এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:২৩493574
  • তাই তো! লোকাল ট্রেনে এত বড় বড় জানালা দরজা , অথচ সিলিংএর কাছে ঘুলঘুলি করতে বলছে দেখে আমি তো ঘাবড়ে ঘ! ঃ-)
  • | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:২০493573
  • এই খেয়েছে! লোকাল ট্রেন ত এমনিই বেশ খোলামেলা। লোক কম থাকলে খুবই আরামের। ওমিক্রন বড় জানলা পেয়ে টেরোডাকটিলের মত উড়ে উড়ে ঢুকে আসে নাকি!? :-)))))
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:১২493572
  • এক ড্যাশ পাব্লিক আবার লোকাল ট্রেনে ছোটো ছোটো ঘুলঘুলি বা ভেন্টিলেটার করতে বলছে। তাতে নাকি ওমিক্রন পালাবে। কী অবস্থা!
  • | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:১০493571
  • সত্যিই এই নিরন্তর অসভ্যতা গালিগালাজ তুই তোকারি দেখতে দেখতে অসম্ভব বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি।   আমাদেরি মনে হয় কোন একটা হালকা পলকা টই খুলে পালাতে হবে তাতে। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:০৯493570
  • ইতিহাসচর্চার কিছু নিয়মকানুন আছে। সেসব সব বাদ দিয়ে কিছু উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অসৎ মিথ্যা প্রচারকে ইতিহাসচর্চা বলা যায় না।
  • Amit | 121.2.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:৫৩493569
  • দ্যাখেন একটা কথা ভাবি মাঝে মাঝে। ইতিহাস চিরকাল যারা জিতেছে তারাই প্রথমে লিখেছে। আবার পাশা ওল্টালে নতুন করে লেখা হচ্ছে হিন্দু ভোটব্যাংক ইগো পাম্পেরিং  এর জন্যে যেমন রানা প্রতাপ যুদ্ধে জিতেছিল ইত্যাদি. আসল ঘটনা সবই কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে -তাই ফিক্শন ভরসা । সত্যিটা হয়তো মাঝামাঝি একটা বিশাল গ্রে এরিয়া যেটা ১০০-% জানা বেশ ডিফিকাল্ট - এক টাইম মেশিনে চেপে ফিরে গিয়ে নিজের চোখে না দেখলে। 
     
    হয়তো ইন্ডিয়া যতটা অসভ্য ছিল সেটা ব্রিটিশ ইতিহাসে যতটা লেখা হয় ততটা ১০০-% নয়। কিন্তু ব্রিপুসভা য় সব দুধে ভাতে ছিল সেটাও তো এক্কেরে সত্যি নয়। জাতপাতের ডিস্ক্রিমিনেশন যে অনেকটাই পেছনে ছিল এবং আছে - সেটা তো আজকেও দেখাই যাচ্ছে রোজই। তখন নিশ্চয় আরো বেশিই হবে- কম হওয়ার প্রবাবিলিটি কতটা ? এবার সেই সমাজে দাঁড়িয়ে রামমোহন বা বিদ্যাসাগর যতটা করতে পেরেছেন - সেটা কেন আগে এপ্রিসিয়েট করবনা ? তারা যা করেননি বা করে উঠতে পারেননি সেগুলোকে নিয়ে কেন কমপ্লেন করবো আগে ? গ্লাস অর্ধেক খালি হলো আগে অর্ধেকটা জল তো ভরতে হয়েছে ? 
     
    বরং এটাই বেশ লজ্জার আমাদের জন্যে যে তারা যা যা করে গেছেন তখনকার সমাজের বিরোধিতার সামনে দাঁড়িয়ে , সেই কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো আরো একশোটা লোক কেন উঠে আসেনি ? নাকি বাকি সবাই কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছিলো যে সমস্ত  কাজ এরাই  সেরে নিক , আমরা পরে বসে বসে এনজয় করবো ?
  • | 2601:247:4280:d10:c93d:7672:6514:***:*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৫:৫৮493568
  • ইংরেজ রাজত্ব শুরু হবার আগে সোনার বাংলায় দলে দলে মেয়েরা পড়াশোনা করতো, স্বনির্ভর ছিলো- এগুলো আজকাল খুব শুনতে পাই।এও জানতে পারি ঐ বদমাশগুলো এসেই মেয়েদের অন্ধকার যুগে ঠেলে ফেলে দিলো। শুনলে আজকাল কেমন ভয়ভয় লাগে। 
  • পাল্টি মাস্টার এলেবেলে | 2a0f:df00:0:255::***:*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৫:২৩493567
  • এলেবেলেদা তো পুরো বিজেপি, সলিড বিজেপি, ভোটের আগে জেলা ধরে ধরে অ্যানালিসিস করে বলে দিয়েছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি জিতছে। এখন একটু লজ্জা পেয়েছেন, বলছেন এখন নাকি উনি সিপিএম।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৫:০০493566
  • সতীদাহ ছিল না, বিধবাবিবাহ চলত হরদম, মহিলাদের শিক্ষার জন্য ঢের ঢের ব্যবস্থা ছিল---এইসব মিথ্যাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এরা ছড়ায়। হয়তো ভেবেছে হিন্দুত্ববাদীরা ক্ষমতায় এসে শাল-দোশালা দেবে, শিরোপা দেবে, কোথাও কোথাও মন্ত্রী টন্ত্রীও করে দিতে পারে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৪:৫৩493565
  • একটা গোটা গোষ্ঠী আছে। এদের উদ্দেশ্য সম্ভবতঃ কিছুটা রাজনৈতিক কিছুটা অন্যকিছু। যেখানে পারে সেখানে বিদ্যাসাগর পাজী, সুভাষ নাজী, রামমোহন বদমাশ, রবীন্দ্রনাথ দালাল, বিবেকানন্দ ধান্দাবাজ--- এইসব প্রতিপাদ্য প্রমাণ করার চেষ্টা করে। আর বৃটিশ পূর্ব সোনার ভারত ---আহা কী সোনার দিন ছিল ---এইসব বলার চেষ্টা করে। ফেবুতে নানা গ্রুপে এদের খুব সক্রিয় দেখতাম এককালে। এখন মনে হয় ওদিকে সুবিধে হচ্ছে না, তাই অন্যান্য জায়্গা ঢুঁড়ে বেড়াচ্ছে।
  • No comment | 74.2.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৪:৪৫493564
    • এলেবেলে | ১৪ নভেম্বর ২০২১ ২২:৩৯490311
      • আহা | 37.120.147.90 | ১৪ নভেম্বর ২০২১ ২১:১৯490304
      • মানিকদার জাস্ট কোনো তুলনা নেই বুজলেন? রে হচ্ছে বাংলার নবজাগরনের শেষ আলো।
       
      তার প্রথম আলোটিকে আঁশবটিতে কাটা চলছে পুরোদমে। দেখতে থাকুন, সঙ্গে থাকুন।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৪:৩৪493563
  • আগে ফেবুগ্রুপে চলত তথাকথিত "তর্কবিতর্ক"। কোথায় কার আঁশ ছাড়ানো হবে, কোথায় কার চুল ছিঁড়ে টাক করে দেওয়া হবে--এইসব। তারপরে সম্ভবতঃ ফেবুতে ওসব করা ঝামেলার হয়ে গেছে, ফেবু কোনো নিয়মকানুন এনেছে। তাই অন্য সব জায়্গা খুঁজছে এরা।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৪:২০493562
  • খোলা ভাটিয়া৯তে এইসব অসভ্যতা, গালাগালি দেখতে বিশ্রী লাগে। অন্য কোনো চারণভূমিতে গিয়ে এসব করুক এরা। ( এসব এরা করবেই। বহুবার বহু লোকে বলার পরেও যখন বিপুল উৎসাহে করে যাচ্ছে, তখন বুঝতে হবে এইগুলো এরা থামাবে না। করবেই যখন, অন্যত্র করুক। )
  • kk | 68.184.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৪:১০493561
  • হ্যাঁ, মিঠুর এই কথাটাই আমারও মনে হয়। এখানে অনেকেই আছেন প্রচুর পড়াশোনা করেন, কোনো বিশেষ বিষয় নিয়ে অনেক জানেন। তো সেই নিয়ে অন্যের সাথে মতে না মিলতেই পারে। সেই নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করুন যত খুশি। কিন্তু এ অন্যকে গরু, ছাগল, এইসব বলে, তুই তোকারি করে কি সত্যিই কোনো লাভ হয়? আজ আপনি একে গাধা বললেন, সে উল্টে আপনাকে গবেট বললো।এর তো কোনো শেষ নেই, চলতেই থাকে। কেউই তো কারুর পয়েন্ট থেকে বিন্দুমাত্র সরেন না। এইগুলো করে কি মনে শান্তি পান? নিজেদেরই এগুলো ছেলেমানুষী মনে হয়না? এত তিক্ততা নিয়ে, রাগ নিয়ে, পার্সোনাল অ্যাটাক করে কি সত্যিই কোথাও পৌঁছনো যায়?
  • হেঁহেঁ | 69.195.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৪:০৮493560
  • এই তো এলেবেলেবাবু নিজেই দ্যান। সুদু নিজের লেকার লিংক দিয়ে ক্ষান্ত থাকেন না, লেকার আগে ছমাস বিজ্ঞাপন করেন, রেফারেন্সের লিস্টি দ্যান, বিবলিওগ্রাফির দৈর্ঘ ও শব্দসংখ্যা ফাটিয়ে বেড়ান, বিরোধীপক্ষের লেখকদের গালমন্দ করেন, গুরুর ভাটুরেদের মুন্ডুপাত করেন, বোদাগুর পপিচু করেন এবং রেকারিং ডেসিমেলের ন্যায় চলতে থাকে। লেকার পরে নিজের পোশংসা করে বেড়ান, কেউ লেকা না পড়লে ধমকান, কেউ পোশংসা না করতে চাইলে গাঁট্টা মারেন, ফের গুরুর ভাটুরেদের মুন্ডুপাত করেন, বোদাগুর পপিচু করেন এবং রেকারিং ডেসিমেলের ন্যায় চলতে থাকে। বই বেরোলে খেলা এক্সট্রা টাইম পজ্জন্ত গড়ায়। কত কপি ছাপা হল, কত কপি বিক্কিরি হল, কে তোল্লাই দিল, কোন ব্যাটাকে নেগেটিভ সমালোচনার জন্য ফেবুতে ধুইয়ে দেওয়া হল- এসব স্ট্যাট উনি খুব যত্নসহকারে সায়েন্টিফিক পদ্ধতিতে আপডেট করেন। এতাবধি এইরকমই চলছে। বলতে নেই, মানুশটি ভাল। আমাদেরও এট্টু খোরাক হয়!
  • | 2601:247:4280:d10:c93d:7672:6514:***:*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৩:৪৭493559
  • লোকে অক্লান্ত ভাবে অসভ্যতা আর গালিগালাজ করে যেতে পারে দেখে আজকাল মুগ্ধ হয়ে যাই। এদের জন্যে গুরুর একটা নতুন চারণভূমি দরকারঃ-) 
  • | 2601:247:4280:d10:c93d:7672:6514:***:*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৩:৪২493558
  • এ কী কান্ড! গুরুর বইপত্রের কথা কোথাও ছাপা হলে সে তো আনন্দেরই কথা।এ পাতার অনেক লোকের লেখাই নানা পত্র পত্রিকায় ছাপা হয়।লোকে পড়ে অনেক সময়ই এখানে লিংক দেয় বা দেয় না।লেখক নিজেই নিজের লেখার লিংক দ্যান বলে "মনে"করতে পারছি না। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৩:০৭493557
  • আরে অভ্যু, আমি তো ভেবেছিলাম খাটের পায়ার সঙ্গে বুঝি বাঁধতেন! তারপরে পড়ে দেখলাম, খাটে বসিয়ে বা শুইয়ে তারপরে বাঁধতেন যাতে নিজের কিছু ক্ষতি না করে, অর্থাৎ ভালোর জন্যেই। নির্ঘাৎ মা ভদ্রমহিলা কাছেই থাকতেন, দরকারে (স্নান, খাওয়া ও আনুষঙ্গিক প্রয়োজনে) খুলে দিতেন।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০২:৫৯493556
  • এইসব মহান সব আলোচনা----বিদ্যাসাগর, রামমোহন, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র, চিত্তরঞ্জন....প্রভৃতি মহান ব্যক্তিত্ব যেখানে জড়িত, সেইসব আলোচনাগুলো আলাদা টই খুলে করলে উপকার হয়। ভাটিয়া৯ তে তো হারিয়ে যাবে।
  • দীপ | 2401:4900:3a19:905b:8420:fa10:84cd:***:*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০২:১৩493555
  • মেয়েরা শিক্ষালাভ করুক, বড়ো হোক- সারাজীবন ধরে এটাই চেয়েছেন বিদ্যাসাগর। তাই চন্দ্রমুখী বসু  মেয়েদের মধ্যে এম এ পরীক্ষায় কৃতকার্য হলে বিদ্যাসাগর তাঁকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান, পরে আশীর্বাদী চিঠির সঙ্গে শেক্সপিয়র রচনাবলী পাঠিয়ে দেন।
    আর এই অসামান্য চরিত্রকে নিয়ে একদল নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে বেড়ায়!
  • দীপ | 2401:4900:3a19:905b:8420:fa10:84cd:***:*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০২:০৭493554
  • ১৮৫৭ সালের নভেম্বর থেকে ১৮৫৮ সালের মে মাসের মধ্যে বিদ্যাসাগর দক্ষিণবঙ্গে মোট ৩৫টি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। এই বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নিয়েই বিদ্যাসাগরের সঙ্গে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্ঘাত বাধে ও বিদ্যাসাগর পদত্যাগ করেন।
    এরপরও কোনো কোনো মাতব্বর বিদ্যাসাগরকে ব্রিটিশ শাসনের স্তাবকরূপে দেখাতে চায়!
  • দীপ | 2401:4900:3a19:905b:8420:fa10:84cd:***:*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০১:৪১493553
  • আসলে গবেটের মাথায় বিদ্যাসাগর-বঙ্কিমের কাব্যময় গদ্য ঢোকেনি। সেই দুঃখে আজো নেচে নেচে নেচে বেড়াচ্ছে!
  • দীপ | 2401:4900:3a19:905b:8420:fa10:84cd:***:*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০১:৩১493552
  • হরপ্রসাদ তো বিদ্যাসাগরের নাম এখানে একবার‌ও আনেন নি।‌ কিন্তু ছাগল বুঝতে পেরেছে একথা বিদ্যাসাগরকে উদ্দেশ্য করেই বলা হয়েছে! আশ্চর্য মাথা!
  • এলেবেলে | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০১:২৮493551
  • হুম, চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মুরোদ না থাকায় এখন নিজের খেয়ালে মুতেছি দেওয়ালে পর্ব শুরু হয়েছে। জানাই ছিল। ঘুমোই গে।
     
  • দীপ | 2401:4900:3a19:905b:8420:fa10:84cd:***:*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০১:২৮493550
  • ..আজ বিশেষ করে মনে করিয়ে দেবার দিন এল যে, সৃষ্টিকর্তারূপে বিদ্যাসাগরের যে স্মরণীয়তা আজও বাংলা ভাষার মধ্যে সজীব শক্তিতে সঞ্চারিত, তাকে নানা নব নব পরিণতির অন্তরাল অতিক্রম করে সম্মানের অর্ঘ্য নিবেদন করা বাঙালীর নিত্যকৃত্যের মধ্যে যেন গন্য হয়। সেই কর্তব্যপালনের সুযোগ ঘটাবার জন্য বিদ্যাসাগরের জন্মপ্রদেশে এই যে মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে আমি তার দ্বার উদ্ঘাটন করি। পূণ্যস্মৃতি বিদ্যাসাগরের সম্মাননার অনুষ্ঠানে আমাকে যে সম্মানের পদে আহ্বান করা হয়েছে, তার একটি বিশেষ সার্থকতা আছে। কারণ এই সঙ্গে আমার স্মরণ করবার এই উপলক্ষ্য ঘটল যে, বঙ্গ সাহিত্যে আমার কৃতিত্ব দেশের লোক যদি স্বীকার করে থাকেন, তবে আমি যেন স্বীকার করি, একদা তার দ্বার উদ্ঘাটন করেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর...."
     
    " আমি আয়ুর শেষ সীমায় এসে পৌছেছি। এইটাই আমার শেষকৃত্য, শেষ উপহার, শেষ উৎসর্গ। মেদিনীপুর তীর্থরূপ নিয়ে আমাকে আহ্বান করছে এই পূণ্যক্ষেত্রে.!... বঙ্গসাহিত্যের উদয় শিখরে যে দীপ্তিমানের আবির্ভাব হয়েছিল, অন্যদিগন্তের প্রান্ত থেকে প্রণাম প্রেরণ করছি তাঁর কাছে। যাবার সময় এইটাই আমার শেষ কাজ মনে করুন। ভবিষ্যতে আপনারা মনে করবেন, কবি শেষ কৃতজ্ঞতার অর্ঘ্য আপনাদের কাছে এসে নিবেদন করে গেছেন--যিনি চিরকালের জন্য আমাদের দেশে গৌরবান্বিত তাঁরই উদ্দেশে।...."
     
    মহাকবির অসামান্য মূল্যায়ন ও প্রণাম নিবেদনকে আবার বিশেষ করে পাঠকের সামনে তুলে ধরলাম। মহাকবির শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের বিশ্লেষণ করার স্পর্ধা আমার নেই, সে দায়িত্ব পাঠকের।
  • এলেবেলে | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০১:২৪493549
  • ডবল হাম্পু গুঁজতে গেলে উল্টে ওখানে এক্সট্রা চারটে ফুটো নিয়ে হসপিটালে যেতে হবে। জীবনে আর সোজা হয়ে বসা কিংবা দাঁড়ানো যাবে না।
  • দীপ | 2401:4900:3a19:905b:8420:fa10:84cd:***:*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০১:২৩493548
  • মেদিনীপুরে রবীন্দ্রনাথ
    বিদ্যাসাগর স্মৃতি-মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন : রবীন্দ্রনাথের সর্বশেষ সারস্বতকৃত্য।
     
     
    মেদিনীপুরের তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিনয়রঞ্জন সেনের চেষ্টায় সেখানে বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির তৈরী হয়েেছে - স্মৃতি সমিতির কর্তারা রবীন্দ্রনাথকে দিয়ে মন্দিরের দ্বার উদ্ঘাটন করাতে চান। সজনীকান্তের সঙ্গে তখন কবিগুরুর তখন অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। সমস্ত মান অভিমান ভুলে সজনীকান্ত ফিরে এসেছেন তাঁর অন্তরতম গুরু রবীন্দ্রনাথের স্নেহচ্ছায়ায়। স্মৃতি মন্দিরের উদ্যোক্তারা কবিগুরুর সম্মতি আদায়ের জন্য এই সজনীকান্তকেই ধরলেন। রবীন্দ্রনাথ তখন মংপুতে হাওয়া বদল করতে গেছেন। সজনীকান্ত মংপুতেই পত্র মারফৎ যোগাযোগ করলেন। তার উত্তরে কবি লিখলেন:
     
    ".....আমার শরীর সম্বন্ধে তোমাদের ধারণা বোধহয় তোমাদের ইচ্ছানুবর্তী। এ ঘর থেকে ও ঘর আমার পক্ষে বিদেশ। একে চলতে হয় সাবধানে, অভ্যস্ত নিয়ম আকড়ে ধরে -নতুন জায়গায় সেটা সহজসাধ্য হয় না, কষ্টকর হয়। মেদিনীপুর যেতে হলে আমার পক্ষে একটা দৈহিক বিপ্লব হবে...."
     
     রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বিদ্যাসাগরের ভক্ত। চৌত্রিশ বছর বয়সে 'বিদ্যাসাগর চরিত' প্রবন্ধে নিজেকে 'অযোগ্য ভক্ত' বলে উল্লেখ করেছেন আর বিদ্যাসাগরকে বলেছেন'অখন্ড পৌরুষের আদর্শ'। কবির সেই আদর্শ পুরুষের পূণ্য নামে উৎসর্গ করা স্মৃতিমন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটনের জন্য যখন আমন্ত্রণ এল তখন তা ফেরাতে পারলেন না। রবীন্দ্রনাথ শারীরিক অসুস্থতা সত্বেও সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন।
     
    এই ছিল রবীন্দ্রনাথের চরিত্রধর্ম। চারুশীলন ও শুচিশীলনে তাঁর তুলনা খুজে পাওয়া ভার । যথাকালে যথাকৃত্য পালনে তিনি ছিলেন সদা তৎপর। ১৬ ই ডিসেম্বর সকালবেলা দশটার সময় মেদিনীপুর শহরে হাজার হাজার দর্শকের সামনে রবীন্দ্রনাথের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের দ্বার উন্মোচন অনুষ্ঠানটি তৎকালীন বঙ্গ সংস্কৃতির ইতিহাসে একটি অবিস্মরনীয় ঘটনা। 
     
    মেদিনীপুরে পৌঁছে কবির থাকা খাওয়া কোথায় কিভাবে হবে সে বিষয়ে সমস্ত ব্যবস্থা তদারক করবার জন্য কবির একান্তসচিব সুধাকান্ত রায়চৌধুরীকে কয়েকদিন আগেই মেদিনীপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তিনি কবিকে জানালেন যে তাঁর থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে জেলাশাসকের গৃহে। বিনয়রঞ্জনের স্ত্রী চিরপ্রভা সেন ছিলেন শান্তিনিকেতনের প্রাক্তনী। তাঁর বিশেষ আগ্রহেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
     
    কবি কিন্তু বিব্রতবোধ করলেন। ৪/১২/৩৯ তারিখে এক চিঠিতে চিরপ্রভাকে তাঁর অসুবিধার কথা জানালেন। সজনীকান্তকেও ৬/১২/৩৯ তারিখে লিখলেন:-
     
    ".....চির (শ্রীমতী সেন) তাঁর বাড়িতে আমাকে অতিথিরূপে পেতে চান, আমি একটি সম্পূর্ণ নিরালা বাড়ির দাবী জানিয়েছি। তুমি তো সেই রকমই আশ্বাস দিয়েছিলে। এখন কি ব্যবস্থা পরিবর্তনের আশঙ্কা আছে না কি। তোমার সঙ্গে মোকাবিলায় সব কথা পরিষ্কার হলে নিশ্চিন্ত হতে পারি....."
     
    স্মৃতিমন্দিরের উদ্যোক্তারা মেদিনীপুরে কবিকে নিয়ে আসার ভার দিয়েছিলেন সজনীকান্তকে। সেই উদ্দেশ্য সজনীকান্ত ১৩ই ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনে উপস্থিত হলেন। পনেরো তারিখে শান্তিনিকেতন থেকে রওনা হবার পর ট্রেনের একটি ঘটনা সজনীকান্তের অনবদ্য ভাষায় অপূর্বতা পেয়েছে। কবির বয়স তখন আটাত্তর পেরিয়ে উনআশি। সেই বয়সে কবি ট্রেনযাত্রায় সহগামীদের প্রাতঃরাশের ব্যবস্থা নিজ হাতে করছেন --এই বর্ণনাটি শুধু ভোজ্যরসে নয় মানবিকতার রসেও স্বাদু। সজনীকান্ত লিখেছেন :-
     
    ..." ১৫ই ডিসেম্বর প্রাতঃকালে পূর্ব বন্দোবস্ত মত একটি ফার্স্ট ক্লাস বগি বোলপুর স্টেশনের সাইডিঙে হাজির করা হইল। বিপুল রাজকীয় সমারোহে সপারিষদ কবি তাহাতে অধিষ্ঠিত হইলেন। অনিলচন্দ্র, অমিয় চক্রবর্তী, কৃষ্ণ কৃপালনী প্রভৃতি আমরা কয়েকজন, ক্ষিতিমোহন সেনশাত্রী মহাশয়কে রবীন্দ্রনাথের কাছে ঠেলিয়া দিয়া পাশের কামরায় গুলতানি করিতে করিতে চলিলাম। গুসকরায় কবির কক্ষে আমাদের ডাক পড়িল। দেখিলাম তিনি মহা উৎসাহে নানা ধরণের টিফিন ক্যারিয়ারের বাটি খুলিয়া সকলের প্রাতঃরাশের ব্যবস্থায় মাতিয়াছেন। পরোটা আলুর দম ও হালুয়া প্রধান উপকরণ। তিনি স্বয়ং প্রত্যেকের হাতে হাতে ভোজ্য বাঁটিয়া দিলেন। আমরা দুই এক টুকরো পরোটা গলাধঃকরণ করিলে সকৌতুকে প্রশ্ন করিলেন, পরোটা কেমন লাগছে হে? এইরূপ প্রশ্নের কারণ সহসা হৃদয়ঙ্গম করিতে না পারিয়া প্রশ্নাতুর দৃষ্টিতে তাঁহার মুখের দিকে চাহিয়া রহিলাম, মৃদৃহাস্যের সহিত তিনি বলিলেন ক্যাস্টর অয়েলে ভাজা অথচ তোমরা কেউ ধরতেই পারলে না। অনিল ও আমি...ইহাতে মোটেই ভয় পাইলাম না বরঞ্চ আরো দুইখানা করিয়া পরোটা যাচিয়া লইয়া কবির আনন্দবিধান করিলাম। কিন্তু দেখিলাম পেলবদেহী অমিয় চক্রবর্তী ও কৃষ্ণ কৃপালনী রীতিমত ভড়কাইয়ছেন।"
     
    শান্তিনিকেতন থেকে ট্রেন হাওড়ায় পৌঁছাল। মেদিনীপুরগামী ট্রেনের অনেক দেরী। কলকাতা পৌরসভার কর্তৃপক্ষ তৎকালীন মেয়র নিশিথ সেনের নেতৃত্বে কবিকে তাঁদের প্রদর্শনী উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিয়ে গেলেন। বিকেলের দিকে কলকাতা থেকে মেদিনীপুর তীর্থযাত্রীরা একে একে হাওড়ায় মিলিত হতে লাগলেন। রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, আচার্য যদুনাথ সরকার, ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র পন্ডিত (দাদাঠাকুর) নলিনীকান্ত সরকার, রামকমল সিংহ, পবিত্রকুমার গঙ্গোপাধ্যায়, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র শান্তি পাল প্রমুখ বহু সাহিত্যিক ও সাহিত্যরসিক সে তীর্থযাত্রায কবির অনুগামী হয়েছিলেন। সজনীকান্ত তাঁর অভ্যস্ত সরসতার সঙ্গে লিখছেন :-
     
     "পন্ডিত ক্ষিতিমোহন সেনশাস্ত্রী সেই ফাঁকে কলকাতায় তাঁহার শুভাগমন প্রত্যাশায় মুলতুবি-রাখা কয়েকটি দৈনিক বিবাহের অনুষ্ঠানে পৌরহিত্যও করিয়া আসিলেন। মোটের উপর এমন অপূর্ব জমায়েত আমাদের কালে কদাচিৎ ঘটিতে দেখিয়াছি। রাজেন্দ্র -সঙ্গমে শুধু দীনেরাই নন, নবীন ও প্রবীনেরা সোল্লাস কোলাহলে তীর্থযাত্রায চলিলেন। "
     
    রাত দশটায় ট্রেন মেদিনীপুরে পৌঁছল। স্টেশনে এই শীতের রাত্রেও কবিকে দেখবার জন্য স্বভাবতই বহু সহস্র লোকের সমাগম হয়েছিল। জনতার মধ্যে কয়কজন শ্বেতাঙ্গকেও দেখা গেল। সংবর্ধনাকারীদের মধ্যে মহিষাদলের রাজকুমার, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিনয়রঞ্জন সেন, জেলা জজ এস এন গুহরায়, রায়বাহাদুর দেবেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য, মহকুমাশাসক বি.কে. আচার্য, মনীষীনাথ বসু ক্ষিতীষচন্দ্র চক্রবর্তীও চিত্তরঞ্জন রায় প্রবৃতি বহু গন্যমান্য লোক ছিলেন।
     
    পরদিন ১৬ই ডিসেম্বর সকাল ৮টায় শোভাযাত্রাসহকারে রবীন্দ্রনাথ বিদ্যাসাগর -স্মৃতি-মন্দিরে উপস্থিত হলেন। কমিটির পক্ষ থেকে তাঁকে স্বাগতভাষণ জানানোর পর কবি স্মৃতি মন্দিরের দ্বার উন্মোচন করেন।
     
    দ্বারোদ্ঘাটন উৎসবেও লোকে লোকারণ্য। রবীন্দ্রনাথ জীবনস্মৃতিতে বলেছেন, বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয়ের "জল পড়ে, পাতা নড়ে"ই তাঁর জীবনে " আদি কবির প্রথম কবিতা।" নবজাগ্রত বাংলার সেই প্রাতঃস্মরণীয় শিক্ষাগুরুর উদ্দেশ্যে তাঁর যোগ্যতম উত্তরসূরী সেদিন যে ভাষায় তাঁর শেষ প্রণাম নিবেদন করেছিলেন তা যেমন উদাত্ত গম্ভীর তেমনি মর্মস্পর্শী। রবীন্দ্রনাথ তাঁর অভিভাষণে বললেন:
     
    ".....আজ বিশেষ করে মনে করিয়ে দেবার দিন এল যে, সৃষ্টিকর্তারূপে বিদ্যাসাগরের যে স্মরণীয়তা আজও বাংলা ভাষার মধ্যে সজীব শক্তিতে সঞ্চারিত, তাকে নানা নব নব পরিণতির অন্তরাল অতিক্রম করে সম্মানের অর্ঘ্য নিবেদন করা বাঙালীর নিত্যকৃত্যের মধ্যে যেন গন্য হয়। সেই কর্তব্যপালনের সুযোগ ঘটাবার জন্য বিদ্যাসাগরের জন্মপ্রদেশে এই যে মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সর্বসাধারণের উদ্দেশ্যে আমি তার দ্বার উদ্ঘাটন করি। পূণ্যস্মৃতি বিদ্যাসাগরের সম্মাননার অনুষ্ঠানে আমাকে যে সম্মানের পদে আহ্বান করা হয়েছে, তার একটি বিশেষ সার্থকতা আছে। কারণ এই সঙ্গে আমার স্মরণ করবার এই উপলক্ষ্য ঘটল যে, বঙ্গ সাহিত্যে আমার কৃতিত্ব দেশের লোক যদি স্বীকার করে থাকেন, তবে আমি যেন স্বীকার করি, একদা তার দ্বার উদ্ঘাটন করেছেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর...."
     
    কবি আরও বললেন:
     
     " আমি আয়ুর শেষ সীমায় এসে পৌছেছি। এইটাই আমার শেষকৃত্য, শেষ উপহার, শেষ উৎসর্গ। মেদিনীপুর তীর্থরূপ নিয়ে আমাকে আহ্বান করছে এই পূণ্যক্ষেত্রে.!... বঙ্গসাহিত্যের উদয় শিখরে যে দীপ্তিমানের আবির্ভাব হয়েছিল, অন্যদিগন্তের প্রান্ত থেকে প্রণাম প্রেরণ করছি তাঁর কাছে। যাবার সময় এইটাই আমার শেষ কাজ মনে করুন। ভবিষ্যতে আপনারা মনে করবেন, কবি শেষ কৃতজ্ঞতার অর্ঘ্য আপনাদের কাছে এসে নিবেদন করে গেছেন--যিনি চিরকালের জন্য আমাদের দেশে গৌরবান্বিত তাঁরই উদ্দেশে।...."
     
    রবীন্দ্রনাথের এই পবিত্রকৃত্যের কথা স্মরণকরে সজনীকান্ত লিখেছেন "এই ঐতিহাসিক পূজা দর্শন করিবার সৌভাগ্য অর্জন করিয়াছিলাম বলিয়াই নয়, সংঘটনকারীদের একজন ছিলাম বলিয়া আমি চিরদিন গৌরব এবং আত্মপ্রসাদ লাভ করিব"।
     
     শুধু সজনীকান্ত নন, হাজার হাজার দর্শকের সঙ্গে কবির অনুগামী হয়ে যাঁরা সেদিন গিয়েছিলেন তাঁরাও সেই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থেকে নিজেদের ধন্য মনে করেছেন। নিজেদের গৌরবান্বিত মনে করেছেন। আর এই ছিল মর্ত্য থেকে বিদায় নেবার পূর্বে রবীন্দ্রনাথের শেষ সারস্বতকৃত্য। 
     
    ঋণ:-
    রবীন্দ্রজীবনী :প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়।
     রবীন্দ্রনাথ ও সজনীকান্ত :জগদীশ ভট্টাচার্য।
  • এলেবেলে | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০১:২১493547
  • রামপ্রসাদ পাঠ্যপুস্তক লিখত বুঝি। দীপের থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী পণ্ডিত না মূর্খ। তিনি বিদ্যাসাগরকে চিনতেন?
     
    এটা তাঁর মূল্যায়ন --- আমাদিগের দুর্ভাগ্যক্রমে যে সময়ে ইংরেজ মহাপুরুষেরা বাঙালিদিগকে বাংলা শিখাইবার জন্য উদ্যোগী হইলেন, সেই সময়ে যে-সকল পণ্ডিতের সহিত তাঁহাদের আলাপ ছিল তাঁহারা সংস্কৃত কালেজের ছাত্র তখন সংস্কৃত কালেজ বাংলায় একঘরে। ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতেরা তাঁহাদিগকে যবনের দাস বলিয়া সঙ্গে মিশিতে দিতেন না। তাঁহারা যে-সকল গ্রন্থাদি পড়িতেন তাহা দেশমধ্যে চলিত ছিল না। এমনকি দেশীয় ভদ্রসমাজে তাঁহাদের কিছুমাত্র আদর ছিল না। সুতরাং তাঁহারা দেশে কোন্ ভাষা চলিত কোন্ ভাষা অচলিত, তাহার কিছুই বুঝিতেন না হঠাৎ তাঁহাদিগের উপর বাংলা পুস্তক প্রণয়নের ভার হইল। তাঁহারাও পণ্ডিতস্বভাবসুলভ দাম্ভিকতাসহকারে বিষয়ের গুরুত্ব কিছুমাত্র বিবেচনা না করিয়া লেখনী ধারণ করিলেন।
    পণ্ডিতদিগের উপর পুস্তক লিখিবার ভার হইলে তাঁহারা প্রায়ই অনুবাদ করেন। সংস্কৃত কালেজের পণ্ডিতেরাও তাহাই করিলেন। তাঁহারা যে-সকল অপ্রচলিত গ্রন্থ পাঠ করিয়াছিলেন তাহারই তর্জমা আরম্ভ করিলেন। রাশি রাশি সংস্কৃত শব্দ বিভক্তি পরিবর্জিত হইয়া বাংলা অক্ষরে উত্তম কাগজে উত্তমরূপে মুদ্রিত হইয়া পুস্তকমধ্যে বিরাজ করিতে লাগিল।
  • প্রস্তাব | 172.96.***.*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০১:২০493546
  • আমঘাটা ও গঙ্গারামের গাঁড়ে ডবল হাম্পু গুঁজে দেওয়া হউক।
  • দীপ | 2401:4900:3a19:905b:8420:fa10:84cd:***:*** | ০৬ জানুয়ারি ২০২২ ০১:১৮493545
  • সব কিছুর জন্ম দায়ী বিদ্যাসাগর আর তৎসমবহুল বাংলা!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত