এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ভোরের ছায়া

    Ishani Roychaudhuri Hazra লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৪ অক্টোবর ২০১৩ | ১৮৯৬ বার পঠিত
  • জয়ন্ত মহাপাত্র . পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক . "তারপর যখন ধরেই নিয়েছি ,
    জীবনে লেগেছে গোধূলির রং , তখন এসেছে কবিতা. আমার কাছে . " . কবিতা
    এসেছে এবং রয়েই গেছে . আরও অনেক পরে ছোট গল্প . পদার্থবিদ যখন কবিতা
    লেখেন , কেমন লেখেন ? আর কবি যখন ছোট গল্পে নিজেকে খোঁজেন ? কবিতায়
    বিশ্লেষণী মনোভাব কি অপেক্ষাকৃত প্রকট ? গল্পে কি ধরা পড়ে কবিতার
    বয়নশৈলী ? জয়ন্ত মহাপাত্রর একটি ছোট গল্পের ভাষান্তর . এখানে .

    এক বালকের মৃত্যু

    ..................................

    আমি বাবা . একসময় ছেলে ছিলাম. আজ কেমন ভূমিকাদুটোর অদলবদল , না ? এই যে
    ছেলেটা এখন হাসপাতালের বিছানায়.. আমার ছেলে . ছোটই . মাত্র ন'বছর .
    আচ্ছা, এই ইংরিজি ভাষাটা কিন্তু ভারীঅদ্ভুত! নাইন ইয়ার ওল্ড নাকি নাইন
    ইয়ার ইয়াং ? জানি না. আমি সত্যিই জানি না . যখন হেলান দেবার মতো কোনো
    শক্তপোক্ত স্মৃতি থাকে না অথবা বর্তমানটুকুকেই আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে
    হয় , তখন এই বয়সের হিসেবনিকেশে কি খুব বেশি কিছু যায় আসে ? এই বয়স , এই
    সময় তখন সময়বিহীন এক শূন্যতাই তো শুধু !

    কিন্তু ব্যথা আছে , কষ্ট আছে ..সব আছে . ঠিক আমার সামনে . ওই হাসপাতালের
    খাটে সটান শুয়ে . এই যন্ত্রণার দৈর্ঘ্য ঠিক একশ ' কুড়ি সেন্টিমিটার . এ
    কিন্তু যেমন তেমন কষ্ট নয় ! এতে অন্য কিছুর মিশেল আছে . ভয় ! এই দুই বোধ
    কেমন হাত ধরাধরি করে ... আর তার বিভাজন রেখাটি বরাবর আমার অস্তিত্ব শুয়ে
    আছে . একা.

    হাসপাতালের খাট . অনেক খাট . পরপর . একটার সঙ্গে অন্যটার ফারাক শুধু
    ক্রমিক সংখ্যায় . দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখা নম্বর, খাটের মাথার কাছে..ওই নম্বর
    সর্বময় কর্তা ! হালকা হলুদ বিছানার চাদর , লাল চৌখুপী কম্বল , হিম হিম
    ইস্পাতের ফ্রেম... খাট মানে তো এই ! এই স্থলভূমি এখন আমাদের বাসভূমি.

    আমি বিড়বিড় করে মুখস্ত করে নিচ্ছিলাম আমার ছেলেটার খাটেরর নম্বরটা . যদি
    কেউ জানতে চায়..কত নম্বরে আছে , যদি দেখতে আসতে চায় ! এই একটু সমবেদনা,
    নীচু গলায় মন খারাপের টুকিটাকি.. আমাদের শেষ পারানির কড়ি ! নইলে আমার
    কিচ্ছুটি যায় আসে না . মানে ওই নম্বরের কথা বলছি আর কী ! আমি ঠিক চোখ
    বন্ধ করে হাসপাতালের লম্বা করিডর ধরে স্রেফ একটা কুকুরের মতো ওর কষ্টের
    গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে ওই বিছানার কাছে পৌঁছে যাবার হিম্মত রাখি . এই
    শিশুবিভাগে কত কত বাচ্চারা আর তাদের বাবারা ... নীহারিকাপুঞ্জ যত কষ্টরা
    .. আমার আর কোনো কিছুতেই কোনো হেলদোল হয় না .

    তিনদিন . এই তো তিনদিন আগে আমরা ওকে এখানে এনেছি . হাসপাতালের
    এম্বুলেন্সে চাপিয়ে . উফ.. কী তীক্ষ্ণ সাইরেন বাজিয়ে ছুটছিল গাড়ি . কেমন
    ককিয়ে ককিয়ে হাহাকার করে. ওর কী যে কষ্ট ! কী বলি আমি ওকে ? জানি কষ্ট.
    দেখছি কষ্ট . ওর হাসির রুপোলি জরি আমাদের আকাশে .. এখন কালো রাগী মেঘের
    আড়ালে . মেঘ আর কাটেই না..কাটেই না...

    খোকা, কী ভাবিস তুই শুয়ে শুয়ে ? ভাবিস কি আদৌ কিছু ? তুই বুঝিস আমার
    কষ্ট.. এই যে আমি চোখ রাখি না তোর চোখে..ভয়ে..কী ভীষণ ভয়ে..যদি তুই তোর
    আয়ু ফুরোবার নিভু নিভু আলো দেখতে পাস আমার চোখের তারায় ? সেই আলো, সেই
    ছায়া ?

    তুই তো আমারই মতো . আমার মুখ , আমার চোখ , আমার হাত . কিন্তু আমার আয়ু তো
    তোর নয় . আমার শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল সরীসৃপ নেমে যায় এই কথা ফিসফিস করে
    বলতে বলতে . আমি এই এক কথা পড়তে পারি অক্লেশে..তোর খাটের পাশে ঠায়
    দাঁড়িয়ে থাকা তোর মায়ের ওই মরা মাছের মতো নিষ্প্রভ চোখে .

    "ডাক্তারবাবু ..." কথা শুরু করি . কিন্তু কী যে বলি ! কত কথাই যে জানার
    আছে. বলার আছে . মন এলোমেলো. দৃষ্টি উদভ্রান্ত . আমার .

    ডাক্তার বলছেন , " ঘুমের ওষুধের মাত্রাটা আরও বাড়িয়ে দিতে হবে, বুঝলেন .
    ওর ঘুমটা গভীর হওয়া দরকার . "

    ডাক্তারবাবু পাশেই সাদা ধবধবে পোশাক পরে থাকা নার্সের হাত থেকে চার্টটা
    নেন . কী সাদা পোশাক . এক ফোঁটা ময়লা নেই . চৌকোণা কাগজে খানিক কলমের
    হিজিবিজি .

    ছেলেটা আমার আচমকা বালিশ থেকে মাথাটা তুলল . তোশক থেকে নিজেকে ঠেলেঠুলে
    উঠিয়ে মরণঝাঁপ দিতে গেল বুঝি ! পুরো শরীরটা অসহ্য যন্ত্রণায় বেঁকে ধনুকের
    মতো . চোখ দুটো কেমন ঠেলে বেরিয়ে এসেছে বাইরে ভয়ে. হাঁ করে খাবি খাচ্ছে
    ...আরও বাতাস চাই ফুসফুসে , আরও বাতাস. অনেক অনেক . ওর শীর্ণ আঙুলগুলো
    টানটান হয়ে গেল, তারপর পুরোপুরি বেঁকে ...শিরাগুলো দপদপ দপদপ ...শুকনো
    পাথরের গায়ে .

    নারীকন্ঠের ওই আর্ত চিত্কার ? এই নারীটি আমার সঙ্গে আজ তো বড় কম দিন নয়.
    এতগুলো বছর. নার্স ওর কাঁধ চেপে ধরেছে...আহা, সান্ত্বনা ...সান্ত্বনা..
    নার্সের ঠোঁট দুটোও কেমন দুমড়ে মুচড়ে একাকার দু:খে, সহানুভূতিতে .
    ডাক্তারবাবু ঝুঁকে পড়েছেন খাটের ওপর.

    নারীটির দু'চোখের মণি .কালো কাচের বুদবুদ . ওরা বলছে, " আমার ছেলে নয় .
    ওই খাটে যে শুয়ে , সে এক অচেনা পশু ...খিদেতে তোলপাড় করে দিল সব ."

    ছটফটানি এল . গেল . খুব দ্রুত . ছোট্ট কালচে মুখটা ভেসে গেল ঘামে . আর
    আমার মুখের ভেতরে লোনা জলের বান . নার্স অভ্যস্ত হাতে ওই ফুটি ফুটি কালো
    বিন্দুতে আবার ... ওখানেই তো..মরফিন ইনজেকশন . আমি কী করে যে শুনতে
    পাচ্ছি ওর মায়ের হৃদপিণ্ডে দুরন্ত দামামা . ওর মা ডাক্তারকে
    বলছে...স্খলিত স্বরে , " খোকা ভালো হয়ে যাবে তো ?" ...কোনো মানে হয় ?
    নির্বোধ নারী !

    জানি না. আমি সত্যিই জানি না. মুখে নয় . আমার চোখ দুটো সে কথা বলে .
    ডাক্তারবাবুও জানেন না . আর এই ছোট্ট নিরীহ প্রশ্নটা কী বিপুল তরঙ্গে
    প্রতিধ্বনি তুলে ফিরে ফিরে যায় হাসপাতালের দেওয়াল জুড়ে .

    ডাক্তারের চোখ পাশে বিছানার রোগীর দিকে . একটু কি অধৈর্য দেখাচ্ছে ?
    জুনিয়র ডাক্তাররা ছেঁকে ধরেছে... ডাক্তারবাবু কী বলবেন এবার ?

    আমি আর আমার স্ত্রী . খোকার মা আর আমি . দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে . কিছুই
    তো মাথায় ঢোকেনা ছাই..কী সব সাপ ব্যাং শক্ত শক্ত ডাক্তারী পরিভাষা যে বলে
    এরা ! বাতাসে ভাসে ভারী ভারী শব্দের দুর্বোধ্য ভয়াল গন্ধ . আমরা শুধু
    পারি এভাবেই অপেক্ষায় অপেক্ষায় বার্ধক্যে পৌঁছতে... দাঁড়িয়ে ..দাঁড়িয়ে..
    আমাদের প্রথম সন্তান কেমন ডুবে যায় কষ্টের অতল অন্ধকারে...

    ওর মা ওর পাখির মতো হালকা শরীরটা ঢেকে দিল চাদর দিয়ে . এক মুহূর্তের জন্য
    স্থির হয়ে গেল শরীরটা . চোখ বন্ধ . এখন তো আর অলৌকিক কিছু ঘটে না . এখন
    জীবনটাই অলৌকিক . বেঁচে থাকাটাও . ওর মা সেই অলৌকিকের স্বপ্ন দেখে .
    প্রথম ভোরের নরম মায়াবী আলোয় পাখিদের উড়ান , আজ থেকে প্রায় এক দশক আগে
    খোকার অপরিণত হৃদপিণ্ডের ধুকপুকুনি প্রথম অনুভব করে রক্তে লোহিতকণিকাদের
    দুরন্ত ছুটোছুটি ...

    আমি ওকে বলতে চাইছিলাম , "এভাবে নিজেকে অচল করে রেখো না . " পারলাম না.
    মুখ খুলি, মুখ বন্ধ হয়ে যায় . আমার হৃদপিণ্ড এখন শুধুই একতাল অবুঝ
    যন্ত্রণা . আমার কাঁধে কেউ হাত রাখে না কেন ? আমার বাবা...না না..তা কী
    করে হয় ! বাবা তো সেই কবেই...

    এখন যে আমিই বাবা . আমার ছেলেটা শুয়ে গভীর অন্ধকার গহ্বরে . ওর নি:সঙ্গ
    শরীর আমি স্পর্শ করতে অপারগ . ওর মাও তো পারে না . ডিমালো মুখটি তার নরম
    শান্ত চোখদুটিকে সম্বল করে তাকিয়ে থাকে ছেলের পান্ডুর মুখের দিকে . কেউ
    ছুঁতে পারে না ওকে . যারা ওকে দেখতে আসে ভিজিটিং আওয়ার্সে.. তারাও না .
    তারাও প্রাণপণে এই চিন্তাটাকে আড়াল করতে চায় যে কী ভয়ঙ্কর তমসা অপেক্ষা
    করে আছে আমাদের জন্য . দেখতে পাই , বুঝতে পারি..সবাই হিম হয়ে যায় ...যখন
    অসহনীয় যন্ত্রণা নখ দাঁত বের করে হামলে পড়ে ওই ছোট্ট জীর্ণ শরীরে ...
    ঝড়ের তাণ্ডব !

    " খোকা , খোকা রে .."

    উত্তর এল না . শুধু অবোধ চাউনি মাথার কাছে বসে থাকা মায়ের মুখে . একটু
    কি ঝিলিক খেলে যায় খোকার চোখে ? চোখদুটি তো এখন সম্পূর্ণ খোলা . সব জেনে
    যাওয়ার কষ্ট , সময় ফুরিয়ে ফেলার কষ্ট ...ও কি দেখতে পাচ্ছে..অন্য চোখের
    আলোয় ?

    " এই দেখ , কে এসেছে তোর কাছে..."

    "খোকা .."

    খোকা শোনে . শোনে . একটা ক্লিষ্ট হাসি . খুব বাধ্য ছিল . আমাদের সব কথা
    শুনত . এখনও পারছেই না আমাদের কথার অবাধ্য হতে . ওর চোখ ভিজেছে জলে .
    ঘাসের মাথায় শিশিরকণা জ্বলে .

    " জল. মা গো , একটু জল. "

    ওর মা এখন আমার দিকে তাকিয়ে . আমি মাথা নেড়ে সম্মতি দিই .এক চামচ জল..ওর
    আধখোলা ঠোঁটের ফাঁকে . আরও জল চায়. আরও .

    ওর মা বলে, "খুব কষ্ট হচ্ছে, খোকা ? "

    আঁচলে মুছে যায় খোকার কপালের ঘাম . আমি বুঝি...হায়...নির্বোধ নারী !
    আমাদের সর্বাঙ্গ ঢেকে দেয় নৈ:শব্দ্য . ভারী সীসের চাদরের মতো . কিংবা
    যে নিস্তব্ধতা ছুঁয়ে থাকে দিগন্তরেখাটিকে ...রাত্রিশেষ আর অহনার অমলিন
    সন্ধিক্ষণে .

    আর একটা দিন আসে . যায় . আমার পাশের নারীর চেহারায় বয়সের সর .
    দুশ্চিন্তার পলিমাটি . ও কেমন শান্ত হয়ে গেছে . অন্ধকারে খোকার কষ্টের
    হাতে হাতটি রেখে চুপটি করে বসে থাকে . আমি দেখি..সাদা পোশাকে নার্সরা
    আসে, যায় .. কী সন্তর্পণে পা ফেলা . নিখুঁত ছন্দে . এভাবেই দেখি ধূসর
    অস্বচ্ছ মৃত্যুর ছায়ামুখ মার্জারভঙ্গিতে এগিয়ে আসে আমাদের সবার জীবনে ,
    আমার খোকার বিছার দিকেও...নি:শব্দচরণে . আর আমি অবাক হই না . আমি কি তবে
    ভয় পাই ..সেই সব স্বপ্নকে ..যারা আমার কষ্টের ক্ষতমুখে শীতল কুয়াশা
    মাখিয়ে দেয় ? হয়ত না. ঘরে কত ফিসফিস কথা , ভরসা দেয় সবাই , আমি ওই খড়কুটো
    আঁকড়েই তো বেঁচে থাকি ... রোজ . নীলচে হিমেল বাতাস আমাদের মুখে গায়ে
    লেপটে থাকা ছায়াগুলোকে আলিঙ্গন করে . এই বাতাসে আমি শ্বাস নিই আর এই
    বাতাস আমার খোকার ফুসফুসের আওতা থেকে একটু একটু করে দূরে সরে যায় .

    জানি আমার ছেলেটার দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দেব নির্ঘুম রাত . সবাই তখন ঘুমে .
    ও যে আমার . আমার নিজের . তীব্র ঘুমের ওষুধ গরলধারা হয়ে পুড়িয়ে দেয় অর
    শীর্ণ শরীর আর আমি ওকে আগলে রেখে স্বপ্নে থাকি . ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়
    ওর মানসিক বিকলন ঘটেছে . ওর ঘূণধরা হাড়ের অন্ধকার খাঁচাটার ভেতর পাক
    খেয়ে মরে ওর স্বপ্নরা . ওই স্বপ্নরা ঠিক দেখতে পায় আমি কেমন
    শ্যেনদৃষ্টিতে নজর রাখছি ওর ওপর , আমাদের জীবনের ওপর... নিছক
    নিয়মনিষ্ঠায় .

    বিছানায় খাবি খায় ছেলেটা . এত কম বাতাস কেন ? একঝলক বিষব্যথা ওকে নিয়ে
    নিষ্ঠুর আনন্দে লোফালুফি খেলে শূন্যে . লন্ডভন্ড হয়ে যায় হাসপাতালের
    শিশুবিভাগের কুড়িটা খাটে শুয়ে থাকা বাচ্চাগুলো . সময় ফুরিয়ে আসার আর্তি .
    বোধশক্তি ঝিমিয়ে আসারও .

    শরীরটা নিশ্চল , শান্ত . আমিও তো তেমনটাই . ওর হাতের নীচে , পায়ের নীচে ,
    পুরো শরীরটার নীচে আলস্যে গা এলিয়ে শুয়ে থাকে আমাদের ফাঁকা হয়ে যাওয়া
    পাখির বাসা . ওর ঘষা কাচের মতো চোখের মণিজোড়া , ওর ঈষৎ খোলা ঠোঁট ...
    আমাকে অজান্তেই এক অদৃশ্য আততায়ীর মুখোশ পরিয়ে দেয় .

    একা একা শ্লথ গতিতে সামান্য আওয়াজ তুলে অক্সিজেন সিলিন্ডারের গাড়িখানা .
    চার দেওয়াল জুড়ে কী ভয়ানক সে প্রতিধ্বনি . গাড়িটা গড়িয়ে গড়িয়ে এগিয়ে আসে
    বিছানার দিকে . দু:খী মুখের নার্সটি ত্রস্ত পায়ে ছুটে যায় বাইরে .....

    আমার চোখের সামনে ওয়ার্ডের রাতবাতিগুলো কেমন নিষ্প্রভ হয়ে আসে . নিষ্প্রভ
    আর ক্ষয়াটে . অথচ বাইরে ওই অন্ধকারের আলো জানান দিয়ে যায়... এখনো ভোর
    হয়নি .
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৪ অক্টোবর ২০১৩ | ১৮৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ***:*** | ০৫ অক্টোবর ২০১৩ ০৪:২৩46579
  • পড়লাম। :-(
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন