এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • দেশভাগ কি দ্বেষভাগ করতে পেরেছিল?

    Kulada Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ২০ মার্চ ২০১৪ | ২৩০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kulada Roy | ২০ মার্চ ২০১৪ ০৮:০৬636280
  • আমার খেয়াল চাপছে দেশভাগ নিয়ে কিছু কথাবার্তা শোনার। এখানে অনেক গুরু আছে। আমি নিতান্তই চণ্ডাল মার্কা লোক। তবে এখন আগের চেয়ে মাথা ঠাণ্ডা হয়ে এসেছে। আমার মা এখনো বলে--বাপুরে, তুই কি অখনো রাগ কইরা ভাত খাওয়া বন্ধ কইরা দিস? আমি হাসি। আমার মা জানে না--আমার মেয়েরা এখন রাগ করে ডোনাট খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তার বদলে বার্গার কিনে খায়। আর আমি তাদের অগোচরে দুইটা পুইডগা ইচা মাছ দিয়া রাইন্ধা রাখি--যদি তার ঘ্রাণে তারা আমার দিকে মুখ ফেরায়।
    আমি মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি। বুঝতে চেষ্টা করি--তাদের রাগের ক্ষোভের জায়গাটি কোথায়। তাদের বেদনার উৎসটাই বা কী?

    ফলে প্রশ্ন করছি গুরুর চরণে--
    ১. দেশভাগ শব্দটি আপনি কখন, কিভাবে, কোন প্রসঙ্গে প্রথম শুনতে পেয়েছিলেন?
  • | ২১ মার্চ ২০১৪ ০৮:৫৫636291
  • 'দেশভাগ' নয় যে শব্দটা শুনে আসছি ছোটবেলা থেকে সেটা হল 'পার্টিশান'। পার্টিশানের সুমায় কিসুই তো আনতাম ফারি নাই, খানসেনার বর্ডারে zI করত .....
    ইত্যাদি ইত্যাদি
  • | 60.82.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৪ ০৯:২১636294
  • আমার দাদুর সারা পিঠ আর বুকের একদিকে কুঁচকে যাওয়া চামড়ায় কিছু বিছের মত মোটা মোটা দাগ ছিলো। খালি চোখে দেখা যেত উঁচু হয়ে আছে আর হাত বোলালে অসমান চামড়ায় দলাপাকানো মাংস টের পাওয়া যেত। বহুদিন দুপুরে শুয়ে শুয়ে ঐ পিঠে হাত বুলিয়েছি। পিঠের ঐ দাগগুলোতে ব্যথা করে কিনা জানতে চাইলে বুকে হাত দিয়ে বলতো,ওখানে না,এখানে ব্যথা করে।

    বাপ-ঠাকুর্দার দেশের সঙ্গে সেটাই আমার প্রথম দেখা।
  • Kulada Roy | ২২ মার্চ ২০১৪ ০০:১৪636295
  • দেশভাগ বা পার্টিশন যাই হোক না কেন--আর কোনো গুরু শোনেননি বোধ হয় কোনোদিন! কালিদা গেলেন কই?
  • একক | ২২ মার্চ ২০১৪ ০০:৫৩636296
  • সবাই শুনেছে । কী আর লিখবে ভেবে থেমে আছে হয়ত । তবে ওই পার্টিশন কথাটাই বেশি চলত । প্রথম পরিচয় শব্দটার সঙ্গে খবরের কাগজ পড়ে । "দেশভাগের যন্ত্রণা " জাতীয় কোনো একটা শব্দ নিয়ে হাজির হয়েছিলুম । বাবা কে জিগানোতে বুঝিয়ে দিলেন । ওই একবার ই । এছাড়া কখনো শুনিনি বাবার মুখে । আসলে পার্টিশন নিয়ে গল্প করা পছন্দ করেন না । ঠাকুরদার গল্প ফরিদপুরের গল্প সব ঠিকাছে কিন্তু আলাদা করে পার্টিশনের কথা তুললে বলতেন ওরকম হয় এগিয়ে যাও ওসব ভেবে পরে থাকলে চলবে না কে খেতে দেবে । আমরা গরিব অতি শেষ কথা । আমার ইচ্ছে হয়েছে কখনো যাবার ওদেশে । সুযোগ হলে । তবে সেও নেহাত দেশ দেখতে । দ্যাশ নয় ।
  • একক | ২২ মার্চ ২০১৪ ০০:৫৪636297
  • * ওটাই
  • MR | 183.74.***.*** | ২৩ মার্চ ২০১৪ ০৬:১৬636298
  • আমার ঠাকুমা যেমন দুঃখ করতেন ঘাটলা, শাপলা ফুলের জন্য। কিন্তু অবাক হয়েছি এক বাঙ্গলাদেশী মহিলার কথা শুনে। সে বললে যে, আমি জেনেছি পার্টিশানের কথা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই পড়ে। আপনারা আগে ওখানে থাক্তেন। বাঙ্গলাদেশে কি এনিয়ে একেবারেই আলোচনা হয়না? বা ইতিহাস বইয়ে নেই?
  • কল্লোল | 125.244.***.*** | ২৩ মার্চ ২০১৪ ০৭:০০636299
  • ইতিহাস বই বেশ চমৎকার জিনিস। মায়ের কছে একটা পূর্ব পকিস্তানের ইতিহাস বই ছিলো। ইন্টারমিডিয়েট-এর। তাতে একটা চ্যাপ্টার ছিলো - আলেকজেন্ডারের পকিস্তান আক্রমন।
    অবশ্য এটা লিখতে গিয়ে মনে পড়লো - আলেকজেন্ডারের ভারত আক্রমনই বা কম কি?
  • Atoz | 161.14.***.*** | ২৩ মার্চ ২০১৪ ০৭:০৭636300
  • আহা রে বেচারা আলেকজান্ডার!!!! ঃ-)
  • s | 182.***.*** | ২৩ মার্চ ২০১৪ ০৯:২৭636281
  • লিখেই ফেলি দু এক লাইন।
    ঠাকুর্দা আমার জম্মের আগেই মারা গেছিলেন। দ্যাশের কথা যা শুনেছি সবই ঠাকুর্মার মুখে। দ্যাশ বলতে নোয়াখালি। যেখানে ভয়াল দাঙ্গা হয়েছিল। আর শুনেছি দাদু দিদার কাছে।
    ঠাকুর্মা আক্ষেপ করতেন, 'কত কি আছিল। আম আছিল, জাম আছিল, ফুলবাগান আছিল, হাঁস, গরু, ছাগল, পুকুরেতে মাছ আছিল।'
    ২০-২২ জনের ফ্যামিলি প্রতিদিন দুইবেলা একসাথে খেতে বসত। সে নাকি হইহই কান্ড। বাবারা স্কুলে যেত, ঠাকুরদাদা ময়মনসিংহের কলেজে পড়াতেন। বাড়ী আসা যাওয়া করতেন। তার ভাইরা চাষবাষ দেখত।
    পালিয়ে আসার কথা কিছু কিছু শুনেছি। সব মনেও নেই। দাঙ্গার থেকে বাঁচতে হোল ফ্যামিলি গ্রামের পুকুরে ডুব দিয়ে ছিল। নাকে নলখাগরার ডাঁটা দিয়ে নিশ্বাস নিচ্ছিল। গ্রামের হিন্দুপাড়া জ্বলছে, তার মধ্যে দু একটা তোরঙ্গ, বিছানা, আর ঠাকুমার গয়নার বাক্স নিয়ে লুকিয়ে পালাচ্ছে ৯-১০ জন। বাকীরা কে কোথায় জানা নেই। সেই বাকীদের মধ্যে আমার এক পিসি ছিল, ঠাকুমার নিজের মেয়ে। তার যে কি হল সে নিয়ে ঠাকুমাকে অনেকদিন আক্ষেপ করতে দেখেছি। কাঁদতে দেখেছি।
  • কুলদা রায় | 152.105.***.*** | ২৪ মার্চ ২০১৪ ০৮:০৭636282
  • নোয়াখালিতে দাঙ্গা হয়েছিল ১৯৪৬ সালে। গান্ধিজি খবর পেয়ে চলে এসেছিলেন নোয়াখালি। থেকেছিলেন চার মাস। সম্প্রীতি আসেনি। শান্তি আসেনি। এর মধ্যে দেশভাগ হয়ে গেল।
    দেশভাগের সঙ্গে দাঙ্গা শব্দটি অবধারিত হয়ে আসে। এই দাঙ্গাই কি দেশটাকে ভাগ করে দিল?
  • Blank | 180.153.***.*** | ২৪ মার্চ ২০১৪ ১৫:১২636283
  • বহুদিনের জমে থাকা অবিশ্বাস।
  • কুলদা রায় | 152.105.***.*** | ২৪ মার্চ ২০১৪ ১৯:২৭636284
  • এই অবিশ্বাসগুলি কি কি ছিল? কেনো বহুদিন ধরে জমে ছিল?
  • কল্লোল | 111.63.***.*** | ২৪ মার্চ ২০১৪ ২০:১২636285
  • আমি কোন অবিশ্বাসের কথা শুনিনি।
    আমার ছোট জ্যাঠামশাই, ১৯৪৭এর আগেই সেটেলমেন্টে কাজ করতেন। সেই সুবাদে দেশভাগের কথা আগেই জানতে পারেন। আমার ঠাকুর্দা পরিবারের কত্তামশাই। তকে ছোট জ্যেঠু সম্পত্তি এক্সচেঞ্জের কথা বলেন। এমনকি বর্ধমানে কোন এক মুসলিম পরিবার যারা পূর্ব পাকিস্তানে যেতে চায় এবং প্রায় সমপরিমান জমি ও সম্পত্তি আছে, এমন একজন জোগাড়ও করে ফেলেছিলেন। কিন্তু আমার ঠাকুর্দা ওসব ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন,
    - পাগল হইচস ?
    - ইসে হৈলো গিয়া আমাগো সব কিসুই তো পাকিস্তান হইয়া যাইব।
    - হঃ এইডা কি কইলি। আগেও শ্যাকেদের লইগ্যাই ছিলাম, এহনো থাকুম। তাতে ঝকমারিডা কি?
    ব্যস।
    ঠাকুর্দার চাকরী ছিলো আগরতলায় ত্রিপুরা রাজসরকারে। আর জীবনে দেশের বাড়িতে পা রাখতে পারেন নি। আগরতলা থেকে সোজা কলকাতার ভাড়া বাড়িতে।
    অবিশ্বাস থাকলে এটা হতো না।
    নীলকন্ঠ পাখীর খোঁজে বা প্রতিবেশী বা এমনকি বিষাদ বৃক্ষ পড়লেও বোঝা যায়।
  • PT | 213.***.*** | ২৪ মার্চ ২০১৪ ২০:২৮636286
  • দেশভাগের আলোচনাতে আজকাল "হাসুবানু" বইটির নাম শুনিনা। অমন বিষাদময়, থেকে থেকে গলায় দলা পাকিয়ে যাওয়া বর্ণনা খুব কম পড়েছি।

    শুরুটাই বা কি অভাবনীয়ঃ বিয়ের পিঁড়িতে আর সব মাঙ্গলিক কাজ শেষ হয়েছে, শুধু সিঁদুর দান বাকি, সেই সময়ে দাঙ্গাবাজদের আক্রমণ......
  • | ২৪ মার্চ ২০১৪ ২০:৪৯636287
  • অবিশ্বাস ছিল ভেতরে ভেতরে যথেষ্টই ছিল।

    উচ্চশ্রেণীর হিন্দুরা যাদের চলে আসতে হয়েছে এমন একটা ভাব করে যেন সবক্লিছু একেবারে ফুলে ফলে দুধে মধুতে ভরে ছিল। ভুলে থাকে নিজেদের সুদীর্ঘ ঘৃণার ইতিহাস। এই দাওয়ার পাশ দিয়ে গেলে, ছায়া পড়লে অশুদ্ধ হয়ে যাবে ---- এমন ঘৃণার বীজ তো একদিন মহীরুহ হবেই। এই সবকিছুই ফুলে ফলে দুধে মধুতে ছিল আর হঠাৎ একরাতে কোথা কী হইয়া গেল -- এটাকেই পার্থ চাটুজ্জে বলেছেন 'সরে সরে বলা'

    পরে সময় পেলে আরেকটু বিস্তারিত লিখছি।
  • b | 24.139.***.*** | ২৪ মার্চ ২০১৪ ২০:৫৮636288
  • মণিকুন্তলা দেবি-র সেকালের কথায় পড়েছিলাম। উনি একদিন দেখেন যে একজন মুসলমান প্রজা (অবশ্যই নীচু জাত)কে বেদম পেটানো হচ্ছে। কারণ হিসেবে বলতে গেলে সে রান্নাঘরের পাশ দিয়ে গিয়েছিলো। তাকে চেপে ধরাতে সে বলেছিলো কর্তা আফনের কুত্তাটাও তো ওহান দিয়া যায়, আমি তো এক্খান মানুষ। ছোটোমুখে এতো বড় কথা? লাগাও জুতো।

    উচ্চবর্ণ বাঙালী হিন্দুর উন্নাসিকতা কি কোনোদিন কম পড়িয়াছিলো? এখনো কম পড়ে নাই, যদিচ কর্ত্তা সকাল বিকাল পার্টি অফিসে গিয়া মার্ক্সের সামনে ধূপবাতি জ্বালান।
  • b | 24.139.***.*** | ২৪ মার্চ ২০১৪ ২০:৫৯636289
  • ঐ তো দ লিখেছেন।
  • Blank | ২৪ মার্চ ২০১৪ ২৩:০৪636290
  • "হিন্দুমুসলমানের পার্থক্যটাকে আমাদের সমাজে আমরা এতই কুশ্রীভাবে বেআব্রু করিয়া রাখিয়াছি যে, কিছুকাল পূর্বে স্বদেশী অভিযানের দিনে একজন হিন্দু স্বদেশী-প্রচারক এক গ্লাস জল খাইবেন বলিয়া তাঁহার মুসলমান সহযোগীকে দাওয়া হইতে নামিয়া যাইতে বলিতে কিছুমাত্র সংকোচ বোধ করেন নাই। কাজের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার বশে মানুষ মানুষকে ঠেলিয়া রাখে, অপমানও করে– তাহাতে বিশেষ ক্ষতি হয় না। কুস্তির সময়ে কুস্তিগিরদের গায়ে পরস্পরের পা ঠেকে তাহার হিসাব কেহ জমাইয়া রাখে না, কিন্তু সামাজিকতার স্থলে কথায় কথায় কাহারও গায়ে পা ঠেকাইতে থাকিলে তাহা ভোলা শক্ত হয়। আমরা বিদ্যালয়ে ও আপিসে প্রতিযোগিতার ভিড়ে মুসলমানকে জোরের সঙ্গে ঠেলা দিয়াছি; সেটা সম্পূর্ণ প্রীতিকর নহে তাহা মানি; তবু সেখানকার ঠেলাঠেলিটা গায়ে লাগিতে পারে, হৃদয়ে লাগে না। কিন্তু সমাজের অপমানটা গায়ে লাগে না, হৃদয়ে লাগে। কারণ, সমাজের উদ্দেশ্যই এই যে, পরস্পরের পার্থক্যের উপর সুশোভন সামঞ্জস্যের আস্তরণ বিছাইয়া দেওয়া।"
    "সংস্কৃত ভাষায় একটা কথা আছে, ঘরে যখন আগুন লাগিয়াছে তখন কূপ খুঁড়িতে যাওয়ার আয়োজন বৃথা। বঙ্গবিচ্ছেদের দিনে হঠাৎ যখন মুসলমানকে আমাদের দলে টানিবার প্রয়োজন হইল তখন আমরা সেই কূপ-খননেরও চেষ্টা করি নাই– আমরা মনে করিয়াছিলাম, মাটির উপরে ঘটি ঠুকিলেই জল আপনি উঠিবে। জল যখন উঠিল না কেবল ধুলাই উড়িল তখন আমাদের বিস্ময়ের সীমাপরিসীমা রহিল না। আজ পর্যন্ত সেই কূপখননের কথা ভুলিয়া আছি। আরও বার বার মাটিতে ঘটি ঠুকিতে হইবে, সেই সঙ্গে সে-ঘটি আপনার কপালে ঠুকিব।"
    "লোকসাধারণের সম্বন্ধেও আমাদের ভদ্রসম্প্রদায়ের ঠিক এ অবস্থা। তাহাদিগকে সর্বপ্রকারে অপমানিত করা আমাদের চিরদিনের অভ্যাস। যদি নিজেদের হৃদয়ের দিকে তাকাই তবে একথা স্বীকার করিতেই হইবে যে, ভারতবর্ষকে আমরা ভদ্রলোকের ভারতবর্ষ বলিয়াই জানি। বাংলাদেশে নিম্নশ্রেণীর মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা যে বাড়িয়া গিয়াছে তাহার একমাত্র কারণ হিন্দু ভদ্রসমাজ এই শ্রেণীয়দিগকে হৃদয়ের সহিত আপন বলিয়া টানিয়া রাখে নাই।"
  • nina | 22.149.***.*** | ২৬ মার্চ ২০১৪ ২২:০২636292
  • শুধু কি মুসলমান--সে তো বাঙলীর মুখে --
    খোট্টা, বাঁধাকপি, তেঁতুল , উড়ে, ঘাটি -ইঃ প্রঃ লেগেই থাকে---

    বাবার মুখে তো শুধু রূপকথার মতন শোনাত , বাবার মামাবাড়ী বরিশালের সব গপ্প-সপ্প
    ইছামতি নদীতী
    নৌকা লাগি ফালাতি
    মোরা লাগি কাঁদিতি

    আর সেই মাঐমার গপ্পঃ
    পিছাগাছখান আন তো
    অ পিছাগাছ কারে কয়

    গোয়ালন্দ্ঘাটে মাঝির হাতের মাছের ঝোল আর কাউন চালের ভাত যে খায় নাই তার zeবন বৃথা--ঢাকার মন্ডা ও
    আর সেই সঙ্গে কত বন্ধুদের গপ্প--একসঙ্গে এক নিঃশ্বাসে--তারা অবিনাশ জয়নুল অনিল সুবোধ খালেদ--এইসবই তো ছিল---- দ্বেষের চাষ দেশে করে নেতারা--সব দেশে সব নেতারা----নেতাগিরী নিপাত যাক!
  • কুলদা রায় | 152.105.***.*** | ৩১ মার্চ ২০১৪ ০৮:৫৪636293
  • কাউন চালের ভাত খেয়েছি একাত্তরে। আরেকটি চাল আছে । তার নাম চিনা। সরিষা দানার মত চাল। মণ্ডা হল ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার। এর তুল্য মণ্ডা আর পাওয়া যাবে না। আমি মুক্তাগাছায় এই মণ্ডা খেতে গেছি বহুবার।
    আর পোড়াদহের চমচম। গোয়ালন্দের ইস্টিমারের ইলিশ অতি বিখ্যাত ছিল। মাঝিরা নদীর মাছ রাঁধে পেঁয়াজ, রসুন আর কাঁচা মরিচ দিয়ে। আমি ওদের কাছ থেকে এই রান্নাটা শিখে ফেলেছিলাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন