Danmask স্টাডি নিয়ে দু চার কথা।
পরে লিখছি।
গত বুধবার DANMASK নামে ডেনমারকের গবেষকদের করা মাসক পরার উপযোগিতা নিয়ে একটি ট্রায়ালের রিপোর্ট বেরিয়েছে। DANMASK নামে Randomised controlled trial টি ডেনমার্কে ৩/এপ্রিল থেকে ২/জুন পর্যন্ত করা হয়েছিল ৪৮৬২ জন মানুষের ওপর | এইসব মানুষদের মিডিয়াতে এ্যাড দিয়ে, খবরের কাগজ মারফত, ইত্যাদি ভাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। গবেষণা শুরুর সময় এঁরা সবাই নিজেদের রক্ত নিজেরা পরীক্ষা করে পাঠান; তাতে যাদের শরীরে এন্টিবডি দেখা যায়, তাঁদের বাদ দিয়ে অন্যান্যরা যাঁদের কোন সিমপটম নেই, অর্থাৎ ধরে নেওয়া যেতে পারে যাঁরা তখনো অবধি আক্রান্ত হন নি, এমন মানুষদের বেছে নেওয়া হয়।
এর পর Random নম্বর অনুযায়ী এনাদের দুভাগে ভাগ করা হয়, এখন এই Random নম্বর কিভাবে বাছা হয়েছিল তা নিয়ে গবেষকরা কিছু লেখেন নি। গবেষকরা ধরে নিয়েছেন যে সাধারণভাবে ২% মানুষের কোভিড হতে পারে, ও মাসক পরলে ৫০% ইনফেকশন কম হয়ে যারা মাসক পরবেন তাঁদের মধ্যে ইনফেকশনের হার কমে ১% এ দাঁড়াবে, এবং যারা মাসক পরবেন না কিন্তু অন্যান্য সাবধানতা অবলম্বন করবেন তাঁদের মধ্যে ইনফেকশনের রেট ওই ১% ই থাকবে | এই মত হিসেব করে গবেষকরা প্রায় ৬০০০ মানুষকে নিয়ে প্রথমে গবেষণার কথা বলেন, শেষ অবধি ৪৮৬২ জন লোক গবেষণায় অংশ নেয়। দুটি ধাপে গবেষণাটি করা হয়। মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটি ধাপ, আর মে থেকে জুনের গোড়া পর্যন্ত পরবর্তী ধাপ।
যারা মাসক পেয়েছিল যারা পায়নি, উভয় তরফকেই বলা হয়েছিল যে তাঁরা অন্যান্য সাবধানতা যেন অবলম্বন করেন, তার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, রেস্তোঁরায় না যাওয়া, ভিড় এড়ানো, তার ওপরে মাসক পরা বা না পরা। এ গবেষণা যখন হয়, তখন ডেনমার্কে মাসক পরা নিয়ে কোন রকম বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি, কাজেই মাসক পরা বা না পরা জনগণের নিজস্ব ধারণা অনুযায়ী যে যার মতন পরত। মাসক আর নির্দেশাবলী পাবার একমাস পরে আবার অংশগ্রহণকারীদের রক্ত পরীক্ষা করে নিজেদের রিপোরট পাঠাতে বলা হয়েছিল।
রিপোর্টে দেখা গেল যাঁরা নিয়ম করে মাসক পরতেন তাঁদের মধ্যে ইনফেকশনের হার 1.8%, আর যারা মাসক পরতেন না তাঁদের মধ্যে ইনফেকশনের হার 2.1%, তার মানে তাঁদের মধ্যে ৩% বেশী, তবে এই তফাৎ রাশিবিজ্ঞানের অঙ্ক অনুযায়ী সেরকম বেশী কিছু নয়, এ থেকে বলা যাবে না যে যাঁরা মাসক পরেন তাঁদর মধ্যে ইনফেকশনের হার তুলনামূলকভাবে কম।
এমন কেন হল? তার মানে কি মাসক পরার উপযোগিতা নেই? এ নিয়ে কিছুই বলা যাবে না, তবে এই গবেষণাটির বেশ কযেকটি গলদ আছে, যার জন্য সত্যি সত্যি মাসক পরলে ইনফেকশন থেকে বাঁচা যাবে না যাবে না, এই গবেষণার ভিত্তিতে সেই সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। প্রথমত, গবেষণাটিতে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অংশগ্রহণ করেন, যার জন্য এমন হতে পারে মাসক পরিহিত আর না-পরিহিতকারীদর উভয় তরফে এঁরা আরো নানান রকমের সুরক্ষা নিয়েছিলেন যেগুলো গবেষণায় ধরা পড়েনি। দ্বিতীয়ত, গবেষকরা কিভাবে রানডম নম্বর বেছেছিলেন আমরা জানি না, ফলে এখানেও একটা সন্দেহ থেকে যায়, যে কে কিভাবে এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন। তিন, কে মাসক পরছেন আর কে পরছেন না, গবেষক আর অংশগ্রহণকারীরা, দু তরফেই জানতেন। ফলে দু তরফেই কিছু না কিছু রিপোরটিং এর গলদ থাকার সম্ভাবনা অমূলক নয়।
এই সব নানা কারণে গবেষণাটিকে অনেকে ততটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাছাড়াও আরো একটি ব্যাপার লক্ষণীয়। মাসক পরলে যে আপনি ইনফেকশন "পাবেন না", তা নয়, মাসকের আসল উপকারিতা মাসক পরলে আপনার তরফ থেকে "অন্য কারো ইনফেকশন হবার সম্ভাবনা কমে যায়", এই ব্যাপারটি এই গবেষণাটিতে চর্চা করা অসম্ভব ছিল। যার জন্য এই গবেষণাটি যদিও মূল্যবান, এতে করে মাসক পরার উপকারিতা কি তা নিয়ে বহু প্রশ্ন থেকেই যায়।
অন্তত, এই কথাটা বলা যেতে পারে যে, যাই হোক, মাসক পরুন, কারণ এতে করে সামান্য হলেও ইনফেকশন কম হবার একটা সম্ভাবনা যে নেই তা নয়, অন্তত ইনফেকশন বা অন্য কোন রকম গুরুতর বিপদের সেরকম সম্ভাবনা নেই | তাছাড়া, মাসক পরলে আপনার থেকে অন্যের ইনফেকটেড হবার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
পুরো গবেষণাটি পড়তে চাইলে, এখানে দেখুন,
আরেকটা গবেষণাপত্র https://tinyurl.com/y46r945y, বেরিয়েছে ক্লিনিকাল ইনফেকশাস ডিজিসেস বলে অক্সফোর্ড ইউনিভারসিটি প্রেসের একটা জার্নালে। বলছে তো মাস্ক পরলে রিস্ক কমে। এইখানে প্রেস রিলিজ https://tinyurl.com/y42x8gvr
এই দুটো স্টাডির মধ্যে অভ্যু, তোমার উল্লিখিত স্টাডি টি একটি বিশেষ পপুলাশনকে নিয়ে, স্বাস্থ্য "কর্মী" দের নিয়ে। তাছাড়া এই স্টাডি টি একটি "observational" study। ডেনমার্ক এর গবেষকরা জনসাধারণের মধ্যে randomised কন্ট্রোলড ট্রায়াল করে দেখার চেষ্টা করেছে।
তবে, সব মিলিয়ে মাস্ক পরে থাকাটাই আপাতত নিরাপদ উপায়, অন্তত নিজে আক্রান্ত হই বা না হই, অপরকে infect করবো না, এই ভাবে ভাবলে।
মাঝখানে শোনা গেছিল মাস্ক পরলে ব্রেইনে অক্সিজেন কম যায়, তাই মাস্ক না পরাই ভাল। কিন্তু কী যে ঠিক আর কী যে নয়, ঠিক করে কেউ বলতেই পারছে না।
সাধারণ সুস্থ মানুষ মাস্ক পরলে ব্রেনে অক্সিজেন কমে যাবে, কি মারাত্বক কুযুক্তি, :-), এরকম কখনো হওয়ার কথা নয়।
মারাত্মক :)
একদম! "ত্মকের" যত্ন না নিলে যা হয়, ;-)
common sense apply karun . what is the size of virus? nano meter size - right . So if u use the mask which will block nano size virus then you need a special mask , obviously it will block air inhale