এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • অরিন | 119.224.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ০০:০৬542656
  • শ্রীমল্লার, "দূরে কোথাও আগুন লেগেছে, গাঢ় ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকেছে। ... "
    পড়ে মনে হল এ আপনার precognitive dream। মেটাফর কিছু মনে হয়?
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ০০:০৫542655
  • এইবারে আমাদের ছোটো নদী(২) পড়ুন।

    নদীর ওপর কাঠের কালো পুল
    পুলের নীচে ঘুর্ণি, ঘোলা জল
    নদী আসছে জুমের জমি ঠেলে
    নদী যাচ্ছে শ্মশানঘাট ছুঁয়ে

    নদীর ধারে আখড়া বোষ্টম
    ইঁটের পাঁজা জীর্ণ ক্লাবঘর
    চড়ায় ঠেকা অস্থি, অবশেষ
    অন্ধকারে বেকার যুবদল

    নদীর ধারে রোদ পোহায় স্থির
    পাখনা মেলে শকুন মাংসাশী
    নদীর ঘাটে পাড়ার মেয়ে বৌ
    বিকেলবেলা পা ডুবিয়ে বসে

    পেরোতে গিয়ে কাঠের কালো পুল
    থমকে যায় দুই চাকার বেগ
    এই ধারের আলগা পিছুটান
    ঐ পারের আবছা গম ক্ষেত

    নদীর ধারে প্রেমিক প্রেমিকারা
    নদীর ধারে বল খেলার দল
    বইছে নদী স্থবির ঘোলা স্রোতে
    বসতি আসে নদীর আঙিনায়

    নদীর জলে বইছে খড়কুটো
    নদীর বুকে নদীর কংকাল
    বইছে নদী জুম পাহাড় ঠেলে
    চণ্ডালিনী, শ্মশানঘাট ঘেঁষে।

    নদীর পথে শহর জনপদ
    নদীর পথ রূদ্ধ পদে পদে
    অন্ধকারে ক্লান্ত পথবাসী
    ঘুর্ণি জলে মিশছে হতশ্বাস

    রাত্রি নামে এবং নামে ভোর
    পলির পাঁকে প্রাচীন জলযান
    নদীর জলে মানুষ তার শোক
    ভাসিয়ে দিয়ে ফিরেছে জনপদে

    বিকেল নামে সন্ধ্যে হয়ে আসে
    নদীর ধারে কুমীরডাঙা খেলে
    বালিকা ধরে বাড়ির ধুলোপথ
    কলার ডোঙা মন্দ ঢেউয়ে দোলে

    সাঙ্গ হলে সান্ধ্য টিউশনি
    টাউন ঘেঁষা বালক উড্ডীন
    নদীর ধারে শপথ নিয়ে ফেরে
    ঘুর্ণি জলে শপথ ধুয়ে যায়

    নদীর ওপর কাঠের কালো পুল
    বসত ভাসে, বসত ডুবে যায়
    বসত গড়ে, বসত বেড়ে চলে
    নদীর বুকে ডুব দিয়েছে নদী।

    উজান থেকে আড়বাঁশির সুর
    ভাটির দিকে জোৎস্না বেয়ে আসে
    পাহাড় থেকে আড়বাঁশির সুর
    ধানের বুকে সিক্ত করে দুধ

    নদীর ধার, নদীর বালুচর
    নদীর পলি, মানুষ পাললিক
    উজান ভাটি বসত জনপদ
    নদীর জলে মানুষ ভেসে যায়।

    নদীর জলে জলের পিছুটান
    ছিন্নমূল মানুষ ভেসে আসে
    নদীর পথে জুম পাহাড় ছুঁয়ে
    চণ্ডালিনী, শ্মশানঘাট ঘেঁষে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ০০:০৪542654
  • স্পেসিংগুলো এল না, কী কান্ড!
    আবার দেখি।
    মা নিষাদ
    জয় গোস্বামী

    স্তব্ধতা ফাটে , পাকিয়ে উঠছে ধুলো
    ধূলিস্তম্ভে মেঘযূথ মিশে যায়
    ভূগোল ঘুরছে , ধক ধক করে চুলো
    সূর্য লুপ্ত প্রায়

    সূর্য তো নয় , কাল রাত্রির চাঁদ
    চাঁদ মুখে নিয়ে উড়ে যায় কালোপাখি
    সেই চাঁদকেই বাণে বেঁধে উন্মাদ
    ব্যাধ নামে তাকে ডাকি

    পুরাকালে সে-ই মিথুনাবদ্ধ প্রাণ
    হনন করেছে তীরে আর বল্লমে
    সেই অভিশাপ আজও তাকে দেয় টান
    চাঁদ বাড়ে , চাঁদ কমে

    আদিম অস্ত্র যুগ থেকে টানাটানি
    মুখের খাবার মুখ থেকে কেড়ে খাওয়া
    জিরজিরে গায় বল্কল , কাঁথাকানি
    মাথার ওপরে সূর্য গরম তাওয়া

    বালিতে শুকোয় , সমুদ্রজলে ভাসে
    হতাহত দেহ , ভাঙ্গা রথ , মৃত ঘোড়া
    অস্ত্র মুঠোয় মুখ গুঁজে আছে ঘাসে
    দুজন মানুষ , প্রতিবেশী ছিল ওরা

    প্রতিবেশী , তার জমিটি , আমার চাই
    প্রতিবেশী গ্রাম আমার অধীনে থাক
    প্রতিবেশী রাজা আমাকেই কর দিক
    আমার অস্ত্রে প্রতিবেশী ভয় পাক

    প্রতিবেশীরা কি এই পৃথিবীতে থাকে ?
    তাদের বাতাসে , তাদের রৌদ্রজলে
    আজ যদি বিষ মেশাতে বলি তোমাকে
    মেশাবেই তুমি , ছলে বলে কৌশলে

    সে ষড়যন্ত্র কৌশল লোফালুফি
    উন্নতি করে প্রহরী বসানো ঘরে
    ধীশক্তি মেধা বিজ্ঞান চুপিচুপি
    বুকে হেঁটে গিয়ে মাটিতে গর্ত করে

    গর্তে উনুন , ধক ধক করা চুলো
    চুল্লি মাটিতে দাঁড়িয়েছে একবার
    ছাতার মতন আকাশে ভষ্মধুলো
    পথ নেই পালাবার

    ঢিলের মতন পাখি পড়ে দলেদলে
    তীরে লাফ দিয়ে ওঠে বিষাক্ত জল
    হাজার মাইল কণা কণা ছাই জ্বলে
    হাজার মাইল পুড়ে যাওয়া জঙ্গল

    পোড়া বাড়ি ভাঙ্গা হাড়গোড় ইঁট কাঠ
    স্তূপের পেছনে স্তূপ ওঠা জনপদে
    চুরমার মাটি , দগ্ধশস্য মাঠ
    মানুষ মরেছে , ঘরে দপ্তরে পথে

    মানুষ মরেছে , জন্মেছে আরও আরও
    বাঁকা হাত , ঘোর জড়ভরতের দেহ
    মুখে জিভ নেই , পায়ে হাড় নেই কারও
    জন্তুর মতো হামাগুড়ি দেয় কে ও

    পুরুষের বীজে বিষ এসে মিশে যায়
    নারী ও শস্য ক্ষয়ে যায় পিঠোপিঠি
    হেলিকপ্টার পাক মেরে গর্জায়:
    একতিলও নেই রেডিও অ্যাক্টিভিটি

    তুমি কত সালে জন্মেছ বিজ্ঞানী ?
    কত সালে তুমি জন্মেছ হে শাসক ?
    তোমাদের ঘরে ছেলেপুলে জন্মেছে ?
    ঠিক ঠিক আছে নাক মুখ হাত চোখ ?

    আমাদের আরও জন্মানোর কী বাকি ?
    আছে মাটি থেকে ধান তোলা , তোলা ঘাস
    আছে মাটি থেকে ডালে তুলে দেওয়া পাখি
    গান বাঁধবার নানক তুলসীদাস

    পোড়া গ্রাম দিয়ে তুলসীজী হেঁটে যান
    ঘাটে বসে গান ভাষায় কবীর জোলা
    শ্রীরাম চরিত পথে পথে খানখান
    লালচোখ সাধু , হাতে তলোয়ার খোলা

    ও কবির ভাই , কে তোমার গান শোনে
    কে পাগল বলে বুঝিয়ে দে বুঝিয়ে দে
    ফুটপাথে কারা পড়ে থাকে সারারাত
    ও কার বাচ্চা , খাবার চাইছে কেঁদে ?

    কোন বাচ্চাটা চা-দোকানে সারাদিন
    খেটে যায় , খায় মালিকের থাপ্পড়
    কোন্ মা নিজের ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে
    খদ্দের নেয় রাত্তির থেকে ভোর

    ওদের হালত , থাক ,এরকমই থাক
    ওদের জীবন ঢেলে দাও একখাতে
    দুবেলা দুমুঠো খেতে পাক নাই পাক
    তবু তো অস্ত্র এসেছে আমার হাতে

    অস্ত্র মাটিতে , অস্ত্র আকাশগামী
    দিগন্ত রাঙা অস্ত্রের মহিমায়
    রাঙা অস্ত্রের কিরণ পড়েছে জলে
    গ্রন্থসাহেব নদীজলে ভেসে যায়

    সেই জলে ভাসে বেহুলার মান্দাস
    মশারির নীচে শোয়ানো লখিন্দর
    বিকলাঙ্গ সে , তেজস্ক্রিয়ার বিষে
    থামে মান্দাস , এক ঘাট অন্তর

    একেকটি ঘাটে থমকে একেক যুগ
    নদী সমুদ্রে বিরাট সেতুর ছায়া
    পঙ্গু কামড়ে ধরেছে তোমার বুক
    স্বামী না শ্বাপদ শিশুসন্তান মায়া

    সন্তান আর শস্যের ভার বহে
    তুমি শুয়ে আছো স্তব্ধ বসুন্ধরা
    স্তব্ধতা ফেটে উত্থিত হয় কাল
    মাথায় আকাশ ----মুঠোয় দণ্ড ধরা

    দণ্ডের মুখে গেঁথে আছে ভাঙা চাঁদ
    পায়ের তলায় সমুদ্র আছড়ায়
    কাঁধ ছুঁয়ে আছে পাহাড়ের উঁচু কাঁধ
    রাত্রি লুপ্ত প্রায়

    ভোরবেলা সেই মূর্তিটি নেই আর
    সূর্যপূজারী আকাঙ্খা করে তাপ
    জেন্দ-আবেস্তা খুলে ধরে রোদ্দুরে
    তারও পৃষ্ঠায় তেজস্ক্রিয়ার ছাপ

    ভূগোল ঘুরছে , নদীপথ গিরিশিরা
    বাঁকে বাঁকে ঘোরে মর্টার মেশিনগান
    মাটির তলায় মাটি হয় ইহুদীরা
    গনহত্যার কবরে দুলছে ধান

    এই দেশ থেকে ও দেশে সূর্য যায়
    নামাজে বসেছে গরীব মুসলমান
    তার সাদাটুপি শান্তির পারাবত
    তার খাওয়া হলে , ঈশ্বর জল খান

    কে হিন্দু ? ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন ?
    এই প্রশ্নের সমুখে তারা খসে
    স্নান করে উঠে কুপিটি জ্বালিয়ে নিয়ে
    নিরন্ন সাধু অন্নসমীপে বসে

    আমরা সবাই অন্নের কাছে আসি
    ঘন্টা বাজছে গ্রামের গির্জে ঘরে
    নৌকোতে ফেরে কেরেলার মাছচাষী
    মা মেরী তোমার জীবন রক্ষা করে

    রক্ষা তো নয় প্রতিরক্ষার খাত
    সে-খাতে গড়ায় যুদ্ধ-আড়ম্বর
    অজন্তা ঘরে কালো হয়ে যাও একা
    হে পদ্মপাণি , অবলোকিতেশ্বর

    হাতের পদ্ম মাটিতে আছড়ে পড়ে
    সে মাটিতে শুধু গহ্বর , গহ্বর
    ফোয়ারার মতো মরুবালু ফুঁসে ওঠে
    ' ছোট বুদ্ধ ' ফুঁসে উঠবার পর

    ঠোঁটে চাঁদ ধরে উড়ে যায় কালো পাখি
    ও মারণাস্ত্র , চাঁদ নয় বাস্তবে
    পুরাকাল থেকে তীর তুলে আছে ব্যাধ
    বোতাম টিপলে পৃথিবী ধ্বংস হবে

    এসো কবি , এসো বাধা দাও , মা নিষাদ
    বলে ওঠো তুমি , ভেঙে যাক উইঢিবি
    দিনের দুপাশে দাঁড়াক সূর্যচাঁদ
    গুহায় জ্বলুক প্রাচীন চিত্রলিপি

    ওই দেখো রাত বইছে গঙ্গাতীরে
    ওই দেখো মাঝি দাঁড় টানে পদ্মায়
    ওই শোনো আমি , আমরা যে কথা বলি
    কীভাবে সেসবই ভাটিয়ালী হয়ে যায়

    ওই দেখো দূরে , থেমে গেছে ধুলোঝড়
    জ্যোৎস্না সাঁতরে শান্তির পায়রাটি
    চালে ফিরে আসে , উঠোনের গম খায়
    গম , ভুট্টার জমিনে আমরা খাঁটি

    ওই যে রাত্রি বইছে যমুনাতীরে
    ওই যে এসেছে আমাদের শ্যাম-রাই
    ওই শুনছো না , ভাঙা মন্দিরে বসে ,
    প্রেম গাইছেন আমাদের মীরাবাঈ l

    অতই সহজ আমাদের মেরে ফেলা ?
    আমাদের পায়ে রাত্রিচক্র ঘোরে
    আমরা এসেছি , মহাভারতের পর
    আমরা এসেছি দেশকাল পার করে

    নিষাদ, তোমার অস্ত্রের মুখে এসে
    আমাদের গ্রাম হোক ধুলো হোক ছাই
    স্তূপাকার ওই ছাইয়ের ভিতর থেকে
    ওঠে নিরস্ত্র , আমরা দেখতে পাই

    তার পশ্চাতে সমুদ্র ফুলে ওঠে
    তার সন্মুখে মেঘে বাজ চমকায়
    সে তোমার হাত মুচড়ে ফেলেছে জলে
    হাতের অস্ত্র মুচড়ে ফেলেছে জলে

    দেখো ওই জলে সূর্য অস্ত যায়
    শতাব্দী ঘোরে ---সূর্য অস্ত যায় ll
  • r2h | 208.127.***.*** | ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ০০:০০542653
  • কবিতা পড়েছি তো!
    মিল কোথায় সেটা বুঝতে চাইছি আরকি।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:৫৯542652
  • আমি কবিতাটা তুলে দিচ্ছি।

    মা নিষাদ
    জয় গোস্বামী

    স্তব্ধতা ফাটে , পাকিয়ে উঠছে ধুলো
    ধূলিস্তম্ভে মেঘযূথ মিশে যায়
    ভূগোল ঘুরছে , ধক ধক করে চুলো
    সূর্য লুপ্ত প্রায়
    সূর্য তো নয় , কাল রাত্রির চাঁদ
    চাঁদ মুখে নিয়ে উড়ে যায় কালোপাখি
    সেই চাঁদকেই বাণে বেঁধে উন্মাদ
    ব্যাধ নামে তাকে ডাকি
    পুরাকালে সে-ই মিথুনাবদ্ধ প্রাণ
    হনন করেছে তীরে আর বল্লমে
    সেই অভিশাপ আজও তাকে দেয় টান
    চাঁদ বাড়ে , চাঁদ কমে
    আদিম অস্ত্র যুগ থেকে টানাটানি
    মুখের খাবার মুখ থেকে কেড়ে খাওয়া
    জিরজিরে গায় বল্কল , কাঁথাকানি
    মাথার ওপরে সূর্য গরম তাওয়া
    বালিতে শুকোয় , সমুদ্রজলে ভাসে
    হতাহত দেহ , ভাঙ্গা রথ , মৃত ঘোড়া
    অস্ত্র মুঠোয় মুখ গুঁজে আছে ঘাসে
    দুজন মানুষ , প্রতিবেশী ছিল ওরা
    প্রতিবেশী , তার জমিটি , আমার চাই
    প্রতিবেশী গ্রাম আমার অধীনে থাক
    প্রতিবেশী রাজা আমাকেই কর দিক
    আমার অস্ত্রে প্রতিবেশী ভয় পাক
    প্রতিবেশীরা কি এই পৃথিবীতে থাকে ?
    তাদের বাতাসে , তাদের রৌদ্রজলে
    আজ যদি বিষ মেশাতে বলি তোমাকে
    মেশাবেই তুমি , ছলে বলে কৌশলে
    সে ষড়যন্ত্র কৌশল লোফালুফি
    উন্নতি করে প্রহরী বসানো ঘরে
    ধীশক্তি মেধা বিজ্ঞান চুপিচুপি
    বুকে হেঁটে গিয়ে মাটিতে গর্ত করে
    গর্তে উনুন , ধক ধক করা চুলো
    চুল্লি মাটিতে দাঁড়িয়েছে একবার
    ছাতার মতন আকাশে ভষ্মধুলো
    পথ নেই পালাবার
    ঢিলের মতন পাখি পড়ে দলেদলে
    তীরে লাফ দিয়ে ওঠে বিষাক্ত জল
    হাজার মাইল কণা কণা ছাই জ্বলে
    হাজার মাইল পুড়ে যাওয়া জঙ্গল
    পোড়া বাড়ি ভাঙ্গা হাড়গোড় ইঁট কাঠ
    স্তূপের পেছনে স্তূপ ওঠা জনপদে
    চুরমার মাটি , দগ্ধশস্য মাঠ
    মানুষ মরেছে , ঘরে দপ্তরে পথে
    মানুষ মরেছে , জন্মেছে আরও আরও
    বাঁকা হাত , ঘোর জড়ভরতের দেহ
    মুখে জিভ নেই , পায়ে হাড় নেই কারও
    জন্তুর মতো হামাগুড়ি দেয় কে ও
    পুরুষের বীজে বিষ এসে মিশে যায়
    নারী ও শস্য ক্ষয়ে যায় পিঠোপিঠি
    হেলিকপ্টার পাক মেরে গর্জায়:
    একতিলও নেই রেডিও অ্যাক্টিভিটি
    তুমি কত সালে জন্মেছ বিজ্ঞানী ?
    কত সালে তুমি জন্মেছ হে শাসক ?
    তোমাদের ঘরে ছেলেপুলে জন্মেছে ?
    ঠিক ঠিক আছে নাক মুখ হাত চোখ ?
    আমাদের আরও জন্মানোর কী বাকি ?
    আছে মাটি থেকে ধান তোলা , তোলা ঘাস
    আছে মাটি থেকে ডালে তুলে দেওয়া পাখি
    গান বাঁধবার নানক তুলসীদাস
    পোড়া গ্রাম দিয়ে তুলসীজী হেঁটে যান
    ঘাটে বসে গান ভাষায় কবীর জোলা
    শ্রীরাম চরিত পথে পথে খানখান
    লালচোখ সাধু , হাতে তলোয়ার খোলা
    ও কবির ভাই , কে তোমার গান শোনে
    কে পাগল বলে বুঝিয়ে দে বুঝিয়ে দে
    ফুটপাথে কারা পড়ে থাকে সারারাত
    ও কার বাচ্চা , খাবার চাইছে কেঁদে ?
    কোন বাচ্চাটা চা-দোকানে সারাদিন
    খেটে যায় , খায় মালিকের থাপ্পড়
    কোন্ মা নিজের ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে
    খদ্দের নেয় রাত্তির থেকে ভোর
    ওদের হালত , থাক ,এরকমই থাক
    ওদের জীবন ঢেলে দাও একখাতে
    দুবেলা দুমুঠো খেতে পাক নাই পাক
    তবু তো অস্ত্র এসেছে আমার হাতে
    অস্ত্র মাটিতে , অস্ত্র আকাশগামী
    দিগন্ত রাঙা অস্ত্রের মহিমায়
    রাঙা অস্ত্রের কিরণ পড়েছে জলে
    গ্রন্থসাহেব নদীজলে ভেসে যায়
    সেই জলে ভাসে বেহুলার মান্দাস
    মশারির নীচে শোয়ানো লখিন্দর
    বিকলাঙ্গ সে , তেজস্ক্রিয়ার বিষে
    থামে মান্দাস , এক ঘাট অন্তর
    একেকটি ঘাটে থমকে একেক যুগ
    নদী সমুদ্রে বিরাট সেতুর ছায়া
    পঙ্গু কামড়ে ধরেছে তোমার বুক
    স্বামী না শ্বাপদ শিশুসন্তান মায়া
    সন্তান আর শস্যের ভার বহে
    তুমি শুয়ে আছো স্তব্ধ বসুন্ধরা
    স্তব্ধতা ফেটে উত্থিত হয় কাল
    মাথায় আকাশ ----মুঠোয় দণ্ড ধরা
    দণ্ডের মুখে গেঁথে আছে ভাঙা চাঁদ
    পায়ের তলায় সমুদ্র আছড়ায়
    কাঁধ ছুঁয়ে আছে পাহাড়ের উঁচু কাঁধ
    রাত্রি লুপ্ত প্রায়
    ভোরবেলা সেই মূর্তিটি নেই আর
    সূর্যপূজারী আকাঙ্খা করে তাপ
    জেন্দ-আবেস্তা খুলে ধরে রোদ্দুরে
    তারও পৃষ্ঠায় তেজস্ক্রিয়ার ছাপ
    ভূগোল ঘুরছে , নদীপথ গিরিশিরা
    বাঁকে বাঁকে ঘোরে মর্টার মেশিনগান
    মাটির তলায় মাটি হয় ইহুদীরা
    গনহত্যার কবরে দুলছে ধান
    এই দেশ থেকে ও দেশে সূর্য যায়
    নামাজে বসেছে গরীব মুসলমান
    তার সাদাটুপি শান্তির পারাবত
    তার খাওয়া হলে , ঈশ্বর জল খান
    কে হিন্দু ? ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন ?
    এই প্রশ্নের সমুখে তারা খসে
    স্নান করে উঠে কুপিটি জ্বালিয়ে নিয়ে
    নিরন্ন সাধু অন্নসমীপে বসে
    আমরা সবাই অন্নের কাছে আসি
    ঘন্টা বাজছে গ্রামের গির্জে ঘরে
    নৌকোতে ফেরে কেরেলার মাছচাষী
    মা মেরী তোমার জীবন রক্ষা করে
    রক্ষা তো নয় প্রতিরক্ষার খাত
    সে-খাতে গড়ায় যুদ্ধ-আড়ম্বর
    অজন্তা ঘরে কালো হয়ে যাও একা
    হে পদ্মপাণি , অবলোকিতেশ্বর
    হাতের পদ্ম মাটিতে আছড়ে পড়ে
    সে মাটিতে শুধু গহ্বর , গহ্বর
    ফোয়ারার মতো মরুবালু ফুঁসে ওঠে
    ' ছোট বুদ্ধ ' ফুঁসে উঠবার পর
    ঠোঁটে চাঁদ ধরে উড়ে যায় কালো পাখি
    ও মারণাস্ত্র , চাঁদ নয় বাস্তবে
    পুরাকাল থেকে তীর তুলে আছে ব্যাধ
    বোতাম টিপলে পৃথিবী ধ্বংস হবে
    এসো কবি , এসো বাধা দাও , মা নিষাদ
    বলে ওঠো তুমি , ভেঙে যাক উইঢিবি
    দিনের দুপাশে দাঁড়াক সূর্যচাঁদ
    গুহায় জ্বলুক প্রাচীন চিত্রলিপি
    ওই দেখো রাত বইছে গঙ্গাতীরে
    ওই দেখো মাঝি দাঁড় টানে পদ্মায়
    ওই শোনো আমি , আমরা যে কথা বলি
    কীভাবে সেসবই ভাটিয়ালী হয়ে যায়
    ওই দেখো দূরে , থেমে গেছে ধুলোঝড়
    জ্যোৎস্না সাঁতরে শান্তির পায়রাটি
    চালে ফিরে আসে , উঠোনের গম খায়
    গম , ভুট্টার জমিনে আমরা খাঁটি
    ওই যে রাত্রি বইছে যমুনাতীরে
    ওই যে এসেছে আমাদের শ্যাম-রাই
    ওই শুনছো না , ভাঙা মন্দিরে বসে ,
    প্রেম গাইছেন আমাদের মীরাবাঈ l
    অতই সহজ আমাদের মেরে ফেলা ?
    আমাদের পায়ে রাত্রিচক্র ঘোরে
    আমরা এসেছি , মহাভারতের পর
    আমরা এসেছি দেশকাল পার করে
    নিষাদ, তোমার অস্ত্রের মুখে এসে
    আমাদের গ্রাম হোক ধুলো হোক ছাই
    স্তূপাকার ওই ছাইয়ের ভিতর থেকে
    ওঠে নিরস্ত্র , আমরা দেখতে পাই
    তার পশ্চাতে সমুদ্র ফুলে ওঠে
    তার সন্মুখে মেঘে বাজ চমকায়
    সে তোমার হাত মুচড়ে ফেলেছে জলে
    হাতের অস্ত্র মুচড়ে ফেলেছে জলে
    দেখো ওই জলে সূর্য অস্ত যায়
    শতাব্দী ঘোরে ---সূর্য অস্ত যায় ll
  • অরিন | 119.224.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:৪৭542651
  • হুতো উবাচ, "তা ধরুন স্টাইল ঘরানা ফ্লেভার যাই বলুন - সবই তো ব্যবচ্ছেদ করা যায়"
    ফ্লেভার অবশ্যই ব‍্যবচ্ছেদ করা যায়। 
     
    ব‍্যবচ্ছেদ তো করাই যায় শুধু নয়, এমনকি খেয়ে ফেলাও যায়। জোরডি রোকা নামে এক ভদ্রলোক পুরনো বইয়ের গন্ধ দিয়ে ডেসার্ট বানিয়ে পরিবেশন করেন (সুকুমার রায়ের "আকাশের গায়ে টক টক গন্ধ" কেস)। 
     
  • r2h | 208.127.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:৪২542650
  • আমার বাবার অভ্যেস ছিল কোন মতানৈক্য হলে সোজা ওয়াক আউট করা। আমার অনুমান ঐটা অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্টের স্ট্র‌্যাটেজি ছিল - ভয়াবহ বদমেজাজ কর ভৌমিক পরিবারের লিগ্যাসি, ঐ করে যৌবনে বাবা একবার এক স্পেশাল ব্রাঞ্চের ছদ্মবেশি গুপ্তচরকে পিটিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে গেছিল।
    সে যাই হোক লম্বা ভ্রমণে দুয়েকদিন কলকাতা বাস উত্তর পূরের লোকেদের জন্য বাঁধা ছিল তখন, তো, ট্রেনে চাপার আগে স্যুটকেসের তালা কিনতে হবে, শিয়ালদা ফ্লাইওভারের নীচের হকার'স মার্কেটে তালাওলা অস্বাভাবিক দাম চাওয়ায় বাবা উল্টোদিকে হাঁটা দিয়েছে। কলকাতার বাজারহাটে তো ওরকম চলে না, সবাই দরদাম করে, তালার দোকানী স্তম্ভিত হয়ে করুন আর্তনাদ করেছিলেন - 'ওঁ দাঁদা কঁতা বলুন না---'। ঐ সুর আমার এখনও মনে পড়ে।

    তো আমারও ঐ কথা, মুকুন্দরাম কুমুদরঞ্জন ঐসব হবে খন, আগে কথা বলে গোস্বামীভাবের নিদানটা খুঁজি!
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:৩৮542649
  • মানে কুমুদরঞ্জনকেই কবিকঙ্কণ বলে দিয়েছিলাম। ঃ-)
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:৩২542648
  • আমি আবার মুকুন্দরামে কুমুদরঞ্জনে গুলিয়ে ফেলে কবিকঙ্কণ বলে দিয়েছিলাম একবার। ঃ-)
  • r2h | 208.127.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:২৭542647
  • তাহলে এখানেই বলুন।
    আর তাছাড়া সে তো আমাকে একজন কুমুদরঞ্জন মল্লিক বলেছেন, আর একজন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন কিন্তু আমি অকুতোভয়! 
    নিন্দে না হলে লেখা ঠিক হবে কী করে?

    এমনিতেও এঁরা নিতান্তই মতামত দিয়েছেন, আমি তো কমপক্ষে পঁচিশবার উপদ্রব না করলে তবে গিয়ে তাকে ট্রোল বলবো!
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:২৩542646
  • ওখানে কিছু বলতেও ইচ্ছে করে না, কবিতার থ্রেডে ট্রোলের উপদ্রব উপস্থিত। প্রশ্রয় পেলে ওরা আরও লাফাবে।
  • r2h | 208.127.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:২২542645
  • না না, বুঝতে পেরেছি, এটা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফিডব্যাক। আর যা বললাম, একটু কাঁটাছেঁড়ার কারন ঘটেছে, তাই এইগুলি জানলে উপকার হবে আমার। তাছাড়া এতদিন ধরে সাপ ব্যাং যাই লিখি, নিজের একটা সাক্ষর তৈরি না হলে আর কী করলাম। তাই জানতে খুবই আগ্রহী।
    এমনিতে নিজের লেখা নিয়ে বেশি কথা বলতে মর্মপীড়ের শক্ত নিষেধ আছে, কিন্তু ঐ যে বললাম একটু কারন ঘটেছে, তাই একটু উদগ্রীব।

    তা ধরুন স্টাইল ঘরানা ফ্লেভার যাই বলুন - সবই তো ব্যবচ্ছেদ করা যায়। তাতে বিষয়, দর্শন, শব্দচয়ন, বাক্যগঠন, ছন্দের ব্যবহার, রূপক ও উপমা ব্যবহারের ধরন, চিত্রকল্পের ব্যবহার - এইসব বেরোয়।
    তো এর কোন পয়েন্টে কী, এইসব জানতে পারলে বোঝা যায় বেশ।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:১৬542644
  • আলাদা করে খুঁটে খুঁটে মিল না, ওভার অল ফ্লেভারটা, স্টাইলটা, ঘরানাটা .... অবশ্য আমার ব্যক্তিগত মনে হওয়া
  • r2h | 208.127.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:১০542643
  • দেখলাম বটে, কিন্তু না, খেয়াল তো করতে পারলাম নাঃ)
    বেশ ঠাহর করে মিল খোঁজার চেষ্টা করলাম, কিন্তু আমার চোখে ধরা পড়লো না। এইবার নিজের লেখার প্রতি বায়াস আছে, তাই পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা প্রবল, তাই আমি কে কী ঘোর অমিল আছে সেগুলির একটা মানসিক লিস্টি বানালাম। 
    একটা কাজ করা যায়, আপনি যদি মিলগুলি লেখেন, আমি আমার চোখে ধরা পড়া অমিলগুলি লিখতে পারি।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:০৫542642
  • হুতেন্দ্র, বাহ, দেখলেন? ব্যাপারটা খেয়াল করলেন?
  • r2h | 208.127.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২২:৫৩542641
    • &/ | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৫৬
    • ...'মা  নিষাদ'...
     
    হ্যাঁ, পড়লাম!
  • শ্রীমল্লার বলছি | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২১:১৯542640
  • প্রথমেই মার্জনা চেয়ে নিই সকলের কাছে এই কারণেই যে, একটু অন্য প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য। ওই ঘুমের মধ্যের স্বপ্ন নিয়েই। কেউ কেউ নিশ্চই বিরক্ত হবেন, কিন্তু আশা করি মার্জনা করবেন শেষমেশ... 
     
    এতদিন ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখে একটা ব্যাপার ভাল ভাবে লক্ষ্য করেছি যে, আমার স্বপ্নগুলো বিভিন্ন অধ্যায়ে বিভক্ত। প্রত্যেকটা অধ্যায়ের আলাদা আলাদা গল্প, আলাদা আলাদা স্বাদ। আজ সকালে ঘুম ভাঙল এমন একটা স্বপ্ন দেখে—
     
    দূরে কোথাও আগুন লেগেছে, গাঢ় ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকেছে। সামনের একটা রাস্তা দিয়ে আগুন এগিয়ে আসছে, যেভাবে হুড়মুড়িয়ে জল ঢোকে, ঠিক সেই ভাবেই। আমি কোনও রকমের ভয় ছাড়াই সেই আগুনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আস্তে আস্তে। এবং আশ্চর্যের বিষয় আমার কিছুই হচ্ছে না। আগুন আমাকে ছুঁতে পারছে না। যেভাবে হাত দিয়ে ধুলো ঝেড়ে ফেলি একইভাবে আমার গায়ে আগুন বসামাত্রই আমি হাত দিয়ে আগুন ঝেড়ে এগিয়ে যাচ্ছি, সেই আগুনের মধ্যেই!।... 
     
    স্বপ্নটা এখানেই ভেঙে যায়। চোখ খুলে ঠিক কী ঘটল, চেষ্টা করছিলাম ভাবার... 
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২১:১৮542639
  • kk | 2607:fb91:4c21:664d:193:fdea:480e:***:*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২১:০৮
    ঠা ঠা করে হাসছি laugh
  • &/ | 107.77.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২১:১৩542638
  • লেকের  কাছে সারস  পাখি  আসে  বলছিলে  না ? সেখানে  ক্ৰৌঞ্চ  আসতে  পারে 
  • kk | 2607:fb91:4c21:664d:193:fdea:480e:***:*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২১:০৮542637
  • অ্যান্ডর,
    কোন ক্রৌঞ্চ আর কোন মা নিষাদ! সবকিছু বুঝতে পারিনা আমি, মাথায় ভূষি ভরা থাকলে যা হয় আর কী!
  • &/ | 107.77.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৫৬542636
  • হুতেন্দ্র , 'মা  নিষাদ'  দেখলেন ?
  • &/ | 107.77.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৫৫542635
  • কেকে , আছো ? জেগে  আছো ?  ক্ৰৌঞ্চ  দু'জনকে দেখলে ?
  • r2h | 134.238.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৪২542634
  • না, লখনৌ বদলায়নি দেখছি!
  • &/ | 107.77.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৪১542633
  • দেখুন  হয়তো  সুলক্ষণা  নাম  দিয়ে  দেবে  কবে  :)
  • b | 14.139.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:৫৪542631
  • লখনউ তো দিব্যি আছেনই । ওদিকে ইউনিভার্সিটি অফ এলাহাবাদ , এলাহাবাদ হাই কোর্ট সবাই নাম কিম্বা পদবী পরিবর্তন ছাড়াই বহাল তবিয়তে আছেন  । 
  • r2h | 165.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:১৫542630
    • :|: |  ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১০:৩১
    • ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ০১:০৬-এর পোস্ট পড়ে... 
      ...চাট্টে বারোকে জিজ্ঞাসা -- "লখনৌ এলাহাবাদ" এখনও আছে? 
     
    ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ০১:০৬- টাইম স্ট্যাম্পে কিন্তু দুটো মন্তব্য আছে!
    তাই তো, এই নামগুলি তো আর সরকারিভাবে নেই! তবে তাতে কী, লোকমুখে আরও বেশ কিছুদিন থাকবে নিশ্চয়।  
  • Manali Moulik | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:৩৯542629
  • অরিনদা
    না ‍তিনটের কোনোটাই নেই। সমাজমাধ‍্যমের সঙ্গে সম্পর্ক খুব কম। 
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৪৮542628
  • অরিনলান, উনি মনে হয় পুরোনো পন্থী লেখক, কৃবু দিয়ে লেখেন বলে মনে হয়না। অবশ্য আজকের দিনে কেউ সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।
  • অরিন | 119.224.***.*** | ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১০:৫৩542627
  • "এখন জাষ্ট লিংকডইন আর ইনস্টা"
    ব্লুস্কাই, থ্রেডস , ম্যাসটোডন এসবের মধ্যে নেই যে! 
    অবিশ্যি থ্রেডস আর ইনস্টা উনিশ বিশ |
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত