এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০০:০৯529893
  • আর, নো-ভোট-টু-বিজেপি ঃ এটা ঠিক বুঝতে পারি না, এটা তো বিজেপিকে অ্যাডভানটেজ দিতে পারে, সিম্পল ম্যাথ এর হিসেবে। ধরা যাক, ভোট দাতাদের ৬০% বিজেপি-বিরোধী ভোট দিল, এদের মধ্যে ৩০% দিল তৃণমূলকে আর ৩০% দিল বাম/কংগ্রেসকে। তাহলে বাকি ৪০% ভোট দিয়ে বিজেপি মেজরিটি পেয়ে যাবে !

    এই মুহূর্তে যা অবস্থা, তাতে ক্যাম্পেইন হওয়া উচিত ভোট-টু-বাম-কংগ্রেস । পারফেক্ট দল বলে কিছু হয় না, ভোট সবসময়ই চয়েস অফ লেসার এভিল, এবং সেক্ষেত্রে শুধু লেসার নয়, লিস্ট এভিল এখন এরাই। তাই যারা তৃণমূল ছাড়ছেন, তাদের উচিত বাম-কংগ্রেসে যোগ দেওয়া, এবং কারণটা ঘোষণা করেই যে কম দুর্নীতিপরায়ণ দল তাই।
  • বঙ্গরঙ্গ | 2409:40e7:e5:553:d0ef:47ff:fefa:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:৫৮529892
  • ওহ, তিনো সরকারের বিরুদ্ধে নানা ইস্যু উঠছে না কেন, এই নিয়ে তিনোরাই আকুতি করছে!  এতো সত্যিই বড় রঙ্গ জাদু!   
     
    যাহোক, এই গণ আন্দোলন তিনো সরকারের উপর সার্বিক ক্ষোভের স্বত:স্ফূর্ত প্রতিফলন হলে,  ইনজাস্টিসের একটাই স্বর আরজিকর কেন, এই যাবতীয় ক্ষোভের ইস্যু কোন স্বরই পাচ্ছেনা কেন,  কিছুই বোঝাতে পারলেন না। 
     
     কথা বলে দেখুন, কর্মক্ষেত্রে মুখ বন্ধ কর‍তে  একটি অতি ক্ষমতাবান চক্রের চক্রান্তে ( যেখানে মুখ্যমন্ত্রী থেকে পুলিশকর্তা,  হাসপাতালের মাথারা সবাই জড়িত) বীভৎস অত্যাচার পরবর্তী খুন, গণধর্ষণ,  প্রমাণ লোপাট, নিরপরাধ সঞ্জয়কে বলির পাঁঠা করা,  মূলত এই ন্যারেটিভই এই বিপুল গণরোষ ড্রাইভ করছে।  ওই ১৫০ গ্রাম বীর্য ফেক বলে সুপ্রিম কোর্ট কি কতিপয় লোক যাই বলুক না কেন, লোকের এখনো বিশ্বাস সেটাই।  কিছু মিডিয়াও সেটাই খাইয়ে যাচ্ছে। রিপাব্লিক আর টিভিনাইন বাংলা খুলে দেখুন, একটু দেখলেই টের পাবেন। এখন হাসপাতালে সন্দীপ ঘোষ পরিচালিত মধুচক্রে মেয়েটিকে ডাকার পর না যাওয়ার কারণে খুন মর্মে ভাইরাল হচ্ছে খবর, পোস্ট। এসব পড়লে শুনলে রক্ত গরম হবেই। সত্যি হলে সিবিয়াইও অবশ্যই পেয়ে গেছে এবং কাল পেশ করবে। 
    না করলে সেটিং তত্ত্ব ভাইরাল হবে। দেখা যাক, এই শাঁখের করাতে দিদিমণি কেমন করে হাঁটেন।
  • রঙ্গব্যঙ্গ | 2a0b:f4c2::***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩:৩৯529891
  • আরো পাঁচটা সমস্যা তুলে এনে ইস্যুটা ঘেঁটে দেওয়া হচ্ছে না কেন এ তো শুরু থেকেই তিনোদের ব্যর্থ আকুতি।
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪৮529890
  • বঙ্গরঙ্গ তো আরজি কর গোটা ইস্যুতেই দিদিপ্রেমে দিদির মাস্টারস্ট্রোক দেখে ফেললেন, তো পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা, ধামাচাপা সবই বোধহয় ওই মাস্টার স্ট্রোকেরই অংশ?
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪৬529889
  • কয়েকটা জিনিস লেখার ছিল, কিন্তু দুপুর থেকে সন্ধ্যে অবধি "জোট বেঁধেছে বাঙাল ঘটি ভয় পেয়েছে হাওয়াই চটি" করে করে বেশ ক্লান্ত, আর তৃপ্তও বটি। দক্ষিণ কলকাতার স্কুলের প্রাক্তনীদের মিছিল ছিল, প্রায় পঞ্চাশটার বেশি স্কুল থেকে এসেছিল লোকজন। প্রচুর লোক।
  • Ranjan Roy | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৪৪529888
  • সরিৎ চট্টোপাধ্যায় একদম ঠিক বলেছেন। সুপ্রীম কোর্ট হল অ্যাপেলেট কোর্ট। ক্রিমিনাল কেসের বিচার প্রথমে সেশন কোর্ট, প্রথম আপিল হাইকোর্টে। সুপ্রীম কোর্ট ফাইনাল আরবিটার, কোর্ট অফ লাস্ট রিসর্ট। 
     
    কিন্তু সুপ্রীম কোর্ট যেটা করছে তা হল বিশেষ কেসে, যেখানে সন্দেহ রাজ্যের তদন্ত এবং সরকার সহযোগিতা করছেনা সেখানে কোর্ট মনিটরড্‌ ইনভেস্টিগেশন এবং আদালতে বিচার। 
    এগুলো বিশেষ কেসে হয়।
     
    যেমন বিলকিস বানো ধর্ষণ এবং শিশুহত্যা।
    তাই নিয়মিত  রিপোর্ট চাইছে। 
  • Ranjan Roy | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৩৬529887
  • বঙ্গরঙ্গের পোস্ট ভাবাচ্ছে।
     
    বাংলাসেশেও নানা কারণে তিতিবিরক্ত মানুষ ছাত্র আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিল। স্লোগানে সব উঠে না এলেও। কিন্তু গুলি চালিয়ে তিনশো লোক মারা এবং হাতিয়ার দিয়ে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দেয়ায় আন্দোলন এক সূত্রীয় দাবিতে বদলে গেল--হাসিনার পতন!
    ঝোপ বুঝে কোপ মারল বিএনপি+ জামাত।
    আন্দোলন হাইজ্যাক হল।
       
    এখানেও অনেকে সেই সম্ভাবনা দেখছিলেন। কিন্তু মমতা সতর্ক, গুলি চলেনি। জলকামানে ছত্রভঙ্গ। অগত্যা সাধুবাবাকে হিরো বানানোর ব্যর্থ চেষ্টা।
     
    তবে দেড় বছরে অনেক কিছু হতে পারে। 
    সন্দীপ ঘোষ এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের করাপশনের তদন্তের ফল এবং জনতার পারসেপশন ভোটারের একাংশকে প্রভাবিত করতে পারে। 
  • ~ | 103.27.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:১৩529886
  • সরিৎ চট্টোপাধ্যায়-এর পাবলিক পোস্ট

    আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা নিয়ে জনসাধারণের ভুল ধারণা ও ভ্রান্ত উচ্চাশা
    আরজি কর কাণ্ডের ঘটনায় সর্বোচ্চ আদালত সুয়ো মোতো কগনিজ্যান্স নিয়েছিল।
    ফলতঃ বেশিরভাগ মানুষ আশা করছে যে খুব দ্রুত এই কেসের নিষ্পত্তি হবে ও দোষীরা সাজা পাবে।
    কিন্তু ব্যাপারটা আদৌ সেরকম না।
    বুঝিয়ে বলছি।
    প্রথমত, সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি কোনও দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলার বিচার করে না। এটা তার কাজের মধ্যে পড়েই না।
    যেকোনও ফৌজদারি বা ক্রিমিনাল কেসের বিচার করে সেশন কোর্ট অথবা হাই কোর্ট। সেখানকার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাতে অ্যাপিল করা যায় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু, প্রাথমিকভাবে সেখানে বিচার হয় না।
    সহজ করে বলতে হলে সুপ্রিম কোর্টের মূল কাজ হলো ১) দেশের আইনের ইন্টারপ্রিটেশন আর ২) কেন্দ্র আর রাজ্যের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে সেটিকে বিচার করা।
    এছাড়া, যেকোনও নাগরিক তার ফান্ডামেন্টাল রাইট প্রভাবিত হলে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে।
    কিন্তু কোনও ধর্ষণ বা হত্যার কেসের ট্রায়াল সুপ্রিম কোর্টে হয় না।
    এবার প্রশ্ন হলো, তাহলে এ ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট কেন সুয়ো মোতো (অর্থাৎ, নিজে থেকে) এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করল?
    তার দুটো কারণ তাঁরা পরিষ্কার জানিয়েছেন।
    ১. ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অজস্রবার শারীরিক নিগ্রহ ও আক্রমণের ঘটনা আইন থাকা সত্ত্বেও কমছে না। তার উচিত ব্যবস্থা করতে।
    ২. দেশজুড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের স্ট্রাইক বহু মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তার সমাধান করতে।
    এবার লক্ষ করুন, মাত্র দ্বিতীয় শুনানিতেই তাঁরা এই দুটি লক্ষ্য পূরণ করে ফেলেছেন।
    একটি উচ্চ লেভেলের কমিটি গঠন করা হয়েছে ডাক্তারদের কর্মস্থলে তাদের সুরক্ষিত রাখার জন্য। এর মাথায় আছেন খোদ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি। আছেন, হেল্থ সেক্রেটারি। এবং কী কী করতে হবে, তার নির্দেশ পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছেন তিনজন জজ সাহেব।
    আর তাই পরেরদিন সকালে ওই দেশজোড়া স্ট্রাইক উঠে গেছে।
    আর কি কিছু করার কথা ছিল?
    না।
    তাহলে, সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তী রিপোর্ট চাওয়া কেন? এই কেসে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এত কথা বলাই বা কেন?
    এর উত্তর আমার জানা নেই। তাঁরা ধর্মাবতার। তাঁরাই জানেন তাঁদের ধর্ম কী?
    আমি সাধারণ নাস্তিক মানুষ।
    যেটুকু আইন জানা আছে, সেটুকু জানালাম।
    কেন জানালাম?
    কারণ বহু বহু মানুষ এক বুক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে মহামান্য সর্বোচ্চ আদালতের দিকে।
    কারণ সকল মিডিয়া এই কথাই ঘোষণা করছে।
    বড় বড় নিউজ হেডলাইন বলছে, আগামীকাল আবার সুপ্রিম কোর্ট আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বসবেন।
    একটা কথা ভালো করে বুঝে নিন।
    সুপ্রিম কোর্টে কোনও ধর্ষণ বা হত্যার প্রাথমিক বিচার হয় না। হতে পারে না।
    খুব বেশি হলে যেটা আশা করতে পারেন, সেটা হলো সিবিআইকে তাঁরা চাপ দিতে পারেন, অনুসন্ধান প্রক্রিয়া উচিতভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
    এর বেশি কোনও আশা না রাখাই ভালো।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:ad46:b47d:205c:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১৭529885
  • এককের লাস্ট দুটো পোস্টের সাথে মোটামুটি একমত। 
     
    ইন জেনারাল, ডেমোক্রেসি তে যতো অপশান থাকে ততো ভালো। কাজেই পবতে সিপিএম এতোটা দুর্বল না হয়ে গেলে ভালোই হতো। কি আর করা যাবে। 
  • বঙ্গরঙ্গ | 2409:40e7:e5:553:d0ef:47ff:fefa:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:১২529884
  • মানুষ শিক্ষা স্বাস্থ্য চাকরি সবকিছু নিয়ে এত ক্ষিপ্ত অথচ সেসব কথা এত প্রতিবাদে আসছেই না। এটা কেন বলে মনে হয় আপনাদের?  
  • | 2409:40e0:2f:bb35:8000::***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৩529883
  • একক/ রঞ্জন দা,অরিত্র, সিএস, এলসিএম দা ,

    আমার দুপয়সা।  পশ্চিম বঙ্গে যথাক্রমে কংগ্রেস, সিপিএম,তৃণমূল  রাজ্যত্ব করেছে।

    এর মধ্যে  সিপিএম এর আমলেই  আমরা সব থেকে ভালো রেজাল্ট  পেয়েছি।  পঙ্জায়েত রাজ, জমি বন্টন , শিক্ষক দের স্যালারি  একটা ভদ্রস্হ হায়গায় নিয়ে আসা। বাম শাসনের অন্ততঃ  প্রথম  ১৫ বছর প্রচুর  ভালো কাজ হয়েছে। 

    ভুলভাল কাজ যে ওরা করে নি এমন নয় ওপার বাংলা থেকে আসা লোকূের রেশন কার্ড করে নাগরিকত্ব দান করে নিজেদের  ভোট ব্যাঙ্ক  বানিয়ে  জ্যোতি বাবুর মাস্টার স্ট্রোক।  তারপরে কেন্দ্রে কংগ্রেসের সাথে গড়াপেটা করা ভোট ভোট  খেলে কংগ্রেস  কে হাতে গোণা  কটা আসন ছেড়ে  দিয়ে বছরের  পর ব মছর নিজেদের  রাজ্যত্ব সুনিশ্চিত  করা। যতক্ষণ  না মমতা তৃণমূল  কংগ্রেস গড়ে কংগ্রেস  থেকে বেরিয়ে  আসে।বেরিয়ে  আসার কদিনের মধ্যে  সিপিএম  হেরে গেল কারণ  তত দিনে ওরা মানুষ  ক " টেকেন ফর গ্রান্টেড" করে নিয়েছে।  আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কই, আমিই জিতবো। কমপ্লাসেন্ট হয়ে যাওয়া।

    তৃণমূল  ক্ষমতা য় এসে প্রথম  ৫ বছর ভালো কিছু  কাজ করেছিল। তারপরে সবাই  মেতে উঠলো টাকা তৈরী র খেলায়। শিক্ষা টাকে একদম শেষ করে দিল
     দুটো উদাহরণ  দিচ্ছি। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি + এমএসসি তে ১০ জন ছিলেন।  আসিট্যান্ট, আসোসিয়েট আর প্রফেসর  মিলিয়ে।  ৯ জন রিটায়ার করে গেছেন। চর কোন নতুন নিয়োগ  হয়নি। একজব শিক্ষক  আর পার্ট টাইম শিক্ষক  দিয়ে চলছে। লেডি ব্রেবোর্ন  কলেজের  স্ট্যাট ডিপে পাঁচ জন পূর্ঙ সময়ের অধ্যাপিকা ছিলেন। হেড কৃষ্ণনগর কলেজের প্রিন্সিপাল হয়ে চলে গেছেন। একজব ব্যাঙ্গালোর ISI তে যোগ দিয়েছেন।  অন্য  জন চাকরী ছেড়ে দিয়েছেন  ব্যক্তিগত কারণে। যথারীতি  নতুন কোন অধ্যাপিকা  নিয়োগ হয় নি। MAKAUT কমবেশি ১৫০ প্রফেসর। আসিট্যান্ট, আসোসিয়েট আর প্রফেসর  মিলিয়ে  এর মধ্যে  ১২০-১২৫ জন কনট্রাকচুয়াল। ৪০/৫০ হাজার টাকার স্যালারি দিয়ে তাদের নিয়োগ করা হয়। এক পয়সাও মাইনে বাড়ে না। শুধু  বছরের  পর বছর এক্সটেনশন  পেয়ে যায়।পূর্ণ  সময়ের অধ্যাপক  হতে গেলে শিক্ষা গত যোগ্যতা  শুধু  বিবেচ্য নয়। কত টাকা ঘুষ দিতে পারে সেটা প্রধান মাপকাঠি। 
  • বঙ্গরঙ্গ | 2409:40e7:e5:553:d0ef:47ff:fefa:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪২529882
  • দিদিমণি  তো মনে হত  নিজের ভাল খুবই ভাল বোঝেন আর রাজনৈতিক বুদ্ধিও ভালই ধরেন। এভাবে নিজের পায়ে কুড়ুল কি আর মারবেন?  তিনুদের ভোট কোনদিনই ভদ্রবিত্তদের থেকে সেভাবে আসেনা বা আসেইনা। কোলকাতাতেও ফল ভাল না। 
    একটা সম্ভাবনা এই যে, উনি ডাক্তারদের কর্মবিরতি বাড়তে দিচ্ছেন, যাতে সরকারি হাস্পাতালের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল নিম্নবিত্ত ক্ষেপে ওঠে। নিজের ভোটব্যাংক সুরক্ষিত করছেন বা বাড়াচ্ছেনও।  ভদ্রবিত্ত মহিলারাও কতজন দিদিকে ভোট দিতেন জানা নেই, সেখান থেকে কিছু ভোট কমবে। নিম্নবিত্ত মহিলাদের থেকেও। কিন্তু আবার কোন শ্রীয়ের ভারে সেসব চাপাও পড়ে যেতে পারে।  তবে ড্যামেজ তো হয়েছে বটেই, কন্ট্রোল করার লক্ষণ বিশেষ দেখা এখনো যাচ্ছেনা, আর এর ফায়দা বিজেপিই পাবে।  আজ নাহয় কাল।

    ওদিকে ভাইপো মুখ খুলেছে, নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মিটিয়েছে বলেই মনে হয়। আর এদিকে রাত দখলে নেত্রীদের মধ্যে চুলোচুলি কামড়াকামড়ি শুরু হয়ে গেছে, কে প্রথম ডাক দিয়েছি!  একে অন্যের পালটা ভিডিও, পোস্ট,লাইভ  করে চলেছেন তিনি তাঁরাই অরিজিনাল আহ্বায়ক, তিনি বা তাঁরাই রাত দখলের বা আমরা তিলোত্তমার আসল পেজ চালাচ্ছেন, নকল হইতে সাবধান। আন্দোলন না লক্ষ্মীবাবুর সোনাচাঁদির দোকান কে জানে।
     কেউ কেউ আবার নিজের ছবি লেখা কাগজে  বেরলেই নামহ পোস্ট করে দিচ্ছেন, চ্যানেলে বা মিছিলে গেলে ঘোষণা করে দিচ্ছেন, চ্যানেল বা কাগজে হাসিহাসি  পোজ দেওয়া ছবি পোস্ট করে দিচ্ছেন, লাইভে মেকাপ চড়িয়ে সাজুগুজু করে এসে জানিয়ে চলেছেন আজ বা কাল অমুক জায়গায় থাকছি তো অন্যজন বলছেন সবাই ডাকছেন তাই গিয়ে উঠতে পারছিনা, এখানে এখানে আমার উপস্থিতি দিয়ে ধন্য করলাম!  সেলেব মিনিসেলেব উড-বি-সেলেবরা হাসিহাসি সেল্ফি পোজ দিচ্ছেন, তিলোত্তমা ফেট্টি টিশার্ট হু হা চলছে, ফুটেজ খাওয়া সেলেব হওয়ার উদগ্র বাসনায় মিডিয়া হাওয়া দিয়ে চলেছে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় পালটা হাওয়া।  প্রতিবাদেরই মরশুম। হুজুগও বলছে দুষ্ট লোকে। রঙ্গেভরা বঙ্গদেশ।
     
    লোকে যদি নিজেরা এই সরকারের উপর নানাকারণে তিতিবিরক্ত হয়েছিল বলেই এই মিটিং মিছিলের মিছিল, তাহলে জাস্টিসের ইস্যুতে সেসব সমস্যাও উঠে আসছেনা কেন? সেসবও স্কোগান পোস্টারে নেই কেন? এই উত্তরটা কেউ দিন না।
    এতো একটা অতি নৃশংস, নারকীয় হত্যা ধামাচাপা দিয়ে যড়যন্ত্রের ( ফেক বা সত্য)  প্রতিক্রিয়া চলছে।

    আজ রিক্সাচালকদের মিছিল আছে, পিছনে কি সিটু? আশা করা যায় এসব মিটিং এ তিনুসের গুন্ডামি, দাদাগিরি, দালানির জন্য এঁদের যা সব সমস্যা হয়, সেসব নিয়েও স্লোগান তুলবেন, কথাবার্তা বলবেন।
  • Ranjan Roy | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৩৬529881
  • জমি খালি থাকে না কারও জন্যে। কোন নেপো মুখিয়ে থাকে সুযোগ বুঝে দই খেয়ে যাবার জন্য। 
     
    বামেদের লাইনটা পুরো ডিফেন্সিভ।
     
    আমরা কিছু করব না। ওরা নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ি করে ধ্বংস হবে। তখন পাবলিক আমাদের ডেকে এনে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে।  
    কারণ আমরা এদের তুলনায় অনেক কম খারাপ ছিলাম।
     
    ততদিন---- আমাদের বিকাশবাবু ছাড়া সবার জামানত ক্যান জব্দ হইসে? বিজেমূল তত্ত্ব।
    আ মোলো যা!
  • একক | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৮529880
  • আর,  খেয়াল করে দেখবেন,  বামেদের এই সিপিয়াইএম অংশটা অনেককাল ধরেই সংসদীয় কর্মসূচীর বাইরে কিছু করতো না। আমরা যে লম্বা লম্বা প্রতিবাদী মিছিল কলকাতা শহরের বুকে দেখে বড় হইচি, তা মূলত বাম শরিকদের। এছাড়াও নানা মানবাধিকার পন্থী ও অসংসদীয় বাম দের। 
     
    গত দশ বছরে সব দিদির অনুপ্রেরণায় বিলীন হয়ে গেসে। অঙ্গীকারের ঘটনা টা তো আপনারা জানেন। বাচ্চাটা মারা গ্যালো, বারাসাত পুলিশ তার বাপ-মায়ের গায়ে হাত তুল্লো। বাংলা কাগজে খবর নেই। ইংরেজি তেও শুধু টই। একটা মানবাধিকারের লোক নেই পাশে  পুলিশি অত্যেচারের ঘটনা নিয়ে। এটা আগে ভাবা যেতো?  এখন যায়। কারন সবাই পকেটে। 
     
    একজন কে আর বাংলার ক্লিপ শেয়ার করলুম, অঙ্গীকারের মায়ের বক্তব্যের,  তো সে বলে : এ তো বিজেপির চ্যানেল। আরে বাল্টা,  তোরা মানবাধিকার কেসের পাশে না দাঁড়িয়ে ইন্সটি হল ভাড়া করে শান্তিপুন্ন কনভেনশন মাড়াবি,  আর তারপর সেই ফাঁকাজমিতে বিজেপি চাষ কল্লে,  ইস্যুটাও বিজেপির!!!  
     
    এই তো অবস্থা। 
  • Ranjan Roy | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২৭529879
  • ত্রিপুরায় কিন্তু বামেরা লড়ছে মনে হয়, মার খাচ্ছে তবু মাটি কামড়ে পড়ে আছে। লড়ছে।
    এটা আমার অনেক দূর থেকে দেখার পারসেপশন।
    হুতো ভাল বলতে পারবে। 
     
    অরিত্র,
    নো ইস্যূ। আপনার অনেস্ট দিল সে কথা বলা আমার ভাল লাগে। তাই আপনার সঙ্গে মিনিময় করি।  
  • একক | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২৫529878
  • @ডিসি,  বামেরা একবার জনভিত্তি হারালে নতুন করে গেইন করা খুব কঠিন। বাই ভারচু,  এরা তো অন্য দলের মতো চুরি ডাকাতির পয়সা ছড়িয়ে আস্তে পারবে না।  তাহলে আইডিওলজি / ব্র‍্যান্ড যেটাই বলো মার খাবে। 
     
    ইদিকে, নতুন করে জনভিত্তি তইরির রেস্তো ও নেই। 
  • একক | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:২২529877
  • @ রঞ্জন দা, যখন বলেছিলুম তখনও জনভিত্তি কিছু ছিলো। এখন আর সে দিন নেই। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:dd5:3ea3:ce31:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:১০529876
  • "আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয়, বামফ্রন্ট আর ক্ষমতায় আসতে চায়ই না। এত আন্দোলন, এত দৌড়ঝাঁপ, এত মার খাওয়া আর নিতেই চাইছে না। মেন নেতারা যারা, তারা ভাবছে আমাদের মোটামুটি তো চলে যাচ্ছে, চেয়ারে বসলে আবার চুয়াত্তর রকম ঝামেলা সামলাতে হবে। "
     
    এটা হওয়ারও হাই চান্স laugh
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:০২529875
  • আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয়, বামফ্রন্ট আর ক্ষমতায় আসতে চায়ই না। এত আন্দোলন, এত দৌড়ঝাঁপ, এত মার খাওয়া আর নিতেই চাইছে না। মেন নেতারা যারা, তারা ভাবছে আমাদের মোটামুটি তো চলে যাচ্ছে, চেয়ারে বসলে আবার চুয়াত্তর রকম ঝামেলা সামলাতে হবে। 
     
    আর তাছাড়া আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ক্ষমত্তায় আসতে গেলে গ্রামের গরিব লোক যে পার্টিকে ভোট দেবে, তাকে অন্য পার্টির থেকে নিরাপত্তা দিতে হবে। এটা কি বাম পারবে আজকে? সত্যি কথাটা হলো ক্ষমতায় আসতে গেলে বামফ্রন্টকে লেসার ইভিল হয়ে দেখাতে হবে। শুধু সততা না, হাতে ক্ষমতা না থাকলে মানুষ নিজের জানমালের দায়িত্ব সেই পার্টির হাতে দিতে পারেনা। 
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:dd5:3ea3:ce31:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৯529874
  • একক, পবতে বামেদের হয়তো সেই লেভেলে ফান্ডিং নেই, তা হতে পারে। কিন্তু কেরলে তো আছে, সেখান থেকেও তো যোগাড় করা যায়। 
     
    এসবই চেয়ারে বসে বসে স্পেকুলেশান সে মানছি, তবে ওই আর কি, বামেরা পব থেকে একেবারে হাওয়া হয়ে গেল, এই ব্যাপারটা কেমন যেন। এরকম বোধায় অন্য কোন রাজ্যে হয়নি। 
  • অরিত্র | 2402:3a80:198b:8291:678:5634:1232:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৫৬529873
  • রঞ্জন, আমার কাছে ভিক্ষা ক্লোজড ইস্যু। আর আমি শুধু সিপিএমকে ভোট দিই (সাধারণত), আমি প্রশ্নের জবাব দিতে গেলে ভুল হবে, ওদের বক্তব্য অবস্থান ওরাই ঠিকঠাক বলতে পারবে।
  • Ranjan Roy | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৯529872
  • একক
    আপনি প্রায় দশবছর আগে, তখন বামেদের দুর্গ সদ্য ভেঙেছে, গুরুর পাতায় আমাকে বলেচ্ছিলেনঃ
    রঞ্জনদা, বামেরা খালি গোল গোল কথা বলে। যদি বলেন এখন কী করতে হবে? ওরা বলবে -- আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে।
    তার জন্য কী করতে হবে? 
    -- ক্যান? জনগণের কাছেযেতে হবে।
  • একক | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৮529871
  • বামেরা আন্দোলন করে না কেন?  কী করে করবে?  টাকা কোত্থেকে আসবে?  ইলেক্টোরাল বন্ডে একটা দল জিরো, এর ইম্পলিকেশন কি আপনারা বোঝেন না??  দুহাজার চব্বিশে আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যেতে গেলে, ক্রিটিক্যাল মাস গ্যাদার কত্তে গেলে ফান্ড লাগে। সেটা বামেদের নেই নেই নেই। খামোখা ওদের গিল্ট ট্রিপ দিয়ে লাভ আচে?  বাচ্চে কো কিঁউ রুলাতে হো :/ 
     
    বামেদের কুলিয়ে গুছিয়ে যেটুকু যা আচে তাই দিয়ে, চলমান গণ আন্দোলনের উপর চেপে বসে বৌদ্ধিক নেতৃত্ব কায়েম করা সম্ভব। তাও কঠিন। তবু সেই চেষ্টাই ব্যাটারা কচ্চে। নানান অ বাম সরিকের সঙ্গে ক্যাচাল লাগচে। ইত্যাদি। এছাড়া পথ কই! 
  • Ranjan Roy | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৭529870
  • অরিত্র
     আমি অনলাইনে গণশক্তি, কালান্তর, দেশহিতৈষী পড়ি। নাকতলা এলাকাতেও জনা দুই পার্টি মেম্বার আমার বন্ধু। 
    সোজা জমি থেকেই খবর পাই।
    গণ আন্দোলন কোথায়, যেগুলো দলের পত্রিকা ছাপে সব কসমেটিক।
    কমিউনিস্ট পার্টির আন্দোলন কেমন হয় কিছু ধারণা আছে।  সেই ১৯৬৬ সালের খাদ্য আন্দোলন থেকে দেখে আসছি। দু'দুবার রাষ্ট্রপতি শাসনের সময় লড়াইও দেখেছি, অংশগ্রহণও করেছি।
     
    পার্ট কখনই টাকার জোরে বিজ্ঞাপনের জোরে লড়াই করে  রাজ্যেনা। দাঁড়ায় গণ আন্দোলনের জোরে। 
    ১৯৬২-৬৩ তে   চীন-ভারত সীমান্ত সংঘর্ষের সময় কমিউনিস্ট পার্টি দু'ভাগ হল। ১৯৬৪তে লেফট সিপিয়াই হল, যা পরে ইলেকশন সিম্বলের প্রশ্নে সিপিয়াই (মার্ক্সিস্ট) বা সিপিএম হল। 
          তখন অধিকাংশ নেতা ভারত সুরক্ষা আইনে বন্দী। গণেশ ঘোষ এবং সতীশ পাকড়াশী আন্ডারগ্রাউন্ড। 
      কিন্তু গ্রাসরুট লেভেলে খাদ্যান্দোলন সংগঠিত করে সিপিএম বনবাস থেকে ফিরল, গ্রহণযোগ্যতা বাড়ল।
      আপনারা সম্ভবতঃ বাম রাজ্যে যুক্ত হয়েছেন, তাই কমিউনিস্ট আন্দোলন নিয়ে অন্যরকম ভাবছেন।
    কয়েকবছর আগের কথা। 
    বীরভূম জেলায় বর্তমান শাসকদলের বিরুদ্ধে কোন সমাবেশ এবং মিছিল হওয়ার ঘোষণা হল। শেষ সময়ে বাতিল। কেন? পুলিশ আইন শৃংখলা প্রশ্নে অনুমতি খারিজ করেছে।
    বিজেপি এসব উপেক্ষা করে মিছিল করল। বামের ক্ষুব্দ সমর্থকেরা বিজেপি মিছিলে গেল। 
  • Ranjan Roy | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৭529869
  • অরিত্র
      আমি মিডিয়া (মেইন্সট্রিম বা অন্য) থেকে সিদ্ধান্ত করছি না।  কোলকাতায় আমাদের সংযুক্ত পরিবারে তিনকাকা এবং এক পিসি  এবং পিসেমশায় সিপিএমের পার্টি মেম্বার ছিল। দু'জন এমার্জেন্সিতে জেল খেটেছে।
     
     বন্ধুদের মধ্যে ৯৫% বামসমর্থক। 
     ৪র্থ পিলার্স  ডিজিটালের সুদীপ্ত সেনগুপ্ত আমার বন্ধু। ওদের শুরুতে আমি অন্যতম প্যানেলিস্ট ছিলাম।  এখন স্বাস্থ্যের কারণে অংশগ্রহণ করি না। 
     
    সিপিএমের ভোট ট্রান্সফার মানে তাদের সমর্থক, যারা এতদিন বাঁধা ভোটার ছিল তাদের ভোট ট্রান্সফার। ওরাই তো  ভোটে হারজিত নির্ধারণ করে, পার্টি ওয়ার্কাররা নয়।
     
    প্রশ্ন সেটাই । ওরা কেন সরে গেল? কোথায় গেল?
     
    আর ভিক্ষা প্রশ্নে কমঃ সেলিমের বক্তব্য অনেক পরে এসেছে। দেরি হয়ে গেছে। কিন্তু এই ভিক্ষা বলে নাক কুঁচকোনো আজকের কথা নয়। ২০১৬ থেকে চলছে। এখানেও হয়েছে।
      অধিকাংশ সক্রিয় সমর্থকেরা কী বলে সেটাই দলের সম্বন্ধে ম্যাঙ্গো পাবলিকের পারসেপশন , দলের অফিসিয়াল বুলেটিন নয়।
     
    উনিজী বলেন--সব কা সাথ, সব কা বিকাশ, সব কা বিশ্বাস! 
    লোকে বিশ্বাস করে? নাকি হরদম পথেঘাটে গোরক্ষকদের ভূমিকা, সিবিয়াই -ইডি এবং পাড়ায় পাড়ায় সমর্থকেরা কী বলে তাই নিয়ে বিজেপির সম্বন্ধে পারসেপশন তৈরি হয়?
     
    আর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নিয়ে দলের কোন সরকারি-বেসরকারি বক্তব্য শুনি নাই। খালি নির্বাচনী জোট হয়নি, এইটুকুই। 
    আর এবারের রেজাল্টের বিশ্লেষণ কি দলের অভ্যন্তরে থাকবে? নাকি জনগণের সামনে আসবে?
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫০529868
  • রঞ্জন ১৩:১৪, লোকজন বামেদের ভোট দেয় নি। সিপিএমের পক্ষে কেন ট্রান্সফার করা সম্ভব নয় সেটা তো বললাম। আর ভিক্ষে তো কিছু খুচড়ো কর্মীদের কথা যারা পার্টির অবস্থানও বোঝে না। তবে এটা নিয়ে সিপিএম অফিসিয়ালি নিজেদের বক্তব্য ও অবস্থান জানিয়েছে। তাহলে তো আর কনফিউশনের জায়গা নেই।
     
    বাকি প্রশ্নের উত্তর তো আমার দেওয়ার কথা নয়, অবশ্য আমাকে আপনি মেনশনও করেননি। তবে এটা বলতে পারি শুধু মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় উত্তর গুলো খুঁজলে পাবেন না। সেই মিডিয়া তো আমার আপনার টাকায় চলে না, তাহলে কাগজের যা দাম হয় বা চ্যানেলের সাবস্ক্রিপশন যতটা খরচ সাপেক্ষ হবে সেটা সাধারণ লোকে বহন করতে পারবে না। তাই টাকা যাদের আছে তারাই যোগান দেয়, আর নুন খেলে তো গুণ গাইতে হবে। ফলে শুধু লেফট কেন, অর্থদাতাদের পক্ষে যায় না এরকম কোনো পার্টিকেই আপনারা মিডিয়াতে পাবেন না। তাও তো এখন সোশ্যাল মিডিয়া এসে খানিকটা লাভ হয়েছে। আপনি সত্যিই ওইরকম ধরনের পার্টির খবর জানতে চাইলে ওদের চ্যানেল গুলো ফলো করুন। আমি করি, তাই একেবারেই কিছু করছে না সেটা আমার মনে হয় নি।
  • সিএস | 2405:201:802c:7858:e4e7:e976:763a:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:২১529867
  • রঞ্জনদা, হ্যাঁ, সেটা ঠিক, অকালিদের বেরিয়ে যাওয়া। কিন্তু তারাও সেটা করেছে ভাজপার সঙ্গে সংশ্রব রাখবে না বলে। বুঝেছিল যে লোকে ভাজপাকে চায় না, ফলে তাদের সাথে থাকলে তাদেরও অসুবিধে। এরকম নয় ?

    আর, সিপিএম কিছু সীট পেল এবং টিএমসি - সিপিএম জোট করতে হল, আমি সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করছি।
  • Ranjan Roy | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:১৪529866
  • সিএস,
    পাঞ্জাবে আকালী দল এনডিএ থেকে বেরিয়ে গিয়ে আলাদা দাঁড়াল। লড়াই হল চতুর্মুখী। নইলে আপ এতগুলো পেত না। সেটা বুঝেই ২০২৪ সংসদে কং আপ জোট করল। ফলং সাফল্য।
     
    ২০২৪শে বঙ্গে কং-বাম জোটের ভোট বেড়েছে। সিপিএমের একগাদা জামানত জব্দ মনে রেখেও বলছি। ফলে হিন্দু ভোট বিজেপির কমে যায়, আর তিনো সুইপ করে।
    এই আন্দোলনে শহরাঞ্চলে বামেদের ভোট বাড়বে নিঃসন্দেহে। কিন্তু বেশি সীট পাওয়ার মত নয়। 
  • lcm | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:১৪529865
  • সরকার একদিন পাল্টাবেই।
    বামেদের ক্ষেত্রে ৩৪ বছর পরে পাল্টেছিল।
    তিনোদের '২৬-এ ১৫ বছর হবে।
    একদিন পাল্টাবে।
    কালের নিয়মে।
    কাল। মহাকাল। মায়া।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:dd5:3ea3:ce31:***:*** | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:০৮529864
  • রঞ্জনদার প্রশ্নটা আমারও। পবতে তো ইস্যুর কোন অভাব নেই, সরকার পাল্টানোর মতো বড়ো বড়ো ইস্যু, মেগা করাপশান কেস একগাদা এসেছে। এসব নিয়ে বামেরা আন্দোলন করে না ken? এর সিকিভাগ আন্দোলন করেও তো বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন পার্টি ক্ষমতায় আসছে, যেমন আপ, কং ইত্যাদি, তাহলে বামেরা এরকম ভাবে উবে গেল কেন? বিশেষ করে এখন যা অবস্থা, তাতে তো মনে হয় বামেরা একটু চেষ্টা করলেই প্রচুর ভোট পাবে! 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত