এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শ্রী শ্রী সুরেশ চন্দ্র দে দ্বারা লিখিত ‘মনের কথা’র পাতাগুলি থেকে – ৪

    Supriya Debroy লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ | ৪৯০ বার পঠিত
  • পাতা ১৬৮ 

    ১ ) আমরা জীবদ্দশায় যা জমা করে যাব, সেটাই ফিল্মের মত role হয়ে যাবে।
    ২ ) আমাদের দেহটা একটা নতুন পুকুরের মত। নতুন পুকুরে যেমন আপনার থেকেই শ্যাওলা গাছ হয়, মশা-ব্যাঙ ইত্যাদি এসে যায় তেমনি এই দেহে আগে থেকে কোনও রোগ থাকে না – বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নানান উপসর্গ দেখা যায়।
    ৩ ) কচ্ছপ সাধারণত জলে থাকে কিন্তু ডিম পাড়ে ডাঙ্গায় এবং পরে বালি দিয়ে ঢেকে দেয়। জলে এসে সে ডিমের দিকে তাকিয়ে থাকে তবে বাচ্চা হয়। যদি কোন জেলে ঐ কচ্ছপটাকে ধরে নিয়ে যায় তবে সেই ডিম থেকে বাচ্চা হয় না। মায়ের দৃষ্টি যদি এত প্রখর হয় তবে গোবিন্দের কৃপাদৃষ্টি কত হতে পারে।
    ৪ ) তারে আমি চোখে দেখিনি। তার অনেক গল্প শুনেছি। গল্প শুনে তারে আমি অল্প অল্প ভালবেসেছি। সাধুসঙ্গে সাধুকথা শুনতে শুনতে হরি ভক্তি হয় এবং শ্রদ্ধাও বিশ্বাসের মাধ্যমে শান্তির পথ দেখা যায়।
    ৫ ) পুকুরের মাছ মাছরাঙ্গাও খায় আবার পানকৌড়িও খায়। দুজনেরই লক্ষ্য বস্তু এক। তবে মাছরাঙ্গা ভাসা মাছ খায়, আর পানকৌড়ি ডুব দিয়ে জলের নিচের মাছ খায়। তাই ভগবত পাঠের একটা হচ্ছে শ্রবণ আর একটা হচ্ছে আস্বাদন। যারা আস্বাদন করতে পারে তারাই বুদ্ধিমান এবং জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়।
    ৬ ) রাবণরা তিন ভাই – রাবণ, বিভীষণ, কুম্ভকর্ণ। রামচন্দ্র প্রশ্ন করলেন, তুমি রাবণের ভাই হয়ে কী ভাবে adjust করে আছ। বিভীষণ বলছেন, ৩২ টা দাঁতের মাঝে যেমন জিভ থাকে, কিন্তু কোনও কিছু খেলে যেমন কামড় পরে না – আমি সেই ভাবে চলি।
    ৭ ) ঠাকুর রামকৃষ্ণ বলতেন – ব্যাঙাচির যতদিন ল্যাজ থাকে ততদিন সে জলে থাকে, ডাঙায় উঠতে পারে না। ল্যাজ যখন খসে পড়ে, তখন জলেও থাকে ডাঙাতেও থাকে। সেইরকম মানুষের যখন অবিদ্যারুপের ল্যাজ থাকে, ততক্ষণ সে সংসার জালেই থাকতে পারে। ল্যাজ খসে গেলে, সংসার ও সচিদানন্দ উভয়ই বিষয়েই ইচ্ছামত বিচরণ করতে পারে।
    ৮ ) ওঁ অজ্ঞানতিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জনশলাকয়া। চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।। অজ্ঞতার গভীরতম অন্ধকারে আমার জন্ম হয়েছিল এবং আমার গুরুদেব জ্ঞানের আলোকবর্তিকা দিয়ে আমার চক্ষু উন্মীলিত করেছেন। (গুরুমন্ত্র)
    ৯ ) যিনি কামিনি কাঞ্চনে আসক্ত তিনিই পৃথিবীতে দুঃখী। যিনি কৃষ্ণধনে ধনী, তিনিই ধনী।
    ১০ ) ঝরে বৃক্ষ ভাঙিলে পল্লব নাহি রয়। যদি মূল থাকে পত্র পুনরায় হয়।
    ১১ ) ঈশ্বরে যদি লক্ষ্য থাকে তবে তার আর কোন চিন্তা করতে হয় না। ভগবতগীতার জ্ঞান কেবল ভগবানের ভক্তই আহরণ করতে পারে। ভক্ত কী কী ভাবে ভগবানের সাথে যুক্ত হতে পারেন।
    পরোক্ষভাবে ভক্ত হতে পারেন – শান্ত
    প্রত্যক্ষভাবে ভক্ত হতে পারেন – দাস্য
    বন্ধুভাবে ভক্ত হতে পারেন – সখ্য
    অভিভাবক রূপে ভক্ত হতে পারেন – বাৎসল্য
    দাম্পত্য প্রেমিক রূপে ভক্ত হতে পারেন – মাধুয্য
    ১২ ) ভগবতগীতা আসলে কী ? ভগবতগীতার উদ্দেশ্য হচ্ছে অজ্ঞানতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন এই জড় জগতের বন্ধন থেকে মানুষকে উদ্ধার করা। প্রতিটি মানুষই নানাভাবে দুঃখ কষ্ট পাচ্ছে। প্রতিটি মানুষই নানা রকম সমস্যায় জড়িত। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সময়ও অর্জুন তেমনি এক মহা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। অর্জুন ভগবানের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন এবং তার ফলে ভগবান তাঁকে গীতার তত্ত্বজ্ঞান দান করে মোহমুক্ত করলেন।
    ১৩ ) পূর্বকৃত কর্মের ফল স্বরুপ আত্মা এক দেহ থেকে আর এক দেহে দেহান্তরিত হয় এবং তার বিগত কর্ম অনুসারে নানা রকম কষ্ট পায়। ভগবানের সেবা করাটাই হচ্ছে জীবের একমাত্র কর্তব্য এবং সেবা করার মাধ্যমে সে তার বহু আকাঙ্ক্ষিত আনন্দের আস্বাদন লাভ করে।
    ১৪ ) যেমনি রবে এ পৃথিবী তেমনি ভাবে রবে ------- সুন্দর এই পৃথিবী থেকে একদিন চলে যেতে হবে -----
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন