ননসেন্স ছড়ার প্রবর্তক সুকুমার রায়
সুকুমার রায় শুধু বাংলা সাহিত্যের নয়, ভারতীয় সাহিত্যের "ননসেন্স ছড়া"রও প্রবর্তক। "যাহা আজগুবি, যাহা উদ্ভট, যাহা অসম্ভব, তাহাদের লইয়াই এই পুস্তকের কারবার। ইহা খেয়াল রসের বই। সুতরাং, সে রস যাঁহারা উপভোগ করিতে পারেন না, এ পুস্তক তাঁহাদের জন্য নহে।" - নিজের রচনা সম্পর্কে এমনটাই বলেছিলেন সুকুমার রায়। সুকুমার রায়ের জীবনী লিখতে গিয়ে লেখক দীপক সেনগুপ্ত 'অবসর' পত্রিকায় তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্কে আলোক পাত করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সম্পর্ক, সন্দেশ পত্রিকায় রচনা ও সম্পাদকের ভূমিকা নিয়েও লিখেছেন। সিটি স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাশ করে ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রিতে ডাবল অনার্স নিয়ে ১৯০৬ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন সুকুমার। কলেজে থাকতে গড়ে তোলেন ‘ননসেন্স ক্লাব’। তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন প্রখ্যাত রসায়নবিদ প্রফুল্লচন্দ্র রায়। ক্লাবের মুখপত্র ছিল হাতে লেখা কাগজ - ‘সাড়ে বত্রিশ ভাজা’ ।
সুকুমার রায়ের সরস লেখা প্রথম ‘সাড়ে বত্রিশ ভাজা’য় প্রকাশিত হয়েছিল । ননসেন্স ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে অভিনয় করার জন্য তিনি দু’টি নাটক লিখেছিলেন – ‘ঝালাপালা’ ও ‘লক্ষণের শক্তিশেল’। ‘ঝালাপালা’তেই রয়েছে তাঁর সেই বিখ্যাত রসসৃষ্টি , যা আজকের প্রজন্মকেও আশ্চার্যান্বিত করে।
– “পণ্ডিত। বটে! তোর বাড়ি কদ্দুর?
কেষ্টা। আজ্ঞে, ওই তালতলায়
– ‘আই গো আপ, ইউ গো ডাউন-’ মানে কি ?
পণ্ডিত। ‘আই’ - ‘আই’ কিনা চক্ষুঃ, ‘গো’ - গয়ে ওকার গো - গৌ গাবৌ গাবঃ, ইত্যমরঃ, ‘আপ’ কিনা আপঃ সলিলং বারি অর্থাৎ জল - গরুর চক্ষে জল - অর্থাৎ কিনা গরু কাঁদিতেছে - কেন কাঁদিতেছে - না উই গো ডাউন, কিনা ‘উই’ যাকে বলে উইপোকা - ‘গো ডাউন’, অর্থাৎ গুদোমখানা - গুদোমঘরে উই ধরে আর কিছু রাখলে না - তাই না দেখে, ‘আই গো আপ’ – গরু কেবলই কাঁদিতেছে -”
তাঁর এই ‘ননসেন্স ক্লাবে’র নাটক দেখার জন্য ভিড় করত আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই। এ সম্পর্কে পুণ্যলতা দেবী লিখেছেন – “বাঁধা স্টেজ নেই, সীন নেই, সাজসজ্জা ও মেকআপ বিশেষ কিছুই নেই, শুধু কথা সুরে ভাবে ভঙ্গিতেই তাদের অভিনয়ের বাহাদুরি ফুটে উঠত, দাদা নাটক লিখত, অভিনয় শেখাত। ... হাঁদারামের অভিনয় করতে দাদার জুড়ি কেউ ছিল না। অভিনয় করতে ওরা নিজেরা যেমন আমোদ পেত, তেমনি সবাইকে আমোদে মাতিয়ে তুলত। চারিদিকে উচ্ছ্বসিত হাসির স্রোত বইয়ে দিত। ...... ননসেন্স ক্লাবের অভিনয় দেখার জন্য সবাই উৎসুক হয়ে থাকত।”
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন হল বাংলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর তৎকালীন বড়লাট লর্ড কার্জনের আদেশে বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করা হলেও বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতায় সেটা কার্যকর হয়ে ওঠেনি। তখন শিক্ষিত বাঙালিরা অনেকেই শপথ নিয়েছিলেন যে তারা বিদেশী জিনিস ব্যবহার করবেন না। উপেন্দ্রকিশোরের পরিবারেও এর ব্যতিক্রম ঘটে নি। পুণ্যলতা দেবী লিখেছেন – “মেজভাই মণি (সুবিনয় রায়) দেশি সুতোর মোটা কাপড়, হাতে তৈরি তুলোট কাগজ, ট্যারা ব্যাঁকা পেয়ালা পিরিচ খুঁজে পেতে নিয়ে আসত।”
লীলা মজুমদারের ভাষায় – “বাড়িসুদ্ধ সবাই এইসব জিনিস ব্যবহার করত। বড়দাও করত। অবিশ্যি এই নিয়ে একটা গান না লিখেই সে কি করে?” গানটি ছিল – “আমরা দেশি পাগলের দল, দেশের জন্য ভেবে ভেবে হয়েছি পাগল, (যদিও) দেখতে খারাপ টিকবে কম, দামটা একটু বেশী (তাহোক) তাতে দেশেরই মঙ্গল”।
‘সন্দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক হবার আগেই সুকুমারের কিছু প্রবন্ধ ও দুটি নাটক - ‘শব্দকল্পদ্রুম’ ও ‘চলচ্চিত্তচঞ্চরী’ প্রকাশিত হয়েছে। ‘প্রবাসী’-তে লেখা এসব রচনা ঠিক ছোটদের জন্য নয়। ‘নাটক দুটি প্রধানত আইডিয়ার আধার। ... এর উপভোগ্যতার প্রধান কারণ হল এর শাণিত কমিক সংলাপ। সুকুমারের ... মজলিসি মেজাজের ষোল আনা পরিচয় মেলে এ দুটি নাটকে।’
বিদেশে থাকার জন্য সুকুমার রায়ের লেখা প্রথমদিকের সংখ্যাগুলিতে প্রকাশিত হয় নি। তাঁর প্রথম আবির্ভাব ১৩২০’র শ্রাবণ সংখ্যায় কেদারনাথ চট্টোপাধ্যায়ের গল্প একটি গল্পের চিত্রকর রূপে নাম ‘ভবম হাজাম’। এটি তিনি এঁকে পাঠিয়েছিলেন বিলেত থেকে। রবীন্দ্রনাথও তখন সেখানে। বিলেতে বসেই কবির হাতে ‘সন্দেশে’র প্রথম সংখ্যাটি তুলে দিয়েছিলেন সুকুমার রায় । স্বভাবতই খুব খুশি হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ এবং কথা দিয়েছিলেন সময় পেলেই ‘সন্দেশে’র জন্য তিনি লিখবেন। সুকুমার বিলেত থেকে বাবা উপেন্দ্রকিশোরকে চিঠি লিখে একথা জানিয়েওছিলেন।
যদিও মাত্র আট বছর বয়সে ‘নদী’ নামে তাঁর প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় ‘মুকুল' পত্রিকার ১৩০২ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায়। পরের বছর ১৩০৩ জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায় এই পত্রিকাতেই বেরিয়েছিল বিখ্যাত 'Hickory Dickory Dock' অবলম্বনে তাঁর কবিতা ‘টিক-টিক-টং’। (প্রসঙ্গত, ‘অবসরে’ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত ‘পুরানো সাময়িক পত্রিকায়’ ‘মুকুল’ পত্রিকা প্রসঙ্গে সুকুমারের ‘নদী’ কবিতাটি উদ্ধৃত হয়েছে)।
‘সন্দেশ’ পত্রিকায় তাঁর প্রথম প্রকাশিত কবিতা দু’টি ছিল ‘বেজায় রাগ’ (১৩২০, অগ্রহায়ণ সংখ্যা ) ও ‘খোকা ঘুমায়’ (১৩২০ পৌষ সংখ্যা )।
বিলেত থেকে ফিরে আসার পর ‘সন্দেশে’ তাঁর উদ্ভট কবিতা ‘খিচুড়ি’ (মাঘ ১৩২১) প্রথম প্রকাশিত হয় । রচনাটি সুপরিচিত – “হাঁস ছিল সজারু, (ব্যাকরণ মানি না) হয়ে গেল হাঁসজারু কেমনে তা জানি না।” ...... । সঙ্গে ছিল ‘হাঁসজারু’, ‘বকচ্ছপ’, ‘বিছাগল’, ‘গিরিগিটিয়া’ প্রভৃতি কল্পিত, অদ্ভুত সব মিশ্র প্রাণীর ছবি। তাঁর ‘আবোল তাবোল’ বইয়ের সব কবিতাই ‘সন্দেশে’ ছাপা হয়েছে, অবশ্য কখনো কখনো ভিন্ন নামে- যেমন, ‘বাবুরাম সাপুড়ে’ -‘সন্দেশ’র নাম ছিল ‘বাপরে’, (আষাঢ়, ১৩২৮), ‘রামগরুরের ছানা’ -‘সন্দেশে’র নাম ছিল‘হেস’ না!’, (বৈশাখ, ১৩২৫), ‘নোটবই’ -‘সন্দেশে’র নাম ছিল ‘জিজ্ঞাসু’ (বৈশাখ, ১৩২৭) । পত্রিকায় ‘আবোল তাবোল’ নাম দিয়ে বেরিয়েছে তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘খুড়োর কল’, ‘দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম’, ‘গানের গুঁতো’ প্রভৃতি। সুকুমার রায়ের জীবদ্দশায় তাঁর তিনটি নাটক ‘সন্দেশে’ প্রকাশিত হয়েছিল –‘অবাক জলপান’, ‘হিংসুটে’ ও ‘মামা গো’। আর তাঁর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছে ‘ঝালাপালা’ ও ‘লক্ষণের শক্তিশেল’। তাঁর অতুলনীয় ‘হ-য-ব-র-ল’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২৯-এর জ্যৈষ্ঠ থেকে পরপর চারটি সংখ্যায়। ‘পাগলা দাশু’র কুড়িটি গল্পই ‘সন্দেশে’ ছাপা হয়েছে। ‘বহুরূপী’ সহ আরও বেশ কয়েকটি গল্প বেরিয়েছে এই পত্রিকায়। ‘খাইখাই’-এর বেশ কিছু কবিতাও প্রথমে ছোটদের হাতে এসেছে ‘সন্দেশে’র মাধ্যমেই। ‘হেঁশোরাম হুঁশিয়ারের ডায়েরি’ প্রকাশিত হয়েছে ১৩২৯ সালের বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায়। পরবর্তী কালে সত্যজিতের লেখা 'প্রফেসর শঙ্কু'তে এর প্রভাব লক্ষ করা গেছে । সুকুমারের ‘আবোল তাবোল’ কবিতার দু’লাইন
– “ঘনিয়ে এল ঘুমের ঘোর / গানের পালা সাঙ্গ মোর” বাস্তবায়িত করেই সুকুমার পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন মাত্র ৩৬ বছর বয়সে। ১৯২১ সালেই তিনি কালাজ্বরে আক্রান্ত হন। তখন এই রোগের নিরাময় ছিল অসম্ভব। শেষের আড়াই বছর তাঁর অধিকাংশ সময় কেটেছে রোগশয্যায়। তাঁর সুযোগ্য পুত্র সত্যজিত রায় লিখেছেন -
“... রুগ্ন অবস্থাতেও তাঁর কাজের পরিমাণ ও উৎকর্ষ দেখলে অবাক হতে হয়। শুধু লেখা বা আঁকার কাজেই নয়, ছাপার কাজেও যে তিনি অসুখের মধ্যে অনেক চিন্তা ব্যয় করেছেন তারও প্রমাণ রয়েছে। একটি নোটবুকে তাঁর আবিষ্কৃত কয়েকটি মুদ্রণ পদ্ধতির তালিকা রয়েছে। এগুলি পেটেন্ট নেবার পরিকল্পনা তাঁর মনে ছিল, কিন্তু কাজে হয়ে ওঠে নি।”
তাঁর অসুখের কোনও চিকিৎসা নেই এবং মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও অসাধারণ মানসিক স্থিরতার পরিচয় দিয়েছেন সুকুমার। প্রকৃত কর্মযোগীর মত অবিচলিতভাবে তিনি নিজের কাজ করে গিয়েছেন। লীলা মজুমদারের স্মৃতিচারণে পাই –“শুনলাম রোগের নাম কালাজ্বর। তাঁর তখন কোনো ভালো চিকিৎসা ছিলনা। চোখের সামনে একটু একটু করে বড়দার শরীর ভাঙতে লাগল। ...। তার আগের বছরেই বড় বৌঠানের একটি সুন্দর ছেলে হয়েছিল, ঘটা করে তার নামকরণ হয়েছিল ... ছেলের নাম সত্যজিৎ। ডাক নাম মানিক।”
এইসময় রবীন্দ্রনাথ মাঝে মাঝে এসে দেখে যেতেন মৃত্যুপথযাত্রী তাঁর ভাতৃপ্রতিম বন্ধুকে । একবার সুকুমারের ইচ্ছে হয়েছিল তিনি রবিঠাকুরের কন্ঠে গান শোনার। ইচ্ছেই সাড়া দিয়ে রবীন্দ্রনাথও এলেন, শোনালেন – ‘আছে দুঃখ আছে মৃত্যু’, ‘আমার সকল দুখের প্রদীপ’, ‘দুঃখ এ নয় সুখ নহে গো গভীর শান্তি এ যে’ । এ প্রসঙ্গে সুকুমারের খুড়তুতো বোন মাধুরীলতা বলেছেন –“গানের পর গান চলিল, সকলে তন্ময় হইয়া গান শুনিতে লাগিল। দাদার প্রশান্ত মুখখানি দেখিয়া মনে হইতেছিল যে তিনি পরম শান্তি লাভ করিয়াছেন।”
১৯২৩ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ১০০নং গড়পার রোডের বাড়ি থেকে মাত্র ছত্রিশ বছর বয়সে বিদায় নিলেন সুকুমার রায় । লীলা মজুমদারের কলমে –“... কত ইচ্ছা, কত আশা। ... মাত্র ছত্রিশ বছর বয়সে বড়দা তাঁর সাজানো সংসার ছেড়ে চলে গেলেন। ... জীবনে এই প্রথম ব্যক্তিগত শোকের আঘাত বুঝলাম।”
তাঁর মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করেন। আচার্যের ভাষণে তিনি বলেন –“আমার পরম স্নেহভাজন যুবকবন্ধু সুকুমার রায়ের রোগশয্যার পাশে এসে যখন বসেছি, এই কথাই বার বার মনে হয়েছে, জীব-লোকের ঊর্ধ্বে আধ্যাত্মলোক আছে। যে-কোন মানুষ এই কথাটি নিঃসংশয়ে বিশ্বাসের দ্বারা নিজের জীবনে স্পষ্ট করে তোলেন, অমৃতধামের তীর্থযাত্রায় তিনি আমাদের নেতা। আমি অনেক মৃত্যু দেখেছি, কিন্তু এই অল্পবয়স্ক যুবকটির মতো অল্পকালের আয়ু নিয়ে মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে এমন নিষ্ঠার সঙ্গে অমৃতময় পুরুষকে অর্ঘ্যদান করতে আর কাউকে দেখি নি। মৃত্যুর দ্বারের কাছে দাঁড়িয়ে অসীম জীবনের জয়গান তিনি গাইলেন। তাঁর রোগশয্যার পাশে বসে সে গানের সুরটিতে আমার চিত্ত পূর্ণ হয়েছে।”
১৯৮৭ সালে সুকুমারের জন্মশতবর্ষে তাঁর সুযোগ্য পুত্র সত্যজিত রায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রযোজনায় একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। অভিনয় করেছিলেন উৎপল দত্ত, সৌমিত্র চ্যাটার্জি, তপেন চ্যাটার্জি, সন্তোষ দত্ত প্রমুখ। বাংলায় ভাষ্যপাঠ করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন সত্যজিত রায় নিজেই।
সুকুমার রায়ের মৃত্যু নেই, তাঁর মত স্রষ্টার মৃত্যু হয়না। একথা তাঁর লেখনী থেকেই নিঃসৃত হয়েছে
–“দেহ নহে মোর চির নিবাস, দেহের বিনাশে নাহি বিনাশ”। এই বিশ্বাসকে সঙ্গী করেই তিনি পৃথিবী ছেড়েছেন। এই অনন্য কীর্তির স্রষ্টা তাঁর রেখে যাওয়া সাহিত্য কীর্তির মধ্য দিয়েই চিরভাস্বর হয়ে আছেন আমাদের মধ্যে ।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।