শুধু সে না, তিনি ও নিউট্রাল।
হুতো, খেয়াল করে দেখবেন, ইংরেজীতে হি আর শি আছে, জেন্ডার নিউট্রাল ওঁরা নন। কিন্তু বাংলায় সে। জেন্ডার নিউট্রাল। মানুষ এর ব্যাপারেও তাই। ইংরেজীতে ম্যান বলামাত্র পুরুষমানুষ বোঝায়, কিন্তু বাংলায় মানুষ হল মানুষ, মহিলা বা পুরুষ। তফাৎ করতে পুরুষমানুষ আর মেয়েমানুষ বলা হয়। ইংরেজী সেরকম জেন্ডার নিউট্রাল না, তাই এখন হিউম্যান(মানুষ), দে(সে) ইত্যাদি এনে চেষ্টা করা হচ্ছে।
কেকেমণি দুঃখু পেয়ো নি। তোমায় তো সেই বালা থেকে বড্ড ভালা পাই। আমার আজ সকালের দিকে হাতে সময় ছিল এট্টু তাই বক্তব্য রাখছিলাম। তুমি যে দিব্বি ফাজিল টাইপ তা আমরা অনেকেই জানি ত।
স্যান্ডি আপনি স্বচ্ছন্দে বলে যেতে পারেন। আমার অসুবিধে হলে আমি প্রথমেই কটাশ করে বলে দিতাম। ভাটেই বহু আগে দিয়েছি কাউকে কাউকে।
মামা সম্বোধন জিনিসটা মাঝে সাঝে বেশ জটিল। একজনের নাম ছিল রণদা। তাঁকে লোকে রণদামামা ডাকত। ঃ-)
বহু লোকজন হাসিমুখে বিন্দাস ঘুরছেন, মাস্ক আর পরতে হয় না। কিছু কিছু লোক অবশ্য এখনও মাস্ক পরেন।
এদিকে করোনা তো পুরো কন্ট্রোলে মনে হচ্ছে। কিছুদিন আগে ক্রোগারে কোভিড প্রোটেকশনের জিনিস ৭৫% অফে দিচ্ছিল - এখন দেখি "ফ্রী কোভিড প্রোটেকশন টুলকিট" বিলোচ্ছে। তাও নেবার লোক নেই। আবার বলে একজন একটার বেশি নেবেন না পিলিজ।
সম্বোধনের ব্যাপারে যেহেতু আমিই প্যাঁচাচ্ছিলাম তাই আর দুটো কথা বলি।
আমার আপত্তিটা একেবারে জেন্ডার বায়াসের জায়গা থেকে। আর না হলে কে কাকে সেজপিসে ডাকবে আর কে কাকে মেজবৌদি ডাকবে তাতে আমার কী।
কাজের জায়গার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, লোকজন যখন কাল্পনিক ইউজারের কথা বলে, তখন ইনভ্যারিয়েবলি সেই ইউজারকে 'হি' বলে উল্লেখ করে। শি তো নয়ই, শি অর হি/ হি অর শি, বা জেন্ডার নিউট্রাল 'ইউজার'ও কদাচ। ভারতীয় প্রফেশনালদের মধ্যে এর ব্যতিক্রম দেখিনি, কোম্পানী, ডোমেন, প্র্যাক্টিস যাই হোক না কেন। আইটিতে, খেয়াল করে থাকলে আমি নিশ্চিত এটা আমার একার ইউনিক অভিজ্ঞতা না।
তো, এসব আছে আরকি।
কেকে, আমার অন্তত খারাপ লাগার কোন ব্যাপার নেই। বরং আমি আগে ব্যাপারটা লক্ষ্য করিনি, সেদিনের কমেন্টের পরই ধরতে পারলাম, তাই, বরং থ্যাংঙ্কিউ :)
অভ্যু, কেকের প্রতি অত ভালোবাসা আর থাকতো না, যদি বাপুজী কেকের পাল্লায় পড়তে। ঃ-)
ছোটো ছোড়দা। দু'বার ছোটো। ঃ-)
হারলেই কোহলি কাউঁ কাঁউ করবেঃ কেন ইন্ডিয়াতে খেলা হল না, কেন একটাই ফাইনাল এইসব।
আমাদের বাবার জেনারেশনে দুজন ছোড়দা ছিলেন, যথাক্রমে বড় ও ছোটো ছোড়দা । আমরা ডাকতাম যথাক্রমে বড় আর ছোটো ছোড়দাজ্যেঠু ।
আরে আমাদের পাড়ায়ও তো ছিল। চিরকাল ছোটোভাইদা ডেকে এলাম। আমার থেকে দশ বছরের বড়ো হবে।
দেখুন কেকের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা আমার সেই ছোটোবেলা থেকে। বিশেষ করে ফ্লুরিজের পাম কেকের প্রতি।
কারো নিক 'বড়দা 'হলে কি বলে ডাকবেন? আমাদের পাড়ায় দুই ভাইয়ের ডাক নাম ছিল ছোটবাবু ও বড়বাবু। বাড়ির লোক এই নামেই ডাকতো।পাড়ার ছোট্ট রা, এঁদের নামের সঙ্গে দিব্যি '''দা জুড়ে দিতো।
১৮ ওভার বাকি, ৪২ রান দরকার।
হ্যাঁ, এই অনলাইন ফোরামে এই সম্বোধন করার ব্য়াপারটা জটিল। আমি বোধ হয় সবাইকেই নিক ধরে সম্বোধন করি দ আর রন্জন ছাড়া। দ-কে অনুমতি ব্য়াতিরেকে বার কয়েক দমুদি এবং রন্জনবাবুকেও ওনার অনুমতি না নিয়েই রন্জনদা বলে সম্বোধন করেছি। গত কয়েকদিনের ভাট পড়ে বুঝলাম যে আমার ওটা করা উচিত হয় নি। সর্বোপরি কেকে-এরও বিরক্তিপাদন করেছিলাম। পরে অভ্যুর পোস্ট দেখে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয় এবং কেকের প্রতি শ্রদ্ধা একটু বেড়েই যায়। যাইহোক এবার থেকে প্রত্যেককেই নিক ধরে সম্বোধন করব। আপাতত এটাই সব দিক থেকে নিরাপদ।
২০:২৬-এর প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিলাম
১. আজ থেকে সর্বদা লগিন করে এখানে লিখব।
২. কোনও ভেড়ুয়ার কথার পাল্টা উত্তর দেব না।
৩. দ-দি যেহেতু আপত্তি জানাননি তাই তাঁকে দ-দিই লিখব।
৪. খ, কেসি ও অমিত আমাকে যে নামে ডেকে অভ্যস্ত কেবল তাঁরা ছাড়া অন্য কেউ আমার নামের সঙ্গে অযথা দা-দি-বাবু-বিবি জুড়বেন না।
৫. চতুরানন যদি সবাইকে 'বাবু' সম্বোধন অব্যাহত রাখেন তাহলে আমার নামের ক্ষেত্রেও তাঁর সম্বোধনকে যথাবিহিত সম্মান জানাব।
আমি পাল্টা গালাগালের বন্যা ছোটালেই এখনই রে রে করে অনেক কেষ্টর জীব ছুটে আসবেন জানি। তাঁদের নিজে থেকেই অব্যাহতি দিলাম।
ওরেবাবা! সেদিন আমি সবাইকেই 'বাবু' বা 'সাহেব' বলা নিয়ে একটা পোস্ট করেছিলাম। তারপর দেখি সেই থেকে বিষয় কতদূর অব্দি গড়িয়ে গেছে! নিতান্ত মজা পেয়ে ও কিছুটা মজা করে পোস্টটা করেছিলাম। তাতে সিরিয়াসনেস কিছু তেমন ছিলনা। বুঝতেই পারিনি তার থেকে এত কথা আসবে! এলো সে ভালো, অনেকের পার্সপেক্টিভ জানা হলো। পাবলিক ফোরামে একই জিনিষ কে কীভাবে ভাবেন সেটা জানতে সবসময়েই আমার ইন্টারেস্টিং লাগে। তবে এখানে আমার মনে হওয়াটাও একটু ক্লিয়ার করে দিই। আমি লিখেছিলাম খুবই অ-সিরিয়াস ভাবে। ভাবিনি কনসেপ্টটা কারুর কাছে খারাপ লাগতে পারে, বা বিরক্তি লাগতে পারে। ভাবা উচিত ছিলো অবশ্য। যাহোক, ভুল হয়েছে সেটা। এখন ভেবে টেবে বুঝছি আমি এই ব্যাপারে যা মনে করি তা হলো -- যাঁদের সাথে চেনা হয়ে গেছে তাঁদের ডাকা নিয়ে তো অসুবিধা হয়না। হয় সম্পূর্ণ অচেনা কাউকে ডাকার সময়। আগের দিন লিখেছিলাম সে নিয়ে। তো এক্ষেত্রে কাউকে আমি আমার পার্স্পেক্টিভ অনুযায়ী কিছু সম্বোধন করলাম, বাবু, বিবি, মেম, সাহেব যাইই হোক। আমার দিক থেকে সেটা জাস্ট সোজা-সাপ্টা ডাক, এর মধ্যে সেক্সিজম, রেসিজম, অন্য কোনো রকম কোনো ইঙ্গিত কিছুই নেই। তা যদি তাঁর অপছন্দ হয়, তিনি সোজাসুজি আমাকে বললেন "দেখো বাপু, এটা আমার পছন্দ না, আমাকে এই বলে ডেকো বা ডেকোনা।" আমি খুশি হয়ে তাঁর কথা মেনে নেবো। আশা করবো এই ব্যাপারটা দুজনের কাছেই ক্লিয়ার থাকবে যে কেউই কোনো রাগ, বিরক্তি, ছোট করা, বা অন্য কোনো জায়গা থেকে কিছু বলেননি। এইই।
এত জাস্টিফাই করার কোনো দরকার ছিলোনা হয়তো। কিন্তু কারুর মনে কোনো রকম খারাপ লাগা তৈরী হোক সেটাও চাইনা। ঠিক আছে, এইটুকুই। আমি চলি। আপনারা গল্প করুন সবাই।
নিউজিল্যান্ড জেতার চেষ্টাই করছে না
এই এলেবেলে লোকটির পুড়কি বিশাল। গতকাল চুপসে গিয়েছিলেন, আজ খিস্তির হট্-টপিক পেয়ে আবার জেগে উঠেছেন। ইনি পরের "গাঁড়ে হাম্পু গুঁজে" দিতে পারেন, কিন্তু "স্যাটা ভাঙার" কথা হলেই তার ব্যুৎপত্তি, সমাস সব নিয়ে রে রে করে তেড়ে আসেন।
ঠিক সংজ্ঞা দিতে পারবো না, তবে একটা হাতে গরম উদাহরণ আছে। এলেবেলে বিবি আপনাকে একটি ডবল খানকি বলা যায়।
আপনারা জানেন কাকে 'ডবল খানকি' বলা হয়? ডিসিজনাব, আপনি তো জানেনই খিস্তি নিয়ে আমার কোনো ট্যাবু নেই। পরিচিত মহলে প্রচুর খিস্তি দিয়ে থাকি। কিন্তু পাবলিক স্পেসে সেসব লিখি না বা বলা ভালো লিখতে চাই না।
*মাখি মাগি *হোক হুক
খিস্তি নিয়ে আমার দু-চারটে কথা বলার আছে। চারটি জিনিস দেখতে হবে --- শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ, ডিজেনারেশন অফ মিনিং, রিজেনারেশন অফ মিনিং এবং সেই শব্দের প্রয়োগ।
বুৎপত্তিগত অর্থে খিস্তি কিন্তু প্রয়োগগত অর্থে যদি তা না হয়, তাহলে সেটা খিস্তি হবে না। যেমন 'আমি যাব না' - না বলে যদি বলি 'আমি বাল যাব,' সেক্ষেত্রে বাল খিস্তি হিসেবে পরিগণিত হওয়া উচিত নয়।
ডিজেনারেশন অফ মিনিং এর সেরা উদাহরণ 'মাগি'। বিদ্যাসাগর এবং বিবেকানন্দ দুজনেই চুটিয়ে শব্দটা ব্যবহার করেছেন। বর্তমানে তার প্রয়োগগত অর্থের অবনতি ঘটায় মাখি এখন খিস্তির অন্তর্ভুক্ত হবে।
রিজেনারেশন অফ মিনিং এর সেরা উদাহরণ 'স্যাটা ভাঙা'। ব্যবহারকারী হয়তো জানেই না 'স্যাটা' শরীরের কোন অঙ্গটিকে বলে, কিন্তু 'নথ ভাঙা' দিব্যি জানে। এখানে কেউ বুৎপত্তিগত অর্থ বলে দেওয়ার পরে তা ব্যবহার করলে সেটি খিস্তি হিসেবে পরিগণিত হওয়া উচিত।
রঞ্জনবাবুর পরামর্শ অনুযায়ী মামুর ভাগ্নের নির্বিষ বাউন্সারটি আপাতত ডাক করলাম। পরেরবার ওটা সোজা মাঠের বাইরে গিয়ে পড়বে। হোক নয়, আপার কাট।
একা মেয়ে হাতের নাগালে পেয়েছে আর গালি দেয় নি! আদৌ হতে পারে?
গোলাপ ফুলের ডাঁটি কামড়ে বসলে, মুখপোড়া মিনসে, ঢং দেখে আর বাঁচি না বলতে হবে মলিনা স্টাইলে।সঙ্গে একটা মুখ বেঁকানো ফ্রি
রীনা ব্রাউনকে কি কেউ bitch বলে গালি দিয়েছিল ?
যুদ্ধের সময়ে সেরকম অবস্থায় তো সত্যিই সে পড়ে গেছিল যখন সেরকম গালাগালি তার প্রাপ্তি হতে পারে !
সুচিত্রা সেন বলছেন - এই মিনসেটা যেন আমাকে ঠাচ্ না করে।
কেন, দাঁতে গোলাপফুলের ডাঁটি কামড়ে এক হাঁটু মুড়ে মহিলার সামনে বসে চোখ উঁচু করে তাকানো তো পাবলিক প্লেসেই সম্ভব। তার উত্তরে, ওরে আমার মিনসে রে, বললে অবশ্য ডাঁটির কাঁটা খুঁচিয়ে দেবে মনে হয়।