অনবদ্য বিশ্লেষণ। ডিটেইল্ড।
পড়তে গিয়ে অনেক এলোমেলো ভাবনা মাথায় আসছে। সেসব গুছিয়ে বলা কঠিন।
সব মিলিয়ে সত্যজিতের আরতিকে মাথায় রেখেও বলি যে আমি সত্যজিতের ছবিতে মেয়েদের নিয়ে মাথা ঘামানোর যত চেষ্টা দেখি, না ঘামানোর চেষ্টা দেখি বেশি। এত বেশি গন্ডী-বাঁধা ব্যাপার স্যাপার কেমন দম আটকান লাগে !
শুধু দেবী দেখে চমকে উঠি। আমার মনে সত্যজিতের ব্যক্তি মানুষের যে ছবি আছে,দেবী সেটা ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। প্রায় প্রতিটা ডায়ালগ বুঝিয়ে দেয় যে উনি চাপটা খুব ভাল ভাবেই বুঝতেন। আর তখনই অজস্র প্রশ্ন জাগে তাহলে কেন ... খুব কৌতূহল হয় একদিন প্রতিদিনের থিমে যদি সত্যজিত ছবি করতেন, কীকরতেন কীভাবে করতেন!
অনেক গভীরে খনন চালিয়েছ। কাজটা খুব কঠিন, কারণ সত্যজিত কখনোই উচ্চকিত ভাবে বলেন না কিছু, বলেন ব্যঞ্জনাময় অথচ মৃদু স্বরে। সেই অনুচ্চ ন্যারেটিভের সব লেয়ার ছুঁয়ে গেছ লেখাটায়, খুব কঠিন কাজ সমাধা করেছ।
এই নিয়ে লেখাটায় তিনবার এলাম। খুব পড়ার ইচ্ছে, কিন্তু কোন প্যারাগ্রাফ বিভাজন চোখে পড়ছে না, একটানা টানা একটা লেখা দেখে থমকে যাচ্ছি।
সমৃদ্ধ আলোচনা , গভীর পর্যবেক্ষণ ও বিস্তারিত বিশ্লেষণ। সাগ্রহে পড়লাম।
একটা ছোট মন্তব্য করছি।
ডাক্তার অশোক গুপ্তের কন্যাটি প্রসঙ্গে মনেহয় একটু বেশি আশাবাদী হয়ে পড়া গেছে। মেয়েটি তেজস্বী বটেই। তবে এখনো অবিবাহিত এবং সে অর্থে সংসারী হয়ে ওঠে নি। মেয়েদের প্রকৃত ছবি ধরা পড়ে যখন তারা স্ত্রী এবং মা। সেখানেই সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা , সমঝোতা এবং বশ্যতা স্বীকার। ভেবে নিতে ভাল লাগে যে মেয়েটি ব্যক্তিত্বময়ী ,বুদ্ধিমতী ও স্বকীয় থাকবে। তবে সেটা এখনই ধরে নেয়াটা বোধ হয় একটু বেশি আশাবাদী হয়ে যেতে পারে।