এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • পথে পথে চলতে চলতে...

    আফতাব হোসেন লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ নভেম্বর ২০২২ | ৩৪৮ বার পঠিত
  •                      (১)

    পথে পথে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন …..
    *********************************

    রাস্তাটা শেষ হচ্ছেই না। সেই যে শুরু করেছিলাম এখনো একই ভাবে চলছে। কখনো তেঁতুলতলার পাশে মাঠের মধ্যে দিয়ে নদীর ধারে, কখনো বা গ্রামের মধ্যে, ক্ষেতের ধার বরাবর, আম জাম বাগানের পাশ দিয়ে কোন্ গাঁয়ে গিয়ে কখন যে কোথায় পৌঁছেছি নিজেই জানি না। কখনো কেউবা সঙ্গ দিয়েছে কখনো আবার পুরো একা। কত মুখ কত মুখোশ। কত রঙ, কত রূপ, কত রস।

    কোন একদিন এই পথকে মনে হয়েছিল একান্ত আমারই পথ, একান্তই আমার; আষ্টেপৃষ্টে বাঁধার পর বুঝেছি এ পথ শুধু চলার পথ, ফেরার পথ নয়। তাও মাঝে মাঝে ফিরে তাকাই.. মনের সহজ উঠোনে বসে ফিরে তাকাই.. কি জানি কিছু ফেলে এসেছি কিনা ।

                                       (২)

    স্মৃতির বেড়া বাঁধবে যখন , পাথর হয়ে আমার মন…
    বন্ধু তোমায় বলি শোন..
    ***************************************

    মাঠের পাশ দিয়ে নদীর ধার বরাবর লাল মাটির রাস্তাটার একদম শুরুতে যে ইয়্যা বড় তেঁতুল গাছটা ছিল, যক্ষের মতো পাহারা দিত তেঁতুল বুড়ি! টিনের বাক্সের দিনগুলোর কথা খুব একটা মনে নেই তবে সরকারি প্রাইমারি স্কুলের পাউরুটির দিনগুলো থেকেই তেঁতুল বুড়িকে বুড়িই দেখেছি । নিজের নাম মনে হয় বুড়ি নিজেও ভুলে গেছলো । বিগ বাবুলের বেলুন ফুলিয়ে নেভি ব্লু কালারের স্কুল ড্রেসের ঢিলেঢালা প্যান্ট আর রামধনু রঙের ক্যাবলা টি শার্টে কাঁপাকাঁপা বুকে তেঁতুলতলায় অসহনীয় অপেক্ষা, ইংরেজি টিউশনির শেষে হাইনেক সোয়েটার,লোয়ার কার্ট চুল আর পিঙ্ক লেডিবার্ডের রাজকন্যার। দিনের পর দিন , সপ্তাহের পর সপ্তাহ। 'কিউ চলতি হে পবন'-এর সুরে কত হাজার খানেক না লেখা চিঠি আর মিউজিকের ছন্দের একগুচ্ছ গ্রিটিংস কার্ড যখন ব্যর্থতার প্রথম সিঁড়িতে হোঁচট খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিল, হাউমাউ করে কেঁদেছিলাম তেঁতুল গাছটার নিচে । 
    বুড়ি রাগে বলেছিল ‘ঠিক হয়েছে, পিরিত ছুটেছে ছোঁড়ার, এবার মর ছোঁড়া, মরে যা' । 

    বলতে পারিনি সেদিন কিছু তবে তেঁতুল গাছের নীচে বস্তাখানেক নুন মিশিয়ে গাছটাকে আধমরা করে বুড়িকে আচ্ছা টাইট দিয়েছিলাম ভেবে আনন্দ করার তিনদিনের মাথায় বুড়ি মরেছিল। 
    বুড়ির শেষ জীবনের সম্বলগুলো এখনো রেখে দিয়েছি, পরে শুনেছিলাম বুড়ির মেয়ে নাকি ওই তেঁতুল গাছেই গলায় দড়ি দিয়েছিল ভালোবাসার যন্ত্রণায় ।
    এখনো ও মুখো হতে সাহস পাই না। নিজেকে খুনি মনে হয়। লেডিবার্ডের রাজকন্যার ব্যর্থতার চেয়েও বুড়ির মুখটা বেশি মনে পড়ে মনটা পাথর করে দেয়। মনে হয় বুড়ি দুবার মরেছিল। একবার মেয়ের জন্য একবার তেঁতুল গাছটার জন্য। 

    থাক ওসব কথা । চলুন আরো একটু এগিয়ে যাই.. নতুন রাস্তায় ..

     
                                   (৩)

    অশ্রু ভেজা কোন দিনের যন্ত্রণা নিয়েছে কিনে..
    অনেক দূরে তবু কাছে..
    ************************************

    তেঁতুল গাছটা ছাড়িয়ে সোজা লালমাটির রাস্তাটায় ছেলের হাত ধরে হাঁটছিলাম। সোজা নদীর দিকে। আমাদের ছোট নদী চলে আঁকে বাঁকে.. নদীর নাম তমাল। জঙ্গলমহলের প্রেমিকা শিলাবতী নদীর ছোট ছেলে তমাল, দারুণ রূপ তেমনি তেজ, এদিকটায় সব্বাই ডাকে শিলাই নদী, আমার গ্রামের নদী। সারাজীবন ধরে প্রচুর মানুষের জীবন যন্ত্রণার গল্প শুনতে শুনতে আজ বয়সের ভারে ক্লান্ত। ক্লান্তির ছাপে যৌবনে আজকাল হাঁটু জলও থাকে না । আকমল চাচা আর বিনু বাদগী ছিপ নিয়ে সারাদিন বসে গল্প করে এখনো। নদীকে এখনো গল্প শোনায়। দুজনেরই দুঃখ এখন সরকারি অফিসারের ঘরে সুখ ছড়াচ্ছে শুনেছিলাম। বাকিটা নদী জানে। লাল রাস্তাটা যেখানে নদীর সাথে মিশেছে সেখানে এখনো মেঘগুলো জড়ো হয়।
    ছেলেকে শোনাচ্ছিলাম মেঘের গল্প ..
    হাসিখুশি সাদা মেঘের গল্প, নীল আকাশের বুকে সোহাগ করে সাঁতার কেটে বেড়ানোর গল্প । তুলোর মতো নরম চোখে খিলখিলিয়ে হেসে ওঠার গল্প। কখনো আবার চাঁদকে জড়িয়ে আলোর ওম নেওয়ার গল্প।
    সদ্য কথা বলতে শেখা ছেলের প্রশ্ন ‘বাবা ওই নদীর রাস্তায় ডোরেমন থাকে না?'
     বললাম - 'শোন তাহলে কোনো এক সময় ওই রাস্তায় ডোরেমন থাকত। গেঁয়ো ডোরেমন, সাইকেলের চাকা খুলে টায়ার বের করে চালাত, তমালের ঘোলা জলে ঝাঁপাঝাঁপি করে মাছ ধরত গামছা দিয়ে, ঘুড়ির লাটাই হাতে মেঘ ছুঁয়ে সোজা স্বপ্ন নিয়ে আসত। নদীপাড়ের রাস্তায় বেচকুল খেতে খেতে আকন্দ গাছের রস নিয়ে সেপ্টিপিনের পিছনে লাগিয়ে ফুঁ দিয়ে বুদবুদ ওড়াত। হাফ প্যাটেলে সাইকেল চালিয়ে মরচে পড়া লোহা বিক্রি করে সাইকেলবালার কাছে সনপাপরি খেত।বর্ষাকালে নদীর জল যখন রাস্তায় তখন গামছা দিয়ে জল ছেঁকে মাছের বাচ্চা ধরে পলিথিনে ভরে রাখত। সারা দিন এ গলি ও গলি ঘুরে কাঁচের শিশি কুড়িয়ে গুঁড়ো করে এরারুট দিয়ে সুতোয় মাঞ্জা বানাত। স্কুলের হাফ ইয়ারলির শেষে কনুই ছিলে টল মার্বেল খেলতে খেলতে সন্ধে গড়ালেই মায়ের মারের ভয়ে সোজা ধুলো উড়িয়ে বাড়ি আসত। তালের খোলের মধ্যে কাঠি লাগিয়ে হট হুইলের গাড়ি বানাত, সুজুকার জন্য!'

    ছেলের তো হাসতে হাসতে চোখে জল। বলল 'বাবা কত্ত গ্যাজেট গো, তবে ভীতু ডোরেমন ছিল মনে হয়। তুমি কি চেন ওই ডোরেমনটাকে? এখন কি করে গো ডোরেমন?'
     বললাম 'কি জানি চিনি কিনা। ডোরেমন মনে হয় এখন আর নেই রে। টিভিতে ঢুকে গেছে।'
    আমার চোখেও জল এল মনে হয়। গ্যাজেটগুলোর জন্য ।

    যন্ত্রণার অশ্রু..অনেক দূরের .. কি জানি তবুও মনে হয়  অনেক কাছে … চাইলেই ছুঁয়ে আসব .. ওই রাস্তাটা ।

    বাদ দিন দিকি ..
    আর একটু এগিয়ে যাই .. কোন নতুন রাস্তায়।

                                     (৪)

    মেঘলা রাতে লুকিয়ে থেকে রূপোর আলোয় জ্যোৎস্না পাবো ….
    ****************************************

    প্রায় একযুগ আগের কথা, সবাই বলল - 'অভিনন্দন, এগিয়ে যা জীবনে আরো', পেটভাতের ব্যবস্থার শিকে ছিঁড়েছিল, সুদূর উত্তরে। কি আনন্দ আকাশে বাতাসে। সরকারি আবার মাসপয়লায় খোরাকি। উফফফ .. সব্বার কি সব উচ্ছাস। 
    জীবনে লায়েক হয়ে ওঠার প্রথম ধাপ পেরিয়ে নতুন রাস্তায় চলা শুরু। চলতেই লাগলাম..

    নতুন ধানের তুষের আগুনের মাঝের গোল আলু পোড়ানোর গন্ধ এখন আর ভালো লাগে না বোধহয়। নাকে চিস বার্গারের গন্ধ লেগেছে যে। হাটের মেলার নতুন কেনা জামার জৌলুস আজ শপিং মলের চড়া আলোর রোশনাইএ চাপা। কুল তেঁতুল ওসব নাকি বেশ পুরোনো এখন দু মিনিটেই ম্যাগি। অম্বলে মায়ের হাতের পুদিনার শরবত এখন সেকেলে,  ইনো হে তো বাকি সব আউট। রাস্তার লাল মাটির লজ্জায় এখন সিমেন্টের রুক্ষতা। বন্ধুরা এখন সবুজ পুটকিতে অনলাইন। অনলাইনেই প্রতিভা দেখায় সবাই। ভিড় করে পিঠ চাপড়ানোর দর্শকরা এখন নাকি ভিউ দেয়। মেঠো ধুলো গায়ে মেখে রোদ খাওয়ার দিন শেষ, এখন সেনসেশন হতেই হবে, অনলাইনে কড়া টক্কর। 
     বাইচান্স বেড়ালের ভাগে শিকে ছিড়লেই ডাইরেক্ট কুমার শানু না হলে নেহা কক্কর। 

    বে-গুণ আমি কিছুই পারি না উদাস হয়ে রই, মন পড়ে থাকে সেই লাল মাটির রাস্তায়, সেই গাছগাছলি ভরা আঁকে বাঁকে, সেই নদীর বুকের দামাল ছেলে হতে আজো  বড্ড মন চায়।
    মেঘলা রাতে লুকিয়ে রাখা স্বপ্নগুলোকে বড্ড রূপোলি লাগে। সেই তেঁতুল বুড়ি, লেডি বার্ড সাইকেল, ট্রেনের কু ঝিক ঝিক, সেই নদী, সেই ডোরেমন। 

    জানি পথটা বড্ড একমুখী, তাও যদি ফেরা যায়।
    দুমড়ে মুচড়ে ছুটতে বড্ড ইচ্ছে হয়, কিন্তু …

    প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার অন্যমনস্কতা ভেঙে ছেলে বলে -  'বৃষ্টি বাবা,  ভিজলে কেমন হয়!'
    মেঘগুলো সরে জোৎস্না এল মনে হয় ।

    ইন্টারনেট ছুটি আজ, ভিজছি দুজন মনের সুখে।
    ছেলের চোখে সুখ নেমেছে,
    মনে হয় ফিরে এসেছি আবার সে রাঙা পথে ।

    দূরে কোথাও শ্রীকান্ত আচার্য বাজছে …

    “স্মৃতির বেড়া বাঁধবে যখন, পাথর হয়ে আমার মন…
    বন্ধু তোমায় বলি শোন, বুকের জ্বালা সয়ে যাবো,
    পথে পথে চলতে চলতে হঠাৎ একদিন……

    “ফিরে পাবোই”
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন