তা দ্যাখেন, অরিজিৎ আর গান্ধী বিদেয় নেবার পরে জেনুইন ফুটবল এন্থুসিয়াস্টরা গুরুতে নেই। এদিকে ইউরো ( ১ বছর দেরীতে ) শুরু হবে শুক্কুর / শনিবার থেকে । এবারে আছে ছটা গ্রুপ।
এ ঃ টার্কি, ইটালি, ওয়েলস, সুইজারল্যান্ড।
বিঃ ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, রাশিয়া
সিঃ হল্যান্ড, ইউক্রেন, অস্ট্রিয়া, উত্তর ম্যাসিডোনিয়া
ডি: ক্রোয়েশিয়া, চেক রিপাবলিক, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড।
ই ঃ পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, স্পেন, সুইডেন ।
এফঃ হাঙ্গেরি, পর্তুগাল , ফ্রান্স, জার্মানি
প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতি গ্রুপ থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল উঠবে। এছাড়া তৃতীয় স্থানাধিকারীদের মধ্যে প্লে অফ হয়ে আরো চারটে দল। মোট ষোলোটি।
নিন প্রেডিক্ট করুন।
হুঁ
যীশু ভক্তের কথা শুনলো না। জালিম দুনিয়া।
ইংল্যান্ড আজ ভালো খেলেছে। ৫৫ বছর বাদে জার্মানিকে হারিয়েছে। শুধু তাই নয়, এক সময় দেখলাম জার্মানির এক ডিফেন্ডার ইংল্যান্ডের এক খেলোয়াড়কে আটকানোর জামা ধরে টানছে। কালকের ঐ দুটো ম্যাচের পরে ভেবেছিলাম আজ ইংল্যান্ড-জার্মানি ম্যাচ খুব পানসে টাইপের হবে, তা হয় নি।
ওদিকে, সুইডেন ইউক্রেন ম্যাচটাও ভালো হয়েছে। সুইডেনের এমিল ফোর্সবার্গ একটা গোল দিয়েছে, আরও একটা অসাধারণ শট ক্রশবারে আটকে গেল। অবশ্য ইউক্রেনের একটা প্রায় শিওর শট সাইড বারে আটকে গেছে।
কাল বেলজিয়াম আর সুইজারল্যান্ডকে সাপোর্ট কচ্ছিলাম, আজ ইংল্যান্ডকে কর্ব।
আজ স্পেনের খেলা ভালো লাগলোনা। ইতালি বেশ ভালো খেলছে, দেখতেও ভালো লাগছে।
আজকেও সায়েব রা থেকে গেল মনে হচ্ছে
সায়েবরা মোমেন্টাম পেয়ে গেছে। এমনকি হ্যারিকেনও একাধিক গোল দিচ্ছে। সেটা অবিশ্যি সম্ভব হয়েছে "ছিলো ইউক্রেন হয়ে গেলো সোনালীশিবির " এই ঘটনার ফলে । এমনিতে গ্রেলিশ, ফোডেন, মাউন্ট আর স্টার্লিং যে দলে খেলছে, তাদের হাল্কা না নেওয়াই ভালো।
ডেনমার্কের খেলা ভালো লাগলো। যেমন লিভার তেমনই ফিভার। দ্বিতীয় গোলের সেন্টারটা অসামান্য। এই লেভেলে খেলতে পারলে ইংল্যান্ডের কপালে দুঃখ না থাকলেও চাপ আছে। অস্ট্রিয়া বড্ড বেশি শিক (উচ্চারণডা কি শুদ্ধ হইলো?)নির্ভর মনে হলো।
ছড়িয়েছি। ওটা অস্ট্রিয়া নয়, চেক রিপাব্লিক ।
শিক ঠিক আছে, একটা ই আছে উচ্চারণে কোথাও, আবাপ ওটা ভালো করে লিখে দেবে।
ইউক্রেন সেকেন্ড গোলটা খেয়ে ঘেঁটে গেল।
ডেনমার্কের সেকেন্ড গোলের সেন্টার আমিও মনে রেখেছি। ওরাও যদি ইংল্যান্ডকে হারাতে না পারে খুবই দুঃখ পাব।
ডেনমার্ক - ইংল্যান্ড হাড্ডাহাড্ডি খেলা হবে। ইউক্রেন- এর কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার কথা নয়, রেড কার্ড দেখে ১০ জনে খেলতে না হলে সুইডেনই জিতত
ইতালি-র খেলা দেখে বেশ চমকেছি। অনেক দিন বাদে ফুটবল দেখছি, ইতালি বরাবর ডিফেন্সিভ খেলে বলেই জানতাম। এ এক অন্য ইতালি
কাল তো ইংল্যান্ড ভালৈ খেললো। রাইট আউট (সাকা ) অসম্ভব স্পিড।
যাক একটা জিতুক। চিরকেলের আন্ডারডগ।
সায়েবরা জিতলে আর কান পাতা যাবে না আস্ফালনে। হারিকেন হয়ে উঠবে বিশ্বের সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকার, রহিমবাবুকে মেসি রোনাল্ডোর সমকক্ষ ধরা হবে ইত্যাদি। তবে আমি পিকফোর্ডের খেলায় যাকে বলে ইম্প্রেস্ড।
ডেনমার্ক কেমন যেন দাঁড়িয়ে গেল। হ্যাঁ ইংল্যান্ড ভালো খেলেছে।
ইংল্যান্ড অসম্ভব ভালো খেলেছে।ডেনমার্ক কে সেকেণ্ড হাফে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল।টোটাল টিমটাই ভালো খেলেছে ।স্টার্লিং বেস্ট। সব থেকে ভালো লেগেছে সাউথ গেট এর গেম প্ল্যা্নিিিংং।
লং পাসে খেলার স্টাইলে বদল এনেছে।মনে হচ্ছিল টিকি টাকা চলছে।
ইংল্যান্ড জিতলে অবাক হবো না। দুটো টিম ই আমার ফেভারিট। মস্তিষ্ক বলছে ইতালি জিতবে,হৃদয় বলছে ইংল্যান্ড।
স্টার্লিং ভালো খেলছে। ওর ড্রিবলিং আর স্পিড খুবই দৃষ্টিনন্দন। ফাইনাল ইন্টারেস্টিং হবে। কিন্তু ইতালি অনেক বেশি প্রতিভাবান দল, ধারে এগিয়ে। কালকের পেনাল্টিটা থেকে গোল হয়না, এই নিয়মটা পাল্টানো উচিত। কতবার সেভ করবে রে বাবা !
সুইজারল্যান্ড, ইউক্রেন, চেক রিপাবলিকের খেলায় আমি হতাশ। বিশেষ করে ফ্রান্স থাকলে আরো দুয়েকটা জোরালো লড়াই দেখা যেত।
আমি সেশ ৬০ মিনিট দেখেছি, স্টার্লিং-কে সবচেয়ে ভাল লাগল। ওর পায়ে বল পড়লেই মনে হচ্ছিল কিছু একটা হবে
সায়েবরা ঘরের মাঠে হেরেছে। 2 মিনিটে গোল দিয়ে ধরে রাখতে পারেনি, ইন ফ্যাক্ট পরে আর সেরকম ওপেনও করতে পারেনি। শেষে 3 টে পেনাল্টি মিস। সাউথগেট পেনাল্টি মারতে শিখিয়েছিল বোধয়।
তবে টিমটার ডিফেন্স আর গোলি ভাল। লোকে বলছে আরো পজিটিভ খেলা উচিত ছিল গিভেন গ্রেলিশ বা র্যাশফোর্ডের মত প্লেয়ারকে বসিয়ে রেখে। পরের বিশ্বকাপে চোখ থাকবে এদের দিকে
খারাপ লাগছে শাকার জন্য। এর দিকেও নজর রাখুন।
এদিকে ইংল্যান্ড সাপোর্টাররা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে মারদাঙ্গা করে বেড়াচ্ছে। ট্যুইটার ছেয়ে গেছে ওদের মারামারির ক্লিপিংসে। এই কারণে ইংল্যান্ড দলটাকে দুচোক্ষে দেখতে পারি না।
সাকা খুব ভালো খেলবে, দারুণ স্পিড, টাচ। ইংল্যান্ড দলটাকে আমিও দুচক্ষে দেখতে পারিনা কিন্তু কয়েকটা ভালো প্লেয়ার আছে নতুনদের মধ্যে। কাগুজে বাঘ না।
আজকে খেলা দেখার সময় এই কথাই হচ্ছিল - সব কটা ভারতীয় ইতালিকে সমর্থন করছে - বাকিরা বলছে কেন, ভারতে বৃটিশ শাসন ছিল বলে? আমরা বললাম না, বৃটিশ মিডিয়া আর সমর্থকদের দুচক্ষে দেখতে পারি না।
ভালো কথা, আর্জেন্টিনা জেতার পরে দমুদি কোপা আমেরিকা নিয়ে একটাও বাইট দেয় নি। খেয়াল করেছি।
কাল ইংল্যান্ডের লজ্জা করলো না ওই 19 বছরের ছেলেটাকে শেষ পেনাল্টিটা নিতে বলল। ও তো জীবনে পেনাল্টি নেয় নি। বড় বড় প্লেয়ার রা কি করছিল ? আর 119 মিনিটে সঞ্চও আর কাকে যেন একটা নামাল, ওরা তো পেনাল্টির আগে অব্দি বল ই পায়ে পায়নি। এরকম সাব করা কি আদৌ উচিৎ ?
তবে কাল মন ভরিয়ে দিয়েছে ইতালি। দারুন খেলেছে। চেলিনি আর বো নু চ্চি দারুণ। চেলিনি র তো পরের মাসে 37 হবে, ভাবা যায়। ইংল্যান্ডের থোঁতা মুখ ভোঁতা করে দেওয়ায় যারপরনাই আনন্দিত। তবে ওদের নির্ধারিত সময়েই জিতে যাওয়া উচিৎ ছিল। পেনাল্টি টা খুব বড় ব্যাপার। কেউ পর পর দুটো ম্যাচ পেনাল্টি তে জেতে নি। ইউরো তে। ইতালিয়ান রা বেশ চাপহীন ছিল। মজা করে খেলছিল। ভালো লেগেছে।
মানচিনি র বদল গুলো একদম ঠিকঠাক ছিল। বিশ্বকাপ এর যোগ্যতা অর্জন না করতে পারা টিম কে ইউরো জেতানো সত্যিই কৃতিত্বের। ইতালি পুরো টিম গেম খেলেছে। স্পিনায্যলা থাকলে আরো ভালো হতো।
একটা জিনিস দেখে খুব অবাক হলাম। ইতালিয়ান কিপার দনুরোমা নাকি ক্লাবহীন। আশা করি এইবার পেয়ে যাবে। ও তো প্লেয়ার অফ দা টুর্নামেন্ট ও হয়েছে। তবে এই বিষয়ে কোপার সাথে ইউরোর মিল আছে। দুটোর বেস্ট প্লেয়ার এরই এখন ক্লাব নেই। তবে আশা করি লিও মেসি বার্সা তেই আসবে।
হ্যাঁ সাকা, র্যাশফোর্ড, স্টার্লিং, ফোডেন, মাউন্ট, গ্রেলিশ এরা খুবই ভালো প্লেয়ার। লিনগার্ডও লিগে খুব ভালো খেলেছে, সাউথগেট কেন নেয় নি কে জানে?
ইটালির খেলা এই প্রথম দেখলাম। সেকেন্ড হাফে যা খেলছিলো, তাতে খেলাটা পেনাল্টি অবধি যায় না। ইংল্যান্ড ভেবেছিলো বাস পার্ক করে জিতে যাবে , সেটা হয় নি। আর অন্য দেশের মাঠে, যেখানে ৯০% সাপোর্টার অন্য দিকে , সেখানে ২ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ বার কর , খেলার উপরে খুব উঁচু লেভেলের দখল ছাড়া হয় না ।
বিশ্বকাপের দিকে চোখ থাকবে।
গান্ধীকে বড্ড মিস করছি। একেবারে আঁখো দেখা হাল বলতে পারতো।
ভাল লেখা। এখানে থাক।