এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • :|: | 174.25.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:৪৭528627
  • আচ্ছা এমন প্রতিবাদী আন্দোলন ইউপিতে গড়ে উঠতে পারেনা কেন? 
  • r2h | 192.139.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:৪০528625
  • বাড়ি থেকে 'হাতখরচ', বাবার থেকে, স্বামীর থেকে, ভাইয়ের থেকে পাওয়া হাতখরচ আর সরকার থেকে পাওয়া ভাতার মধ্য আকাশ পাতাল ফারাক। বা তার থেকেও বেশি।
  • . | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:৩৯528624
  • অ্যান্ডরের জনসংখ্যা কমানোর প্রসঙ্গে একটা তাজা খবর মনে পড়ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন ডাক্তার, যিনি আরজিকরের ডাক্তার ছিলেন বছর দেড়েক আগে অবধি, তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে ঐ সন্দীপ ঘোষ হাসপাতালের যাবতীয় ব্যবহৃত মেডিক্যাল ওয়েস্ট বাংলাদেশে সাপ্লাই করে। যেমন ব্যবহৃত ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ইত্যাদি, অরগ্যান ও।
    ঐ সিরিঞ্জ বাংলাদেশের হাসপাতালে রোগিদের ওপর ব্যবহার হচ্ছে। সেখানে জনসংখ্যা কমতে সাহায্য করছে আশা করি!
  • &/ | 151.14.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:৩৪528623
  • একজনের কথা বলি। একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে। কলেজে ওঠার পরে সে নিজস্ব কিছু আয় করতে চাইল হাতখরচের জন্য। তখনকার দিনে অমন মেয়ের আর কি কাজ বা হবে? কিছু টুইশন দিতে চাইল ক্লাস সেভেন এইটের বাচ্চাদের। মেয়েটির সচ্ছল পরিবার, বাবা উপার্জনশীল, মা যদিও ঘরসংসারই শুধু করেন। বাবা আর মা দু'জনেই মেয়েটির এই টুইশন করতে চাওয়ার বিরোধিতা করলেন, বললেন বাড়ি থেকে হাতখরচ দেওয়া তো হবেই। এই হাতখরচ পাওয়া যদিও তার অধিকারের মধ্যেই পড়ে, তা সত্ত্বেও কিন্তু মেয়েটি নিজস্ব উপার্জনে আগ্রহী হয়। কারণ বাড়ি থেকে ওটি পাওয়া অনুদানের মত, নিজের 'অর্জিত' নয়, তাতে অধিকার আছে কিন্তু নানা অনুচ্চারিত অবলিগেশনও আছে। সে লুকিয়ে টুইশন শুরু করে। জানাজানি হবার পরে বাড়িতে অশান্তি হয় খুব, বারণ সত্ত্বেও সে ওটা করতে গেছে বলে। এও একধরণের পাওয়ার রিলেশন, ওদের কুক্ষি থেকে বেরিয়ে স্বাধীন উপার্জন করবে মেয়ে, এটাই কর্তা মানতে পারলেন না। বাধ্য হয়ে টুইশনগুলো ছেড়ে দিতে হল সেই মেয়ের। বাধ্য মেয়ে হয়ে কলেজ পাশ করলল। তারপর বাপমায়ের উদ্যোগে চটজলদি সম্বন্ধ বিয়ে। ভাতেকাপড়ে ডিপেন্ডেন্ট করে ফেলে তবে শান্তি। বাকী জীবন অনুদানে কাটানো। এমনকি কিছু বলতেও পারবে না সেখানে অসুবিধে হলে, শ্বশুরবাড়ির সম্মানের ব্যাপার আছে।
  • পাপাঙ্গুল | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:৩২528622
  • না নিতে চাইলে জানাতে হয় 
  • পাপাঙ্গুল | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:৩১528621
  • কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী  মনে হয় সবাই পায়। ভান্ডার বা বিয়ের এককালীন টাকার জন্য আলাদা করে আবেদন করতে হয়। 
  • r2h | 192.139.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:৩০528620
    • অরিত্র  | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:১৮
    • ... আরজিকর সময় আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কেন আলোচনা করছি?...
     
    তা তো আমি ঠিক জানি না, পিছিয়ে দেখতে গিয়ে 17476  পাতায় দেখলাম, আরো আগেও তার উৎস থাকতে পারে।
    তবে ব্যাপারটা অপ্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি না অবশ্য।
  • r2h | 192.139.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:২৫528619
  • ধনী হলে মেলার কথা না। লোকজন চুরি করে, অনুচিত সুযোগ নেয়, সংরক্ষণের প্রসঙ্গ ঐ জন্য তুললাম।
    বিরোধী দল, নেতৃত্ব, সমর্থক - ঐ ভাগাভাগিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার জমানায় আবছা। ফেক নিউজ, আইটিসেল - ওগুলি নরেন্দ্র মোদি বা অমিত শাহ নিজের দেওয়ালে পোস্ট না করলেও আমরা চাড্ডি তথা বিজেপি আরএসএস প্রোপাগান্ডা বলে চিহ্নিত করি।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কন্যাশ্রী ইত্যাদি নিয়ে আপনার আর উৎসাহ নেই, তা বেশ কথা। তবে সমস্যাটা সামগ্রিকভাবে নারীর ক্ষমতায়ন, সুরক্ষা, সামাজিক স্থান - সেইসব নিয়ে। তো, আলাদা করা উপায়, আপনার অনিচ্ছা সত্বেও, খুব একটা নেই।

    মমতা বা দক্ষিণতরপন্থীরা এটা অধিকার বলে মানে না - সেটার বিরুদ্ধে অবশ্যই কথা বলা উচিত।
  • . | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:২৪528618
  • "কিন্তু আরজিকর সময় আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কেন আলোচনা করছি? "
     
    কারন আমরা শাকের আঁটি দিয়ে শুঁটকি মাছের চচ্চড়ি ঢাকা দিচ্ছি।
  • . | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:২৩528617
  • আসলে আমরা অল্প জেনেই উদোর বোঝা বুধোর কাঁধে চাপিয়ে দিই। উন্নত দেশগুলোর সিস্টেম আলাদা। সেগুলোর সঙ্গে ভারতের তুলনা করলে বা একই পরিসংখ্যানের গ্রাফে ঢোকালে অনেক ক্ষেত্রেই আসল চিত্রটা ঢাকা পড়ে যাবে।
    যারা ভাত খায়, সেসব দেশে কজন ভাত খাচ্ছে তার সঙ্গে রুটিখেকো দেশের জনতা কত শতাংশ ভাত খাচ্ছে, এইসব দেখিয়ে বলাই যায় যে ঐ দ্যাখো বাংলাদেশে কত লোক ভাত খাচ্ছে, কিন্তু ফিনল্যান্ডে ভাত খেতেই পায় না লোকে।
     
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:১৮528616
  • আপনি "বিরোধী দল" বলছে, বলছিলেন। সমর্থক বলেছে বললে বলতাম না কিছুই। গুরুত্বও দিতাম না। 
     
    "ভোর তিনটেয় ট্রেনে চেপে এসে পাঁচ বাড়ি কাজ করে সংসার চালিয়ে একজন ভদ্রমহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সরকারী ভাতা পান"
    - না না ঘরে বসেও কেউ পেতেই পারেন। কাজ করার সঙ্গে এই ভাতার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে ধনী হলেও মেলে কিনা জানি না।
     
    অনুদান অধিকার নয় এটা মমতার কথা। বললাম অবশ্য আগের একটা কমেন্টে। দক্ষিণপন্থীরা মানেন না এটা অধিকার। ভারতের সমাজতন্ত্রীয় আইন অনুসারে কী জানি না, আর অনুদানের অংকের পরিমাণ ও তার বৃদ্ধির ওপর কোনো দর দাবি করার জোর মানুষের থাকে না। উল্টে অনুদানের বিপরীতে শর্ত চাপানো হয় থেকে থাকে। সেটাই বললাম।
     
    তবে কোনো অনুদান প্রকল্পের সার্থকতা তখনই যখন একটা সময়ের পরে অনুদান প্রাপ্ত ব্যক্তির আর অনুদানের প্রয়োজন হয় না। যদি চিরকাল অনুদান নির্ভর হয়ে থাকতে হয় তাহলে অনুদান প্রকল্প হিসেবে ব্যর্থ হবে।
     
    কিন্তু আরজিকর সময় আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কেন আলোচনা করছি? এই সরকারের হরেক দুর্নীতির প্রেক্ষিতে, কেন মানুষ ক্ষিপ্ত ইত্যাদি, তাই এমনকি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও (আবারো এরকম নন সেক্যুলার নাম কেন!) ফিরিয়ে দিতে চাইছে এই কথা বলেছিলাম শুধু। ঠিক লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে আগ্রহ নেই এখন।
  • . | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:১৫528615
  • ভারতে পেনশন উঠে গেছে প্রায়। নবীন প্রজন্মের ঘাড়ে দায়িত্ব নেই কোনও। তাছাড়া যতদিন পেনশন ব্যবস্থা ছিল, সেটা হিজ হিজ হুজ হুজ সিস্টেমে চলত।
    দুই, চাকরি কম না হলেও অধিকাংশ চাকরিতে বেতন খুবই কম। প্রচুর বেকার বা স্বল্প আয়ের স্বনির্ভর লোকজন। 
    শিক্ষা ব্যবস্থা কিছুটা অবৈতনিক, কিছুটা বেশ দামি। উচ্চশিক্ষা পুরোটাই খরচ সাপেক্ষ। ইনফ্রাস্ট্রাকচারও ভাল না। ( উদাহরণ আরজিকর)। তার ওপর সর্বস্তরে চুরি করাপশন।
     
    জনসংখ্যা কিছুটা কমা দরকার।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:১০528614
  • ভারতে যত কমে তত মঙ্গল। কাজের অনুপাতে লোক এত বেশি যে সংখ্যা কমলে অনেকটাই ম্যানেজেবল হবে বলে আশা করা যায়।
  • . | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:০৮528613
  • যেসব দেশে কাজের অনুপাতে লোক কম, এবং বৃদ্ধরা বহুদিন বাঁচেন, সরকারের পেনশন পান প্রত্যেকে, চিকিৎসাব্যবস্থা ভাল এবং সবার জন্য উপলব্ধ, কারেকে না খেয়ে বা গৃহহীন হয়ে থাকবার অপশন দেওয়া হয় না, সেইসব দেশে নেগেটিভ বার্থ রেট আশঙ্কার কারন। নবীন কর্মক্ষম প্রজন্মের পেনশন ফান্ডের টাকায় প্রবীনরা পেনশন পান সেসব দেশে। এটাই নিয়ম। নবীনরা সংখ্যায় কমে গেলে চাকরি করবে কে? চাকরি কম হলে বেতন থেকে পেনশন ফান্ডের টাকা কম কাটা হবে। তখন বৃদ্ধদের পেনশন দেবে কে?
  • . | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০২:০২528611
  • ইট ডিপেন্ডস।
    ওয়েলফেয়ার স্টেট হলে এই লক্ষন ভাল না।
    ভারতের ক্ষেত্রে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ চলছে, কমলে ক্ষতি নেই।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৫৮528610
  • বয়সের ওই রেঞ্জে জনসংখ্যা কমলে দুর্নীতি কমার একটা সম্ভাব্না। একটা চাকরি, অথচ প্রার্থী একশোজন, একজন ঘুষ দিয়ে কিনে নিচ্ছে ওটা। জনসংখ্যার চাপ কমলে এই অবস্থাটা কমার সম্ভাবনা।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৫৩528609
  • "এই নে নে, অনুদান নে। দিদি ভালো বলে তরে গেলি, আগে কে দিত তোদের কিছু? এক টুকরো বিস্কুটও দিত না কেউ। মনে থাকে যেন। ভোটের ব্যাপারটা খেয়াল রাখবি, নাহলে বুঝতেই পারছিস..." ---এই টোনটা যাদের উপরে নির্দ্বিধায় ফলানো যায় ও দাতারা ফলায়ও, সেই দাতারা আসলে গ্রহীতাদের ভিখারী ছাড়া কী মনে করে?
  • r2h | 192.139.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৫২528608
    • &/  | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৪১
    • ....ক'দিন আগে দেওয়া তথ্যে দেখলাম শিশু কিশোর তরুণ ইত্যাদি জনসংখ্যার কমতি। এটা একটা ভালো লক্ষণ...
     
    এটাকে অনেকেই খুব একটা ভালো লক্ষণ বলে ধরেন না। তবে সেটা এই সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৪৯528607
  • অস্তিত্বহীন চাকরির নিয়োগপত্র। যেন সেই অস্তিত্বহীন মনসবের মনসবদারি দিয়ে দেওয়া। সিপাহী বিদ্রোহের আগে এরকম নাকি হত।
  • r2h | 192.139.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৪৫528606
    • অরিত্র  | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:১১
    • ... জানি না কোন বিরোধীরা। বিজেপি বলতেই পারে, আবাপও পারে, দক্ষিণপন্থী সবাই পারে, কিন্তু সিপিএম ক্যাটাগরিকালী বলেছে ওরা ভিক্ষে মনে করে না, সমর্থন করে, আরও বারবার কথা বলেছে। সেলিম সৃজন দুজনেই ভিডিওতে বলেছে এখানে দিয়েছিল কেউ। সাধারণ কর্মীরা বলেছে আগে কিন্তু পার্টি খুব কড়া বার্তা দিয়ে রেখেছে।
     
    না, সিপিআইএমের সমর্থকরাই সব থেকে বেশি বলেছে। পরে নেতৃত্বের বকা খেয়ে সুর পাল্টেছে। কিন্তু তার আগে ভোটের প্রচারে এইটা বড় রকম ভাবে ছিল, বিভিন্ন কমিটির লোকজনও বলেছে।
    এবার, আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার আমলে কে দলীয় নেতৃত্বের সম্মতিতে বলেছে আর কে অত্যুৎসাহী হয়ে - সেটা বোঝা ভার, তা সত্যি। তো, সাধারন কর্মীরা বলেছে, নেতৃত্ব কড়া বার্তা দিয়েছে - সত্যি কথা। কিন্তু ঐ কড়া বার্তাটা দিতে হয়েছে।
    নেতৃত্ব অনুদান নিয়ে, বিজেমূল নিয়ে, গুরু থেকে বেরুনো জয় গোস্বামীর দগ্ধ নিয়ে অনেক কথা অনেকবার বলেছে। শহুরে সমর্থকরা সেসব মানে না। এবার সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড়। যে রেজিমেন্টেশন বাম দলগুলির শক্তি ছিল ফেসবুকের যুগে তা ভোগে গেছে।
    সেটা কীভাবে সামলানো যাবে সেটা তাদেরই ভাবতে হবে।

    একটি গ্রামের গরীব প্রথম প্রজন্মের ছাত্রী কষ্ট করে পড়াশুনো করে এগারো ক্লাসে উঠেছে বলে সরকারী টাকা পাবে - এতে অসম্মানের প্রশ্নটা তোলে কে? ভোর তিনটেয় ট্রেনে চেপে এসে পাঁচ বাড়ি কাজ করে সংসার চালিয়ে একজন ভদ্রমহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সরকারী ভাতা পান - এটা অসম্মানের টাকা? এর ওপর তাঁর অধিকার নেই? এসব শুনলে বিবমিষা হয়।

    তৃণমূল এসব দেওয়াতে দুর্নীতি করছে - (নিশ্চয়ই করছে, গোটা দলটাই চোরেদের দিয়ে তৈরি, করাটাই স্বাভাবিক) - সেটা নিয়ে কথা হোক।
    গুরুর পাতাতেই তো অনুদানে অসম্মান ইত্যাদি অহরহ শুনি।
    আর অন্য পরে কা কথা, একটু আগে আপনিই তো মশাই বললেন "তবে অনুদান ভিক্ষে না হলেও কাজ করে পাওয়া মজুরির থেকে একটু আলাদা। যা কাজের বদলে পাওয়া যায় তার ওপর মানুষের অধিকার বোধ জন্মায়..."! 
    এর থেকে আমি অন্তত এটাই মানে করবো যে মজুরীর টাকায় অধিকার আছে কিন্তু এইসরকারী টাকায় অধিকার নেই!
     
    দুর্নীতি, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নাম - এই সবেতেই একমত। 
    কিন্তু আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এই তর্ক এই পাতায় দু'দিন পরেই আবার হবে - অনুদান নিয়ে রাজ্যটা ভিখিরি হয়ে গেল!
  • . | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৪৪528605
  • "উপর উপর অনুদান দিয়ে ঠেকিয়ে আসল কাজের বেলা ঢু ঢু। কর্মসংস্থান নেই।"
    ভ্যাট্! কে বলল? দশহাজার না চল্লিশ হাজার তাকরি দিদি সেই দিলেন না সেবার সভা ডেকে হাতে হাতে নিয়োগপত্র? মনে নেই?
    যদিও চাকরিগুলো নাকি এগজিস্ট করেনি আসলে। কিন্তু নিয়েগপত্র উনি জনে জনে বিলি করেছেন।
  • . | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৪১528604
  • আমাদের এখানে প্রত্যেক শিশুর জন্য সরকার বাধ্যতামূলক অনুদান দেয় ১৬ বছর বয়স অবধি। যারা উচ্চশিক্ষায় যায়, তাদের জন্য সম্ভবত ২৪ বছর অবধি, ঠিক মনে নেই। এর কারন প্রতিটি শিশুই দেশের সম্পদ, দেশের ভবিষ্যৎ। তাদের শিক্ষা যেমন অবৈতনিক, ঠিক তেমনি তাদের অনুষঙ্গিক খরচের জন্য সংসারে যাতে চাপ কম পড়ে। এটা ধনী দরিদ্র সব সংসারের সন্কানদের জন্যই প্রযোজ্য।
    শিশুটি যেইমাত্র শিক্ষা পেয়ে চাকরি পেয়ে গেল, ব্যস আর অনুদানের দরকার রইল না। সে নিজেই নিজের খরচ চালাতে পারবে। বাপমায়ের সংসারেও তাকে বাধ্য হয়ে থাকতে হবে না। নিজের বাসস্থান সে নিজেই খুঁজে নেবে।
    এরকম অনুকূল পরিবেশ ভারতে নেই, তাই অনুদান আরও বেশি করে দরকার।
  • &/ | 151.14.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৪১528603
  • সেই। উপর উপর অনুদান দিয়ে ঠেকিয়ে আসল কাজের বেলা ঢু ঢু। কর্মসংস্থান নেই। নতুন কিছু উদ্যোগ আয়োজন শুরুর কোনো নামনিশান নেই। জনসংখ্যার চাপে এবং আরও নানা কারণে চাকরিবাকরি হয়ে গেছে ঘুষ দিয়ে পাবার জিনিস, পড়াশুনো পর্যন্ত টাকার খেলা হয়ে গেছে। সরকারি স্কুল লঙ্গরখানা হয়ে গেছে, মধ্যবিত্ত সেখানে সন্তান পাঠান না। তাঁরা লিটারেলি পয়সা দিয়ে সন্তানের কেরিয়ার কিনছেন প্রাইভেটে। প্রাইভেট স্কুলগুলো বাণিজ্য করছে, আল্টি রাম্বানিদের পকেট ভরছে।
    ( ক'দিন আগে দেওয়া তথ্যে দেখলাম শিশু কিশোর তরুণ ইত্যাদি জনসংখ্যার কমতি। এটা একটা ভালো লক্ষণ, চাপটা কিছুটা কমবে। তারপর দেখা যাক কী হয় )
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৩৭528602
  • আর একটা সেকুলার দল "লক্ষ্মীর ভাণ্ডার" এই রকম নাম দেয় কেন। সরকারি প্রকল্পে নাম হওয়া উচিত নিরপেক্ষ, সবকিছু এমনকি যিনি সরকার চালাচ্ছেন তার রুচি পছন্দ নিরপেক্ষ হওয়াও দরকার। সারা বাংলা যেন দিদির আর্ট ক্যানভাসে পরিণত হয়েছে। বিরক্তিকর।
  • . | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৩২528601
  • "তৃণমূল ভিক্ষের মত করে অনুদান দেয়। এই নে কটা টাকা। ভোট দিবি তো আবার দেব। নইলে ফোট। এই ব্যবহারটা আপত্তিকর। অনুদান নয়।"
     
    একদম
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৩২528600
  • সেইদিনের সেইসবের।
  • অরিত্র | 103.77.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৩০528599
  • "আবার নিজেরাই বিরোধীরা অনুদানকে ভিক্ষে বলেছে বলে কেঁদে বেড়ায়।"
     
    আরও বুঝতে হবে অনুদান দিয়ে কিন্তু উন্নতি হয় না, অনুদান একটা ঠেকনা, একটা সাপোর্ট। কিন্তু তারপর তার কাজের ব্যবস্থা চাই, শিক্ষা চাই, প্রশিক্ষণ চাই। সেইদিনের জন্য সরকারকে কাজ করতে হয়। সেখানে তো ভাঁড়ে মা ভবানী। শুধু অনুদান বা কাজের বদলে অনুদান (এখন যেটা হচ্ছে, অন্য জায়গাতেও) এটা হলে বুক বাজানোর তো কিছুই নেই। ব্যর্থতার মলম।
  • NRO | 165.124.***.*** | ২২ আগস্ট ২০২৪ ০১:৩০528598
  • How important it is to understand the World of others: Buddhist fable Monkey & Fish
     &  
     
    A monkey saw a fish in the water and took it out, thinking it was saving its life. The fish then died.
     
    অনুদানের বিষয়ে বলা যায় যে সমাজের ভালোর জন্য ভেবে বন্ধ করলেও অনেকের পক্ষে খারাপ আবার বন্ধ না করলেও অন্য অনেকের পক্ষে খারাপ। যাকে বলে double-edged sword, cuts both ways.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত