নিয়ে হট্টগোল হয়েছিল কিছু। ওখানেই শেষ। তার পরে এই নিয়ে মিডিয়ায় আর এই নিয়ে কিছু শোনা যায়না। রাজনৈতিক দলগুলির মুখেও না। ডিটেনশন ক্যাম্প আছে, তাতে লোককে পোরাও হচ্ছে। কিন্তু হচ্ছে হোক।

    ---
    আজ থেকে বছর-খানেক আগে কেন্দ্রীয় সরকার  দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। তার আগে হয়েছিল কালো টাকার বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু। নোটবাতিল দিয়ে। সেই সংগ্রাম সফল হবার পর এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ। এবার নায়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। এক-এক করে বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রী-সান্ত্রীদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এবং শুরু হয় টপাটপ জেলে ভরা। বা ডেকে জেরা করা। বিহার, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গের কিছু প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং নেতাকে অর্থনৈতিক অপরাধের কারণে গ্রেপ্তার করা হয়। কেরালা এবং কর্ণাটকের মতো কিছু রাজ্যে করা হবে বলা হয়, কিন্তু সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আর যাদের বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা সাড়াশব্দ শোনা যায়নি, তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় শাসক দলের নেতা ও মন্ত্রী। রাজতন্ত্রে বলা হত, রাজা কখনও ভুল করেননা, ভারতীয় গণতন্ত্রে প্রবাদটা পাল্টে হয়েছে, শাসক দল কখনও দুর্নীতি করেনা।

    এই নিয়ে বিরোধীরা সামান্য কিছু ট্যাঁফোঁ করেছিলেন। কিন্তু বেশিদূর এগোনো যায়নি। কারণ ওই বছর-খানেক আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে এসে গেছে অর্থনৈতিক অপরাধ সংক্রান্ত আইন। এই আইনটা ইউএপিএর থেকেও সম্ভবত কঠিন। এখানে চার্জশিট দিতে হয় বটে, কিন্তু সে ওই যখন খুশি দিলেই হয়। আর যা দেখা যাচ্ছে, না দিলেও আটকে রাখা যায়। মানে কী অপরাধ করেছেন, এটা অপরাধী, আদালত কাউকেই বিশদে না জানিয়ে জেলে ভর্তি করে রাখা যায়। আর চার্জশিট দিলেও, প্রমাণ করার তেমন দায় নেই। বরং নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করার দায়টা অভিযুক্তের। মানে মোটামুটি ব্যাপারটা এইরকম, যে, আপনাকে যদি বলা হয়, 'আপনি চুরি করেছেন', তো আপনাকেই প্রমাণ করতে হবে, জীবনের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আপনি চুরি করেননি। অন্যথায় দীর্ঘকালীন কারাবাস। যদি অবশ্য বিচার পর্যন্ত ব্যাপারটা এগোয়। এগোবে বলে মনে হয়না। কারণ এখনও পর্যন্ত বিখ্যাত যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের কারোরই পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট সহ বিচার শুরু হয়নি। অবশ্য বছর-পাঁচেক কাটেওনি। তা, এই নিয়েও মিডিয়ায় কোনো আলোড়ন শুনবেননা। কারণ কালো টাকার বিরুদ্ধে সংগ্রাম শেষ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সার্জিকাল স্ট্রাইক হয়ে গেছে, এখন চলছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ। 

    --
    এর কোনোটা নিয়েই টিভিতে কিছু শুনবেননা। কারণ টিভি কাদের সে আপনি জানেন। বিরোধীদের মুখেও কিছু শুনবেননা। কারণ, তাঁরাও টিভি-নির্ভর। অন্য কিছু বললে হয় বলতে দেয়না, কিংবা তাঁরা টিভির তৈরি করা ন্যারেটিভেই চলেন। বাকি পড়ে রইলাম আপনি-আমি। আমাদের হাতে সামাজিক মাধ্যম-টাধ্যম আছে। লোকজন-পাড়াপড়শি আছে। সেটা যথেষ্ট বড় জায়গা। আমরাও যদি না বলি-টলি, তো বিরোধীরাও আর কিছু বলে উঠতে পারবেননা। তারপর একদিন আপনারও নম্বর আসবে। সন্ত্রাস কিংবা এন-আর-সি কিংবা অন্য কিছুতে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:aa9c:9107:4371:***:*** | ০৭ জুন ২০২৩ ০৯:২৫520275
  • ভারভারা রাও বা স্ট্যান স্বামীর সাথে পার্থ অনুব্রতকে একাসনে বসানো যায়না।
  • সৃষ্টিছাড়া | 49.37.***.*** | ০৭ জুন ২০২৩ ১১:২৪520276
  • এটাতে পার্থ, অনুব্রত, মানিকের পক্ষে আর রাজ্যের স্বৈরাচারী শাসকের পক্ষে পক্ষপাতের আঁশটে গন্ধ গোপন করা যায় নি
  • সৃষ্টিছাড়া | 49.37.***.*** | ০৭ জুন ২০২৩ ১১:২৭520277
  • মুড়ি আর মিছরি র ভর এবং স্বাদ গ্রহণযোগ্যতা একা করা অনুপ্রাণিত প্রয়াস
  • হিমজা পদ চক্রবর্তী | 2401:4900:3305:b30b:9f:ebff:fee5:***:*** | ০৭ জুন ২০২৩ ১২:০০520281
  • অর্থনৈতিক অপরাধী রা , যারা রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় আছেন তারা এতো কামিয়েছেন এবং কামিয়ে যাচ্ছেন তাদের দু চারজন PMLA তে বিনা বিচারে বন্দী থাকলে ক্ষতি নেই , এই আইনে প্রায় কোনো ক্ষেত্রেই নিরপরাধ রা আটক হননা বড়জোর কিছু চুনোপুঁটি ফেঁসে যেতে পারে , তাই UAPA র প্রতিবাদ যেভাবে হতে পারে PMLA নিয়ে তা না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
  • দীপ | 42.***.*** | ০৭ জুন ২০২৩ ১৮:২৪520296
  • বিজেপি একটি আদ্যন্ত বজ্জাত পার্টি; কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তাই বলে তৃণমূলের আপাদমস্তক দুর্নীতিকে সমর্থন করা কোনভাবেই সম্ভব নয়! 
    ২০১১ সালে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে, মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন। কিন্তু এই বিপুল জনসমর্থন তাঁকে দায়িত্বশীল না করে চূড়ান্ত উদ্ধত করে তুলেছে! গত বারো বছরে বিশেষ কোনো নিয়োগ হয়নি! স্থায়ী নিয়োগের পরিবর্তে সিভিক ভলান্টিয়ার, পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ হয়েছে; যেখানে মাইনে ৬/৭ হাজার টাকা।  আর মেলা, খেলায় হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে! পার্শ্বশিক্ষকরা তাঁদের দাবী জানাতে গেলে তাঁদের উপর পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে!
    এগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্য‌ই প্রতিবাদের প্রয়োজন আছে।
  • দীপ | 42.***.*** | ০৭ জুন ২০২৩ ১৮:৩২520297
  • আর যেটুকু স্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ হয়েছে; তা'নিয়েও অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। টেট, স্কুল সার্ভিস কমিশন, কলেজ সার্ভিস কমিশন, মাদ্রাসা, নার্সিং- প্রত্যেকটি নিয়োগ নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ! দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীরা রাজপথে ধর্না ও আন্দোলনে নেমেছেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁদের অবস্থান ও বিক্ষোভ চলছে। রাজ্য সরকার তাঁদের প্রতি কোনো সহমর্মিতা তো দেখায়‌ই নি, বরং তাঁদের উপরে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে! যদিও এনিয়ে আদালতে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয়েছে; একাধিক প্রভাবশালী মন্ত্রী, বিধায়ক, সরকারি আধিকারিকদের আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার হয়েছেন।
    এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবশ্য‌ই প্রতিবাদ প্রয়োজন!
  • Subhaditya | 2409:4065:d0b:cd41:b7b5:73ff:476f:***:*** | ০৭ জুন ২০২৩ ১৮:৩৮520298
  • খুব ই মূল্যবান লেখা ! ঘুম যে আমাদের কবে ভাঙবে !
  • দীপ | 42.***.*** | ০৭ জুন ২০২৩ ১৮:৪৩520299
  • ২০২১সালে মানুষ মূলত বিজেপিকে আটকানোর জন্য তৃণমূলকে আটকানোর জন্য জন্য ভোট দিয়েছিল। তা মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কি করেছেন? যথাযথ নিয়োগ করেছেন? দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন? উল্টে দুর্নীতিগ্রস্তদের সমর্থন জানিয়েছেন!
    এই আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিরোধিতা অবশ্য‌ই প্রয়োজন!
  • দীপ | 42.***.*** | ০৭ জুন ২০২৩ ১৮:৫৭520300
  • আর এই সরকার‌ই কিন্তু অম্বিকেশ মহাপাত্র, শিলাদিত্য, রোদ্দুর রায়কে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যকে নিগৃহীত করা হয়েছে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের ঔদ্ধত্যের সঙ।্্
    সঙ্গে এদের বিশেষ পার্থক্য নেই! 
  • Kuntala | ০৮ জুন ২০২৩ ১১:১৮520310
  • খুব ভাল লাগল আপনার লেখাটি, সৈকত। এর আগেও আপনার নানা লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়েছি, চিন্তার খোরাক পেয়েছি।
    ভারত এক অর্থে একটি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র, এরকম অনেকেই বলেছেন। নোম চমস্কি যেমন আমেরিকাকে 'ব্যর্থ রাষ্ট্র' আখ্যা দিয়েছিলেন সেই সব কারণগুলো দেখিয়ে ভারতকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বলা চলে। 
    সে কথা থাক।
    আমার মন্তব্য কিন্ত আপনার আজকের লেখা নিয়ে। 
    এই লেখাটি পড়ে মনে পড়ল গিওরগিও আগামবেনের বক্তব্যের কথা। তাঁর 'State of Exception' বইতে আগামবেন দেখিয়েছেন যে আমেরিকা নিজে একটা ক্রাইসিস তৈরি করে, এবং সেই সংগে সংগে তার মোকাবিলা করার জন্য কতকগুলো বিশেষ ক্ষমতা রাষ্ট্রের হাতে দেয়। এসব ক্ষমতার মাধ্যমে রাষ্ট্র নাগরিকদের ভয়ের মধ্যে রাখে, এবং স্ট্যান স্বামীকে বন্দী করার মত কিংবা গুয়ান্তানামোর ডিটেনশন ক্যাম্পের মত এক্সট্রা-অর্ডিনারি ক্ষমতা কবজা করে।
    স্থানীয় রাজনীতি যা-ই বলুক, পার্থের  স্বভাব ও চরিত্রের খবর না রাখলেও আমি মনে করি দেশে এই এক্সেপশনাল ক্ষমতা মোদির সরকার প্রকটভাবে জাহির করছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন