এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • স্ট্রাইক দা পয়েন্ট - ৪ 

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ আগস্ট ২০২২ | ৬৫৩ বার পঠিত | রেটিং ৪ (৩ জন)
  • | | | | | | | | | ১০
    এটা একটা ঘোরালো চক্র বুঝতে পারল কলতান। এটাও অনুমান করল মধুজা নামটা মোটেই আসল নাম নয়। বানানো নাম। মোবাইল নম্বরটা ট্র্যাক করার দরকার। তবে কলতান বিন্দুমাত্র বিচলিত হল না। চ্যালেঞ্জটা দিয়ে কলতান বেশ উত্তেজনা বোধ করতে লাগল। কিন্তু মনে একটা দুশ্চিন্তা জুটল অম্বরীশবাবুর জন্য। কলতান তাড়াতাড়ি অম্বরীশকে ফোন লাগাল।
    --- ' হ্যা... বলুন মিস্টার গুপ্ত .... কিছু বলবেন ? '
    কলতান বুঝতে পারল তেমন কিছু ঘটেনি।
    বলল, ' না ... তেমন কিছু না ... বলছিলাম যে
    কোন প্রবলেম হয়নি তো কোন দিক দিয়ে ? কোন প্রবলেম ফিল করলে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাবেন .... '
    --- ' না কিছু হয়নি ... তবে ভীষণ ভয়ে ভয়ে আছি। শো কজের রিপ্লাই দেবার ব্যাপার আছে। চাকরিটা থাকবে কিনা তাই বা কে জানে .... ভীষণ দুশ্চিন্তা ... বুঝলেন ... '
    --- ' না না .... চাকরির ব্যাপারে কোন চিন্তা করবেন না ... আপনার চাকরি আপনারই থাকবে ... আমার ওপর ভরসা রাখুন ... অন্য কোন সমস্যা বোধ করলে আমাকে জানাবেন .... ঠিক আছে কাল তাহলে এন্টালি থানার সামনে ... আচ্ছা শুনুন ... আপনি বরং বাড়িতেই থাকুন। আমি গিয়ে আপনাকে নিয়ে আসব ... আপনি বাড়িতেই থাকুন ... কাল সকাল দশটা নাগাদ যাব ... ঠিক আছে ? গুড নাইট ... '
    কলতান চান করতে গেল। বুঝতে পারল যে, অম্বরীশবাবুর কাছে কোন ফোন টোন যায়নি।

    কলতান মোবাইলটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে মধুজা রায়ের (?) নম্বরটা ছুঁয়ে দিল। ওদিক থেকে জবাব এল, ' আপনি যে নম্বরে ফোন করেছেন সেটি এখন নেটওয়ার্ক পরিষেবার বাইরে আছে ... আপনি অপেক্ষা করতে পারেন কিংবা কিছুক্ষণ পরে পুনরায় চেষ্টা করতে পারেন .... ' ইত্যাদি। কলতান ভাবল, ঠিক আছে কিছুক্ষণ পরেই নয় পুনরায় চেষ্টা করব। তবে নাগাল পাওয়া অত সোজা হবে না, এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই। এটা কলতানের বুঝতে অসুবিধে হল না। কতগুলো সিম এরা ব্যবহার করে তার ঠিক নেই।
    টেলকম ইঞ্জিনীয়ার সুদীপ্ত সাহার বয়স বেশি নয়। তিরিশের মধ্যে। হাতিবাগানের হরি ঘোষ স্ট্রিটের সেই কেসটা নিয়ে কাজ করার সময় বটতলা থানার ওসির মাধ্যমে সুদীপ্তর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। তারপর থেকে সুদীপ্ত কলতানের অন্ধ ভক্ত। সুদীপ্ত এখন কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের অ্যসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনীয়ার। সে তুখোড় ডিজিটাল টেকনোলজিস্ট।
    কলতান সুদীপ্তকে ফোন লাগাল। তিনবার রিং হবার পরই সুদীপ্ত ফোন ধরল।
    --- ' আরে, কলতানদা... কি খবর ! এতদিনে মনে পড়ল ... '
    --- ' না না ... তা না ... সবসময়েই মনে পড়ে। আসলে, এত ব্যস্ত থাকি যে সময় পাই না ... এমনি কাজকর্ম ভাল চলছে তো ?
    --- ' হ্যা... এই চলছে আর কি আপনাদের আশীর্বাদে ... বলুন কিভাবে কাজে লাগতে পারি .... '
    --- ' এখন কোথায় ... বাড়িতে ? '
    --- ' না ... অফিসেই আছি। আজ নাইট শিফট আছে ... '
    --- ' ও আচ্ছা আচ্ছা ... তা'লে তো ভালই হল ... আমাদের কাজ তো জান ... ডাস্টবিন খুঁচিয়ে পোকামাকড় বার করা ... যাই হোক, একটা মোবাইল নাম্বার তোমাকে পাঠাচ্ছি ... এটা একটু ট্র্যাক করতে হবে। লোকেশান অ্যন্ড সাবস্ক্রাইবারস নেম দুটোই চাই। অ্যজ আর্লি অ্যজ পসিবল ...আজ রাত্রের মধ্যে হলে ভাল হয়। '
    --- ' ওকে ওকে ... পাঠান ... দেখছি আমি '
    কলতান মধুজা রায়ের নামে আসা নম্বরটা ফরোয়ার্ড করল সুদীপ্তকে।
    রাত এগারোটা নাগাদ খবর এল ওই কলটার ব্যাপারে। কলের লোকেশান জামশেদপুর। সাবস্ক্রাইবারের নাম সূর্যকুমার শ্রীবাস্তব।
    কলতান সুদীপ্তকে অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে ফোন ছাড়ল।
    কলতান চিন্তা করতে লাগল, এটা শুধু ওরিয়েন্টাল ট্রেডস বা গ্যাঙ অফ ফোর-এর ব্যাপার নয়, ঘোটালার বৃত্ত আরও অনেক ছড়ানো। অম্বরীশ চ্যাটার্জীর ঘটনা এই কুকর্মকান্ডের সামান্য একটা খন্ড মাত্র। যাই হোক, আপাতত অম্বরীশবাবুকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা তার আশু কর্ত্তব্য। সে মোটামুটি নিশ্চিত হল যে, কাল বেলা দুটোর সময় নির্দিষ্ট জায়গায় কেউ যাচ্ছে না। নিশ্চিতভাবেই তাদের কর্ত্তাদের কাছে খবর চলে গেছে যে কলতান গুপ্ত ব্যাপারটা নিয়ে নাড়াচাড়া করছে এবং তারপরে তারা সরাসরি হুমকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে। খবর দেওয়ার সূত্র বৈকুন্ঠবাবুও হতে পারে। সেও তো এই চক্রের অংশ বলেই মনে হয়।

    পরদিন সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ অম্বরীশ চ্যাটার্জীকে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এন্টালি থানায় পৌঁছল।
    এখানকার ওসি বিমল মন্ডল প্রবীন মানুষ। অবসর গ্রহনের আর বছর দুই বাকি। তিনি কলতানের কথা বিদ্যুৎ ঘোষের কাছে অনেক শুনেছেন। তিনি কলতান এবং তার মক্কেলকে আন্তরিকভাবে আপ্যায়ন করলেন।
    কলতান তাকে জিজ্ঞাসা করল, ' আচ্ছা ... বিমলবাবু ... আপনি তো ঘটনাটা মোটামুটি শুনেছেন। আপনার কি মনে হয় .... জি.ডি. তে চারজনের নাম থাকা উচিৎ না একজনের নাম থাকলে এফেক্টিভ হবে ? '
    --- ' চারজনের নামই দিতে পারেন ... অসুবিধে নেই ... যে কোন একজন জালে পড়লেই বাকিগুলোকে তুলতে অসুবিধে হবে না ... অ্যলিগেশান হবে .... এনাকে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র, তহবিল তছরুপ এবং অসদুপায় অবলম্বন .... '
    --- ' আচ্ছা ঠিক আছে .... ডায়েরিটা করে নিন... ভবিষ্যতে এফ আই আর করার প্রভিশান রইল তো ? '
    --- ' হ্যা হ্যা ... করতে পারেন ... কোন অসুবিধে নেই .... আজ আপনাদের সঙ্গে লোক দিতে হবে তো দুটোর সময় ? '
    --- ' হ্যা ...সিভিল ড্রেসে লোক দু একজন লাগবে ... কিন্তু আই ডাউট ভেরী মাচ ... ওখানে কেউ আসবে কিনা ... '
    --- ' হমম্ .... '

    দুপুর দুটোর সময় এন্টালি থানার একজন সাব ইন্সপেক্টর আর একজন কনস্টেবলের সঙ্গে একটা গাড়িতে বসে অনেক দূর থেকে নজর রাখতে লাগল কলতান। কলতানের অনুমান সত্যি প্রমাণিত করে ওখানে কারো চিহ্নমাত্র দেখা গেল না। সোয়া দুটো বেজে গেল। রেললাইনের দিকে গেটের পাশে কাউকে দেখা গেল না। গেট দিয়ে মাঝে মাঝে সুর ইন্ডাস্ট্রিজের লোকজন যাতায়াত করছে। একজন কর্ত্তাগোছের লোক গেট দিয়ে বেরিয়ে সামনে দাঁড় করানো একটা গাড়িতে উঠে বসলেন। গাড়িটা চলে গেল সি আই টি রোডের দিকে। আর একটু পরে একজন মোটাসোটা টাকমাথা ফর্সামতো লোক এসে নামল একটা টয়েটা গাড়ি থেকে। সুর ইন্ডাস্ট্রির ভিতরে ঢুকলেন তিনি।
    আড়াইটে বাজতে চলল।
    সাব ইন্সপেক্টর মশাই বললেন, ' না : ... কলতান বাবু ...কোন চান্স নেই .... বেকার টাইম ওয়েস্ট .... চলুন ব্যাক করি ... সব জিনিস অত ইজি নয় .... তাহলে আর আমাদের দরকার ছিল না .... '
    কলতান ভুরু ওপরের দিকে তুলে ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে বললেন, ' না না ... ইজি মোটেই নয় .... তবে ব্যাপারটা হচ্ছে স্ট্রাইক দা পয়েন্ট ব্লাইন্ডলি .... দেন ফলো দা ওয়ে ইট রিবাউন্ডস ... ইউ উইল রিচ ইয়োর এন্ড ... '
    --- ' মানে ? সেটা আবার কি ? '
    --- ' না কিছু না ... দাঁড়ান দাঁড়ান একটা কল আসছে মোবাইলে .... '
    কলতান দেখতে পেল একজন বছর ত্রিশের কালো দোহারা চেহারার কমলা রঙের ফুল শার্ট পরা লোক গেটের ওপাশে দাঁড়িয়ে কাকে যেন ফোন করছে।
    কলতান ফোন কানে লাগিয়ে গাড়ি থেকে নেমে একটু তফাতে গিয়ে বলল, ' হ্যালো .... '
    ওদিকের লোক বলল, ' হ্যালো স্যার ... আমি এখানে এসেছি। কিন্তু আর কাউকে তো এখানে দেখছি না। আপনি যে বললেন .... '
    --- ' তার মানে তুমি আমাকে চেন। '
    --- ' হ্যা স্যার.... আমরা সবাই আপনাকে চিনি ....'
    কলতান জিজ্ঞেস করল না --- 'সবাই মানে কে কে ? '
    বলল, ' তুমি ওখানে দাঁড়াও ... আমি যাচ্ছি ... '
    এস.আই মানস সরকারকে বলল, ' আপনারা পাঁচ মিনিট ওয়েট করুন ... আমি এক্ষুণি আসছি ... '
    বলে কমলা রঙের ফুল শার্ট পরা অচিন্ত্য দলুইয়ের দিকে হাঁটতে লাগল।

    ( ক্রমশঃ )

    ******
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    | | | | | | | | | ১০
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন