অরিন্দমবাবু, একটু মজা করছিলাম :-)
ডায়বেটিস সম্পর্কে আমার অবসার্ভেশান এরকমঃ চিনি দেওয়া কোন কিছু না খাওয়া, আর নিয়মিত হাঁটাহাঁটি - এই দুটো করতে পারলেই সুগার অনেকটা কন্ট্রোলে থাকে। আর এই দুটোর মধ্যে হাঁটাহাঁটি হলো বেশী দরকারী।
আমি রোজ বিকেলে আর রাতে ডিনার করে ৩০-৪০ মিনিট করে হাঁটি, অর্থাত রোজ ৭০-৮০ মিনিট, দশ হাজার স্টেপ, পাঁচ কিলোমিটার। দুয়েকদিন নানা কাজে হয়তো গ্যাপ পড়ে যায়, তার পরদিন একটু বেশী হেঁটে নি। আপেলের ঘড়ি পরে হাঁটি, তাতে হার্টবিট, ক্যালোরি বার্নট ইত্যাদি নানারকম প্রয়োজনীয় ডেটা পাওয়া যায়। আর ট্রেন্ড দেখায়, সেটাও কাজে দেয়। আপনার মডেল হয়তো আপেল বা গুগলের হেল্থ অ্যাপগুলোর থেকে ডেটা কালেক্ট করতে পারে।
মিষ্টি অ্যাভয়েড করি, তবে নানারকম ফল খাই, যেমন পাকা পেঁপে, আপেল, আঙুর, জাম, তরমুজ ইত্যাদি। এগুলোর কয়েকটা মিষ্টি হলেও, আমি যদ্দুর জানি ফলের মিষ্টি অতোটা ক্ষতিকারক না। তবে আম বা কলা, যেগুলো খুব মিষ্টি, সাধারনত অ্যাভয়েড করি।
এবার একটা ইম্পর্ট্যান্ট ব্যপার আছে, সেটা হলো শুগার ক্রেভিং। অনেকদিন ধরে মিষ্টি একদম না খেলে দেখেছি আমার এটা খুব হয়। আমি চার মাসে একবার অল্প খানিকটা মিষ্টি খেয়ে নি, যেমন আধা মাফিন বা আধা কুকি ইত্যাদি (বাকিটা মেয়ের বরাদ্দ)। ওতে টেম্পোরারি স্পাইক হয়, কিন্তু সে বড়োজোর একদিনের জন্য। এতে আমার জন্য একটা ব্যালেন্স থাকে, কারন একেবারে মিষ্টি না খেলে ক্রেভিংটা বাড়তেই থাকে, কাজেই চার পাঁচ মাস পরপর হঠাত মিষ্টি কিছু খেয়ে নিলে আবার কমে যায়।
আমার ডায়বেটিস ধরা পড়েছিল ২০১৬ তে, প্রথম কয়েক মাস সুগার লেভেল থাকতো তিনশোর ওপরে, তারপর এক বছরের মধ্যে দেড়শোর নীচে নেমে গেছিল। আমার ফাস্টিং শুগার লেভেল মোটামুটি ১২০ থেকে ১৩৫ এর মধ্যে থাকে, দুতিনদিন পরপর মাপি। আর HbA1c লেভেল সাড়ে ছয় থেকে সাতের মধ্যে থাকে, এটা আরেকটু কমানোর চেষ্টা করছি।
আমার মনে হয়, আপনার মিটুইন যদি রেগুলার হাঁটাহাঁটির জন্য মোটিভেট করতে পারে তো সেটা একটা বড়ো উপকার হবে। আপেল মোটিভেট করার চেষ্টা করে বটে, তবে সে অতি খাজা।