আকাশে বজ্র মেঘ, প্রবল বৃষ্টি।
আমি তীরে একা বসে আছি, আশাহীন।
রাশি রাশি ভর ভর্তা
সব জায়গায় ধান কাটা হয়,
নদী র্যাপিড ভরা
খারপর্ষা।
ধান কাটার সময় বৃষ্টি হচ্ছিল।
একটি ছোট খামার, আমি একা,
চারদিকে বাঁকা জল খেলে।
আমি এটা পটভূমিতে দেখতে
তারুচায়মাসিমখা
গ্রাম মেঘে .াকা
সকাল--
এই ছোট খামারে আমি একা।
গান গাওয়ার জন্য কে নৌকায় আসতে পারে,
মনে হচ্ছে এতে চিনি আছে।
পূর্ণ বিস্ফোরণ যান,
অবশ্যই না,
তরঙ্গ শক্তিহীন
উভয় পক্ষের ভাঙ্গা
মনে হচ্ছে এতে চিনি আছে।
বাহ, তুমি বিদেশে কোথায় যাচ্ছ?
বারেক ভিরাও নৌকার কিনারায় এসে গেল।
যেখানে খুশি যাও,
আপনি যা চান তাকে দিন,
শুধু এটা নিন
ক্ষণিকের জন্য হাসুন
আমার সোনার ধানের ক্ষেত মাটিতে নেমেছে।
নৌকার পরে যতটুকু খুশি তেমন নিন।
আরো আছে? - আর নেই, আমি টাকা দিয়েছি।
এতদূর নদীর ধারে
ছিনতাই ভুলে যাও
সবকিছু দিয়েছি
বিট-- দ্বারা স্তর
লাহ এখন আমার প্রতি করুণা নিচ্ছেন।
জায়গা নেই, ঘর নেই - এটি একটি ছোট নৌকা
আমার সোনার ধানের ক্ষেত পূর্ণ।
শ্রাবণগানকে ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরছে,
নদীর ধারে শূন্য
পড়তে
সেখানকার সব কিছুই ছিল সোনার নৌকা।
ফাল্গুন 1298 শিলাইদহ। নৌকা
π-দি, হেব্বি কুল ঠাকুমা তো তোমার !!
আমার বাড়ির লোকে, বিশেষতঃ বাবা একেবারে আদি বাংলাপক্ষ টাইপের মানুষ ছিলেন। "হিন্দি সিনেমা == অপসংস্কৃতি" ঘোষণা করে এক লপ্তে অমিতাবচ্চন থেকে শারুক্ষান সবাই ব্যানড। তাতে অবশ্য একটুও কাজ হয়নি, আমি চুটিয়ে সিনেমা দেখে বেড়াতাম, কে না জানে নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি আকর্ষণ সবথেকে বেশী। (পরে জেনেছি বাবা নিজের কৈশোর-যৌবনে যে শুধু চুটিয়ে হিন্দি সিনেমা দেখেছেন তাই নয়, সুন্দর বলতে-লিখতে-পড়তে পারতেন, মুসৌরি না কোথায় বেড়াতে গিয়ে একটা শশী কাপুরের সিনেমায় একটা ৫ সেকেণ্ডের ক্যামিও রোল-ও করে ফেলেছিলেন। নিজের বেলায় আঁটিসাটি ইত্যাদি।)
ও এইবারে বুঝেছি। এই কিন্নরবাবুর লেখাটা না, প্রেমেন্দ্রবাবুর "মান্ধাতার টোপ"। সেটা দেবার কথা ছিল কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞানে। ঃ-)
আমি আনন্দমে শোলে দেখেছিলুম, তাও আবার ঠাকুমার সঙ্গে।
এটা কোন বছরের পূজাবার্ষিকী আনন্দমেলায় বেরিয়েছিল? এই পুরোটাই ?নাকি কোনো কোনো জায়্গা সেন্সর করা হয়েছিল? পড়তে গিয়ে মনে হল কিছু কিছু অংশ ঠিক শিশুকিশোর উপযোগী নয়।
@বোতিন্দাঃ চোখের সামনে অনন্যা উঠে গেলো, প্রথমে কয়েকদিন একটা লোকাল শপিং মল মতো ছিলো, তারপরে একেবারেই উঠে গেলো। অথচ আমরাই ঐ সিনেমা হলে কতো সিনেমা দেখেছি। আনন্দম-এ আমাদের কলেজে পড়ার সময় বি-গ্রেড সিনেমা দেখাতো, বিমলদাদের ব্যাচের রিইউনিয়নের সময় একদিন সকালে গাদাখানেক গ্রাম্ভারি প্রোফেসর/ভিপি টাইপের লোক দেখি হইহই করে আনন্দমে ঢুকে গেলেন আর কিছুক্ষণ পরে রীতিমত শক খেয়ে বেরিয়ে এলেন, ওঁদের সময় আনন্দম বোধহয় সাধারণ সিনেমা হল-ই ছিলো। এখন কি অবস্থা জানিনা। সোনালিও তাই।
@&/ - মালাকাইটের ঝাঁপি সত্যিই অসাধারণ একটা বই। :)
বদ আনন্দমেলা http://aponpath.com/premendra-mitrake-jemon-dekhechi-kinnar-ray/
এই লেখাটা দেওয়ার কথা ছিল রবীন বল সম্পাদিত ‘কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান’ পত্রিকায়। কিন্তু আনন্দমেলা থেকে হঠাৎ করে বেশি আর্থিক মূল্য দিয়ে লেখাটি সংগ্ৰহ করে নেওয়া হল আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকীর জন্য। লেখাটা প্রকাশিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই হইচই পড়ে গিয়েছিল।
আরে টইতে গিয়ে পান্তাবুড়ির আখড়া হয়ে গেছে। :-)আচ্ছা, লোকগল্পে পান্তাবুড়ি পাই, কিন্তু পান্তাবুড়ো কি কেউ ছিল?
তবে এরমধ্যে সেরা প্রাপ্তি ছিল 'মালাকাইটের ঝাঁপি'। এ বইটা আগে, মানে অফলাইনজীবনের সেইসব ইস্পাত, মানুষের মত মানুষ, পুনরুজ্জীবন -এইসবের আমলে দেখিনি। এই মালাকাইটের ঝাঁপি একটি রত্নমঞ্জুষা, প্রতিটি গল্প এক একটি দুর্লভ রত্ন।
যদুবাবু, ভালো ভালো ছবিওয়ালা বইও ওরা তুলছে। উশকোখুশকো চড়াই পেলাম, লালমাটিয়া পাহাড় পেলাম।
সিনেমা জিনিসটা আমার বায়োস্কোপ টাইপ লাগতো বলে হলে টলে গিয়ে দেখা পোষায় নি। ঐ ক্যার ক্যার ক্যার ক্যার করে পিছন থেকে চালিয়ে দেবে, ঐ পেসে দেখে যাও। তার উপর আবার মাঝে মাঝে নাচগান ধামাক্কা। পোষায় নি। ভাগ্যি ইউটিউব এল, ইচ্ছেমতন ফরোয়ার্ড করে ব্যাকে গিয়ে তিনতিরিক্ষে করে দেখা যায়। ইচ্ছে করলে মিনিমাইজিয়ে রেখে শুধু শোনা যায়। বা মিউট করে শুধু ব্যাটাদের হাতপা নাড়া লাফানো ঝাঁপানি দেখা যায়। "আরে তুই সিনেমায় কেন, সার্কাসে যা ব্যাটা বান্দর।" এইসবও বলা যায়। অনেক স্বাধীনতা। :-)
দ-দি, আমাদের অধ্যাপক এম কে এসের সিনেমা দেখার আশ্চর্য গপ্পো আছে। উনি তিনটে টিকিট কেটে একা সিনেমা দেখতেন। মানে কারও কনুইয়ের গুঁতো উনি খেতে রাজি নন। সে এক বর্ণময় চরিত্র। ভারতে এলিয়টের ওপর প্রথম পি এইচ ডি।
কলকাতার মণীষা তে এলে প্রচুর পুরোনো বই ও পাবে। NBA বেশ কিছু রিপ্রিন্ট করেছে ও করছে।
আহা। আনন্দম। অনন্যা। সোনালী। কত স্মৃতি।:)))
&\, বোতিন্দা -- দারুণ খবর দিলে(ন)। স্ক্যানড কপিগুলো খুঁজবো। এমনি রাশিয়ান বইয়ের কিছু কিছু চেনা/ভালো পেলে নামিয়ে রাখি, কদিন আগেই খুঁজে পেলাম "কোন কাজে লাগা যায়"। ছোটোবেলায় ঐটা দেখে ছবি আঁকা প্রাকটিশ করতাম, এদ্দিনে জানলাম ঐটা মায়াকভস্কির লেখা, মানে সেই বিখায়ত কবি মায়াকভস্কি। ভাবা যায়! মণীষায় পেরেলম্যানের বই পাওয়া গেলে দেখি আনিয়ে নেওয়া যায় কি না। জ্যোতির্বিদ্যার বইটাও দেখেছিলাম মনে পড়োছে। দারুণ ছিলো!
...
একদিনে একাধিক সিনেমা আমিও দেখেছি, তবে কিঞ্চিৎ জালি করে। গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ঢুকে জীবনে প্রথম মাল্টিপ্লেক্সে যাই। তার আগে দৌড় ঐ নিউ তরুণ বা আনন্দম। তো গিয়ে দেখি এক জায়গায় টিকিট চেক করে একটা গলির ভেতরে ঢুকিয়ে দিলো, সেখানে পাশেপাশি এক এক ঘরে এক একটা সিনেমা চলছে। আমি সরলমতি মানুষ, ভেবেছি মেলা-টাইপের ব্যাপার, একটা শেষ করে পরেরটায় ঢুকছি, আর দিব্যি সিনেমার পর সিনেমা দেখে যাচ্ছি, গোটা তিনেক দেখার পর ধৈর্য ফুরিয়ে গেলো বলে চলে এলাম।
না। এক সাথে সিনেমা হলে একটাই সো দেখেছি।
সবথেকে বেশী। BSc এর তিন বছর। আশুতোষ কলেজের আশেপাশে অন্তত: 8/9 টা হল ছিল।কাজেই আজ সিনেমা দেখবো ওটাই ঠিক থাকতো। সিনেমা নিয়ে বিশেষ কেউ মাথা ঘামাতো না। :)))
আমি একবার চারটে সিনেমা পরপর দেখেছিলাম। মাঝখানে অবশ্য এক হল থেকে আরেক হলে যাবার সময় গুলো ছিলো। কুড়ি মিনিট, আধ ঘন্টা এইরকম।
মানে পেরেলম্যানের না এই উল্লিখিত দুটো, কিন্তু সেকালের সোভিয়েত বইগুলো এখন স্ক্যান করে করে তুলছেন অনেকে।
যদুবাবু, এখন পাওয়া যায় সম্ভবতঃ সবই। ওগুলো সব আর্কাইভে তুলছেন অনেকে। সেই গ্রহান্তরের আগন্তুক, টেলিস্কোপ কী বলে, ইত্যাদি সব।
ফিজিক্সের দুটো বই ছাপা হয়েছে দেখলাম যদুবাবু।
ওনার লেখা আরেকটা ব ই ছিল
" জ্যোতি:বিদ্যার খোশখবর". 1981 সালের কলিকাতা পুস্তকমেলায় বাবা কিনে দিয়েছিলেন।
ওবাবা আমাদের শ্রীরামপুর কলেজের ফিজিক্সের প্রফ এ কে এম গর্ব করে বলতেন উনি একই দিনে মর্নিঙ শো থেকে নাইট শো পর্যন্ত ৫ টা শোই একটানা দেখেছেন। তিনটের ম্যটিনি দেখলেই মথা যন্ত্রণায় কাবু হওয়া আমি গোল্লা গোল্লা চোখ করে শুনতাম।
হুজুগায় হবে। নমঃ শব্দের যোগে চতুর্থী বিভক্তি হয়।
&/ -- আমি ইয়া পেরেলম্যানের অঙ্কের বইটা ইংরেজীতে পড়েছি, দামড়া হার্ডকভার এবং অসম্ভব সুন্দর ইলাস্ট্রেশন ওয়ালা একটা বই। 'ম্যাথেমেটিকস ক্যান বি ফান'। বললে অত্যুক্তি হবে না ওই বইটা পড়েই অঙ্কের প্রেমে পড়েছিলাম। তবে কোনো এক আত্মীয় উপহারে দিয়েছিলেন, নইলে ঐ বই হাতে আসতো না।
ফিজিক্সের দুটো বই - পদার্থবিদ্যার মজার কথা - বাংলা অনুবাদে পড়েছিল, এক দাদার কাছ থেকে নিয়ে। খুব ভালো লেগেছিলো, কিন্তু এটা ঠিক-ই যে একটু শিশি-বোতল ছিলো মাঝে মাঝে। তাও ... দুর্দান্ত বইগুলো ছিলো। এখন পাওয়া যায় কি না কে জানে? যায় নিশ্চয়ই?
*ব্যাক টু ব্যাক
কাল মণীষা তে গিয়েছিলাম। পেরেলম্যানের বই গুলো এখন মণীষা ই ছাপছে।
ফোজ্জি অজস্র ধন্যবাদ। তার মানে পেয়ে যাব। কাল চোখ রাখব ভাটে।
ডিসিজনাব, আপনার ব্যাক টু নামাজ পড়ার মতো সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা আছে? আমার আছে। ম্যাটিনিতে আকালের সন্ধানে (কিংবা কপালকুণ্ডলা), ইভনিং শোতে খুন পসিনা। কী মারাত্মক কম্বিনেশন!
যদু বাবুও নরেন্দ্রপুর জেনে খুব ভালো লাগলো :))
উচ্চ মাধ্যমিকে, ফিজিক্স পরীক্ষা র আগে চারদিন ছুটি ছিল। গৌরব বললো সিনেমা দেখে আয়। তাই কজনে মিলে চন্দনে "আফসনা পেয়ার কা" দেখেছিলাম। আমীর-নীলম। :))
হুঁ ডিসি, আমারও তাই ধারণা ছিল। ওই অঙ্কের বা ফিজিক্সের বা অন্যান্য বিজ্ঞান বিষয়ের বইগুলো ইংরেজীতে অনেক ভালো অনুবাদ হত। বাংলা অনুবাদে সাংঘাতিক সাংঘাতিক সব শব্দ আসতো, বোঝা মুশকিল হত।
@অভ্যুদাঃ আজ্ঞে, আমিও আগমার্কা আন্দোলন-GB, তবে বুদ্ধি-GB হতে পার্লেম না এই নিয়ে আক্ষেপ আছে।
@হুতোবাবুঃ "ওসব না করলেও আমার এরকমই হতো" -- কাউন্টার-ফ্যাকচুয়ালস কে-ই বা দেখেছে? এক যদি না প্যারালেল ইউনিভার্সে আরেকজন আইডেন্টিকাল যদুবাবু পাওয়া যায়, যার বাকী সবকিছু এক ... খালি সেই একদিন সন্ধ্যেয় সে 'ঘাতক' না দেখে মন দিয়ে এস-এন-দের অঙ্ক কষছিলো, তারপর দেখতে হবে সে এখন খুব একটা কেউকেটা হয়েছে না কি আমার-ই মতন অপদার্থ...
তবে, দীর্ঘদিন পরীক্ষা দিয়ে-থুয়ে বুঝেছি ঐ হলে ঢোকার আগে অথবা আগের দিন রাত জেগে যা যা গাঁতাবো তার কোনোটাই আসবে না। ওই শেষমেশ লোকাল লোকনাথবাবা-রাই রণে-বনে-জলে-জঙ্গলের মত পরীক্ষা হলে এসেও রক্ষা করিবেন।