যাদের সঙ্গে এনগেজ হতে চাই না বলে লিখিতভাবে জানিয়েছি, তারা যদি পোতিবাদী ভাবমুত্তি ধারণ করেন তাহলে মুশকিল।
গান্ধী নিয়ে তুমুল বাওয়াল এবং সেই নিয়ে আলাদা একটা টই খোলার পরে প্রথম প্রতিবাদটি করেন খ এবং আমার মতকে তুমুল সমর্থন করেন। এখন ইতিহাস নিয়ে তাদের জ্ঞানগম্যি খ-এর থেকে অনেকটাই কম হওয়ার কারণে তারা অবশেষে রণে ভঙ্গ দেন। যদিও সেখানে কোনও তুইতোকারি বা গালিগালাজ হয়নি। খঞ্জনিবাদকদের হিসেবে ধরছি না।
এরপর এক মহিলা অন্যজনের সঙ্গে আমার সম্পর্কে যাচ্ছেতাই মন্তব্য চালাচালির পরে প্রথম প্রতিবাদটি করেন ডিসিজনাব এবং তিনিই 'কলতলার ঝগড়া' শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেন। যদিও সেখানে কোনও তুইতোকারি বা গালিগালাজ হয়নি।
আমি যে কারণে ভাটে লগিন করে লিখি, সেখানে একটি তীব্র সেক্সিস্ট কমেন্ট করার পরে আমি সেই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই। সেখানে প্রথম প্রতিবাদটি করেন ম।
ভাট ছেড়ে ব্লগে আসি। বিদ্যাসাগর সম্পর্কিত লেখাটিতে জনৈক পাঠক আমাকে যাচ্ছেতাই রকমের শব্দ ব্যবহার করে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেন। সেখানে প্রথম প্রতিবাদটি করেন দ-দি, পরে খ। এমনকি সৈকতকে আলাদা করে একটি স্টেটমেন্টও দিতে হয়। তারপর গোটা ব্যাপারটা থামে।
এখন সেখানে কেউ যদি ছাত্রদের দিয়ে শিক্ষক পেটানোর দমদমি দাওয়াই দেওয়ার প্রস্তাব দেন, তাহলে তার পরিণতি কী হতে পারে সেটা জানা আছে? সেটা কি আরাবুলের মাস্তানির চেয়ে কোনও অংশে কম হবে?
বলা হয়েছে ঈর্ষার কথা। সৈকত, অরিনবাবু, বড়েস, অমিত বিদেশে থাকেন। শিবাংশুবাবু, রঞ্জনবাবু কলকাতায় থাকেন না। আবার অনেকেই কলকাতায় থাকেন রমিত বা আরও কেউ কেউ। তাঁদের সঙ্গে এ পর্যন্ত একটি খারাপ কথা বলেছি এমনটা কেউ দেখাতে পারবেন? 'আজ বিদ্যাসাগর, কাল রামমোহন, পরশু বিবেকানন্দ - লজ্জা করে না?'-র পাল্টা হিসেবে আজ তেহরান, কাল ইস্তামবুল, পরশু মিউনিখ, তরশু জ্যুরিখ বলিনি কিন্তু। তাহলে ঈর্ষাটা কার?
আরেকজন শুধু চুকলিবাজই নন, চরম মিথ্যাবাদীও। বিদ্যাসাগর যখন ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে গুরুতে, তখন সেখানে কমেন্ট না করে ভাটের পাতায় সেই নিয়ে খাপ বসে। অমিত এবং অভ্যু প্রায় সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যাপারে দুঃখপ্রকাশ করলেও এবং ব্যাপারটা সেখানে মিটে গেলেও খাপের সরপঞ্চ কিন্তু নিজের অবস্থানেই অনড় ছিলেন। তাহলে তিনি কোন মুখে বলেন যে আমার সঙ্গে তার কোনও দিন কথাবার্তা হয়নি? তার লিঙ্ক দিচ্ছি। এই নামে খুঁজলে তার সঙ্গে আমার প্রচুর কথোপকথন খুঁজে পাওয়ার কথা।
আমি আবারও লিখিতভাবে বলছি এই দুজনের সঙ্গে এনগেজ হতে চাই না। তারাও এনগেজ না হলে ভালো করবেন।
আর আমি একা বইমেলায় মার্চের ৫-৬ এবং ১২-১৩ সন্ধে ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত গুরুর স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকব। সেখানে কার কার এক থাপ্পড়ে সবগুলো দাঁত ফেলে দেওয়ার জন্য হাত ওঠে সেটা দেখব। সেই হাত কত লম্বা হতে পারে সেটাও দেখব। আমার তরফ থেকে খোলা চ্যালেঞ্জ রইল।