এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শৈশব কাহিনী: বালক ব্রহ্মচারী মহারাজ

    সৌম্য
    অন্যান্য | ১৪ জুলাই ২০১২ | ৬৯০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বেঙ্গলী | ***:*** | ১৩ আগস্ট ২০১৯ ০৯:৫১567581
  • বেড়ে। অনুকূল ঠাকুর ও ভিন্ন ভিন্ন লোম সংক্রান্ত একটি সুগভীর আলোচনা পড়লাম। এখানে তুলে দিই। তথ্যবহুল লেখা। সবাই ঋদ্ধ হন।
    " বিবাহে সাবধান
    আমাদের জীবনে চলার পথে জানা-অজানায় নানা-রকম ভুলভ্রান্তি হয়, তার মধ্যে অনেক কিছু আমরা শুধরে নিতে পারি। কিন্তু বিবাহে যদি ভুল হয়ে যায়, সেইভুল আর ঠিক করা সম্ভব হয়ে ওঠে না, নিজেই তো বটেই, সমাজ-পারিপার্শিক সমস্ত কিছু এর দ্বারা ধ্বংসের দিকে একটু-একটু করে এগিয়ে চলে। তাই শ্রীশ্রীঠাকুর বারংবার বিবাহ সম্পর্কে সাবধান করেছেন। এখানে সংক্ষেপে বিবাহ সম্পর্কে তাঁর বিভিন্ন বলা তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
    --------------
    ★বর্ণ চার প্রকার- বিপ্র, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র।
    ★গোত্র- গো-শব্দের উৎপত্তি গম্-ধাতু থেকে, অর্থ- গতি। আর 'ত্র' হ'ল ত্রৈ-ধাতু থেকে, মানে ত্রাণ করা। তাই গোত্র মানে দাঁড়াবে বংশের ধারা বা গতি যাঁর মাধ্যমে রক্ষিত হয় সেই স্মরনীয় পিতৃপুরুষ বা ঋষি। তিনিই গোত্র পিতা।
    ★প্রবর- প্রত্যেক গোত্রেরই একাধিক প্রবর থাকে। প্রবর মানে বংশের মধ্যে প্রকৃষ্ট বরণীয় ব্যক্তি। গোত্র প্রবর্ত্তক ঋষির ঔরসজাত সন্তান বা কৃষ্টিজাত সন্তানদের মধ্যে যিনি বা যাঁরা ভক্তি, জ্ঞা ন, গুণ, চরিত্র, কর্মদক্ষ, সাধনার দিক দিয়ে সবচেয়ে প্রকৃষ্ট বরণীয় তিনি বা তাঁরাই প্রবর নামে অভিহিত হয়ে থাকেন। এখানে মনে রাখতে হবে ভিন্ন গোত্র হলেও প্রবর এক হতে পারে। যেমন, বাৎস ও সাবর্ণ্য আলাদা গোত্র। কিন্তু এই দুই গোত্রের মধ্যে বিবাহ নিষিদ্ধ, কারন এই দুই গোত্রের প্রবর একই। অনেক সময় এমন হয় -কারো গোত্রের পাঁচটি প্রবর, তার মধ্যে কোন একটি প্রবর অন্য গোত্রের সাথে মিলে যাচ্ছে। সেখানে ঐ গোত্র দুটি ভিন্ন হলেও বিবাহ নিষিদ্ধ। যেমন, অত্রি ও কাত্যায়ন এই দু'টি গোত্রের তিনটি করে প্রবর, তার মধ্যে একটি প্রবর উভয়ের এক। অতএব, অত্রি গোত্রের সাথে কাত্যায়ন গোত্রের বিবাহ অবিধেয়।
    যদি একটি প্রবরও মিলে যায় তবে বুঝতে হবে অতীতে দুটি বংশধারা কোনওসময় এসে মিলে গিয়েছিল। এইভাবে রক্তের মিল হলে, ভাইবোনের মধ্যে বিয়ে হলে যা হওয়ার তাই হবে।
    ফলে এই বিবাহ নিষিদ্ধ। তাই শ্রীশ্রীঠাকুর- বললেন-" আপৎকালেও জনন-অনুশাসনকে অগ্রাহ্য ক'রো না।"(বিবাহ-বিধায়না,১৪৯)।
    ★ চারপ্রকার বর্ণের প্রতিলোমজাত সন্তানদের ছয়
    ভাগ করা হয়েছে।
    ১। ক্ষত্রিয়ের বিপ্রজাত কন্যাতে= সূত
    ২। বৈশ্যের ক্ষত্রিয়জাত কন্যাতে= মাগধ
    ৩। বৈশ্যের বিপ্রজাত কন্যাতে = বৈদেহ
    ৪। শুদ্রের বৈশ্যাজাত সন্তান = আয়োগব
    ৫। শুদ্রের ক্ষত্রিয়জাত সন্তান। = ক্ষতা
    ৬। শুদ্রের বিপ্রজাত কন্যাতে সন্তান=চন্ডাল।
    প্রতিলোমজাত ছেলে সন্তানদের বিবাহ নিষিদ্ধ। কিন্তু কন্যার বিবাহ দেয়া যাবে তবে তা অবশ্যই উচুবর্ণে।পরপর সাত পুরুষ ঐরকম শ্রেয় বরে বিবাহ হবার পর প্রতিলোম কন্যার প্রতিলোমের কুপ্রভাব দুর হতে পারে।(যাজ্ঞবল্ক-সংহিতা,১ম অধ্যায়)
    ★ চার বর্ণের অনুলোমজ সন্তানদের ছয়টিভাগ।
    ১। বিপ্রের ক্ষত্রিয়জাত সন্তান = মূর্ধাভিষিক্ত
    ২। বিপ্রের বৈশ্যাজাত সন্তান। = অম্বষ্ঠ
    ৩। বিপ্রের শুদ্রজাত সন্তান = পারশব
    ৪। ক্ষত্রিয়ের বৈশ্যজাত সন্তান_= মাহিষ্য
    ৫। ক্ষত্রিয়ের শুদ্রাজাত সন্তান = উগ্রক্ষত্রিয়
    ৬।বৈশ্যের শুদ্রজাত সন্তান। = করণ।
    অনুলোমজাত সন্তানদের বিবাহ সম্পর্কে ঠাকুর বলেছেন- অনুলোমজাত ছেলেদের বিবাহ হবে সমান থাকে অর্থাৎ মাতৃবর্ণ যেমন তেমন ঘরে। আর মেয়েদের বিবাহ হবে কমপক্ষে পিতৃবর্ণে। এর উল্টোপাল্টা করলে প্রতিলোম ঢুকে যাবার সম্ভাবনা।
    সমান-সমাণ বর্ণে বিবাহ - সদৃশ (শ্রেষ্ঠ)।।
    পুরুষের বর্ণ উচ্চ এবং নারীর বংশ নীচু-
    অনুলোম।।
    নারীর বংশ উচু এবং পুরুষের বর্ণ নীচু
    প্রতিলোম।।
    বংশানুক্রমিক কিছু ব্যাধি আছে সেগুলো নিয়ে খোজখবর নেয়া দরকার।
    যে বংশের সাথে বিয়ে হবে তার অন্ততঃ তিন পুরুষের মধ্যে কেউ পাগল আছে কিনা দেখতে হবে, বিশেষত মাতৃকুলে। যদি থাকে তবে সেই বংশে বিয়ে দিলে সন্তানদের মধ্যে পাগল হবার সম্ভাবনা স্বীকার করে নিয়ে তবে বিয়ে দিতে হবে।
    আমরা ঘোড়া-গরুর প্রজননের ব্যাপারে কখনই নিকৃষ্টজাতের ঘোড়া-ষাঁড় দ্বারা প্রজননক্রিয়া সম্পন্ন করাই না। সেখানে বীজের উকৃষ্টতা রক্ষা করে চলি। কারন সেটাই জীববিজ্ঞানেরর নিয়ম। অথচ মানুষের বেলায় আধুনিকতার দোহাই দিয়ে সৃষ্টিকে করে তুলি নিগৃহীত ও বিনিন্দিত।
    সব পাপের প্রায়শ্চিত আছে কিন্তু প্রতিলোমের কোন উপায় নেই। এটাই বিধির বিধান।
    একই বিপ্র বর্ণের মধ্যে দুইটি থাক আছে। কুলীন ও বংশজ। বংশজগন কুলীন বিপ্রদের চাইতে কোন কোন গুনে হীন। কুলীন বিপ্রসন্তান বংশজ মেয়েকে বিয়ে করতে পারে, কিন্তুু কখনও বংশজের ঘরে মেয়ে দিতে পারে না, দিলে প্রতিলোম হয়ে যাবে।
    বারেন্দ্রশ্রেনীর বিপ্রদের মধ্যেও দুটি ভাগ আছে, কুলীন ও কাপ। রাঢ়ী ও ও বারেন্দ্রশ্রনীর মধ্যে পরস্পর কন্যা আদানপ্রদানে কোন বাধা নেই। কারন এরা আদিতে একই ছিল।
    বিপ্রদের মধ্যে আরেকটি থাক হল 'শ্রোত্রিয়'। এরা নিম্নকৃষ্টিসম্পন্ন। রাঢ়ী, বারেন্দ্রশ্রেনীর কুলীন, ভঙ্গ কুলীন, কাপগন শ্রোত্রিয়ের মেয়ে নিতে পারেন কিন্তু শ্রোত্রিয়ের ঘরে মেয়ে দিতে পারেন না।
    বাংলার কায়স্থদের মধ্যে আছে কুলীন ও মৌলিক।
    এখানেও কুলীনেরা মৌলিকের মেয়ে নিতে পারে, কিন্তু মৌলিক কখনই কুলীনের মেয়ে বিয়ে করতে পারে না। ঘোষ,বসু,গুহ ও মিত্র উপাধি যাঁদের তাঁরাই কুলীন। মৌলিক কায়স্থদের আবার দুটি ভাগ- আটঘর এবং বাহাত্তরঘর। আটঘরের মৌলিকদের বলা হয় 'সিদ্ধ মৌলিক', এঁদের মধ্যে আছেন- সেন, সিংহ, দত্ত, দাস, কর, গুহ, পালিত, দেব। আর বাহাত্তরঘরেরর মধ্যে আছেন -হোড়, আইচ, সুর, ভঞ্জ, লোধ, হুই, রুদ্র, রক্ষিত, রাউত,তেজ,আশ,গুণ, বর্দ্ধন প্রভৃতি উপাধি।
    আটঘরের কায়স্থগন বাহাত্তরঘরেরর থেকে উচু। তাই আটঘরেরা বাহাত্তরঘর থেকে মেয়ে আনতে পারেন, কিন্তু দিতে পারবেন না। দিলে প্রতিলোম হবে।
    আবার শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন - "যজমান তার নিজের ঋত্বিকের কন্যাকে বিবাহ করতে পারে না, অন্যদিকে ঋত্বিক তার স্বীয় যজমানকে বিয়ে করতে পারে না, কারন যজমান শিষ্যা ও কন্যাসমা।"
    মেয়েদের বিয়ে দেরী হলেও ভাল কিন্তু নীচু বংশে বিয়ে দেয়া ভাল নয়।
    বিপ্র বা বামুনদের মধ্যে এক ধরনের পতিত বামুন আছে যাদের জেলের বামুন, কৈবর্ত্তের বামুন, মাহিষ্যের বামুন ইত্যাদি।
    বৈশ্য যদি শুদ্রের মেয়ে বিয়ে করে, তার সন্তান হয় করণ। আর করনের মেয়ে যদি বামুনে বিয়ে করে তাহলে তার সন্তান হয় তাম্বুলি। আবার তাম্বুলির মেয়ে যদি বামুনে বিয়ে করে তবে তাদের সন্তান হয় বারুজীবী।
    পারশবগণ বঙ্গদেশে নমঃশুদ্র নামে পরিচিত। এদের চারটি ভাগ। শ্রীপালী(শিউলি), ধানী, মগা, জিয়েনী। এদের মধ্যে শ্রীপালী যারা তাঁরাই পারশব। অন্য ৩টি থাকের সাথে শ্রীপালীদের বিবাহাদি চলবে না। শ্রীপালী ছেলেরা কেবল স্ব-সম্প্রদায়ের মধ্যে বিয়ে করতে পারবে। বাইরে কোথাও করতে হলে উগ্রক্ষত্রিয়, করণ ও শুদ্র কন্যাকে বিয়ে করতে পারবে।পারশবরা বৈশ্য বা ক্ষত্রিয়ের মেয়ে বিয়ে করলে সেটা মায়ের দিক থেকে প্রতিলোম হবে। পারশব মেয়েদের স্ব-সম্প্রদায়ের মধ্যে বিয়ে দিতে হবে।এছাড়া একমাত্র বিপ্রের সাথে দেয়া যায় অনুলোম বিধিতে।
    মাহিষ্য, উগ্রক্ষত্রিয়(আগুরী), করণ -এইসব অনুলোমজ সন্তানদের বিবাহ হবে অবশ্যই স্বঘরে অথবা ইষৎ অনুলোমক্রমিক হ'তে হবে।
    আবার অনুলোম বিয়ে করলেই তাতে সুফল ফলে না। এরও নীতি আছে, বিধি আছে। শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন - প্রথমে সবর্ণা বিবাহ করতে হবে। সেই সবর্ণা স্ত্রীর পুত্রসন্তান জাত হওয়া চাই। তারপর পুরুষ অসবর্ণা স্ত্রী গ্রহন করতে পারে। এমনতর ব্যবস্থার কারন, ঐ সবর্ণা স্ত্রীতে জাত পুত্রের মধ্য দিয়েই মানুষের পুরুষপরম্পরাগত বংশবৈশিষ্ট অবিকৃত ও অক্ষুন্ন থেকে প্রবাহিত হ'তে পারে। কিন্তু অনুলোমজাত ঐধারা ঠিক-ঠিক অবিকৃত থাকে না। অসবর্ণাজাত সন্তান সবর্ণাজাত সন্তান থেকে একটু নেমে যায়। সবর্ণাজাত পুত্রের মত তাদের দেবকার্য্য ও পিতৃকার্য্যে অধিকার থাকে না।
    এছাড়া -আবৃত(বিপ্রকর্ত্তক উগ্রকন্যায় জাত), আভীর( বিপ্রকর্ত্তক অম্বষ্ঠ কন্যায় জাত), ঝল্ল-মল্ল(ব্রাত্যক্ষত্রিয় কর্ত্তক সবর্ণা স্ত্রীতে জাত সন্তান), কোনাই চাষী, খড়িয়া, সূত্রধর, রথকার, শঙ্খবনিক এদের বর্ণ নির্ণীত না হওয়া পর্যন্ত্য সবারই বিবাহ স্বঘরে করতে হবে।
    "নবসায়ক" নামে ৯টি সম্প্রদায় আছে- গোপ, মালী, তন্ত্রী (তাঁতী), মোদক, বারুজীবী, কুম্ভকার, কর্ম্মকার, ও নাপিত এদের সম্পর্কে শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন- "যতদিন এদের বর্ণ নিঃসন্দিগ্ধভাবে স্থিরীকৃত না হচ্ছে ততদিন এদের বিয়ে-থাওয়া
    অবশ্যই নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে করতে হবে।
    "যত্র ত্বেতে পরিধ্বংসা জায়ন্তে বর্ণদূষকাঃ।
    রাষ্ট্রিকৈঃ সহ তদ্রাষ্টাং ক্ষিপ্রমেব বিনশ্যতি।"
    - যে রাষ্ট্রে সমাজধ্বংসকারী বর্ণদূষক জাতক জন্ম
    গ্রহন করে, রাজ্যবাসী সমস্ত প্রজাবর্গের সাথে
    সেই রাষ্ট্র অচিরেই ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।।
    (১০/৬১, মনুসংহিতা)
    আমরা দেখি সরকারি সুবিধা নেবার বেলায় নানা শ্রেণী তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে। বিভিন্ন ধর্মীয় আচারে নিজের সংস্কার পালন করে অথচ বিয়ের বেলাতে তখন আধুনিকতার দোহাই দেয়। তখন শ্রেনী গোত্র, সংস্কার কিছুই মানে না। আসুন আমরা গুরুভাইরা নিজেদের সন্তানদের আজ থেকেই বিবাহ-বিজ্ঞান বিষয়ে সচেতন করে তুলি। লজ্জাবশত: তাদের সামনে খোলামেলা আলোচনা না করলে তা নিজেদের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াতে পারে। তাইতো শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন
    - উন্নয়ন আর সুপ্রজনন
    এই তো বিয়ের মূল
    যেমন তেমন ক'রে বিয়ে
    করিস্ না কো ভুল।"
  • sei | ***:*** | ১৩ আগস্ট ২০১৯ ১১:০০567582
  • কাতিল কাতিল। কি দিলে গুরু।
  • Amit | ***:*** | ১৩ আগস্ট ২০১৯ ১১:৪২567583
  • কত রকমের উৎকৃষ্ট বোকা ---- যে কৌপিন পরে ঘুরে বেড়ায়। এই অনুকূল একেবারে টপ ক্লাস এর।
  • | ***:*** | ১৪ আগস্ট ২০১৯ ১৯:৫৪567584
  • আহা রানারা।

    কী দিনকাল ছিল!!
  • vul bibaaha | ***:*** | ১৫ আগস্ট ২০১৯ ০০:৩৭567585
  • ভুল বিবাহ ঠিক করার উপায় আছে? মানে, ধরুন, ভুল জাত গোত্রে যদি বিয়ে হয়েই যায়, তখন জাত গোত্র পাল্টে নিলে কাজ হয়?
  • Amit | ***:*** | ১৫ আগস্ট ২০১৯ ০৫:১২567586
  • বাবা দের ঠিক মতো দক্ষিনা ধরে দিতে পারলে শুধু নিজের গোত্র কেন, চোদ্দ পুরুষের জাট পাত গোত্র সব পাল্টে দিতে পারেন তেনারা। আজকাল নাকি জোতিষিরা মহাকাশে রকেট পাঠিয়ে সব গ্রহ-ফহ ও পসিশন ঠিক করে দিচ্ছেন, এ তো সিম্পুল কাজ।

    অবশ্য দক্ষিনা মন মতো না হলে বা পরে বাওয়াল হলে লরি চাপা পড়ার সম্ভাবনাও থাকে।
  • abcd | ***:*** | ১৫ আগস্ট ২০১৯ ০৫:৫৩567587
  • খিল্লি ছাড়াও অ্যাকাডেমিক ইন্টারেস্টে মনুসংহিতা'কে আজকের ডেটে বুঝতে গেলে অনুকূল ঠাকুর পড়া খুব দরকার। পড়বেন আর আশ্চর্য হবেন, খোলাখুলি এরকম কথা বলা মানুষও বিংশ শতাব্দীতে দাপিয়ে গেছেন। ওনার সবথেকে বেশি ফলোয়ার আবার এই বাংলায়, সংখ্যাটা পিকে উঠেছিল "মার্ক্সবাদ সর্বশক্তিমান ..." এর আমলেই।
    মাথা ঘুরে যায়। আরেক "ছাগল থিয়োরি"
  • একক | ***:*** | ১৫ আগস্ট ২০১৯ ০৬:০৮567588
  • ইউজেনিক্স নানা রূপে পৃথিবীতে আগেও দাপিয়েছে , ভবিষ্যতেও দাপাবে । জার্মানিতে যখন দাপিয়েছে তখন ঘোর বিজ্ঞান প্রযুক্তির যুগ । তবে হ্যাঁ , মনু থেকে বালকবাবা এদের ইউজেনিক্স মডেলের যে পপুলারিটি সেটার একরকম আবেদন সাধারণ মানুষের কাছে আছে যা আবার আধুনিক বিজ্ঞানজাত ইউজেনিক্স এ নেই । আধুনিক বিজ্ঞানের কন্ট্রোল্ড ব্রিডিং এসব বুঝতে গেলে আগে অনেকানেক কেতাব পড়া থাকা চাই ।

    অন্যদিকে মনু বা বালকবাবা হলেন ইউজেনিক্স এর হ্যানিম্যান । অর্থাৎ কিনা আপাতসহজ একটা মডেল যা, যে কেও দুপাতা পড়েই ভাবতে পারে আরিব্বাস চলো এইটা মেনে সমাজ বদলে ফেলি !!! ঠিক যেরকম , জীবনে প্রথম মেটেরিয়া পড়া মানুষ সাডেনলি এম্পাওয়ার্ড ফীল করেন ! ! একইসঙ্গে একরকম ছেলেমানুষি + উবারমেনশ তৈরীর কার্নাল প্লেজার আছে ইউজেনিক্স মডেল নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটির মধ্যে ।

    এ বড়ো ভয়ঙ্কর জিনিস , আজ যাঁরা বালকবাবা কে নিয়ে হাসিঠাট্টা করছেন, এরকম রিগ্রেসিভ চিন্তার সোশ্যাল ইম্প্যাক্টের কথা ভেবে , কাল যখন কাগজের প্রথম পাতায় কর্পোরেট হাসপাতাল বিজ্ঞাপন দেবে ডিজাইনার বেবির, তখন কতজন তার সোশ্যাল ইম্প্যাক্ট কে কানেক্ট করতে পারবেন এনিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে ।

    ইউজেনিক্স ছিল ,থাকবে । যত ফাইনার হবে আপদ তত বাড়বে বলেই মনে হয় ।
  • Atoz | ***:*** | ১৫ আগস্ট ২০১৯ ০৬:৫৩567589
  • বিপ্র ও শূদ্রের ডিএনে কালেক্ট করে সেই ডিএনে সিকোয়েন্স করে সুপারইম্পোজ করে দেখা যায়? কিছু তফাৎ কি পাওয়া যায়? তারপর ধরা যাক অসবর্ণ বিবাহ হয়েছে, তাদের সন্তানের ডিএনে সিকোয়েন্স বার করে দেখলে কী দেখা যাবে? খুব কি তফাৎ হবে "শুদ্ধ" জাতকদের(পাল্টিঘরের বাবা এবং মায়ের সন্তান) সিকোয়েন্সের সঙ্গে?
  • মানিক | ***:*** | ১৫ আগস্ট ২০১৯ ০৬:৫৫567591
  • ইনিও উন্নয়নের কথা বলেছেন? জ্জয় দিদি।
  • Amit | ***:*** | ১৫ আগস্ট ২০১৯ ০৭:০৬567592
  • একক এর সাথে অনেক টাই একমত। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডিএনএ সিকোয়েন্স জানা ছিল না , কিন্তু নাত্সি সায়েন্টিস্ট রা অদ্ভুত সব এক্সপেরিমেন্ট করে বেড়াতেন আর ক্লেম করতেন আরিয়ান রক্তের বিশুদ্দতা জিউ বা বাকি দের থেকে বেশি। সেই সব টেস্ট এর কোনো ভ্যালিডেশন নেই, নিজেরাই করতেন, নিজেরাই ভ্যালিডিটি করতেন। যখন ফ্যাসিজম একটা দেশের সব কিছুতে, সব ইন্সটিটিউশন এ ঢুকে পড়ে, তখন কে কাকে ভেরিফাই করবে ? ওই সময় আরো সাংঘাতিক, উনএথিক্যাল সব মেডিকেল এক্সপেরিমেন্ট করা হতো লাইভ মানুষের ওপর, জিউ পপুলেশন কমানোর জন্যে। সেসব ল্যাব এর খবর পাশের বাড়ি তেও পৌঁছতো না।

    যারা কাউন্টার করতে পারতো তাদের আগে মারা বা সরানো হবে বা তাড়ানো হবে। যেমন সব জিউ সায়েন্টিস্ট রা পালিয়েছিলেন।

    এক দিকে ইন্ডিয়ার ভাগ্য এখনো অবধি ভালো যে এই সব বাবা রা একটা মেজর ফ্যান বেস বানাতে পারলেও সেটা সংখ্যার মধ্যে লিমিটেড , সেভাবে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কে কব্জা করতে পারেন এখনো, যদিও কতদিন সেটা থাকবে বলা মুশকিল। হয়তো শুরু হয়ে যাবে হিন্দু ডিএনএ, ব্রাহ্মণ ডিএনএ, মুসলিম ডিএনএ র সিকোয়েন্স করে দেখানো যে কেও কেও বাকি দের থেকে শ্রেষ্ঠ। রেস সুপ্রিমেসি একটা মেজর ড্রাইভার যেকোনো দেশের ডিকটেটর দের।
  • Atoz | ***:*** | ১৫ আগস্ট ২০১৯ ০৭:১৪567593
  • ভেবে দেখুন কী বিপুল ব্যবসার স্কোপ! কত জব! ডিএনে সিকোয়েন্স বার করো, তারপরে ইমেজে তুমুল ফোটোশপ করো, সব সুপার সুপার ডিএনে ! সুপারম্যানের ডিএনে সব! ঃ-)
  • Atoz | ***:*** | ১৫ আগস্ট ২০১৯ ০৭:১৬567594
  • মূল্য ধরে দিয়ে সুপার করে নাও যার যার ডিএনে। ঃ-)
  • বেঙ্গলী | ***:*** | ১৫ আগস্ট ২০১৯ ০৮:৫৫567595
  • বলুন আটোজ, এসব দেখে মনে হয় না শীর্ষেন্দুই ভবিষ্যদ্রষ্টা মহাপুরুষ? এরপর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং আরো নিবিড় হবে। লোকজন একদম নিখুঁত লেভেলে এপিজেনেটিক পরিবর্তন ঘটিয়ে বিপ্র ডিএনএ ইত্যাদি বানাবে।
  • Jene | ***:*** | ১৬ আগস্ট ২০১৯ ০১:৪১567596
  • কুড়ি ত্রিশের দশকে মার্কিন দেশেও কিন্তু বিস্তর ইউজেনিক্স এর কাজ চলত
  • Atoz | ***:*** | ১৬ আগস্ট ২০১৯ ০৩:১১567597
  • ডিএনে প্রোফাইলে তফাৎ যেখানে মোটেই নেই বা থাকলেও ধর্তব্যের মধ্যে নয়, সেখানে ফোটোশপিয়ে তফাৎ তৈরী করে দেবে তো! সেই যে লাইসেঙ্কো না কারা যেন এমন করতেন। প্রিভেইলিং রাজনৈতিক মতবাদ অনুযায়ী করতে বাধ্য হতেন। যাঁরাই বলতে চেয়েছেন "আরে আরে দাঁড়াও, জিনিসটা মনে হচ্ছে অন্যরকম, এমন করে গুছিয়ে বাড়িয়ে রঙ ঢেলে গোঁজামিল দিও না", তাঁদেরই সো ও ও জা হাপিস করে দিয়েছে। কিন্তু দেখুন, কালের চাকা ঘুরেছে, সত্যিটা পরে সামনে এসেছে। মাঝখানে যারা রাজায় রাজায় যুদ্ধে পুড়ে ছাই হল শুধু তারাই আর ফিরে এল না। অবশ্য তাতেই বা কী এল গেল? "অজ নিত্য শাশ্বত ..." ইত্যাদি ইত্যাদি
  • ফালতি | ***:*** | ২৩ আগস্ট ২০১৯ ০৪:০৫567598
  • সব পাখিই ইয়ে খায়, দোষ হয় জরাথ্রুষ্ট্রর। গুরুবাবা ইদিকে সুপার সে উপার
  • rpll | 37.***.*** | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৯:১১732713
  • Right

  • Subhodip | 2409:4061:2c4b:fe0e:7924:d495:b664:***:*** | ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ০৪:৫২744080
  • রাম নারায়ণ রাম 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:c199:993c:3660:***:*** | ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৩৮744081
  • আরে, এটা অনেকদিন পর ভেসে উঠল laugh
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৪০744082
  • আরে এ তো সেই বিখ্যাত রা না রা টই !!!!
  • Debasis Bhattacharya | ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৪৯744083
  • আমাদের ছোটোবেলায় প্রাজ্ঞ প্রতিভাবান বালকেরা মুখে মুখে ছড়া বানাত ঃ-
     
    রাম নারায়ণ, খিদে পায় ঘন ঘন।
    ঘরে ঘরে হচ্ছে চুরি, সব করে বালক ব্রহ্মচারী।। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত প্রতিক্রিয়া দিন