এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  স্বাস্থ্য

  • “অন্ধ বিশ্বাসের উপনিবেশ” – কয়েকটি পর্যবেক্ষণ

    ডঃ জয়ন্ত ভট্টাচার্য
    আলোচনা | স্বাস্থ্য | ১৯ জুলাই ২০২২ | ১১১০০ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৪ জন)
  • জুলাই মাসের ১৬ তারিখে (২০২২) একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে “অন্ধ বিশ্বাসের উপনিবেশ” (লেখক স্থবির দাশগুপ্ত) শীর্ষক উত্তর-সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধটিতে কর্পোরেট মিথ্যাচার ও দুর্নীতি, কোভিড টিকার মাঝে লুকিয়ে থাকা “নির্মিত অন্ধ বিশ্বাস”, কর্পোরেট পুঁজি কিভাবে ডাক্তার-বিজ্ঞানী-সাধারণ মানুষ নির্বিশেষে (সম্ভবত জনস্বাস্থ্য কর্মীদের এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে) সবার ক্ষেত্রে মানসিক উপনিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় এবং এরা কর্পোরেটদের তৈরি করা তথ্যের নির্বিচার ব্যবহার করে এক ধরণের মানসিক দাসত্বের শিকার হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা কিভাবে কর্পোরেটদের হাতের ক্রীড়নক হয়ে ওঠে এবং, সর্বোপরি, রাষ্ট্রের তরফে কোনভাবেই “লোকস্বাস্থ্যের নীতিমালা, নৈতিকতা ও ন্যায্যতা রক্ষা করা অসম্ভব” বলে “প্রস্তাবিত চুক্তি ও প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে স্রেফ ‘না’ বলা ছাড়া” আর কোন রাস্তা আমাদের সামনে নেই – এরকম পরস্পর-সংযুক্ত বিভিন্ন ধর্মী বিষয়কে স্বল্প পরিসরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া হয়েছে।

    জুলাই মাসের ১৬ তারিখে (২০২২) একটি বহুল প্রচারিত বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে “অন্ধ বিশ্বাসের উপনিবেশ” (লেখক স্থবির দাশগুপ্ত) শীর্ষক উত্তর-সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধটিতে কর্পোরেট মিথ্যাচার ও দুর্নীতি, কোভিড টিকার মাঝে লুকিয়ে থাকা “নির্মিত অন্ধ বিশ্বাস”, কর্পোরেট পুঁজি কিভাবে ডাক্তার-বিজ্ঞানী-সাধারণ মানুষ নির্বিশেষে (সম্ভবত জনস্বাস্থ্য কর্মীদের এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে) সবার ক্ষেত্রে মানসিক উপনিবেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় এবং এরা কর্পোরেটদের তৈরি করা তথ্যের নির্বিচার ব্যবহার করে এক ধরণের মানসিক দাসত্বের শিকার হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা কিভাবে কর্পোরেটদের হাতের ক্রীড়নক হয়ে ওঠে এবং, সর্বোপরি, রাষ্ট্রের তরফে কোনভাবেই “লোকস্বাস্থ্যের নীতিমালা, নৈতিকতা ও ন্যায্যতা রক্ষা করা অসম্ভব” বলে “প্রস্তাবিত চুক্তি ও প্রকল্পগুলোর বিরুদ্ধে স্রেফ ‘না’ বলা ছাড়া” আর কোন রাস্তা আমাদের সামনে নেই – এরকম পরস্পর-সংযুক্ত বিভিন্ন ধর্মী বিষয়কে স্বল্প পরিসরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাওয়া হয়েছে।

    লেখাটির মাঝে কিছু সত্য আছে। আবার সত্যকে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে লেখকের নিজের মর্জিমাফিক বিজ্ঞান ও জনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে অনেক কিছুই বলা হয়নি, দুয়েকটি বিষয় এবং প্রধানত ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের অ্যাসোসিয়েট এডিটর (“বরিষ্ঠ সম্পাদক” নন, সত্যের খাতিরে বললে) পিটার দোশীর একটি বা দুটি প্রবন্ধকে হাতিয়ার করা হয়েছে। এর বাইরে অসংখ্য গবেষণাপত্র আছে ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল, ল্যান্সেট, নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এর মতো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মান্য জার্নালগুলোতে। এবং এ জার্নালগুলো কর্পোরেটদের টাকায় নিয়ন্ত্রিত হয়না। এসব জার্নালে স্বাধীন গবেষণাপত্র ছাপা কর্পোরেট ফান্ডিংয়ের বদান্যতা ছাড়া। যদি বিজ্ঞানের এই স্বাধীন পরিসর না থাকে তাহলে বলা ভালো – প্রপঞ্চময় এ কর্পোরেট বিশ্বে কেউ স্বাধীন নয়। স্বাধীন হওয়া সম্ভবও নয়, “জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া” ফুটিয়ে না দিলে।

    এখানে একবার স্মরণ করে নেওয়া ভালো – যখন বিভিন্ন রকম সাক্ষ্যপ্রমাণ, উপাত্ত বা সম্ভাবনা থেকে শুধুমাত্র নিজের অনুকূলে বা পক্ষে যায় এরকম উপাত্ত, প্রমাণ বা সম্ভাবনাকেই বাছাই বা নির্বাচন করা হয় তখন যে হেত্বাভাস বা অনুপপত্তি (অর্থাৎ ভ্রান্ত যুক্তি) সংঘটিত হয়, তাকে যুক্তিবিদ্যায় পক্ষপাতদুষ্ট বাছাই বা ইংরেজি ভাষায় চেরি পিকিং (Cherry picking) বলা হয়। পক্ষপাতদুষ্ট বাছাই ইচ্ছাকৃতভাবে বা অজান্তেই হতে পারে। তবে জনবিতর্কে এই ভ্রান্তি একটি বড় সমস্যা।

    আমি শুরু করি আলোচিত প্রবন্ধের প্রধান বা একমাত্র হাতিয়ার পিটার দোশীদের প্রবন্ধটি দিয়ে – “Covid-19 vaccines and treatments: we must have raw data, now - Data should be fully and immediately available for public scrutiny”। প্রবন্ধটি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে ১৯ জানুয়ারি, ২০২২-এ প্রকাশিত হয়েছিল। প্রবন্ধের সহ-লেখক ছিলেন আরও ২ জন – ফিওনা গডলি এবং কামরান আব্বাসি, কেবলমাত্র পিটার দোশী নয়।

    স্থবির দাশগুপ্তের প্রবন্ধে ব্যবহৃত সমস্ত তথ্যই আহরিত হয়েছে এই একটি প্রবন্ধ থেকে, এর অতিরিক্ত কোন প্রবন্ধ থেকে নয়। এমনকি ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের (এখন থেকে বিএমজে) পূর্বোদ্ধৃত প্রবন্ধে ব্যবহৃত শব্দবন্ধও ব্যবহার করা হয়েছে দাশগুপ্তের আলোচিত প্রবন্ধে। দোশীর প্রবন্ধে বলা হয়েছিল “মেমরিজ আর শর্ট”। দাশগুপ্তের প্রবন্ধে এর বাংলা করে বলা হল – “কিন্তু লোকস্মৃতি ক্ষণস্থায়ী”। বিএমজের প্রবন্ধে বলা হয়েছিল – “Pharmaceutical companies are reaping vast profits without adequate independent scrutiny of their scientific claims. The purpose of regulators is not to dance to the tune of rich global corporations and enrich them further; it is to protect the health of their populations. We need complete data transparency for all studies, we need it in the public interest, and we need it now.” এ কথাগুলো ভিন্ন স্বরে এবং বিশেষ আঙ্গিকে বঙ্গীকরণ হয়েছে দাশগুপ্তের প্রবন্ধে।

    ১৯ জানুয়ারি, ২০২২-এ বিএমজে-তে দোশীদের প্রবন্ধটি প্রকাশের পরে ২৪ জানুয়ারি একটি সংশোধনী প্রকাশিত হয়। এখানে বলা হয় – “This editorial by Peter Doshi and colleagues (BMJ 2022;376:o102, doi:) originally stated that the Medicines and Healthcare Products Regulatory Agency (MHRA) has “stopped posting information released in response to freedom of information requests on its website.” The online version has been corrected to say that MHRA’s posting is delayed, not stopped completely. MHRA posted no additional freedom of information requests on its website between 14 August and 28 December 2021. Since 29 December, however, it has posted a selection of materials for responses from July to September.” অর্থাৎ, প্রবন্ধটির একটি ছোট সংশোধনী প্রকাশের প্রয়োজন পড়লো।
    বিজ্ঞানে এরকম ঘটাই তো স্বাভাবিক। কোন একজন মানুষ বা সংস্থা কিংবা জার্নাল বা গোষ্ঠীর কাছে একমাত্র সত্যের কোন লুকনো হীরক খনি নেই। এখানে কোন তত্ত্ব বা ধারণা বা পরীক্ষালব্ধ ফলাফল পেশ করা হয়। আন্তর্জাতিক মহলে বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা এ নিয়ে চুলচেরা বিচার-বিশ্লেষণ করেন। পরিণতিতে, গৃহীত হয় কিংবা পরিবর্তিত বা বাতিল হয়। এভাবেই বিজ্ঞান এগোয়।

    পিটার দোশীর আরেকটি প্রবন্ধের যৌক্তিক এবং বৈজ্ঞানিক ভিত্তিকে প্রশ্ন করে বিএমজে-তে অন্য একটি প্রি-প্রিন্ট প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল “Comment on the BMJ opinion of the associate editor Peter Doshi about “Pfizer and Moderna’s 95% effective vaccines—we need more details and the raw data” শিরোনামে ফেব্রুয়ারি, ২০২২-এ। লেখকেরা হলেন ভিয়েনা ইউনভার্সিটির পদার্থবিদ্যার দু’জন অধ্যাপক - Dieter Suess এবং Florian Slanovc। আরেকজন ছিলেন Sabrina Dorn, যাঁর অ্যাকাডেমিক পরিচয় দেওয়া হয়নি। তাঁদের প্রবন্ধের সিদ্ধান্ত ছিল – “In summary, we conclude that Peter Doshi’s claim contradicts any reasonable assumption about the false negative rate of the used PCR tests. Furthermore, his argument that false negative tests due to an increase in the false negative rate decrease the reported efficacy of the phase III study, does not hold in principle if in both groups the PCR tests show the same false negative rate.”

    দাশগুপ্তের প্রবন্ধে অন্তর্লীনভাবে রয়েছে, কোভিড টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন – কারণ সমস্ত ট্রায়াল কর্পোরেটদের নিয়ন্ত্রিত, তাদের তৈরি ভূতুরে লেখকেরা (ghost writers) এসব গবেষণাপত্র লেখে এবং বিভিন্ন বিখ্যাত, প্রথমসারির জার্নালে প্রকাশিত হয়। আর আমাদের মতো চিকিৎসক-বিজ্ঞানী-সাধারণ মানুষের দঙ্গল মানসিক উপনিবেশের প্রভাবে চোখ বন্ধ করে এগুলোকে গিলে নিই।

    বিএমজে-তেই ২৭ এপ্রিল, ২০২২-এ প্রকাশিত হয়েছিল “Public health impact of covid-19 vaccines in the United States: observational study” শীর্ষক গবেষণাপত্র। ৭ পৃষ্ঠার এই গবেষণাপত্রে বলা হয় – “In addition to individual level benefits, we observed that vaccines protect communities against severe disease and infection. Higher coverage of vaccines seemed to confer greater levels of community benefits ... Vaccines should be deployed strategically with public health and social measures based on ongoing levels of transmission.” সহজ কথা হল, ভ্যাক্সিন তৈরির নেপথ্যে পূতিগন্ধম, কদর্য কার্যকলাপকে মনে রেখেও টিকার কার্যকারিতা নিয়ে কথা বলা যায় ৩টি স্তরে – ব্যক্তির উপকার, কমিউনিটির উপকার এবং পাবলিক বা জনস্বাস্থ্যের উপকার।

    এর আগে বিএমজে-তে (১৭ মার্চ, ২০২১) প্রকাশিত হয়েছিল “Vaccinating the world against COVID-19: getting the delivery right is the greatest challenge” শিরোনামের প্রবন্ধ। এতে খুব স্পষ্ট ভাষায় বলা হল – “Protecting the global community from the COVID-19 pandemic is not ‘rocket science’, it is much harder than that. Timely delivering the COVID-19 vaccine to the global population will require a strategic all-of-government approach, and an unprecedented all-of-society approach that spans government and the private sector, crossing entrenched economic divisions between
    the Global North and South, as well as burgeoning antiscientific movements that threaten to scuttle dramatic advances before they can even be brought to market.”

    ল্যান্সেট-এ (১৩ জুলাই, ২০২২) প্রকাশিত হয়েছে সুদীর্ঘ গবেষণাপত্র “Effectiveness of a fourth dose of mRNA COVID-19 vaccine against all-cause mortality in long-term care facility residents and in the oldest old: A nationwide, retrospective cohort study in Sweden”। গবেষকদের কোন কর্পোরেট সংস্থা বা অন্য কেউ ফান্ডিং করেনি। এখানে বলা হল – “These findings suggest that a fourth dose may prevent premature mortality in the oldest and frailest even after the emergence of the Omicron variant, although the timing of vaccination seems to be important with respect to the slight waning observed after two months.”

    ল্যান্সেটে (২৩ জুন, ২০২২) প্রকাশিত হয়েছিল – “Global impact of the first year of COVID-19 vaccination: a mathematical modelling study” শিরোনামে গবেষণাপত্র। গবেষকদের ফান্ডিং এসেছিল Schmidt Science Fellowship in partnership with the Rhodes Trust; WHO; UK Medical Research Council; Gavi, the Vaccine Alliance; Bill & Melinda Gates Foundation; National Institute for Health Research; and Community Jameel প্রভৃতি জায়গা থেকে। এই ফান্ডিংয়ের উৎসকে কর্পোরেট ফান্ডিং বলা শক্ত। এখানে বলা হয় – “COVID-19 vaccination has substantially altered the course of the pandemic, saving tens of millions of lives globally. However, inadequate access to vaccines in low-income countries has limited the impact in these settings, reinforcing the need for global vaccine equity and coverage.”

    ১৫ জুলাই, ২০২২-এ ল্যান্সেট-এ প্রকাশিত হয়েছে “ Vaccine effectiveness of one, two, and three doses of BNT162b2 and CoronaVac against COVID-19 in Hong Kong: a population-based observational study”। এদের ফান্ডিংয়ের উৎস হল "কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন ইভাল্যুয়েশন প্রোগ্রাম" এবং "চাইনিজ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর জোগানো অর্থ – কর্পোরেট পুঁজি নয়। প্রবন্ধের সিদ্ধান্ত – “Third doses of either BNT162b2 or CoronaVac provide substantial additional protection against severe COVID-19 and should be prioritised, particularly in older adults older than 60 years and others in high-risk populations who received CoronaVac primary schedules. Longer follow-up is needed to assess duration of protection across different vaccine platforms and schedules.”
    মোদ্দা কথা হল যে প্রায়-ব্যতিক্রমহীনভাবে এবং কর্পোরেট প্রভাব ছাড়াও কোভিড ভ্যাক্সিন নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অতি বৃহৎ ট্রায়ালগুলো হচ্ছে এবং ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে।

    ১৫ জুলাই, ২০২১-এ নেচার-এ প্রকাশিত হয়েছিল “A long-term perspective on immunity to COVID”। এটি নেচারের আমন্ত্রিত গবেষণাপত্র ছিল। স্বাভাবিকভাবেই কোন ফান্ডিংয়ের প্রসঙ্গ আসেনি। এই স্টাডিতে বলা হয়েছিল – “In evaluating vaccine efficacy, we should not expect the high antibody concentrations characteristic of acute immune reactions to be maintained in the memory phase. It is an old misconception”।
    ক্লিনিকাল এথিক্স জার্নালে (মার্চ, ২০২২) প্রকাশিত হয়েছে (কোন ফান্ডিং ব্যতিরেকে) “How to continue COVID-19 vaccine clinical trials? The ethics of vaccine research in a time of pandemic”। গবেষণাপত্রে সিদ্ধান্ত হিসেবে জানানো হল – “given that currently approved vaccines are clearly more effective than placebo in at least preventing the occurrence of symptomatic COVID-19, we argue that they should be used as controls in future studies, unless there are “compelling scientific reasons to use placebo” which should be clearly identified and documented.”

    কোভিডকালে জনস্বাস্থ্য এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা



    নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এ (আগস্ট ৫, ২০২১) হার্ভার্ড T.H. Chan School of Public Health, Boston-এর তরফে প্রকাশিত প্রবন্ধটি ছিল “Fundamentals of Public Health — A New Perspective Series”। এ প্রবন্ধে বলা হয়েছিল – “The Covid-19 pandemic has awakened many physicians to the value of viewing wellness and disease through the lens of public health as well as that of clinical medicine ... a well-structured and adequately financed public health system would benefit all subpopulations — including children, among whom disparities in prevention and care have profound, life-long effects”। এখানেও কোন কর্পোরেট বদান্যতা ছিলনা।

    আমরা করোনা অতিমারির মৃত্যু মিছিলের সময়ে এবোলার সময়টিকে একবার স্মরণ করি। আইএমএফ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের চাপে ১৯৯০-এর দশক থেকে শুরু হয় “স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট প্রোগ্রাম”। এর ফলে হাই-টেক যন্ত্রপাতি কেনা শুরু হয়৷ প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা একেবারে ভেঙ্গে যায়। যখন এবোলা শুরু হয়েছিল তখন স্বাস্থ্যকর্মীদের কাছে সামান্য গ্লাভস বা মাস্কও ছিলনা।

    কেনেথ শেরিল এবং ক্যারোলাইন সমারভিল তাঁদের “AIDS, Ebola, and Politics” প্রবন্ধে (আমেরিকান পলিটিক্যাল সায়ান্স-এর মুখপত্র পলিটিক্যাল সায়ান্স-এর ২০১৫ সালের জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত) বলেছিলেন যে সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়াতে গৃহযুদ্ধের ফলে এবোলা মারাত্মক চেহারা নেয় এবং এই গৃহযুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল – “দুর্নীতি এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং তদুপরি ঠাণ্ডা যুদ্ধের পরিসমাপ্তিতে পশ্চিমী বিদেশী সাহায্য হারানো” এবং “আইএমএফ-এর তরফে স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট পলিসিসমূহকে চাপিয়ে দেওয়া।”
    এর ফলশ্রুতিতে কয়েক হাজার মানুষ এবোলায় অসহায়ভাবে মারা গেছে। মধ্যপ্রাচ্যে তেলের দখল নেবার জন্য আমেরিকা যুদ্ধের জন্য ব্যয় করেছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ম্যালেরিয়া নির্মূল প্রোগ্রামের জন্য বরাদ্দ ১০০ মিলিয়ন ডলার। আর এখন তো আমেরিকা চিনের সাথে “সখ্যের” অজুহাতে খোদ WHO ছেড়েই বেরিয়ে গেছে। যদিও সাম্প্রতিককালে আবার যোগ দিয়েছে।

    ১২ ডিসেম্বর, ১৯৯১, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ লরেন্স সামার্স একটি গোপন নোট তৈরি করে সহকর্মীদের মধ্যে বিলি করেন, মতামত চান। ১৯৯২-এর ফেব্রুয়ারি মাসে বিখ্যাত পত্রিকা The Economist নোটটি প্রকাশ করে দেয় “Let Them Eat Pollution (ওদেরকে দূষণ খেতে দাও)” শিরোনামে। নোটটির মোদ্দা কথা ছিল, ধনী বিশ্বের সমস্ত প্রাণঘাতী, দূষিত আবর্জনা আফ্রিকা বা কম উন্নত দেশগুলো তথা LDC (Less Developed Countries)-তে পাচার করতে হবে। এজন্য একটি স্বাস্থ্যের যুক্তিও দিয়েছিলেন সামার্স। তাঁর বক্তব্য ছিল আমেরিকার মতো দেশে ১,০০,০০০ জনে ১ জনেরও যদি দূষিত বর্জ্যের জন্য প্রোস্টেট ক্যান্সার হয় তাহলেও এর গুরুত্ব আফ্রিকার মতো দেশগুলোতে যেখানে ৫ বছরের নীচে শিশুমৃত্যুর হার ১০০০ শিশুতে ৫ জন তার চাইতে বেশি। এবং সেখানেই প্রথম বিশ্বের দেশের এই দূষণ পাচার করতে হবে, পাচার করতে হবে এই বিষাক্ত বর্জ্য। এরকম “চমৎকার ও অভিনব” ধারণার পুরস্কার হিসেবে ক্লিন্টন প্রশাসনে ৭ বছর U.S. Treasury Secretary পদে ছিলেন। সে মেয়াদ শেষ হলে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। এসব পুরস্কারের কথা থাক। সামার্স এখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিডেনের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।

    এরকম একটা প্রেক্ষিতে আমরা যদি স্বাস্থ্যের চোখ দিয়ে দেখি তাহলে সহজেই বুঝবো স্বাস্থ্যের জগতে দু’ধরনের নাগরিকত্ব (health citizenship) তৈরি হল। একটি পূর্ণ রাশি ১, আরেকটি ০। আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের নাগরিকত্বও এরকম integer দেখা হয় – হয় ০ কিংবা ১। এখানে ভগ্নাংশের কোন জায়গা নেই। যেমনটা আজকের ভারতে এবং বিশ্বে দেখছি আমরা। স্বাস্থ্য নাগরিকত্বের প্রশ্নটিতে আমাদের মনোযোগ দেবার প্রয়োজন এ জন্য যে বিশ্ব স্বাস্থ্যের দুনিয়ায় একজন নাগরিক নৈতিকভাবে স্বাস্থ্যের সমস্ত সুবিধে ভোগ করার অধিকারী, “স্বাস্থ্য আমার অধিকার” এই শ্লোগানের বাইরে। এরকম স্বাস্থ্য নাগরিকত্বের অবস্থান থেকে মান্য জনস্বাস্থ্য গবেষক এবং দার্শনিক (যিনি social determinants of health-এর ধারণার প্রবক্তাও বটে) মাইকেল মার্মট প্রশ্ন করেন – “রোগীদের কেন চিকিৎসা করছো এবং যে পরিস্থিতিতে থেকে তাদের অসুখ শুরু হয়েছিল সেখানে আবার ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছ?” প্রশ্ন করেন সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য – “আমরা কি হয় ব্যক্তি চিকিৎসক কিংবা ডাক্তার-সমাজ হিসেবে যুক্ত হবোনা?” (“Shouldn’t the doctor, or at least this doctor, be involved?”) (The Health Gap, 2016) আমাদের কাছে সত্যিই কি এসব প্রশ্নের সদুত্তর আছে?

    নিওলিবারাল অর্থনীতি, অতিবৃহৎ বহুজাতিক সংস্থা, নিওলিবারাল অর্থনীতির বাহক ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন এবং পৃথিবীর বড়ো রাষ্ট্রগুলোর চাপে হু নিজের অবস্থান বদলাতে বাধ্য হচ্ছে। “সকলের জন্য স্বাস্থ্য”, “স্বাস্থ্য আমার অধিকার” এবং “সংহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা”-র ধারণা ১৯৭৮ থেকেই নিঃসাড়ে বদলাতে শুরু করে। প্রথমে আসে “সিলেক্টিভ প্রাইমারি হেলথ কেয়ার (বেছে নেওয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা)”, তারপরে এলো GOBI (growth monitoring, promotion of oral rehydration, promotion of breast feeding, immunization) এবং পরবর্তীতে খুব খোলাখুলি ভার্টিকাল বা রোগ-কেন্দ্রিক প্রোগ্রাম। কমিউনিটির অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি জীবন্ত ও সক্রিয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রোগ্রাম পরিত্যক্ত হল। এর বিষময় ফল আমরা এই অতিমারির সময়ে প্রত্যক্ষ করছি।

    যদি একটি উজ্জীবিত, প্রাণবন্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে আমরা গত প্রায় ৫০ বছর ধরে তিলেতিলে মেরে না ফেলে, একটি কাঠামো-সর্বস্ব ব্যবস্থা হিসেবে না রেখে যেমনটা ১৯৭৮-এর আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়েছিল যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাই হবে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার প্রাথমিক ভিত্তি তাহলে একেবারে প্রাথমিক স্তরে আমরা করোনা আক্রমণের সময়ে “টেস্টিং, কনট্যাক্ট ট্রেসিং এবং আইসোলেশন”-এর কথা ভাবতে পারতাম। রোগী এবং সরকার উভয়েরই বিপুল খরচ বাঁচার সম্ভাবনা ছিল। আলমা-আটা সনদের ১০ নম্বর ধারায় যা বলা হয়েছিল তার মূল কথা ছিলো – পৃথিবীর দূরতম প্রান্তের স্বাস্থ্যের সুযোগহীন মানুষটির জন্যও প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে হবে এবং এজন্য স্বাধীনতা, শান্তি, দ্বিপাক্ষিক আলাপ-আলোচনা এবং নিরস্ত্রীকরণের নীতি গ্রহণ করতে হবে যার মধ্য দিয়ে একটি দেশের সুষম বিকাশের জন্য আরো বেশি মানবসম্পদ সৃষ্টি হতে পারে।

    এদেরকে কে বাঁচাবে? একমাত্র সক্রিয় ও জীবন্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থা এদের বাঁচাতে পারে। যদি এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা না যায় তাহলে কোভিডে যত মানুষের মৃত্যু হবে তার চেয়ে বেশি মৃত্যু হবে এ রোগগুলোর জন্য। নেচার-এর “The Pandemic’s Future” (৬.০৮.২০২০) প্রবন্ধের শেষে মন্তব্য করা হয়েছে – “কোভিড-১৯ সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে ঘড়ির কাঁটা ঘুরিয়ে দিয়েছে কয়েক বছরের জন্যতো বটেই, এমনকি কয়েক দশকও হতে পারে।” বলা হয়েছে – “একটি সংক্রামক ব্যাধির হাত থেকে (পড়ুন কোভিড) মানুষকে রক্ষা করতে গিয়ে আরেক সংক্রামক ব্যাধিতে মানুষ মারা যাচ্ছে সেটা হল এমন এক শেষ হিসেব যা মানুষ কখনো চায়না।”
    কে দেবে এর উত্তর? রাষ্ট্র, রাজনৈতিক নেতারা কিংবা আক্রান্ত জনসাধারণ? সময় এবং ইতিহাস সেকথা বলবে।

    আসুন, আমরা প্রহর গণি! এই তমসার প্রহরকে চিরে দেখার চেষ্টা করি। কিন্তু অবশ্যই সমস্ত চিন্তা কর্পোরেট এবং রাষ্ট্র গ্রাস করে নিয়েছে এরকম ধারণার বেড়াজাল থেকে বেরোতে হবে। স্বাধীন বিজ্ঞানচর্চা এখনও হয়, হয়ে চলেছে। একে লঘু করা খুব ন্যায্য অবস্থান নয় – কি বিজ্ঞানের দিক থেকে, কি জনস্বাস্থ্যের অবস্থান থেকে।



    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৯ জুলাই ২০২২ | ১১১০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রেফারেন্স - ২ | 2601:14d:4901:b5:ecb3:e64:b589:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ০২:৪৬510398
  •  
     
    এছাড়াওঃ ইন্টারভেনশনের এফেক্ট কতটা মৃত্যুর উপর? ছবির দ্বিতীয় সারণী লক্ষ করুন। বিভিন্ন PHI এর এফেক্ট দেওয়া। 

     
     
     
     
    সূত্রঃ Salvatore, M., Purkayastha, S., Ganapathi, L., Bhattacharyya, R., Kundu, R., Zimmermann, L., ... & Mukherjee, B. (2022). Lessons from SARS-CoV-2 in India: A data-driven framework for pandemic resilience. Science Advances8(24), eabp8621. 
    (কী সহজ না? মৃত্যুকে ট্রিভিয়ালাইজ করা? এই ছবি আর টেবল দেখুন, অবজার্ভড এবং আণ্ডার-রিপোর্টিং ফ্যাক্টর, আর বিভিন্ন পাবলিক হেলথ ইন্টারভেনশনের এফেক্ট। এতে অ্যাভ্যাচাড্ডীর দল কনভিন্সড হবেন না জানি। কিন্তু তাও থাক। আরও লোকে পড়বেন, তাদের জন্য।) 
     
     
  • ? | 2405:8100:8000:5ca1::ee:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ০৬:৪৪510403
  • "ভ্যাকসিন প্রাণ বাঁচায়। এইটা বক্তব্য।"
     
    বেশ। কোন ভ্যারিয়েন্টের জন্য এই ভ্যাকসিন? নাকি সব ভ্যারিয়েন্টের একই ভ্যাকসিন?
    কতদিন অবধি প্রাণ বাঁচায়? ১ সপ্তাহ? ১ মাস? ৬ মাস?
  • Reference 2 | 2405:8100:8000:5ca1::ee:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ০৬:৫৯510404
  • Prediction এ গিয়ে লাভ নেই। Observed গুলোই দেখি।
    February:
    Observef No. of Cases (Millions): 10.8
    Observed No. of Deaths (Millions): 0.154
    Death Rate: 0.154*100/10.8 = 1.43%
     
    July:
    Observef No. of Cases (Millions): 30.4
    Observed No. of Deaths (Millions): 0.399
    Death Rate: 0.399*100/30.4 = 1.31%
     
    এই ডেথ রেট (1.43 vs. 1.31) কমার কারণ কি ভ্যাক্সিন বলছেন?
    এই no. of case (10.8 bs 30.4) বেড়ে যাওয়ার কারণও কি ভ্যাক্সিন বলছেন?
     
  • ১.৩৪ বিলিয়ন | 2601:5c0:c280:4020:4ce9:e373:2efc:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ০৮:০০510406
  • না ঐ টেবিলটা দেখানোর অর্থ সামান্য পারসেন্টেজকেও ১.৩৪ বিলিয়ন দিয়ে গুণ করলে একটা বিশাল সংখ্যা দাঁড়ায়। এরা সবাই মানুষ। উপরে যিনি খুব কম পার্সেন্টেজ মানুষ মারা গেছে বলে বাহ্বাস্ফোট করছিলেন তাকে বলা। 
     
     
  • tina | 2405:8100:8000:5ca1::14:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ০৮:৫৯510409
  • কোভিডের আগে ও পরে দেশের ডেথ রেট কত বদলেছে?
    ১৩৪ কোটির .০১% মানে ১.৩৪ লাখ। লকডাউন করে রোজগার থামিয়ে লোকের ইমিউনিটির মা মাসি করে জনস্বাস্থ্যের বারোটা বাজিয়ে না দিলে মৃত্যু কমানো যেত। ভ্যাকসিননৃত্যের দরকার ছিল না।
  • r | 2a0b:f4c2:1::***:*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ০৯:০৬510410
  • অ মনু, মাংকিপক্সের ভ্যাক্সিন নিলা ?
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 43.25.***.*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ০৯:৫২510411
  • সরি , 
    ১)data collection এর part টাকে উহ্য রেখে এসব দেখাতে গেলেই সমস্যা। আমিও এরকম convincing শ'য়ে শ'য়ে chart ও ogive ও hypothesis testing graph (following sampling) দেখিয়ে দিতে পারি , যারা statistical inference বুঝবেন ,যে , কিভাবে vaccination বাড়ার সাথে সাথে no. of cases exponentially বেড়েছে। এটা তো একদিকের কথা।
    অন্য কথাও আছে।
    ২) Basis টা কি? কোন্ postulation  এর উপরে আপনি collected data কে কিভাবে interpretation করছেন। এখানে কিন্তু statistics এর কারিকুরি নেই। আছে epidemiologyর একটা wisdom বা knowledge যেটি কান্ডজ্ঞান রহিত নয়। "কান্ডজ্ঞান" কথাটি খেয়াল করবেন।
    ৩) Positive case মানে‌টা‌ কি? Death , Covid এর কারণেই,এই কথাটি explained হোক। এই basic টাকে ধরে নাড়াচাড়া করলে অনেক ঘটনা , তথ্য ও কারিকুরি বেরিয়ে আসবে। ভাববেন না কিভাবে ২০০৯ এর এইচ ওনান এন ওয়ান (H1N1)  কে কেন্দ্র করে প্যানডেমিক কাকে বলবো এই সংজ্ঞা টা কিভাবে পাল্টানো হলো ও কেন পাল্টানো হলো ? প্আরশ্চ্ছান থাকবে না ?  নয় অযথা ভয় পেয়ে চক্রান্ত্ব তত্ত্বের কথা ভাবছি এই ভাবছেন তো? আচ্ছা বেশ , যদি এটাই একমাত্র ভাবেন তাহলে একটু চর্চা হোক না যে প্রশ্নটা করলাম সেটা নিয়ে ? 
     
    ৪)অসুখ কাকে বলবো ? এই ডেফিনিশন টাও তো পাল্টে গেলো। প্রশ্ন করবেন না যে ইনফেকশন যদি পজিটিভও আসে সেটা কে case ধরা হলো কেন ? Theoretical statistics বা parametric ও non parametric methods দিয়ে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা অবান্তর। 
    যাইহোক । কি হ'ল টা কি এই আড়াই বছরে? এ নিয়ে আমাদের দেশে ICMR এর study ছাড়াও আলাদা ভাবে study চলছে ISI ,Calcutta ও IIT ,Mumbai তে। আশা রইল , নতুন কিছু যদি জানতে পারি। তবে যে দেশে AEFI case কে detect করতে এতো অনীহা আর ট্রেসিং করে RTPCR (?) বাড়িয়ে no. of cases বেশি দেখানো হয় বা এই তথ্যটি  নেওয়াতে এতো উৎসাহ - তাহলে data র তো nature টাই biased. 
    ভাববো না?
     
     
     
    পুনরুক্তি হয়ে যাবে , আবারও বলছি। যেহেতু বার বার একটি ব্যক্তিই অন্য আই ডি পাল্টিয়ে পাল্টিয়ে বিভিন্ন নামে লিখছেন ও পোস্ট করছেন সেই বিজ্ঞানকর্মী কে একটা কথা বলার ইচ্ছে রইল। সেটা হলো , যে, সাধারণ ভাবে ভ্যাক্সিন বিরোধী তকমাটি এখানে কারুর লেখা থেকে বোঝা যায় নি। তবে কি ভ্যাক্সিন , কেন ভ্যাক্সিন ,কতোটা পরীক্ষিত , কতোটা অপরীক্ষিত , এটাকে কেন্দ্র করে কী ট্রায়েলে কীরকম স্যাম্পেল - এইসব প্রশ্ন করে সন্দেহ করাটাও বিজ্ঞানের আওতায় পড়ে। ,  কতগুলো পাল্টা ক্লীশে ট্রোলড আক্রমণ করে "চক্রান্ততত্ত্বধারী ননভ্যাক্সার" বললেই সবাইকে আপনার পথে আনা যায় না কিন্তু।
    আর কেউ ভ্যাক্সিন নিন বা না নিন , তাতে এই বিতর্ক আসে না। বহু কারণ থাকতে পারে একজন কেন ভ্যাক্সিন নিলেন। বহু কারণ থাকতে পারে কেন একজন ভ্যাক্সিন নেন নি। তারা নিয়েছেন তারা সবাই আপনাদের দলে , আর তারা নেননি তারা সব এই দিকের দলে - আশা করি এসব ব্যক্তিগত খোঁচাখুঁচি র দরকার হবে না যদি আপনার বোঝানোর মতন সত্যিই অনেক মুক্তি থাকে। আশা করি , বিশ্বাস রাখি সেটা নিশ্চয়ই আছে। কে ভ্যাক্সিন নিলেন বা নিলেন না এটা সম্পূর্ণ একজনের একটি ব্যক্তি অধিকারের আওতায় পড়ে। সুপ্রীম কোর্টের রায়ও একথাই বলে
    আর , শেষ একটা ছোট্ট প্রশ্ন। বিজ্ঞানকর্মী হিসাবে জিজ্ঞাসা করেছেন কখনো যে ভ্যাক্সিন আপৎকালীন ও সীমিত ব্যবহারের জন্য বলা আছে , সেটা কিভাবে গণটীকাকরণ হয়ে গেলো? কিভাবে হলো? ফ্যাক্টশীটে তো এই গণটীকাকরণের কথা লেখা নেই , এখনো নেই। এই প্রশ্নটা রেখেছেন? 
    এসবকে ধরেই বলছি : কিভাবে বিজ্ঞানকে চাবুকের মতন ভুলভাবে বাণিজ্যায়ন করা হয়েছে , ভেবেছেন? 
    লকডাউন নিয়ে কোনো একটি জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানের কোনো থিসিসে বা পেপারে বর্ণনা ও বিধান দেওয়া আছে , কেউ একজন পাঠিয়েছেন , দেখলাম। সেই পেপারটা কবেকার? ভাববো না এগুলো? তার আগে থেকেই  যে বিশ্ববিখ্যাত সর্বজনবিজ্ঞানীগ্রাহ্য Park এর বইতে কেন লকডাউন এর উল্লেখ নেই বা সোশ্যাল ডিস্টেনসিং এর উল্লেখ নেই - প্রশ্ন তুলবেন না ? কেন দায়ীত্ববান বিজ্ঞানকর্মী হয়ে রাস্তায় নামবেন না রাষ্ট্রের প্রতি এই প্রশ্নটা ছুঁড়ে যে কেন ১০ কোটি মানুষের রোজগার খতম হয়ে গেলো? নাকি আপনাদের সমস্ত পরিশ্রম এখন ননভ্যাক্সার ও চক্রান্ত তত্ত্বিকদের (আপনাদের বয়ানে) খোঁজা? অযথা "কিছু" অসৎ , অসাধু‌, অসামাজিক খারাপ মনের মানুষ এমন ডাক্তারদের পাশে থাকবেন না। 
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 43.25.***.*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ০৯:৫২510412
  • সরি , 
    ১)data collection এর part টাকে উহ্য রেখে এসব দেখাতে গেলেই সমস্যা। আমিও এরকম convincing শ'য়ে শ'য়ে chart ও ogive ও hypothesis testing graph (following sampling) দেখিয়ে দিতে পারি , যারা statistical inference বুঝবেন ,যে , কিভাবে vaccination বাড়ার সাথে সাথে no. of cases exponentially বেড়েছে। এটা তো একদিকের কথা।
    অন্য কথাও আছে।
    ২) Basis টা কি? কোন্ postulation  এর উপরে আপনি collected data কে কিভাবে interpretation করছেন। এখানে কিন্তু statistics এর কারিকুরি নেই। আছে epidemiologyর একটা wisdom বা knowledge যেটি কান্ডজ্ঞান রহিত নয়। "কান্ডজ্ঞান" কথাটি খেয়াল করবেন।
    ৩) Positive case মানে‌টা‌ কি? Death , Covid এর কারণেই,এই কথাটি explained হোক। এই basic টাকে ধরে নাড়াচাড়া করলে অনেক ঘটনা , তথ্য ও কারিকুরি বেরিয়ে আসবে। ভাববেন না কিভাবে ২০০৯ এর এইচ ওনান এন ওয়ান (H1N1)  কে কেন্দ্র করে প্যানডেমিক কাকে বলবো এই সংজ্ঞা টা কিভাবে পাল্টানো হলো ও কেন পাল্টানো হলো ? প্আরশ্চ্ছান থাকবে না ?  নয় অযথা ভয় পেয়ে চক্রান্ত্ব তত্ত্বের কথা ভাবছি এই ভাবছেন তো? আচ্ছা বেশ , যদি এটাই একমাত্র ভাবেন তাহলে একটু চর্চা হোক না যে প্রশ্নটা করলাম সেটা নিয়ে ? 
     
    ৪)অসুখ কাকে বলবো ? এই ডেফিনিশন টাও তো পাল্টে গেলো। প্রশ্ন করবেন না যে ইনফেকশন যদি পজিটিভও আসে সেটা কে case ধরা হলো কেন ? Theoretical statistics বা parametric ও non parametric methods দিয়ে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা অবান্তর। 
    যাইহোক । কি হ'ল টা কি এই আড়াই বছরে? এ নিয়ে আমাদের দেশে ICMR এর study ছাড়াও আলাদা ভাবে study চলছে ISI ,Calcutta ও IIT ,Mumbai তে। আশা রইল , নতুন কিছু যদি জানতে পারি। তবে যে দেশে AEFI case কে detect করতে এতো অনীহা আর ট্রেসিং করে RTPCR (?) বাড়িয়ে no. of cases বেশি দেখানো হয় বা এই তথ্যটি  নেওয়াতে এতো উৎসাহ - তাহলে data র তো nature টাই biased. 
    ভাববো না?
     
     
     
    পুনরুক্তি হয়ে যাবে , আবারও বলছি। যেহেতু বার বার একটি ব্যক্তিই অন্য আই ডি পাল্টিয়ে পাল্টিয়ে বিভিন্ন নামে লিখছেন ও পোস্ট করছেন সেই বিজ্ঞানকর্মী কে একটা কথা বলার ইচ্ছে রইল। সেটা হলো , যে, সাধারণ ভাবে ভ্যাক্সিন বিরোধী তকমাটি এখানে কারুর লেখা থেকে বোঝা যায় নি। তবে কি ভ্যাক্সিন , কেন ভ্যাক্সিন ,কতোটা পরীক্ষিত , কতোটা অপরীক্ষিত , এটাকে কেন্দ্র করে কী ট্রায়েলে কীরকম স্যাম্পেল - এইসব প্রশ্ন করে সন্দেহ করাটাও বিজ্ঞানের আওতায় পড়ে। ,  কতগুলো পাল্টা ক্লীশে ট্রোলড আক্রমণ করে "চক্রান্ততত্ত্বধারী ননভ্যাক্সার" বললেই সবাইকে আপনার পথে আনা যায় না কিন্তু।
    আর কেউ ভ্যাক্সিন নিন বা না নিন , তাতে এই বিতর্ক আসে না। বহু কারণ থাকতে পারে একজন কেন ভ্যাক্সিন নিলেন। বহু কারণ থাকতে পারে কেন একজন ভ্যাক্সিন নেন নি। তারা নিয়েছেন তারা সবাই আপনাদের দলে , আর তারা নেননি তারা সব এই দিকের দলে - আশা করি এসব ব্যক্তিগত খোঁচাখুঁচি র দরকার হবে না যদি আপনার বোঝানোর মতন সত্যিই অনেক মুক্তি থাকে। আশা করি , বিশ্বাস রাখি সেটা নিশ্চয়ই আছে। কে ভ্যাক্সিন নিলেন বা নিলেন না এটা সম্পূর্ণ একজনের একটি ব্যক্তি অধিকারের আওতায় পড়ে। সুপ্রীম কোর্টের রায়ও একথাই বলে
    আর , শেষ একটা ছোট্ট প্রশ্ন। বিজ্ঞানকর্মী হিসাবে জিজ্ঞাসা করেছেন কখনো যে ভ্যাক্সিন আপৎকালীন ও সীমিত ব্যবহারের জন্য বলা আছে , সেটা কিভাবে গণটীকাকরণ হয়ে গেলো? কিভাবে হলো? ফ্যাক্টশীটে তো এই গণটীকাকরণের কথা লেখা নেই , এখনো নেই। এই প্রশ্নটা রেখেছেন? 
    এসবকে ধরেই বলছি : কিভাবে বিজ্ঞানকে চাবুকের মতন ভুলভাবে বাণিজ্যায়ন করা হয়েছে , ভেবেছেন? 
    লকডাউন নিয়ে কোনো একটি জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানের কোনো থিসিসে বা পেপারে বর্ণনা ও বিধান দেওয়া আছে , কেউ একজন পাঠিয়েছেন , দেখলাম। সেই পেপারটা কবেকার? ভাববো না এগুলো? তার আগে থেকেই  যে বিশ্ববিখ্যাত সর্বজনবিজ্ঞানীগ্রাহ্য Park এর বইতে কেন লকডাউন এর উল্লেখ নেই বা সোশ্যাল ডিস্টেনসিং এর উল্লেখ নেই - প্রশ্ন তুলবেন না ? কেন দায়ীত্ববান বিজ্ঞানকর্মী হয়ে রাস্তায় নামবেন না রাষ্ট্রের প্রতি এই প্রশ্নটা ছুঁড়ে যে কেন ১০ কোটি মানুষের রোজগার খতম হয়ে গেলো? নাকি আপনাদের সমস্ত পরিশ্রম এখন ননভ্যাক্সার ও চক্রান্ত তত্ত্বিকদের (আপনাদের বয়ানে) খোঁজা? অযথা "কিছু" অসৎ , অসাধু‌, অসামাজিক খারাপ মনের মানুষ এমন ডাক্তারদের পাশে থাকবেন না। 
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 43.25.***.*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ১০:১১510413
  •  
    মার্জনা করবেন, ভুলবশতঃ এই কথাটি টাইপ হয়ে‌ গেছে :-
    "প্আরশ্চ্ছান থাকবে না ? "
    ওটা ,"প্রশ্ন থাকবে না?" হবে।
  • উত্তানবাবুকে | 2601:5c0:c280:4020:5446:df39:8156:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ১৮:৩৩510419
  • উত্তানবাবুকে দুটো কথা লিখে যাই, যদিও এটা পরিষ্কার যে আপনাকে যাই এভিডেন্স দেখানো হোক আপনি বুঝবেন না ঠিক করে ফেলেছেন। 
     
    ১) "data collection এর part টাকে উহ্য রেখে" - কোনো ঠিকঠাক জর্নলে পাবলিশড পেপারে ডেটা কালেকশনের পার্ট "উহ্য" রাখা হয় না। সোর্স মেনশন করা আছে। এবার বলতে পারেন আমাদের দেশের ডেটা কোয়ালিটির কথা। ঐ এক-ই আর্টিকলেই একটি সেকশনঃ "Need for better data and smart surveillance" - আপনি উত্তর দেওয়ার তাড়নায় রেফারেন্স পড়ার সময় পাননি। 
     
    ১') "আমিও এরকম convincing শ'য়ে শ'য়ে chart ও ogive ও hypothesis testing graph (following sampling) দেখিয়ে দিতে পারি" -- তো দেখান না, কে বারণ করেছে? পীয়ার-রিভিউড ঠিকঠাক জর্নলে পাবলিশড পেপার দেখান, টুইটার-ফেবুর মীম নয়, তারপর সেগুলোর এভিডেন্স নিয়ে তুল্যমূল্য আলোচনা করা হোক। উল্টোদিকে এই যেগুলো দেওয়া হলো সেগুলোর ফান্ডামেন্টাল খুঁত থাকলে আপনি ধরে দিন - তারপর সেগুলো রিট্র্যাক্ট করতে বলা হোক। সেটাই তো করার কথা। (এইখানে বলতে পারেন যে আমার হাইপোথেসিসের সাথে যেগুলো মিলছে সেইগুলোই ঠিক, বাকি ভুল, তাহলেও কিছু বলার নেই।) 
     
    ২) পরের প্রশ্নগুলো ইল-পোজড। যেমন "বেসিস-টা কী?" ...  এতো vague প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায় না। স্পেসিফিক্যালি বলুন, কিসের বেসিস? ভ্যাকসিন এফিকেসি? 
     
    ৩) "প্রশ্ন করবেন না যে ইনফেকশন যদি পজিটিভও আসে সেটা কে case ধরা হলো কেন?" -- ??? "কেস" তো খুব ওয়েল-ডিফাইনড, সেটাই ধরা হয় বলে জানা ছিলো। না হলে কী করে CFR ইত্যাদি ক্যালকুলেট করবে? আপনি ফলস পজিটিভের কথা বলছেন? সেটাও তো অ্যাকাউন্ট করা হয়েছে। টেস্ট বাড়িয়ে IFR ইত্যাদি কম দেখানো - সেটাও ! 
     
    এরকম আরও বিভিন্ন প্রব্লেমাটিক স্টেটমেন্ট ছড়ানো-ছেটানো। রিভিউয়ার-টু এর মতন পয়েন্ট করে ধরিয়ে দিয়ে লাভ নেই, উলটে তর্ক। শুনুন, বিজ্ঞান একটা রিগোরাস ডিসিপ্লিন, অন্ততঃ হায়েস্ট লেভেলে একটু রিগর থাকে। 
     
    লাস্ট কথাটা আগেও বলেছি। অনেকগুলো এক করে স্লিপারি স্লোপের ফাঁদে পড়ছেন। "বিজ্ঞানকে চাবুকের মতন ভুলভাবে বাণিজ্যায়ন করা হয়েছে" - বিগ ফার্মার কুপ্রভাব নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই, ফাইজার-এলাই লিলি কাকে ছেড়ে কাকে দেখবেন? কিন্তু ভ্যাকসিনের বরাত এরা পেয়েছেন বলে ভ্যাকসিন নেবো না বলা যায় না, যেমন ফার্মার উপর রাগ করে প্রেশার বা শুগারের ওষূধ খাওয়া ছেড়ে দিই না, সেরকম। লক-ডাউনের ভয়ানক এফেক্ট নিয়ে আগেও ক্ল্যারিফাই করলাম - বিপুল সংখ্যাক মানুষের কোনো সোশ্যাল সেফটী নেট নেই এটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার। বস্তুতঃ, কোনো মানুষ নেই যিনি এটা অস্বীকার করবেন - তার মানে এই নয় তারা ভ্যাকসিনের এফিকেসি এগেইন্সট সিরিয়াস আউটকাম-কে সন্দেহ করবেন। দুটো এক নয়। 
     
    অ্যানোনিমাসলি লেখার কারণ, যাতে কে লিখছেন তাকে আইডেন্টিফাই করে বাকি ফেক-রা অ্যাড হোমিনেম অ্যাটাক না করতে পারেন, এবং "কে বলছেন?" এর থেকে "কী বলছেন?" টা বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়। 
  • জুতো বোস | 156.146.***.*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ২০:১১510421
  • সুকুমার ভট্টাচার্য্য | 2409:4060:2d85:786a:2d67:4236:373d:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ২০:৫২510423
  • জনস্বাস্থ্যের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ দ্রুত হ্রাসমান প্রায় সব দেশেই। আমাদের দেশ একসময় ভেবেছিল এবং এগুচ্ছিল, কিন্তু এখন সেই দায়িত্ব সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। 
    ডঃ জয়ন্ত ভট্টাচার্য এ বিষয়ে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন। পঠকরা তো সমৃদ্ধ হচ্ছেন কিন্তু সরকারী নীতির কোন পরিবর্তন চোখে পড়ছে না। তাঁরা শুধু স্বাস্থ্য সম্পর্কীয় তথ্য নিয়ন্ত্রণেই সচেষ্ট অনেক সময়ে মনে হচ্ছে।
    ধন্যবাদ লেখককে।
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 43.25.***.*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ২২:১১510425
  • আমার কথা একটু ভুল ব্যাখ্যা করা হলো। 
    Base টা কী এটা বলতে বুনিয়াদি একটি প্রশ্ন রেখেছিলাম। RTPCR ধরে পজিটিভ দেখানো কে ১টা কেস বলা হচ্ছে। 
    প্রথম কথা RTPCR test নিয়েই তখন সংশয় এবং ফ্লু ও কোভিড ভাইরাস কে আলাদা করে চেনার উপায় কম বলেই সিডিসি এই টেস্ট সম্পর্কে সংশয়াতীত নয় , এটা তারাই বলেছে। তাইজন্যে এই টেস্ট টাকে আর SUBSCRIBE করা যাবে না ৩১ ডিসেম্বর , ২০২১ থেকে। কারণ এর ভিত্তিতে কোভিড কেসের সংখ্যা ধরা হচ্ছে যেটা ভুল বলে জোরালো সন্দেহ আছে।( তাহলে ৩১ ডিসেম্বর অবধি হিসেবগুলো তাহলে কী ছিলো? এই প্রশ্নটা উহ্য ছিল) । যাইহোক ,  তারমানে ভিত্তি টা কি? বা, Base টা কি! এই‌base বলতে টাইম সিরিজ এ্যানালিসিস বা ইন্ডেক্স নাম্বারের base বোঝাই নি। 
    দ্বিতীয়তঃ সংক্রমণ মানেই একটি কেস । অসুখ হোক বা না হোক। এই সংজ্ঞা তো জনস্বাস্থ্যের ধারণাতে আসে না। কিন্তু আনা হলো , জনস্বাস্থ্যের নাম করে। অর্থাৎ সংজ্ঞা পাল্টানো হলো। একই ভাবে অতিমারিরও সংজ্ঞা পাল্টানো হলো। কেন হলো? তাতে কার লাভ হলো? এই পাল্টানো তে জনস্বাস্থ্য কতটা উন্নতি লাভ করলো?   এটার জন্যই প্রশ্নটি তাই দ্বিতীয়বার : Base টা কি ? 
     
    উপরিউক্ত ধারণার উপর ভিত্তি করে তথ্য সংগ্রহ করলে(raw data or primary data) কি দাঁড়াবে? 
     
    তারপর তো কোন data analysis এর estimation part টা আসে। ও তার statistical methodology / tools আসে। তারপর sampling হয় , যার ভিতরেও sampling bias , non sampling bias আসে । সেটা অনেক পরের কথা।
  • জুতো বোস | 156.146.***.*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ২২:৪৭510428
  • পজিটিভ RT-PCR টেস্টের (যে টেস্টে তরমুজ আর কোকা-কোলাও পজিটিভ আসে) এক মাসের মধ্যে মারা গেলে সেটা কোভিডে মৃত্যু। কিন্তু "ভ্যাকসিন" নেওয়ার পরের দিন মারা গেলেও সেটা ভ্যাকসিনে মৃত্যু না।
  • উত্তর | 2601:5c0:c280:4020:8448:7c33:adc:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ২২:৫২510429
  • পৃথিবীর কোনো টেস্টের ১০০% সেন্সিটিভিটি বা স্পেসিফিসিটি নেই। আরটিপিসিয়ার / অ্যান্টিজেন টেস্ট ইত্যাদি তার ব্যতিক্রম নয়। সেটা সমস্ত সংজ্ঞায় এবং কাজে ধরেই যা করার করা হয়। চিকিৎসাক্ষেত্রে বিশেষ করে, এবং মেথডলজিতেও। (গুরুতে এই নিয়ে আগে অরিন বসুর সুন্দর লেখাও বেরিয়েছে।) 
     
    আগেও বলেছি, আবারও বলি, কারণ স্পষ্ট হয়নি। সিভিয়ার আউটকাম অ্যাণ্ড ডেথ (অর্থাৎ একেবারে মরে যাওয়া বা ভয়ঙ্কর অসুস্থতা) এগুলোর হার কমাতে ভ্যাকসিন কার্যকরী। এর এভিডেন্স উপরে দিয়েছি। আরও একটা পেপার দেখাচ্ছি নীচে। ল্যান্সেটে বেরিয়েছে খুব-ই সদ্য। হংকং-এ করা স্টাডি। 
     
    এবার আপনি এই হাইপোথিসিস-টার সপক্ষে প্রমাণ দেখান (যে ভ্যাকসিনের দুটি বা তিনটি ডোজের কোভিডের মৃত্যুহারের উপরে কোনো প্রভাব নেই বা উলটো অর্থাৎ নেগেটিভ প্রভাব আছে।) ... 'কোভিডের জন্য মৃত্যু' এইটা ধরেই। যেভাবে হু ডিফাইন করে - লিংক। যদি সত্যিই এমন হয়, তাহলে মেনে নেবো বৈকি। 
     
     
     
  • bhole | 2405:8100:8000:5ca1::10c:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ২৩:০০510430
  • bhole baba | 2405:8100:8000:5ca1::10c:***:*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ২৩:০৫510431
  • মিমসাহেব | 2607:b400:2:ef40::***:*** | ২৭ জুলাই ২০২২ ২৩:০৬510432
  • laughlaughlaugh
     
    এটা ঝেঁপে দিলাম। 
  • Debasis Bhattacharya | ২৮ জুলাই ২০২২ ০২:১২510437
  • অনেকেই দেখলাম, বেশ গুরুত্ব দিয়ে তথ্য-যুক্তি সহকারে অ্যান্টি-ভ্যাক্সারদের 'প্রশ্ন'-গুলোর জবাব দেবার চেষ্টা করছেন। তাঁদেরকে শন্যবাদ দিয়েও দুঃখের সঙ্গে বলি, এটা পুরো পণ্ডশ্রম হচ্ছে কিন্তু! এর মধ্যে বেশির ভাগই আসলে প্রশ্ন নয়, 'কোভিড ভ্যাক্সিন নিলে ক্যানসার থেকে হার্ট অ্যাটাক অবধি সব কিছু হয়ে মারা যাবেন' গোছের বিকৃতমস্তিষ্ক প্রলাপ। আর, যে দুয়েকটাকে অনেকটা রিগরস 'প্রশ্ন' গোছের কিছু একটা বলে মনে হচ্ছে, সেগুলো আসলে সুপরিকল্পিত মিথ্যে প্রচারের উদ্দেশ্যে তৈরি মেটিরিয়ালের অন্ধ কপি-পেস্ট (এই গুরু-তেই এই রকম একটি মেটিরিয়ালকে প্রায় প্রতিটি বাক্য ধরে ধরে উন্মোচন করেছিলাম)। কোভিড রোগটা আদৌ সাধারণ ফ্লু থেকে বেশি মারাত্মক কিছু কিনা, ভ্যাকসিন দিয়ে আদৌ কোনও উপকার হয় কিনা, আরটিপিসিআর পরীক্ষার আদৌ কোনও ভিত্তি আছে কিনা, ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে তথ্যের কারচুপি হয়েছে কিনা, লকডাউন করে কোনও লাভ হয়েছে কিনা, কোভিড-কে অতিমারি বানাতে 'অতিমারি' জিনিসটারই সংজ্ঞার পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা --- এইসব প্রশ্ন। ইতিমধ্যে অসংখ্য গবেষণার ফলাফলের মধ্য দিয়ে যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাতে করে এসব প্রশ্ন আর ওঠার কথাই নয়, এবং প্রথম দিকে যাও বা কিছু ধোঁয়াশা ছিল, সেগুলোও আজ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে এসেছে। যদি সত্যি সত্যি জানার ইচ্ছে থাকে, তাহলে এগুলো জেনে ফেলা আজকের দিনে খুব কঠিন নয়। তবু অ্যান্টি-ভ্যাক্সাররা এসব প্রশ্ন করে যান, কারণ, প্রথমত এসব গবেষণা পড়ে বোঝার ক্ষমতা তাঁদের নেই (ভ্যাকসিনের এফিকেসি কাকে বলে সেটাই এঁরা জানেন না), এবং দ্বিতীয়ত, ভুয়ো প্রচারটাই যেখানে উদ্দেশ্য, সেখানে তাঁরা এসব পড়ে বোঝার কষ্ট কেনই বা স্বীকার করবেন! সর্বোপরি, তাঁরা জানেন, ওয়াকিবহালরা মিথ্যে ধরে ফেললেও, যাঁরা এখনও তত বেশি ওয়াকিবহাল নন তাঁদেরকে সব সময়েই ঠকানো যায়। 
     
    এইসব প্রশ্নগুলোর মধ্যে প্রতারণামূলক উদ্দেশ্যে গুছিয়ে তোলা কিছু অর্ধসত্য আছে (আর, নির্জলা মিথ্যে তো আছেই, যেমন অতিমারির সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হয়েছে)। উদাহরণ দিই। যেমন, এতগুলো কোম্পানির তৈরি এতগুলো ভ্যাক্সিনের এত এত সব 'ট্রায়াল'-গুলোর পাহাড়প্রমাণ কাঁচা-তথ্য সত্যিই আজও প্রাপ্য নয়, এবং একশো শতাংশ স্বচ্ছতার খাতিরে কেউ ওই তথ্যগুলো দাবি করতেই পারেন। কিন্তু, এই অপ্রাপ্যতাটাকেই যিনি ভ্যাকসিনের অকার্যকারিতার প্রমাণ হিসেবে হাজির করবেন তিনি হয় উন্মাদ নয় জোচ্চর (কিম্বা দুটোই), কারণ, গণটিকাকরণের সমীক্ষাজাত বিপুল পরিমাণ তথ্যের বিশ্লেষণে সব ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সন্দেহাতীতভাবেই প্রমাণিত হয়েছে। যদি ট্রায়ালের নামে কারচুপি করে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার মিথ্যে ফলাফল বানিয়ে নেওয়া হত (এবং/অথবা তার সম্ভাব্য কোনও কুফলের কথা চাপা দেওয়া হত), তাহলে গণটিকাকরণে বড়সড় বিপর্যয় ঘটে যত, যা চাপা দেওয়া অসম্ভব। কোম্পানিদের কর্তারা নিতান্ত পাগল না হলে তা করবেন না, কারণ, ওই ধরনের গণ্ডগোল কোম্পানিকে চিরকালের মত লাটে তুলে দিতে পারে। এবং, কোম্পানিরা প্রত্যেকেই অন্যের প্রতিদ্বন্দী, কাজেই, একটির কাজকর্মে গণ্ডগোল থাকলে অন্য সকলেই সে দিকে আঙুল তুলবে (আর, অ্যাকাডেমিক্স তো তুলবেই)। 
     
    এখন এত সব সত্ত্বেও, কেউ বলতেই পারে যে, সব কোম্পানির সব বিজ্ঞানী, সমস্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রশাসনিক এবং স্বাস্থ্য সংস্থা, সমস্ত সরকার-পোষিত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা সংস্থা, গণমাধ্যম --- সবাই মিলেই এক বিরাট ষড়যন্ত্রে নেমেছে। যদি বলে, তাহলে তার সঙ্গে আর যুক্তিতর্ক করে লাভ নেই। তার বদলে বরং বলা দরকার, অত বড় মাপের একটি তত্ত্ব ফাঁদবার চেয়ে এইটা মেনে নেওয়া সোজা যে, আপনি একটি আধপাগলা জোচ্চর। 
     
    কাজেই, যাঁরা সত্যিকারের অনুসন্ধিৎসু, তাঁদেরকে ওয়াকিবহাল করবার জন্য বরং সময় ও পরিশ্রম ব্যয় করুন। আর, জোচ্চরদেরকে মেডিক্যাল সায়েন্স শেখাবার জন্য বৃথা চেষ্টা না করে বরং এইটা শেখাবার চেষ্টা করুন যে, জোচ্চুরির ফলাফল তিক্তও হতে পারে। 
  • Debasis Bhattacharya | ২৮ জুলাই ২০২২ ০২:১২510436
  • অনেকেই দেখলাম, বেশ গুরুত্ব দিয়ে তথ্য-যুক্তি সহকারে অ্যান্টি-ভ্যাক্সারদের 'প্রশ্ন'-গুলোর জবাব দেবার চেষ্টা করছেন। তাঁদেরকে শন্যবাদ দিয়েও দুঃখের সঙ্গে বলি, এটা পুরো পণ্ডশ্রম হচ্ছে কিন্তু! এর মধ্যে বেশির ভাগই আসলে প্রশ্ন নয়, 'কোভিড ভ্যাক্সিন নিলে ক্যানসার থেকে হার্ট অ্যাটাক অবধি সব কিছু হয়ে মারা যাবেন' গোছের বিকৃতমস্তিষ্ক প্রলাপ। আর, যে দুয়েকটাকে অনেকটা রিগরস 'প্রশ্ন' গোছের কিছু একটা বলে মনে হচ্ছে, সেগুলো আসলে সুপরিকল্পিত মিথ্যে প্রচারের উদ্দেশ্যে তৈরি মেটিরিয়ালের অন্ধ কপি-পেস্ট (এই গুরু-তেই এই রকম একটি মেটিরিয়ালকে প্রায় প্রতিটি বাক্য ধরে ধরে উন্মোচন করেছিলাম)। কোভিড রোগটা আদৌ সাধারণ ফ্লু থেকে বেশি মারাত্মক কিছু কিনা, ভ্যাকসিন দিয়ে আদৌ কোনও উপকার হয় কিনা, আরটিপিসিআর পরীক্ষার আদৌ কোনও ভিত্তি আছে কিনা, ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে তথ্যের কারচুপি হয়েছে কিনা, লকডাউন করে কোনও লাভ হয়েছে কিনা, কোভিড-কে অতিমারি বানাতে 'অতিমারি' জিনিসটারই সংজ্ঞার পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা --- এইসব প্রশ্ন। ইতিমধ্যে অসংখ্য গবেষণার ফলাফলের মধ্য দিয়ে যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাতে করে এসব প্রশ্ন আর ওঠার কথাই নয়, এবং প্রথম দিকে যাও বা কিছু ধোঁয়াশা ছিল, সেগুলোও আজ অনেকটা পরিষ্কার হয়ে এসেছে। যদি সত্যি সত্যি জানার ইচ্ছে থাকে, তাহলে এগুলো জেনে ফেলা আজকের দিনে খুব কঠিন নয়। তবু অ্যান্টি-ভ্যাক্সাররা এসব প্রশ্ন করে যান, কারণ, প্রথমত এসব গবেষণা পড়ে বোঝার ক্ষমতা তাঁদের নেই (ভ্যাকসিনের এফিকেসি কাকে বলে সেটাই এঁরা জানেন না), এবং দ্বিতীয়ত, ভুয়ো প্রচারটাই যেখানে উদ্দেশ্য, সেখানে তাঁরা এসব পড়ে বোঝার কষ্ট কেনই বা স্বীকার করবেন! সর্বোপরি, তাঁরা জানেন, ওয়াকিবহালরা মিথ্যে ধরে ফেললেও, যাঁরা এখনও তত বেশি ওয়াকিবহাল নন তাঁদেরকে সব সময়েই ঠকানো যায়। 
     
    এইসব প্রশ্নগুলোর মধ্যে প্রতারণামূলক উদ্দেশ্যে গুছিয়ে তোলা কিছু অর্ধসত্য আছে (আর, নির্জলা মিথ্যে তো আছেই, যেমন অতিমারির সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হয়েছে)। উদাহরণ দিই। যেমন, এতগুলো কোম্পানির তৈরি এতগুলো ভ্যাক্সিনের এত এত সব 'ট্রায়াল'-গুলোর পাহাড়প্রমাণ কাঁচা-তথ্য সত্যিই আজও প্রাপ্য নয়, এবং একশো শতাংশ স্বচ্ছতার খাতিরে কেউ ওই তথ্যগুলো দাবি করতেই পারেন। কিন্তু, এই অপ্রাপ্যতাটাকেই যিনি ভ্যাকসিনের অকার্যকারিতার প্রমাণ হিসেবে হাজির করবেন তিনি হয় উন্মাদ নয় জোচ্চর (কিম্বা দুটোই), কারণ, গণটিকাকরণের সমীক্ষাজাত বিপুল পরিমাণ তথ্যের বিশ্লেষণে সব ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সন্দেহাতীতভাবেই প্রমাণিত হয়েছে। যদি ট্রায়ালের নামে কারচুপি করে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার মিথ্যে ফলাফল বানিয়ে নেওয়া হত (এবং/অথবা তার সম্ভাব্য কোনও কুফলের কথা চাপা দেওয়া হত), তাহলে গণটিকাকরণে বড়সড় বিপর্যয় ঘটে যত, যা চাপা দেওয়া অসম্ভব। কোম্পানিদের কর্তারা নিতান্ত পাগল না হলে তা করবেন না, কারণ, ওই ধরনের গণ্ডগোল কোম্পানিকে চিরকালের মত লাটে তুলে দিতে পারে। এবং, কোম্পানিরা প্রত্যেকেই অন্যের প্রতিদ্বন্দী, কাজেই, একটির কাজকর্মে গণ্ডগোল থাকলে অন্য সকলেই সে দিকে আঙুল তুলবে (আর, অ্যাকাডেমিক্স তো তুলবেই)। 
     
    এখন এত সব সত্ত্বেও, কেউ বলতেই পারে যে, সব কোম্পানির সব বিজ্ঞানী, সমস্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রশাসনিক এবং স্বাস্থ্য সংস্থা, সমস্ত সরকার-পোষিত বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা সংস্থা, গণমাধ্যম --- সবাই মিলেই এক বিরাট ষড়যন্ত্রে নেমেছে। যদি বলে, তাহলে তার সঙ্গে আর যুক্তিতর্ক করে লাভ নেই। তার বদলে বরং বলা দরকার, অত বড় মাপের একটি তত্ত্ব ফাঁদবার চেয়ে এইটা মেনে নেওয়া সোজা যে, আপনি একটি আধপাগলা জোচ্চর। 
     
    কাজেই, যাঁরা সত্যিকারের অনুসন্ধিৎসু, তাঁদেরকে ওয়াকিবহাল করবার জন্য বরং সময় ও পরিশ্রম ব্যয় করুন। আর, জোচ্চরদেরকে মেডিক্যাল সায়েন্স শেখাবার জন্য বৃথা চেষ্টা না করে বরং এইটা শেখাবার চেষ্টা করুন যে, জোচ্চুরির ফলাফল তিক্তও হতে পারে। 
  • রেফারেন্সওয়ালা | 2607:b400:2:ef40::***:*** | ২৮ জুলাই ২০২২ ০২:৩৭510438
  • দেবাশিস-বাবু, আমি প্রথমে ভেবেছিলাম কিছুই লিখবো না, কারণ এ তো ছায়ার সাথে কুস্তির থেকেও বেকার কাজ। তারপর একলা বসে ঝিম্‌ঝিমিয়ে হটাৎ গেলাম ক্ষেপে! মনে হলো আর কিছু না হোক, এই সব প্লট/রেফারেন্স এক জায়গায় থাক। লোকে দেখুক! যুক্তি আর কুযুক্তি পাশাপাশি সাজানো থাক। টই তো তালতলার চটির মতই অবিনশ্বর, কাজেই থেকে যাবে :D 
     
    আর কী জানেন তো? সব জায়গায় এদের একটু করে করে ছাড় দিতে দিতে ধৈর্য্যের সীমা পেরিয়ে গেছে। 
  • | 2405:8100:8000:5ca1::62:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২২ ০৭:০৭510441
  • দেবাশিস চমৎকার লিখেছেন। যারা ভ্যাকসিনে বিশ্বাস করে না তারা ভগবানেও বিশ্বাস করবে না। এরা জোচ্চোর বললে কম বলা হয়, এরা মানবতার শত্রু। যুক্তিতর্কের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্যি কথা বললেন।
  • | 2405:8100:8000:5ca1::62:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২২ ০৭:০৭510440
  • দেবাশিস চমৎকার লিখেছেন। যারা ভ্যাকসিনে বিশ্বাস করে না তারা ভগবানেও বিশ্বাস করবে না। এরা জোচ্চোর বললে কম বলা হয়, এরা মানবতার শত্রু। যুক্তিতর্কের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সত্যি কথা বললেন।
  • π | ২৮ জুলাই ২০২২ ০৮:১১510443
  • উত্তর/রেফারেন্সওয়ালা কে অনেক ধন্যবাদ!  এমন এমন সব যুক্তির চালুনি,  সময়াভাবে কিছুই লেখা হচ্ছেনা, কিন্তু কিছু পোস্টে খুবই সুন্দরভাবে বোঝানো দেখলাম।
     
    গুলিয়ে আর ঘেঁটে দেওয়া কাকে বলে, আন্টিভাক্সার আর আন্টিমাস্কারদের দেখে শিখতে হয়!  এরকম বীরত্ব দেখানো কতজন প্রাণ দিলেন বা যমে মানুষে হল, দেখার পরেও? 
     
     
  • উত্তান বন্দ্যোপাধ্যায় | 43.25.***.*** | ২৮ জুলাই ২০২২ ০৯:৫৪510447
  • যারা মানবাধিকারের ব্যাপারগুলো সমন্ধে ইচ্ছেকরেই কনসার্নড হচ্ছেন না বা পাশ কাটাচ্ছেন , কারণটা সবথেকে বেশি তারা জানেন ; অথচ তারাই দাবিদার বিজ্ঞান,যুক্তিবাদ ও জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের মুখ ; তবে, কোভিড নিয়ে fundamental political queries গুলো এড়িয়ে শ'য়ে শ'য়ে charts and models এর‌ outcome পেশ করে 'কি বলতে না চাওয়ার জন্য' মুখ ঢাকছেন ,অথচ নানান খাপে ও খোপে খুব বেশী কথা বলে নিজেদের মুখগুলোকে লুকিয়ে থাকেন ,সেই অডিয়েন্স থেকে এবার বোধহয় মন বলছে, চলে আসতে হবে। পাল্টা ১০ টা ম্যাথামেটিকেল মডেল ও চার্ট, তার পাল্টা আরো শতখানেক পীয়র রিভ্যিউ তে লেখাজোকার পেশ - এসবগুলো বোধহয় বুঝি কম বা জানি কম বলেই অনেকে ভেবে ফেলেছেন । কী ঊর্বর আত্মশ্লাঘা !
     
    নিজেদের সংগঠনের  চাপ সামলাতে হতাশ হয়েই নিজেদের পিঠ নিজেরা চুলকিয়ে নিজেদেরই শিক্ষিত নিজেরাই বানাবার প্রতিধ্বনি র রূপ হচ্ছে ঐ ভাষাগুলো - 'এসব পড়ে বুঝবে নাকি' , 'জোচ্চোর' - বাহ্ , বিশুদ্ধ সাংষ্কৃতিক ভাষা!  নিজেরাই সংষ্কৃতমনা এইসব ভেবে বারংবার নিজেদেরকে শোধন করার চেষ্টা করেন। আরো কাঁচা ভাষা তাই প্রয়োগ করতে সাহসী হন। 
     
     
     
     
  • জুতো বোস | 156.146.***.*** | ২৮ জুলাই ২০২২ ১১:৩৪510449
  • করোনা হল আরামি মধ্যবিত্তর শখের রোগ। ফ্ল্যাটের মধ্যে মাস্ক পরে বসে, স্যানিটাইজার দিয়ে সবজি ধুইয়ে তারপর করোনায় কোঁকায়।
     
    গরীব বা খেটে খাওয়া মানুষ, যাদের স্যানিটাইজার কেনার পয়সা নেই, সারাদিন বাড়ি বসে টিভি দেখে ভয় পাওয়ার সময় নেই, আর সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স পালন করার ধৈর্য নেই, তাদের করোনা-ফরোনা হয় না। কিন্তু এদের তো কোনভাবে মারতে হবে (কারণ সেটাই তো আসল উদ্দেশ্য)।  তার জন্য লকডাউন। আর এখন তো এরা ভ্যাকসিনেও মরছে। কারণ ফ্ল্যাটবাড়ির প্রগতিশীল বাবু-বিবিরা ভ্যাকসিন না নিলে কাজের লোককে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
  • dc | 2401:4900:1cd1:a2a6:1d9e:fe2a:b5be:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২২ ১২:২০510452
  • যিনি কোভিড ​​​ভ্যাক্সিন সংক্রান্ত নানান তথ্য, রেফারেন্স ইত্যাদি দিলেন, তাঁকে ধন্যবাদ। তবে আমার মনে হয় এগুলো নিয়ে মাঝে মাঝে টই খুলে বিস্তারিত লিখে রাখা যেতে পারে, যেমন ডঃ জয়ন্ত বাবু করেছেন। 
     
    অ্যান্টি ভ্যাক্সারদের সাথে এনগেজ করার কোন মানে হয়না, তর্কটা সেভাবে তৈরি করাও ঠিক না, কারন অ্যান্টি ভ্যাক্সারদের নিজেদের অ্যাজেন্ডা থাকে। আর ওনাদের নিজেদের কিছু চেরি পিকড বা এ-প্রায়োরি কনজেকচার থাকে যেগুলো নন-ফলসিফায়েবল হয়। তার থেকে একটা টই খুলে সঠিক তথ্য, বিতর্কের জায়গা ইত্যাদি গুলো জড়ো করে রাখলে ক্লাটারও কমে। ​​​​​​​
  • Debasis Bhattacharya | ২৮ জুলাই ২০২২ ১২:৩২510453
  • রেফারেন্সওয়ালা,
     
    আমাকে ভুল বুঝবেন না। এখানে যে সমস্ত পরিশ্রমী আর্গুমেন্ট এবং নানা ধরনের উপস্থাপনা সহযোগে তথ্য, রেফারেন্স এইসব দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর কোনও মূল্যই নেই --- এমন আমি বলতে চাইনি। আমি শুধু বলতে চেয়েছি, যাদেরকে কনভিন্স করানোর জন্য এসব হাজির করছেন, তাদের সঙ্গে যুক্তিতর্ক বৃথা। অবশ্য, এ থ্রেডে তো শুধু তারা নেই, অনেকেই আছে। এবং, যারা এখানে কথা বলছে, তাদের কয়েকগুণ লোক হয়ত এ থ্রেড নীরবে পড়ছে। ফলে, বেশ কিছু অনুসন্ধিৎসু মানুষের কাছে সত্যকে পৌঁছে দেওয়া গেছে, এ আশা করা যায় বইকি। 
     
    কিন্তু, অতিমারি ও তার নিরাময় বিষয়ক বৈজ্ঞানিক সত্যকে পৌঁছে দেওয়াটা যেমন একটা কাজ, তেমনি যারা পরিকল্পিতভাবে মিথ্যে প্রচার করে মানুষের বোধবুদ্ধি ঘুলিয়ে দেবার চেষ্টা করবে তাদেরকে হতাশ করাটাও একটা কাজ, না হলে সত্যকে পৌঁছে দেওয়া ভয়ঙ্কর কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। 
     
    এমনিতে, এই পোস্ট-টি সফলই হয়েছে বলতে হবে। উনিশ তারিখে এটি প্রকাশিত হবার পরে প্রথম দিন পাঁচেক এটা খুব বেশি প্রচার পায়নি, বরং অ্যান্টি-ভ্যাক্সারের দল এর থ্রেড-টি জঞ্জালে ভর্তি করে দেবার চেষ্টা করে। পাল্টা আক্রমণ শুরু হতেই এর শেয়ার দ্বিগুণ হয়েছে, পাঠক সংখ্যা সাড়ে তিনগুণ হয়েছে, এবং মন্তব্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে বারো-তেরো গুণ (তার একটা বড় অংশই জঞ্জাল, তবু মোদ্দা ব্যাপারটা ইতিবাচক)। 
     
    সংগঠিত ভুয়ো প্রচারকের দল তেড়ে এসেছিল, কিন্তু শেষমেশ ব্যর্থই হয়েছে।
     
    হ্যাঁ, আমি আনন্দিত বইকি! 
  • ja | 2405:8100:8000:5ca1::248:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২২ ১২:৩২510454
  • বিতর্ক আবার কিসের? ভ্যাকসিন সত্য ও সর্বশক্তিমান। বাকি সব নিজেদের অ্যাজেন্ডা। পিরিয়ড।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন