এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • করোনা ক্রান্তিকালে ‘মহেশের মহাযাত্রা’

    Nirmalya Dasgupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৫ এপ্রিল ২০২১ | ২৩০৮ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • মহেশ মিত্তির পড়াশুনো জানা যথেষ্ট শিক্ষিত লোক। চাকরি করেন ভালই। আজকাল করোনার মত সামান্য একটা ফ্লু নিয়ে এত বাড়াবাড়ি দেখলে ওঁর গা জ্বলে। বোকা বোকা লোকজনকে দেখলে বিরক্তি আরও বাড়ে। কারণ এরা বোঝে না, এ হল ভ্যাকসিন বেচার, স্যানিটাইজার বেচার এক আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। WHO, বিল গেটস সবাই জড়িত এই ষড়যন্ত্রে। মাস্ক পরে কিছু হয় না, বরং অক্সিজেন স্যাচুরেশান কমে যায়। ভ্যাকসিন নিলেও কিছু তো হবেই না, বরং নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে, এইডসও হতে পারে।

    সারাদিন মহেশ কোভিড ষড়যন্ত্রতত্ত্ব চর্চা করেন। তাই কোথা থেকে কোথা থেকে ষড়যন্ত্রের অনুকূল প্রমাণে কে কী লিখছে, ইউটিউব ভিডিও বানিয়েছে, তাই দেখে যান। দেখে দেখে কোভিডে তাঁর অবিশ্বাস আরো প্রবল হচ্ছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্ব চর্চা করতে করতে ‘শেষটা এমন হল যে ডাক্তার-বিজ্ঞানীদের গুষ্টিকে গালাগাল না দিয়ে তিনি জল গ্রহণ করতেন না’। সারাদিন ষড়যন্ত্রই মাথায় ঘুরতে লাগল। এই নিয়ে প্রিয় বন্ধু চিকিৎসক হরিনাথের সাথে তাঁর ঝগড়া এমন জায়গায় পৌঁছল, যে হরিনাথের সাথে তিনি সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করলেন।

    এখন একা একা এইসব ষড়যন্ত্র তত্ত্ব পড়া, ইউটিউব ভিডিও দেখা আর ফেসবুকে লোকের সাথে এই নিয়ে অপরিচিত লোকের সাথে তর্ক-গালি গালাজ করা গত কয়েক মাসে মহেশের একটা নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব করলেই রাগ হয়, আর সেই রাগেতেই তাঁর সুখ। ভ্যাকসিন না নওয়ায়, মাস্ক না পরায়, সামাজিক দূরত্ব না মানায় যথারীতি মহেশ করোনা আক্রান্ত হলেন। প্রথমে জ্বর হল। উনি সামান্য ফ্লু বলে গা করলেন না। ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্ট বাড়তে লাগল, কিন্তু পরীক্ষা না করানোয় রোগটা নির্ণয় হল না। উনি টেস্ট করালেন না, কারণ ভাইরাস নির্ণয়ে RT-PCR উনি বিশ্বাস করেন না। উনি ইউটিউব ভিডিও দেখে জেনেছেন, PCR-র আবিষ্কর্তা স্বয়ং ক্যারি মুলিস বলে গেছেন, PCR পদ্ধতিতে ভাইরাস নির্ণয় করা যায় না। তাই ডাক্তার-বিজ্ঞানী-বিগফার্মা সবার ষড়যন্ত্রে ওটা পজিটিভই আসবে উনি জানেন।এখনো বিশ্বাস করেন এসব সামান্য ফ্লু, ঠিকমত পুষ্টিকর খাবার খেলেই কমে যাবে। কিন্তু কমল না। উপসর্গ বাড়তে লাগল। এরপর প্রবল শ্বাসকষ্টে মহেশ বুঝলেন, ওঁর শেষ সময় প্রায় উপস্থিত। কিন্তু তখনও তাঁর মনোভাব বদলালনা, উনি সাব্যস্ত করলেন, ওঁর নিশ্চয়ই আগে থেকে কোন রোগ ছিল, যা আগে ধরা পড়েনি, তাতেই মারা যাচ্ছেন, কোভিড নিমিত্ত মাত্র, এটা আসলে কো-মর্বিডিটি।

    মহেশের আত্মীয়স্বজন কোলকাতায় কেউ ছিলনা, তাই মহেশ বাধ্য হয়ে হরিনাথকে ফোন করলেন। ভাঙলেন, কিন্তু মচকালেন না। বললেন - ‘হরিনাথ, তোমায় ক্ষমা করলুম। না যে আমার মত কিছুমাত্র বদলেছে, কিন্তু দেখ যদি একটু অক্সিজেন দিয়ে আমায় এযাত্রা বাঁচাতে পার'।

    হরিনাথ বহু চেষ্টায়, নিজেদের হাসপাতালে একটা বেড যোগাড় করলেন। আইসিইউতে ঢুকতে ঢুকতে মহেশের গলার আওয়াজ এল - ' হরিনাথ ও হরিনাথ ওহে হরিনাথ'
    'কি কি? এই যে আমি'।
    'ও হরিনাথ, আছে সব আছে সব সত্যি'
    মহেশের ট্রলি অগোচর হয়ে গেল, তখনও তাঁর কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে - 'আছে আছে'

    - নির্মাল্য দাশগুপ্ত
    (পরশুরামের 'মহেশের মহাযাত্রা' অবলম্বনে)

    আসল গল্পের সারাংশ -

    শ্যামবাজারের শিবচন্দ্র কলেজে অংকের প্রফেসার মহেশ মিত্তিরের গল্প। যিনি প্রচণ্ড নাস্তিক। ভূত ভগবান আত্মা পরলোক কিছুই মানতেন না। কলেজে সহকর্মী ও বন্ধু ইতিহাসের প্রফেসার হরিনাথের সাথে এসব নিয়ে প্রায়ই প্রবল তর্ক হত। এরকমই তর্ক হতে হতে একদিন মহেশবাবু বললেন - ‘সমস্ত গাঁজা। পরলোক আত্মা ভূত ভগবান কিছুই নেই’। বলে ইন্টিগ্রাল ক্যালকুলাস কষে প্রমাণ করলেন, ঈশ্বর=0, আত্মা=ভূত=0। তখন হরিনাথ বললেন, তাঁকে ভূত দেখাবেন, নাহলে নাক কেটে ফেলবেন। কিন্তু আসলে হরিনাথ তাঁদের কলেজের কিছু ছাত্রকে ভূত সাজিয়ে হরিনাথ মহেশকে ভূতের ভয় দেখাবার চেষ্টা করেছিলেন। তা মহেশ সহজেই ধরে ফেলেন। এরকম জুয়াচুরির জন্য মহেশ বন্ধুর ওপর প্রচণ্ড রেগে গেলেন। যদিও “আসল ভূত যারা লুকিয়ে ছিল তারা মনে মনে বললে - আজি রজনীতে হয়নি সময়”।

    মহেশ হরিনাথের সাথে সব সম্পর্ক ছেদ করলেন। “সহকর্মীরা মিলনের চেষ্টা করলেন, কিন্তু কোনো ফল হল না। হরিনাথ বরং একটা সন্ধির আগ্রহ দেখিয়েছিলেন, কিন্তু মহেশ একেবারে পাথরের মত শক্ত হয়ে রইলেন। কিছুদিন পরে মহেশবাবুর খেয়াল হল - প্রেততত্ত্ব সম্বন্ধে একতরফা বিচার করাটা ন্যায় সঙ্গত নয়, এর অনুকূল প্রমাণ কে কী লিখে দিয়েছেন তাও জানা উচিত। তিনি দেশই বিলিতী বিস্তর বই সংগ্রহ করে পড়তে লাগলেন, কিন্তু তাতে তাঁর অবিশ্বাস আরো প্রবল হল। প্রত্যক্ষ প্রমাণ কিছুই নেই, কেবল আছে - অমুক ব্যক্তি কি বলেছেন আর কি দেখেছেন”। .... প্রেততত্ত্ব চর্চা করতে করতে শেষটা এমন হল যে ভূতের গুষ্টিকে গালাগাল না দিয়ে তিনি জল গ্রহণ করতেন না।

    পড়ে পড়ে মহেশের মাথা গরম হয়ে উঠল। রাতে ঘুম হয় না, কেবল স্বপ্ন দেখেন ভূত তাঁকে ভেংচাচ্ছে। এমন স্বপ্ন দেখেন বলে নিজের ওপরেও তাঁর রাগ হতে লাগল। ডাক্তার বলল - পড়াশোনা বন্ধ করুন, বিশেষ করে ভুতুড়ে বই গুলো – যা মানেন না তার চর্চা করেন কেন।
    কিন্তু এইসব বই পড়া মহেশের একটা নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পড়লেই রাগ হয়, আর সেই রাগেতেই তাঁর সুখ।
    অবশেষে মহেশ মিত্তির কঠিন রোগের শয্যাশায়ী হয়ে পড়লেন। দিন দিন শরীর ক্ষয়ে যেতে লাগল, কিন্তু রোগটা নির্ণয় হল না। সহকর্মীরা প্রায়ই এসে তাঁর খবর নিতেন। হরিনাথ একদিন এসেছিলেন কিন্তু মহেশ তাঁর মুখদর্শন করলেন না।
    সাত-আট মাস কেটে গেল। শীতকাল, রাত দশটা। হরিনাথ শোবার উদ্যোগ করছেন এমন সময় মহেশের চাকর এসে খবর দিলে যে তার বাবু ডেকে পাঠিয়েছেন, অবস্থা বড় খারাপ। হরিনাথ তখনই হাতিবাগানের বাসায় ছুটলেন।
    মহেশের আর দেরি নেই, মৃত্যুর ভয়ও নেই। বললেন - ‘হরিনাথ, তোমায় ক্ষমা করলুম। না যে আমার মত কিছুমাত্র বদলেছে'। মহেশ মারা গেলেন।
    মহেশের আত্মীয়স্বজন কোলকাতায় কেউ ছিল না, হরিনাথ সৎকার সমিতিকে টাকা দিয়ে মহেশকে দাহ করার ব্যবস্থা করলেন। মড়া কাঁধে করে নিয়ে যেতে যেতে, তা প্রবল ভারী লাগতে লাগল, দু পা বইতেই সবার হাঁফ ধরে যাচ্ছিল। হরিনাথ আর পারছিলেন না কাঁধ দিতে। শেষে কালো র‍্যাপার গায়ে দেওয়া একজন এসে কাঁধ দিতে উনি মুক্তি পেলেন। এরকম আরও তিনজন কালো র‍্যাপার গায়ে দেওয়া লোক এসে খাটিয়ায় কাঁধ দিল। তারপর তারা খাট নিয়ে দৌড়।
    “মহেশের খাট তখন তীর বেগে ছুটছে, হরিনাথ পাগলের মতন পিছুপিছু দৌড়াচ্ছেন। ... হরিনাথ ছুটতে ছুটতে নিরন্তর চিৎকার করছেন - 'থাম থাম'।
    ও কি খাটের উপর উঠে বসেছে কে? মহেশ? মহেশই তো। কি ভয়ানক! দাঁড়িয়েছে, ছুটন্ত খাটের উপর খাড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। পিছনে ফিরে লেকচারের ভঙ্গিতে হাত নেড়ে কি বলছে?
    দূর-দূরান্ত থেকে মহেশের গলার আওয়াজ এল - ' হরিনাথ ও হরিনাথ ওহে হরিনাথ '
    ' কি কি? এই যে আমি '।
    ' ও হরিনাথ, আছে সব আছে সব সত্যি '

    মহেশের খাট অগোচর হয়ে গেল, তখনও তাঁর কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে - ' আছে আছে '


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | ২৫ এপ্রিল ২০২১ ১২:৫৪105148
  • ঠিক। ঠিক।  নির্মাল্যবাবুর লেখাটা নিয়ে।


    মূল লেখাটা ধরলে অবশ্য আনালজিটা সায়েন্সের যুক্তিতে একেবারে উল্টোদিকে হয় ঃ)  


    ফর্মের জন্য মূল লেখার উল্লেখ করে গল্পটা পুরো না দিলেই ভাল হত মনে হয়, মানে আজকালকার মহেশবাবুদের মত বাজারে। কে জানে, তারপর এঁ্রা আপনার গল্পের ব্যাখ্যা দিয়ে বসবেন, তাহলে কোভিড ভূতের মতই সত্যি বলছেন! 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন