"বেড়াল কেন বিষম খেয়ে মরে, চাঁদের কখন কখন মাথা ধরে, ঘরবাড়ি যে আসলে ময়দা দিয়ে গাঁথা তা বুঝতে কেন লোকের এত সময় লাগে,এইসব প্রশ্নও তো আছে :-))"--মাইরি কেকে, এরকম অজ্জিনাল সব চিন্তা! মন ভাল হয়ে গেল।
ইদানীং ছোটদের জন্য ছোট্ট ছোট্ট গল্প লিখছি। তাতে তোমার ওই জাতীয় লাইন কিন্তু একেবারে কপিপেস্ট করব, না করতে পারবে না।
আমি বলে চুরি করি, না বলে নয়।
জানুয়ারি ফেব' দুমাস মাথা ধরে ছিল। এখন একটু যেন মেঘ সরে গিয়ে রোদ হাওয়া ঢুকছে। সল্ট লেকের নামকরা হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিনের চিফ ডক্টর আমার বুকে স্টেথো লাগিয়ে জিজ্ঞেস করলেন--এত নেবুলাইজিং করেও বুকে একটু একটু স্প্যাজম! কমছে বাড়ছে!
আমার মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল--কেন মেঘ আসে হৃদয় আকাশে?
পনেরদিন পরে ওনার চেম্বারে ঢুকে নার্সকে বললাম--সেকী, আজ ডক্টর এক্স নেই?
নার্স জিভ কেটে ওনার দিকে ইশারা করল।
--না না, ইনি তো অন্য ডাক্তার, কোন ওয়াই।
ডাক্তার মুখের মাস্ক নামিয়ে বললেন --এবার হয়েছে? আমিই এক্স।
আমি ভুরু কুঁচকে বললাম-- শুধু মাস্ক নয়, আপনি গোঁফের স্টাইলও বদলে ফেলেছেন। জানেন তো বাঙালী গোঁফ দিয়েই--
--বুঝতে পেরেছি। এবার ওই উঁচু বেডে শুয়ে পড়ুন। বাকি দেখে নিচ্ছি।
হাসি চাপার
অদম্য চেষ্টায় নার্সের বিষম লাগল।
আমার মেয়ের চোখে আগুন।
--বাড়ি চল, তারপর দেখাচ্ছি।
--উনিজীও দেখালেন, তুইও দেখা।