দুটো কথা।
1 ভারতের ক্রিমিনাল জুরিসপ্রুদেন্স অনুযায়ী প্রসিকিউশনকে অভিযুক্ত যে সত্যিই অপরাধ করেছে সেটা beyond all reasonable doubt প্রমাণ করতে হবে। সেটা তদন্তকারীর, মানে পুলিশের দায়িত্ব।
নইলে, কেবল সন্দেহের বশে কোন বিচারক কাউকে শাস্তি দিতে পারেন না।
ছেড়ে দিতেই হবে।
কিন্তু মুক্তি দেওয়ার নির্ণয়ও দুরকম।
এক,
বিচারক নিশ্চিত, যে অভিযোগ ফালতু। অভিযুক্ত কোন মতেই অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নন। সেটা সবচেয়ে সম্মানজনক মুক্তি।
দুই, সবদিক থেকে মনে হচ্ছিল অভিযুক্তই অপরাধী। কিন্ত কিছু টেকনিক্যালি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর বা প্রমাণ পূলিশ পেশ করতে অসমর্থ। বা তদন্ত আইন নির্ধারিত পদ্ধতি (due diligence) মেনে হয় নি।
---- এখানে অভিযুক্ত "পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে" মুক্ত হয় বটে, কিন্ত সন্দেহের কালো ছায়া সরে না। যেমন গান্ধীহত্যা ও সাভারকরের কেস।
অথবা পুলিশ ঠিকমত তদন্ত করেনি, জরুরি প্রশ্নের উত্তর খোঁজেনি। গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের আদালতে পেশ করেনি।
সেখানে বিচারক ছেড়ে দিলেও রায়ে পুলিশের তদন্তে গাফিলতির বিষয়ে কটু মন্তব্য করেন।
অবশ্য তাতে কারও কিছু ছেঁড়া গেছে বলে শুনি নি।
দুই,
কম প্রমাণ, বেশি প্রমাণ বলে কিছু হয় না। অপরাধ beyond all reasonable doubt প্রমাণিত হলে তবেই শাস্তি।
তাহলে বিচারক নির্ধারিত শাস্তির মধ্যে কোনটা দেবেন -- সাত বছর, নাকি মৃত্যুদণ্ড -- সেটা কীভাবে ঠিক করেন?
-- বেশ কিছু ফ্যাক্টর বিবেচনা করে।
যেমন, প্রথম অপরাধ নাকি দাগি;
বয়স মানে অল্প বয়েস, সংশোধন হতে পারে নাকি বুড়ো হাবড়া জীবন প্রায় শেষ; কৃত্যটি ঠান্ডা মাথায় করেছে নাকি প্ররোচিত/উত্তেজিত হয়ে, অথবা আত্মরক্ষার জন্য। এছাড়া সমাজে কী প্রভাব পড়বে।
এগুলোকে বলে mitigating factors.
সবশেষে অপরাধটি rarest of the rare nature কিনা।
এটা capital punishment এর জন্য অ্যাসিড টেস্ট।