বিহার নির্বাচনের একদম শেষ পর্বে এসে লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, বস্তুত তৃণমূলের সঙ্গে বাম জোটের খোলাখুলি প্রস্তাব দিয়ে ফেললেন।
বামরা বিহারে অসাধারণ ফলাফল করে ফেলেছে এমন নয়, তবে নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের চেয়ে ভালো। সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিপিআইএমএল লিবারেশন। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের সাইটের খবর অনুযায়ী তারা ৯ টি আসনে জিতেছে এবং আরও ৩ টিতে এগিয়ে আছে। এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে দীপঙ্কর স্পষ্ট করেই বলে দিলেন, যে, সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে এবার পশ্চিমবঙ্গের বামদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাদের অগ্রাধিকার কী? তৃণমূলের বিপক্ষে গিয়ে বিজেপির সুবিধে করা? নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়ে তৃণমূলের হাত ধরা? শত্রুর বিচারে কংগ্রেস এবং তৃণমূল, দীপঙ্করের বিচারে বিজেপির কাছাকাছিও আসেনা, এই হল দীপঙ্করের মোদ্দা বক্তব্য। এবং সে কারণেই এদের সঙ্গে বামদের জোট করা উচিত।
পশ্চিমবঙ্গে বিগত লোকসভা নির্বাচনে বামদের বিপর্যয় হয়েছে। বাম ঘরানার ভোটের একটি বৃহদংশ বিজেপিতে চলে গেছে, ভোটের হিসেবে। সে নিয়ে প্রচুর সমালোচনাও হয়েছে। কিন্তু বাম নেতৃত্ব এবং কর্মীবৃন্দ সজোরে এর জবাবে বলে এসেছেন, যে, ওভাবে বাম-ভোট বলে কিছু হয়না। ভোট কারো সম্পত্তি নয়। উল্টোদিকে, যাঁরা সমালোচনা করেছেন, তাঁদের বক্তব্য হল, ভোটের রাজনীতিতে "বিশ্বস্ত ভোট" বা "ভোট ব্যাঙ্ক" বলে একটি বস্তু অবশ্যই হয়। বামদের সেই বিশ্বস্ত ভোটই গেছে বিজেপির দিকে। তার কারণ, বাম পার্টির নেতারা প্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যতটা সরব, তার সামান্য ভগ্নাংশও বিজেপির বিরুদ্ধে নন। তাঁদের মূল আক্রমণ সর্বদা তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। এই লাইন মূলত আত্মঘাতী। এই লাইন কর্মী এবং সমর্থকদের "শত্রুর শত্রু আমার মিত্র" লাইনে ভাবতে উৎসাহ জুগিয়েছে। একদা সমর্থকরা বিজেপিকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অধিক কার্যকর ভেবে ভোট দিয়েছেন। এবং তার ফলেই এই বিপর্যয়।
এর জবাবে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা, অন্তত আধা প্রকাশ্যে যেটা বলছেন, সেটাও এখানে প্রণিধানযোগ্য। পশ্চিমবঙ্গের ভোটের হিসেব বেশ জটিল। সিপিআইএম এর যে সাধারণ ভিত্তি, তার মূল সুরই হল তৃণমূল বিরোধিতা। তৃণমূলের প্রতি নরম এরকম কোনো সিপিআইএম সমর্থক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ঠিক এই পরিস্থিতিতে যদি সমর্থকদের চিন্তার উল্টোদিকে গিয়ে পার্টির নেতৃত্ব তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলান, তাহলে গণভিত্তি যেটুকু আছে, সেটুকুও পার্টিকে ছেড়ে চলে যাবে। গণভিত্তি খুঁজে নেবে তৃণমূলের বিরোধী শক্তিকে, ভোট দেবে তাকেই। অর্থাৎ শক্তিশালী হবে বিজেপিই। বিজেপির পাল থেকে হাওয়া কাড়তেই তাই বামদের তৃণমূল বিরোধিতা চালিয়ে যেতে হবে।
সমস্যা হল, এতদিন এই যুক্তিতে চলেও কিন্তু সিপিআইএম তার গণভিত্তি অটুট তো রাখতে পারেইনি। বরং তাতে বিপুল ধ্বস নেমেছে। তবুও এই লাইনটিই অনুসরণ করে যাওয়া হচ্ছে, এবং এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে তার খুব বেশি বিরোধিতা আসেনি। সিপিআইম এর যেটুকু গণভিত্তি এখনও আছে, তারা বিজেপির সর্বাত্মক বিরোধিতা করলে বাম ছেড়ে ডান দিকে চলে যাঅবে, এ আশঙ্কার আদৌ কি কোনো ভিত্তি আছে? নাকি আশু বিপদকে মাথায় রেখে সর্বাত্মক বিজেপি বিরোধিতা করলেই বামদের যেটুকু ভিত্তি আছে তা আরও শক্তপোক্ত হবে? এ নিয়ে অবশ্যই বিতর্ক হওয়া দরকার। বিহার নির্বাচনের পর বিষয়টিকে প্রকাশ্যে আনলেন দীপঙ্কর। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জানা যাবে বিহারের অন্তিম ফলাফল। তারপর সমস্ত তাসই এসে যাবে টেবিলে। সেসব টেবিলের নিচে লুকিয়ে না ফেলে সমস্ত সম্ভাবনা, সমস্ত বিচার এবং সামগ্রিক বিতর্ক অবশ্যই প্রয়োজন।
হেব্বি খোরাক পাচ্ছি টইটা থেকে। আগের হীরাভ সোপ অপেরার সময় গুরু কী জিনিস জানতাম না। ফলে সেই খোরাক মিস করে গেছি। কিন্তু মাত্র ৭% সত্ত্বেও কীভাবে রোয়াবি দেখাতে হয়, কতটা আক্রমণাত্মক ভাষা প্রয়োগ করতে হয় - তার সবই মনে হচ্ছে ২০০০ সালের সিপিএম কথা বলছে।
বিহারের চারবারের লিবারেশন বিধায়ক মেহবুব আলম। এই তাঁর ছবি।
আর সৈকত স্বপ্ন দেখছেন লিবারেশনের বক্তব্য নিয়ে সিপিএম মাথা ঘামাবে!
আপনাদের কারো কাছে গত পাঁচ বছরে স্বনির্ভর প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কাজকর্ম নিয়ে তথ্য, এবং গোটা ভারতে এ ব্যাপারে পবঙ্গের অবস্থান কীরকম, জানা আছে? আন্ডারস্ট্যান্ডিং চাইছি না। মানে ওই যে চোখ-কান খোলা রাখলে জানা যায়, এরকম নয়। তথ্য ইত্যাদি।
"জিতব বলে নেমে ৭% পেলে গুছিয়ে প্যাঁক ও উপদেশও দেওয়া হবে।"
সেতো যখন ৩৭% বা ৪৭% ভোট পেত তখনো প্যাঁক ও উপদেশ দেওয়ার খামতি বা কমতি ছিল না।এমনকি যখন ক্ষমতার ধারে কাছেও ছিল না সেই ৭৭-এর আগেও প্যাঁকদাতা ও উপদেশদাতারারা যথেষ্ট সক্রিয় থেকে নকশাল থেকে কংশালে অবতারিত হয়েছিল।
কিন্তু প্যাঁকদাতা ও উপদেশদাতারা অনশন মঞ্চে বিজেপির উপস্থিতি কালে কেন প্যাঁক ও উপদেশের ব্যবহার করেননি সে এক উত্তরহীন প্রশ্ন রয়েই গেল!! সিপিএমের দ্বিচারিতা নিয়ে লিচ্চয় টানাটানি করা উচিৎ কিন্তু নিজেদের দ্বিচারিতা ও মিথ্যাচারিতারও তো শোধন প্রয়োজন (ভোটে দাঁড়ান আর নাই দাঁড়ান)।
কথা হচ্ছে যে দীপংকর বাবু পব-র অবস্থা কতটা ঠিকঠাক বোঝেন সেটাও জানার ইচ্ছে। অন্ততঃ সিপিএম কে উপদেশ দেওয়ার আগে তাঁর উচিত ছিল যে তাপসী মালিক, নন্দীগ্রাম ইত্যাদির সিবিআই তদন্তগুলোকে ঠিক পথে এগোতে দেওয়ার ব্যাপারে তিনোদের উপদেশ দেওয়া। নাহলে (ভোটের ভগবান না করুন) সিপিএম-্তিনো সমঝোতা হলে ঐ অর্ধসত্য বা মিথ্যা ইস্যুগুলো বিজেপি ব্যবহার করবে। তাতে সিপিএমের যা হওয়ার তা তো হয়েইছে, তিনোদেরও আছোলা বাঁশ যাবে।
@T শাক দিয়ে মাছ ঢাকা একটু মুশকিল আছে। আমি রিসেন্ট পাস্টে অন্তত চারটে কেসে দেখেছি আইটি সেলের ভাসানো ফেক নিউজে নেচে সিপিএমের কর্মীরা মাউথপিস হয়ে সেটাকে প্রচার করে বেড়িয়েছেন। কারণ সেটা তিনোদের বিরুদ্ধে ছিল। গত নির্বাচনে সিপিএমের ভোট বহু জায়গায় সংগঠিতভাবে বিজেপিতে গেছে। এ সবাই দেখেছে। অমিত শাহ সেদিনও সেই সহযোগিতার প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখিয়েছেন। এগুলো এমনি এমনি হয়না। শুধু 'সমর্থকরা বিজেপিকে ভোট দিলে আমরা কী করব' বলাটা আসলে দায় এড়ানো। নিজেদের প্রচারের ভঙ্গিতে অবশ্যই কিছু গোলমাল থাকছে। গোলমাল থাকছে পার্টিকে কোন রাজনীতির এপর দাঁড় করানো হয়েছে তাতেও। এগুলো বললেই গোঁসা হয়। সিপিএম আজ অব্দি কোনো সমালোচনাকেই খোলা মনে নেয়নি। আমি অন্তত দেখিনি। আগে তাও 'আমাদের সঙ্গে এত লোক আছে অতএব তোমার কথা শুনব কেন' টা বলা যেত। এখন তো সেটাও বলার পরিস্থিতি নেই। কিন্তু ডিফেন্সের কমতি নেই। সিঙ্গুর নিয়ে তর্কে আর গেলাম না। আমি তুলিনি সিঙ্গুর। কুমীরের কান্নার মত সিপিএমই সিঙ্গুরের কথা তুলেছে।
আচ্ছা এই যে তৃণমূলকে বাংলায় বিজেপির উত্থানের জন্য সোললি দায়ী করা হচ্ছে , তো ত্রিপুরায় বিজেপির উত্থানের জন্য কাকে দায়ী করা হবে? বা কেরালায়?
অ্যানালিসিস অবজেক্টিভ হতে গেলে প্রথমেই 'আমার পার্টিলাইন ভুল হতে পারেনা'টা মাথা থেকে সরিয়ে তর্ক করা উচিৎ।
এখানকার কিছু লোকের বক্তব্য অনুযায়ী শিপিএমের কর্তব্য হল বিরোধী ভোট ভাগ করে মমতাকে ক্ষমতায় রাখা। কারণ মমতা মোদির থেকে কম সাম্প্রদায়িক। এইসব ঠুনকো যুক্তি আর কতদিন শুনতে হবে কে জানে। আপনাদের প্রিয় মমতা কেন তার থেকেও কম সাম্প্রদায়িক বামেদের ক্ষমতায় আনার জন্য প্রানপণ চেস্টা করছে না, সেই নিয়ে কোনও পোবোন্ধো নামবে নাকি? অপেক্ষায় রইলাম।
২০১১ সালে যারা দায়িত্ব নিয়ে বামেদের সড়িয়েছিল, তারাই নাহয় ২০২১এর দায়িত্ব নিক। রাজ্যে ৭% ভোট পায় বলে প্যাকও খাবে আবার রাজ্যবাসীর দায়িত্বও নেবে আবার মমতাকে ক্ষমতায়ও রাখবে - কত চাহিদা। অথচ নিজের প্রিয় মমতা দুর্নীতিপরায়ণ, সাম্প্রদায়িক, এবং ক্ষমতালিপসু একটা দল পুষছে, সেই নিয়ে একটা লাইনও লেখা যায় না।
সিঙ্গুরের কথা আমিও তুললাম না। অমর্ত্য সেনের চিঠিটা পড়ে নেবেন। ফালতুমির একটা লিমিট থাকা উচিত।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী কোন দল থেকে এসেছে, সেকথা জানলে এইসব প্রশ্ন আর করতে হয়না। একসময় মাইনরিটি ভোটের একটা বড় অংশ ছিল বামেদের। সেই ভোট এখন তিনোদের কাছে গেছে। যুক্তি অনুযায়ী সেটাও নিশ্চই বামেদের ইশারায়।
কেরলে বিজেপির কি এমন উত্থান হল? সেটা আবার কোন মিডিয়া থেকে জানা গেলো?
"তো ত্রিপুরায় বিজেপির উত্থানের জন্য কাকে দায়ী করা হবে?"
অনেকাংশেই তিনোরা দায়ী।
কংগ্রেস ভাঙিয়ে তিনোরা যে দলটা তৈরি করেছিল তাদের প্রায় সবাই বিজেপিতে চলে যায়। সেখানে কংগ্রেসের প্রাপ্য ভোট প্রায় পুরোটাই বিজেপিতে চলে গিয়েছে। সম্ভব্তঃ গত বছরের কোন পূজাসংখ্যায় মাণিক বাবুর প্রবন্ধ আছে এই প্রসঙ্গে। হারার পরেও বামেদের প্রায় ৪০+% ভোট ছিল।
বামেদের সমালোচনা করছেন করুন। কিন্তু তিনোদের বাঁদরামো এড়িয়ে গেলে সমস্যা আছে। কেরালায় তিনোর মত কেউ না থাকায় হয়ত শেষ পর্যন্ত বিজেপিকে আটকে রাখা যেতেও পারে।
আরি ব্বাপরে। কারো পার্টিলাইন ভুল হতে পারে না ইত্যাদি এসব সাজেশন না দেওয়াই ভালো। সকলের জন্যই প্রযোজ্য কিনা, ট্রিভিয়াল।
কিন্তু কী আর শাক দিয়ে মাছ ঢাকব পিনাকীদা। একবার বলবে আপিশিয়াল লাইন নয় আবার ঠারেঠোরে বলবে উপরমহলের অনুমতি ছাড়া ভোট শিফট হচ্ছে কিকরে। আগে নিজেদের লাইন ঠিক করে নাও বরং। ঃ)
শিপিয়েম তো আর ধোয়া তুলসীপাতা নয়, প্রচুর খামতি এটা ওটা। ভোট নেমে এসেছে সাত পার্সেন্টে, এইবারের ভোটে হয়ত আরো কমে যাবে। গণভিত্তি ফের প্রতিষ্টা করাটা জেনু চাপের, প্লাস অ্যাত পাপী একটা দল। কিন্তু এই দলটা কী করে ভোট টানবে সে টোটকা তো বোধহয় তোমাদের জানা আছে, কারণ বলছই তো যে যা করা হচ্ছে তা সাফিশিয়েন্ট নয়। অথচ দ্যাখো, তৃণমূল কী সরল, নিটোল, গোলগাল ও পবিত্র। শিপিয়েম কী করলে তাদের ভোট ফিরে পাবে সেই কমপ্লেক্স জিনিসের চাইতে নেত্রী কী করলে তাঁর রাজ্যপাট বহাল আই মিন ভোট পার্সেন্টেজ ধরে রাখতে পারবেন সে তো নিশ্চয়ই সহজ খুব। নেত্রীকে সেইটা বাতলে দাও বরং খসড়াকারে। সব গোলই মিটল। ঃ))))
এই ঔদ্ধত্যের ফাটা রেকর্ডটা আর বাজিও না। এ আর চলে না। তোমাদের এইসব উদ্ভট দাবী আমরা শুনতে যাবই বা ক্যানো। এই সব বক্তব্য দীপংকর বাবুর। টইতে লিখেচে ঈশানদা। দাবী করেছে আলোচনা চাই। সেখানে পাল্টা বক্তব্য আমি রেখেছি, অন্যান্যরাও। সেখানে এরকম তোমাদের জনভিত্তি নেই অথচ তোমরা উদ্ধত, আমাদের কথা শুনছ না, এইসব আলবাল চাট্টি বলে গেলে কিশুই লাভ হবে না। শিপিয়েমের ভোট তৃনমূলকে দাও, এবং দিয়ে বাঁচাও এইসব দাবী করলে আগে টোনটা একটু নীচু তারে বাঁধতে হবে। নইলে এই আদিগন্ত শ্বশুরবাড়িতে কেই বা কাকে দেয়। কেউই না। আগের মতন কথা কাটাকাটি হবে চাট্টি তার সকলই ফুরায় ফুচকার প্রায়। মোটমাট সিরিয়াস আলোচনা চাইলে মগডাল থেকে একটু নেমে আসতে হবে। আগেও বললাম।
ত্রিপুরায় বিজেপি কী করে বাড়ল তার রোমহর্ষক বিবরণ জানতে পিটিদাকে ধরো।
এখানকার কিছু লোকের একটাই দাবী। মমতাকে ভোট দেওয়ার দরকার নেই। নিজেদের পার্টিকে ভোট দিতে বলু ন। এমন পার্টিলা ইন সেট করুন বা এমন রাজনীতিতে পার্টিকে ট্রেন করুন যেটা তৃণমূলকে হারাতে গিয়ে নিজেদের কর্মীদের বিজেপিকে ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ না করে। :-)
ত্রিপুরায় তৃণমূলের বকলমে বিজেপির রাজনীতি বাড়ার সুযোগ পেল কীভাবে? এখানে যদি ক্ষমতাসীন দলের দায় হয় তাহলে ওখানে কেন ক্ষমতাসীন দলের দায় হবে না? এখানেও তো সিপিএমের ১৬% ভোট বিজেপিতে স্যুইং হয়েছে। নেতা লেভেলে হয়নি,কিন্তু কর্মী লেভেলে হয়েছে। তারও দায় সিপিএমের নয়? মানে ক্ষমতায় থাকলেও অন্যলোকের দায়,ক্ষমতায় না থাকলেও অন্যলোকের দায়,একটি দল সমস্ত দায় এবং সমালোচনার ঊর্ধ্বে - এ তো ভারি মজার হিসেব!
তাহলে আপনার যুক্তি অনুযায়ী ত্রিপুরাতেও নিশ্চই বামেরা নিজেদের ভোট বিজেপিকে দিতে বলেছে?
নিজেদেরই হারানোর জন্য? মজার হিসাব তো বটেই।
ত্রিপুরাতে লেফট গিয়ে বিজেপি এসেছে - কারণ তৃণমূল :))))))))
পশ্চিমবঙ্গে লেফট গিয়ে তৃণমুল এসেছে - তার কারণ কি বিজেপি? :)))))))
এত খোরাক বহুদিন দেখি নি - কথা হল এদের দেয় কে?
ও আচ্ছা, জাস্ট শিপিয়েমের কর্মীদের ভোট শিফট হয়েছে বলেই বিজেপি অ্যাত পার্সেন্টেজ গেইন করেছে। হরি হরি। তাইই ভাবি। ঃ))))
২০২১এ তিনোরা টিকে গেলে সেটা দিদির ক্রেডিট হবে, আর হেরে গেলে বামেদের দোষ - এসব প্রিকন্ডিশান্ড যুক্তি আমার অন্তত পছন্দ নয়।
দীপংকর কেন কথাটা বললেন? সহজ প্রশ্নের সহজ উত্তর চাইছি। যদি এটা বাংলায় কোনো ইস্যুই না হবে তাহলে তিনি সিপিএমের সাথে জোটে থেকেও এই কথা বলছেন কেন? এটা বলার মধ্যে তাঁর লাভ কী? তিনি কী পাবেন? আমরা নাহয় পিটির কথা অনুযায়ী 'অতিবদ অতিবাম'- আমাদের জনভিত্তি জোটানোর কৌশল করায়ত্ত নয়- তো লিবারেশন তো জিতে দেখিয়েছে বিহারে। তারপরেও বাংলায় 'সর্ববৃহৎ' বামদলের নাম উল্লেখ না করে একটা প্রবণতার কথা উল্লেখ করে কোর্স কারেকশন করতে বলেছেন। দেখা যাচ্ছে সেই প্রবণতাকে প্রবণতা মানতে নারাজ তোরা। আমার সাথে ডিবেট করার দরকার নেই। কিন্তু দীপংকরের কথার তো একটা ওজন আছে বলেই মনে হয়। সেটা নিয়ে কি আলোচনার প্রয়োজন নেই? এই কথাটা তো আমার বা আমার মত আরও কারো কারো অবজার্ভেশনকে সীলমোহর দিল বেসিকালি। আমি এতকাল ভাবতাম হয়ত বাইরে থেকে দেখছি বলে মনে হচ্ছে এরকম। আসলে গ্রাউন্ডের কম্পালশন,ইত্যাদি। কিন্তু দীপংকরের এই বক্তব্যের পরে আমি অন্তত বুঝেছি যে এই অবজার্ভেশনগুলো ফেলনা নয়। প্র্যাকটিকাল জটিলতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরেও এটা একটা ডমিন্যান্ট এবং ভুল প্রবণতা হিসেবে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
দীপংকর কেন সিঙ্গুর-্নন্দীগ্রাম কালে বিজেপি-তিনোদের মাখামাখি নিয়ে কিছু বললেননি সেটার কোন সহজ উত্তর পাওয়া যাবে?
(কেউ শুনে থাকলে জানাবেন-্তার জন্য অগ্রিম মার্জনা চেয়ে রাখলাম)
প্রস্তাবটা তো ভুলও হতে পারে! তোমাদের কী লক্ষ্য ? রাণীমাকে চোখের মণির মতন রক্ষা করা, এইই তো! সেটা করতে গেলে বিরোধীতার জায়গা বিজেপিকে ছাড়া যাবে না। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন সিপিয়েম অল আউট রাণীমার বিরুদ্ধে যাবে। যতটা সিপিয়েম পুনরুদ্ধার করবে, তত মুলোদের লাভ। এইই তো সোজা হিসেব।
উল্টে বিজেপিকে একমাত্র বিরোধীতার জায়গা ছেড়ে দিলে যে সর্ব্বনাশ হয়ে যাবে এইটা বুঝতে লিবারেশন অবদি যাওয়ার দরকার পড়ে না। বিহারে প্রো অর আগেনস্ট এন্ডিএ ছিল। বাংলায় তো তা নয়। বিজেমূলকে হারাও এটা একদম ঠিকঠাক অ্যাপ্রোচ। বিজেপির বিরোধী লিবারেল কিশু ভোট আসবে, আর বিরোধীতা জোরদার থাকলে তৃণমূল বিরোধী ভোট কিছু আশবে। মিটে গ্যালো তো।
এবিপির লাস্ট সার্ভেতে এই মোডে থেকেই সিপিয়েমের পার্সেন্টেজ সাত থেকে বেড়ে বারো দেখাচ্ছে তো! কদিন আগে দেখলাম য্যানো! ধৈর্য্য ধরো।
S, আমি কিন্তু ত্রিপুরায় বিজেপির উত্থানের জন্য একা সিপিএমকে দায়ী করিনি। কিন্তু তোমার মত সিপিএম সমর্থকরা বাংলায় বিজেপির উত্থানের জন্য একা তৃণমূলকে দায়ী করছ। এটা ভুল অ্যানালিসিস। এটাই বলতে চাইছি। তৃণমূলকে বিজেপির কজ আর বিজেপিকে তৃণমূলের এফেক্ট - এভাবে প্রচার করার পরিণতি হল বিজেপির তুলনায় তৃণমূলকে হারানোকে প্রায়োরিটি দেওয়া। এই ভুল অ্যানালিসিসগুলোর জন্যই নিচের তলার কর্মী বা সমর্থকদের কাছে রং সিগনাল যাচ্ছে। যারা তৃণমূলকে হারাতে গিযে বিজেপির হাত ধরতে দ্বিধা করছে না। এটাই বলতে চাওয়া হচ্ছে।
@T এই 'বিজেমূলকে হারাও' ক্যাম্পেন যদি বিজেপির জেতার পরেও সিপিএমের ভোট পার্সেন্ট বাড়ায়, আমি প্রকাশ্যে এসে আমার বোঝার ভুল স্বীকার করে যাব। কিন্তু বিজেপিও জিতল আবার সিপিএমের ভোট শেয়ারও কমল - এটা ঘটলে তুই তোর বোঝার ভুল স্বীকার করে যাবি। ডীল? :-)
Vajpayee convinced Jyoti Basu to make Left Front join a coalition with the BJP against Congress under V.P. Singh's leadership. Both the leaders shared stage in Kolkata's Brigade parade Ground in 1989, which the BJP leaders later used to criticise Basu and his party's double standard.
দেখুন স্পষ্ট করে লিখে দিচ্ছি। ২০১৪ সালের জেনারাল ইলেকশানে রাজ্যে বিজেপি ভোট পেয়েছিল ১৭%। ২০১৬ সালের অ্যাসেম্বলি ইলেকশানে বিজেপি পেলো ১০%। বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ায় দুটো ইলেকশানেই তিনোদের রমরমা। আপনাদের মতন তিনোপন্থীরা খুব খুশি। দিদিও মনে করলেন এইটাই ক্ষমতায় থাকার সবথেকে উপযুক্ত উপায়। ফলে বিজেপিকে মাথায় তুললেন। আপনারা দেখেও চুপ থাকলেন। ভাবলেন এতে করে তিনোরা ক্ষমতায় থাকবে*। ২০১৯এ এসে হিসাব বদলে গেলো। লোকে দেখলো যে বিজেপিকে ভোট দিলে তিনোরা সবথেকে বেশি টাইট থাকবে। তাই হল। এছাড়া ততদিনে পুরোনো বামনেতা আর কর্মীদের সব ঘরছাড়া করে ছেড়েছে তিনোরা। আর নতুন ভোটাররা সব বিজেপিতে ভোট দিল।
এখন আপনাদের বক্তব্য হল বামেদের উচিত এমন ভাবে শক্তি বৃদ্ধি করা যাতে তারা নিজেরা ক্ষমতায় না আসে, কিন্তু তিনোরা প্রচুর সীট্সহ ক্ষমতায় থেকে যায়। এটা অন্যায় চাহিদা।
* আমি ২০১৫-২০১৬তেই টের পেয়েছিলাম বহুদিন পর কোলকাতায় গিয়ে যে বিজেপি রমরম করছে।
আইডিওলজিক্যাল কিছু যে আর নেই এটা পিনাকীদাকে বুঝতে হবে। কংগ্রেসী ঘরানা থেকে উঠে আসা দল, যারা কৃষি বিলের বিরোধীতা করা, তারাই আবার নিজেদের রাজ্যে সেই ছাড়পত্র আগে দিয়ে দেয়। উল্টো দিকের নজিরও আছে। মোটামুটি আদর্শ ইত্যাদি মাথায় রেখে যারা পার্টি করে তাদের সংখ্যাটা ওই হাতে গোণা। পবর রাজনীতি এখন আদতে ক্ল্যান বেস নির্ভর। টুক করে নেতা জার্সি বদলালে অমনি সুড়সুড় করে ফলোয়াররাও জার্সি পাল্টায়। এট্টু চোরামি করব, এট্ট ক্ষমতা দেখিয়ে পাড়ার যার উপর অ্যাদ্দিনের খার তাকে বাটাম দেব, এট্টু সিভিক ভলান্টিয়ারের চাগরী, জেলা পারিষদের সদস্য হলে হাল্কা কাটমানি খাব এইসবই তো চলছে। এইই যেখানে পরিস্থিতি সেখানে ওল্ড স্কুল বাম দলগুলোর সমর্থক বেস (কর্মী বেস) যে আর আগের মতন নেই সে মেনে নেওয়াই ভালো। বিজেপি যেখানে কিন্তে পেরেছে কিনেছে, তৃনমূল কিছুটা কিনেছে (যেমন ঐ মালদহের ডাক্তারবাবু)।
তো, মেজোমামার বাকিটা যা আছে সেটাকেও কুমীরের হাতে তুলে দিলে কী করে হবে ঃ))
হ্যাঁ ডীল। ঃ)
পশ্চিমবঙ্গে লড়াই তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে। তৃণমূল বিরোধী যত ভোট (তৃণমূল এর নিজেদের বিক্ষুব্ধরা + সিপিএম + কংগ্রেস) সব বিজেপি পাবে। পশ্চিমবঙ্গে দুটো পার্টি থাকবে, তৃণমূল আর বিজেপি, বাকি সব আস্তে আস্তে হাওয়া হয়ে যাবে। নিজেদের মধ্যে তাত্ত্বিক লড়াইয়ের জন্য নামকেওয়াস্তে দুএকটা পার্টি থাকবে - নেটে তারা খুব তক্কো করবে।
সকলেই ঠেকে শেখে। ২০১৫ তে বোধহয় দীপংকর আলাদা প্ল্যাটফর্মে লড়েছিলেন। তাতে গোটা তিনেক আসন পান। এবার লালুর ছেলের হাত ধরেছেন। কংগ্রেসেও এখন আর বড় শত্রু নয়। কেননা তাদের সঙ্গে জোট বেঁধেই বামেদের ভাল ফল হয়েছে।
এর কোনটা তাত্বিক ভাবে ঠিক আর কোনটা ভুল কেউ জানাবেন?
সর্বভারতীয় লেভেলে ঘটিহারা অবস্থা হয়ে যাওয়ার পর, সমস্ত বড় মালিকগোষ্ঠী কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপির দিকে ঝুঁকে পড়ার পর কংগ্রেস নিজেকে রিঅর্গানাইজ করার চেষ্টা করেছে। রাহুল গান্ধী নিয়মিতভাবে লেফট লীনিং ইন্টেলেকচুয়ালদের ফীডব্যাক নিতে নিতে গেছে, জিগনেশ বা এধরণের উদীয়মান প্রগতিশীল শক্তিগুলোর সাথে জোট করার চেষ্টা করেছে, গত নির্বাচনে কংগ্রেসের ম্যানিফেস্টো পড়লে মনে হবে কোনো বাম দলের ম্যানিফেস্টো পড়া হচ্ছে। ফলে এই 'নতুন' কংগ্রেসের সাথে বিজেপির বিরুদ্ধে স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায়েন্সে খুব অসুবিধে দেখছি না, যতক্ষণ না কংগ্রেস আবার ক্ষমতার ধারে কাচ্ছে একটু হলেও এসে পড়ছে। তখন আবার পাল্টি খেতে দুমিনিটও লাগবে না। ওরা খানদানি মালিকপক্ষের পার্টি। এটা ভুলে যাবার কোনো কারণই নেই।
বঙ্গে চাই SUCI নেতৃত্বাধীন বিপ্লবী সরকার।
সিপিএম সমর্থকরা সি পিএম কেই ভোট দিন। সবাই। মিটে গেল? গোনাগুনতিতে দেখা যাবে কত বাকি পার্সেন্ট রয়েছে। ওকে? কংগ্রেস সমর্থকেরা কংগ্রেসকে দিন। তিনোরা তিনোদের দিন। বিজেপিরা বিজেপি কে দিন। রেজাল্টের দিন যে বেশি পাবে সে পরের ৫ বছর থাকবে এইতো? মিটে গেল। যাও সবে নিজ নিজ কাজে।
ভোট না গুনেই ফয়সলা দিয়ে দিচ্ছি বিজেপি তিনো প্রায় সমান সমান হলেও তিনো সামান্য বেশি থাকবে। শেষে বিজেপি লোক ভাঙিয়ে ক্ষমতার দখল নেবে।
"ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী কোন দল থেকে এসেছে, সেকথা জানলে এইসব প্রশ্ন আর করতে হয়না" - কোন দল থেকে? ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব তা জানেন তো? নাকি সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গে গোলাচ্ছেন?
ত্রিপুরার বিজেপি নেতা অধিকাংশ কং - তৃণ হয়ে। তবে সংঘ অনেকদিন ধরে অ্যাকটিভিটি বাড়িয়েছে। কর্মশালা স্কুল ক্যাম্প। লুকোন কিছু না, প্রকাশ্যেই তো সব।